নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৯ এএম, ০৯ এপ্রিল, ২০১৭
ভারত ও বাংলাদেশে চলতি সরকারের মেয়াদ কালেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন হবে বলে শনিবার দুপুরে আশা প্রকাশ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আর তারপরেই মধ্যাহ্নভোজের আসরে এবং রাতে শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে তিস্তা নিয়ে জটিলতা কাটাতে বিকল্প প্রস্তাব দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, ‘‘আপনার তো পানি দরকার। তোর্সা ও আরও যে দু’টি নদী উত্তরবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে গিয়েছে, তার পানির ভাগ ঠিক করতে দু’দেশ কমিটি গড়ুক। শুকনো তিস্তার পানি দেওয়াটা সত্যিই সমস্যার।’’
তিস্তার পানি দিতে না-পারার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভুল না-বোঝেন, সে জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠানোর প্রস্তাবও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ১০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বাংলাদেশকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। বিদ্যুৎ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রস্তাব শুনে সন্তোষ প্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদী তখনই বলেন, ‘‘সরকারি ভাবে এই প্রস্তাব দিন, আমি দেখছি কী করা যায়।’’ এরপরে রাজ্যের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে এ দিন রাতেই সরকারি ভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই প্রস্তাব জানিয়ে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজনীতিকদের একাংশ বলছেন, মমতা তিস্তা প্রসঙ্গে একটি কুশলী মোচড় দিলেন! এ দিন মধ্যাহ্নভোজের সময়েই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে মমতা জানিয়েছিলেন, কেন তিস্তার উপরেই নজর সীমাবদ্ধ রাখা হবে? অন্যান্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় নদীগুলি থেকেও কী ভাবে শুকনা মৌসুমে দু’দেশ পানি পেতে পারে, সামগ্রিক ভাবে সেটা দেখা দরকার। তোর্সা রয়েছে, উত্তরবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে আরও দু’টি নদী ঢুকেছে। এগুলির পানির ভাগ নিয়ে যৌথ সমীক্ষা করার নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা।
তাঁর তোর্সা-প্রস্তাব বাংলাদেশ কীভাবে দেখছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের এক সূত্র জানাচ্ছেন, তোর্সার পানিবণ্টন নিয়ে মমতার প্রস্তাব কেন্দ্রের পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন। তবে কেন্দ্রের ডাকে সাড়া দিয়ে মমতা যে ভাবে নয়াদিল্লিতে উপস্থিত হয়েছেন, সেই বিষয়টিকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এ দিন তাঁর বক্তৃতাতেও বলেছেন, ‘‘আমি খুব খুশি যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আমার অতিথি হিসেবে এসেছেন। আমি জানি যে বাংলাদেশের প্রতি তাঁর মনোভাব, আমার নিজের মনোভাবের মতোই উষ্ণ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমি আশ্বস্ত করতে চাই, প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য ধারাবাহিক প্রয়াস জারি রয়েছে।’’
শেখ হাসিনা শনিবার ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান মমতাকে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের দ্বারকা স্যুইটে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য নিয়ে যান বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী বালুচরি শাড়ি ও ‘বিশ্ববাংলা’ বিপণি থেকে নানা উপহার। রাত পর্যন্ত একান্ত আলাপচারিতাও করেছেন দুই নেত্রী। রাতে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মমতা বলেন, ‘‘তিস্তার পানি দেওয়াটা যে সত্যিই সমস্যার, সে কথা আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলেছি। শুকনা মৌসুমে তিস্তায় পানি কোথায়? তখন বাংলাদেশকে পানি দিয়ে দিলে রাজ্যে চাষের পানির টান পড়বে। তার চেয়ে অন্য কথা ভাবুন।’’
মমতা বলেন, ‘‘আমি বলেছি, আপনাদের তো পানি পাওয়া নিয়ে কথা। বাংলাদেশকে পানি দিতে আমার কোনও আপত্তি নেই। তোর্সা রয়েছে। রয়েছে আরও নদী। সেগুলির পানির ভাগ নিয়ে সমীক্ষা হোক। সেই পানি দিতে রাজ্যের বাধা নেই। বাংলাদেশ পানি পাক সেটা আমিও চাই।’’
বাংলা ইনসাইডার/আনন্দবাজার/এএ
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।