নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮
সম্প্রতি ‘ট্রাইডেন্ট জাঙ্কচার’ নামের সামরিক মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন)। একত্রিশটি দেশের প্রায় ৫০ হাজার সৈন্য, ১০ হাজার সামরিক যান, ২৫০টি যুদ্ধবিমান এবং ৬৫ টি জাহাজ নিয়ে এই মহড়া চালানো হয়েছে। ২৫ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এই মহড়া ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বাল্টিক সমুদ্র থেকে আইসল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। স্নায়ুযুদ্ধের পর এটাই ছিল ন্যাটোর সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া।
রাশিয়া সীমান্তের কাছে নরওয়েতে ‘ট্রাইডেন্ট জাঙ্কচার’ মহড়ার শুরু হয়েছিল। তীব্র শীতে সেনারা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তুষারের ক্যামোফ্লেজ এবং গরম চকলেটের পানীয় সবই প্রস্তুত ছিল সেনাদের জন্য। হিম শীতল বাতাসের মধ্যে কঠোর পরিশ্রম করছিলেন তারা। প্রশ্ন হলো, এই সামরিক মহড়া কী বার্তা দিয়েছে?
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর সামরিক মহড়া নিঃসন্দেহে রাশিয়ার জন্য এক বার্তা ছিল। তবে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যেও খব দহরম মহরম চলছে তা কিন্তু নয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতাগ্রহণের পর থেকেই দীর্ঘদিনের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। বারবার তিনি ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোকে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করতে বলছেন। ন্যাটোর অন্যতম সদস্য দেশ জার্মানি, ফ্রান্স এবং কানাডার সরকার প্রধানদেরকে তিনি বিভিন্ন ইস্যুতে কটাক্ষ করেছেন। এর সর্বশেষ উদাহরণ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। কিছুদিন আগে তিনি ইউরোপীয় সামরিক বাহিনী দরকার বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এমন একটি বাহিনী প্রয়োজন যারা চীন, রাশিয়া এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি থেকে ইউরোপকে রক্ষা করবে। এই মন্তব্য থেকেই বোঝা যায় ন্যাটোর সদস্যদের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্কটা আসলে কেমন। ট্রাম্পও এর করা জবাবই দিয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্সের বর্তমান মিত্র জার্মানির ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে ন্যাটোতে তহবিল বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি ট্রাম্প। শুধু যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি কিংবা কানাডাই নয় ন্যাটোর অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যেও অসন্তোষ রয়েছে। একারণেই বলা হচ্ছে, ন্যাটোর সাম্প্রতিক সামরিক মহড়া শুধু শত্রুপক্ষই নয়, বরং ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর জন্যেও এক বার্তা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে, ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করা কৃষকদের মাথার খুলি ও হাড় নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ভারতের তামিলনাড়ুরর কৃষকরা।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নয়াদিল্লির জন্তর মন্তরে অভিনব এই কায়দায় বিক্ষোভ করেন তামিলনাড়ুর দুইশর জনের মতো কৃষক। জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বাড়ানো হয়নি ফসলের দাম। দাবি জানানো হয় ঋণ মওকুফের। তারা বলেন, ঋণের বোঝা বইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন হাজার হাজার চাষী।
তারা বলেন, কোনো দলের হয়ে নয় বরং সাধারণ কৃষক হয়েই সাহায্য চান তারা। দাবি না মানলে মোদির বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে লড়ারও হুমকি দেন বিক্ষোভকারীরা। একই দাবিতে এই স্থানে এর আগেও বিক্ষোভ করেন ঋণগ্রস্ত কৃষকরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় শস্যের দাম দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন, শস্যের দাম দ্বিগুণ করা হবে এবং নদীগুলোকে আন্তঃসংযুক্ত করা হবে।
ভারত তামিলনাড়ুর কৃষক মাথার খুলি হাড় বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
মুম্বাই থেকে ব্যাংকক যাওয়ার পথে এক ভারতীয় পর্যটকের স্যুটকেসের ভেতরে রাখা নুডলসের প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল অঙ্কের সোনা ও হীরা। ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দরে সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) রাতে ৬ কোটি ৪৬ লাখ রুপি মূল্যের হীরা ও স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।
সোমবার রাতে একটি যাত্রীর ব্যাগ থেকে ৪ কোটি ৪৪ লাখ রুপি মূল্যের ৬ দশমিক ৮ কেজি সোনা ও ২ কোটি ২০ লাখ রুপির হীরা উদ্ধার হয়েছে। এ সময় ওই যাত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর কর্মকর্তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মুম্বাইয়ের শুল্ক দপ্তরের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।
এছাড়াও, কলোম্বো থেকে মুম্বাই আসা বিদেশী পর্যটকের অন্তর্বাসের ভিতরে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায় ৩২১ গ্রাম ওজনের সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এতো বিপুল পরিমাণ সোনা ও হীরা কোথায় পাচার করছিলো অভিযুক্তরা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
ভারতীয় পর্যটক স্যুটকেস নুডলস প্যাকেট হীরা পাচার
মন্তব্য করুন
ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার ঘন কুয়াশার কবলে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির রাজধানী আবুধাবি ও ওমান সীমান্তবর্তী শহর আল আইনে বসবাসরতদের গাড়ি চালানোর সময় অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে খালিজ টাইমস এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি (এনসিএম) আজ বুধবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ধূলিঝড়ের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও প্রবল বাতাসের কারণে অনুভূমিক দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটারের থেকেও কম।
এনসিএম পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ধুলো ও ময়লা বহনকারী উত্তর-পশ্চিমী বাতাস ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন অবস্থায় ঘন কুয়াশার কারণে ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে।
মন্তব্য করুন
তিনদিনের পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে করাচি ছেড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলম্বোর উদ্দেশে বিমানে চড়েন তিনি। এ সময় তাকে পাকিস্তানের গণপূর্তমন্ত্রী রিয়াজ হোসেন পিরজাদা ও সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর বিদায় জানান। খবর ইরনার
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের আমন্ত্রণে একদিনের সফরে দেশটির রাজধানী কলম্বো যাচ্ছেন রাইসি। এই সফরে রনিল বিক্রমাসিংহে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে দুটি বাঁধ ও একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। প্রায় ৫৩ কোটি ডলারের প্রকল্পটি ইরানি বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ করেছেন।
এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) পাকিস্তানে আসেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। গত ৮ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম বিদেশি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি ইসলামাবাদ সফর করেন। ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল দেশটিতে অবস্থান করেন ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর করেন রাইসি।
প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক মাস আগে পাল্টাপাল্টি হামলায় ইরান-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। তবে কূটনীতির মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগায় মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশ। পাকিস্তানের নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ইব্রাহিম রাইসির এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তান সফর শ্রীলঙ্কা ইরান প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন
তিনদিনের পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে করাচি ছেড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলম্বোর উদ্দেশে বিমানে চড়েন তিনি। এ সময় তাকে পাকিস্তানের গণপূর্তমন্ত্রী রিয়াজ হোসেন পিরজাদা ও সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর বিদায় জানান। খবর ইরনার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের আমন্ত্রণে একদিনের সফরে দেশটির রাজধানী কলম্বো যাচ্ছেন রাইসি। এই সফরে রনিল বিক্রমাসিংহে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে দুটি বাঁধ ও একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। প্রায় ৫৩ কোটি ডলারের প্রকল্পটি ইরানি বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ করেছেন।