ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দিরা-প্রিয়াঙ্কার যত মিল-অমিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

বর্তমানে ভারতের রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি নিঃসন্দেহে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। নেহরু-গান্ধী পরিবারের এই সদস্যের চেহারা, শাড়ি পরার স্টাইল, হাসি, চুলের ছাঁট, হাত নাড়ানোর ভঙ্গী সবকিছুর মধ্যেই দাদি ইন্দিরা গান্ধীকে খুঁজে পাচ্ছেন আম-জনতা। কিন্তু চেহারা কিংবা স্টাইলই কি সবকিছু? এই দুই প্রিয়দর্শিনীর মধ্যে আসলে মিল কতটুকু? অমিলই বা কোথায়? 

ব্যক্তিত্ব

ইন্দিরা-প্রিয়াঙ্কার মধ্যে সবচেয়ে বড় মিল বোধয় তাদের ব্যক্তিত্বে। ইন্দিরা ছিলেন স্বল্পভাষী। তবে যতটুকু বলতেন সেটাই জনগণের মনে গেঁথে যেত। প্রিয়াঙ্কার মধ্যেও এই বিষয়টিই খুঁজে পাচ্ছে আমজনতা।

শিক্ষাজীবন

পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর কন্যা ইন্দিরার ছাত্রজীবন কেটেছে স্যুইজারল্যান্ড আর যুক্তরাজ্যের নামকরা সব স্কুল-কলেজে। বিশ্বের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ই তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রিতে সম্মানিতও করেছে। এদিক থেকে তার নাতনি প্রিয়াঙ্কা যেন অনেকটাই পিছিয়ে। প্রিয়াঙ্কার শিক্ষাজীবনের শুরু হয়েছে দিল্লির মডার্ন স্কুলে। আর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিএসএস অ্যান্ড মেরি কলেজ থেকে তিনি মনোবিজ্ঞানে স্নাতক হন।

দাদি ইন্দিরার আগ্রহের বিষয় ছিল অর্থনীতি আর রাষ্ট্রবিজ্ঞান। সেখানে নাতনি প্রিয়াঙ্কার পছন্দের বিষয় বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা। ২০১০ সালে এই বিষয়ে মাস্টার্স করেন তিনি।

রাজনীতি

রাজনীতির ক্ষেত্রে দাদি-নাতনির মধ্যে যেন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। বলতে গেলে ছেলেবেলা থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ইন্দিরা। বয়স ১০ পেরোনোর আগেই তিনি ‘বাল চড়কা সঙ্ঘ’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরে ১৯৩০ সালে ব্রিটিশ বিরোধী অসহযোগ আন্দোলনের সময় কংগ্রেসকে সাহায্য করতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে গড়ে তোলেন ‘বানর সেনা’। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৩! আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন মাত্র ২১ বছর বয়সে। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা সক্রিয় রাজনীতিতে এলেন ৪৭ বছর বয়সে। যদিও তাকে গত দুই দশক ধরে দলের বিভিন্ন প্রচার প্রচারণায় দেখা গেছে। মা সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে পেয়েছেন রাজনৈতিক দীক্ষা।

কারাবরণ

রাজনীতিতে ইন্দিরাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। ১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বরে কারাগারেও যেতে হয়েছিল তাকে। এদিক থেকে প্রিয়াঙ্কা ভাগ্যবানই বটে। রাজনীতিতে এসেই তিনি দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন। তার স্বামীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত তাদের খুব বড় কোন ঝামেলায় পড়তে হয়নি।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘গাজায় দেখা দিচ্ছে দুর্ভিক্ষ’

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অনাহার ও অসুস্থতা গাজার অধিবাসীদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাৎক্ষণিক ও সমন্বিত পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুস বলেছেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ তরান্বিত করাসহ গাজায় স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান ব্যবস্থাকে রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন।

গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে গাজা সিটি এবং শাতি ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজা শহরের আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকাগুলোতে কামানের গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।   

অন্যদিকে, কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরে দুজন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে এবং পরে তাদের মরদেহ বুলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দেয়। উপকূল ধরে হেঁটে যাবার সময় একজন ফিলিস্তিনিকে সাদা কাপড় নাড়তেও দেখা যায় ভিডিওটিতে।

গাজায় আকাশ থেকে ফেলা সাহায্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া সাগর থেকে আরও ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। ৮ অক্টোবরের পর হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষে এটিই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির সংখ্যা।   

অন্যদিকে, গাজায় দক্ষিণাঞ্চরের রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েল মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে নতুন সূচি নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা বাতিল করে দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এই নতুন প্রস্তাবটি পাওয়া গেল।

গতকাল বুধবার রাতে চতুর্থ দিনের মতো গাজায় ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের প্রতিবাদে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে শত শত বিক্ষোভকারী অবস্থান বজায় রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় গাজার অধিবাসীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ায়। বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে জর্ডানকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি বাতিলেরও আহ্বান জানায়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা   ডব্লিউএইচও   গাজা   দুর্ভিক্ষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে সেতু ধস: ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় জনের মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ( ২৭ মার্চ) তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫) এবং ডোরিয়ান রনিয়াল ক্যাস্টিলো ক্যাব্রেরা (২৬)। এই দুই ব্যক্তিই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি ধসে পড়ার সময় তারা একটি ট্রাকের মধ্যে ছিলেন।  মেরিল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, কিছু যানবাহন সেতুর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে। এগুলো সরানো হলে ডুবুরিরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে আবারও অভিযান শুরু করবে।   

এদিকে আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসের ঘটনায় ধাক্কা খাওয়া পণ্যবাহী জাহাজ থেকে ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের আশা, কী কারণে জাহাজটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে, তার কারণ জানা যাবে রেকর্ডার থেকে।

মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থার প্রাথমিক ধারণা, বাল্টিমোরের হারবার ছেড়ে যাওয়ার সময় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হলো সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ ডালি সেতুতে ধাক্কা দেওয়ার আগে সেটির বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। এমনকি ইঞ্জিনেও কোনো শক্তি ছিল না।

সমস্যা সমাধানে বারবার অ্যালার্ম বাজানো হয়। ক্রুরা মরিয়া হয়ে জাহাজটিতে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। যদিও ডালির একটি জরুরি জেনারেটর ছিল। কিন্তু ইঞ্জিনগুলোর শক্তি ফিরিয়ে আনতে পারেনি সেই জেনারেটর।

গত মঙ্গলবার ( ২৬ মার্চ) রাতে আমেরিকার অন্যতম বন্দর বাল্টিমোর থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে যাওয়ার সময় সেতুটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে সিঙ্গাপুরের পণ্যবাহী জাহাজ ডালির। এতে সেতুটির একাংশ ধসে পড়ে। পরের দিন দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।


যুক্তরাষ্ট্র   বাল্টিমোর   সেতু   ধস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসবেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূ্ত্রে জানা যায়, আমিরের সফরের প্রস্তুতি নিয়ে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র জানায়, এই সফরে জ্বালানি নিরাপত্তা, শ্রমবাজার, বৈদেশিক বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে গতবছর দোহায় কাতার এনার্জির সদরদপ্তরে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) এবং কাতার এনার্জির এলএনজি ট্রেডিং শাখার মধ্যে কাতার থেকে বছরে ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটি) করে ১৫ বছর পর্যন্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই হয়।

চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতি বছর অতিরিক্ত ১ দশমিক ৮ এমএমটি এলএনজি পাবে, যা ২০২৬ সালে শুরু হবে।

বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদার বড় অংশই পূরণ করছে কাতার৷ আমিরের বাংলাদেশ সফরের ফলে এলএনজি আমদানির দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

জীবীকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাস করছেন প্রায় চার লাখ বাংলাদেশী। আমিরের সফরের খবরে প্রাবসীদের মধ্যেও এক ধরনের স্বস্তি কাজ করছে। প্রবাসীরা মনে করছেন এই সফরের মাধ্যমে দেশটিতে নতুন করে বাংলাদেশী শ্রমবাজারের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।

এই বিষয়ে কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। তারা বলেন, আমির যেহেতু বাংলাদেশে যাবেন সেখানে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, কথা হবে। আমরা চাই আমাদের যেসব চাহিদা রয়েছে, দৈনন্দিন সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলেচনা হোক।


কাতার   আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি   বাংলাদেশ   সফর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়’

প্রকাশ: ১০:০৮ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

খাদ্যের অভাবে প্রতি রাতে বিশ্বের নানা প্রান্তে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমুতে যান প্রায় ৮০ কোটি মানুষ। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন বাড়িঘরগুলোতে নষ্ট হয় গড়ে ১০০ কোটি টন খাদ্য, যার আর্থিক মূল্য ১ ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতিসংঘের খাদ্য অপচয় সূচকের (ফুড ওয়াস্ট ইনডেক্স) সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এই তথ্য। প্রতিবেদনের জন্য তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সাল থেকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে গড়ে ১০০ কোটি টন খাদ্য অপচয় হয়েছে বাড়িঘরগুলোতে, পরের বছর ২০২৩ সালেও এই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল।

বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় একটি বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি। শুধুমাত্র এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন।’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি।

প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি।’

 ‘তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্যের প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি।’


জাতিসংঘ   জাতিসংঘের খাদ্য অপচয় সূচক   ফুড ওয়াস্ট ইনডেক্স  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র’

প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বুধবার (২৭ মার্চ) মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশী এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে বলছি, সুনির্দিষ্ট কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে; সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে বলার মতো কিছু আমার হাতে এখন নেই। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের বাইরে আমরা যেটা স্পষ্ট করে বলেছি, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের পররাষ্ট্রনীতির সর্বোচ্চ গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে গণতন্ত্রের বিকাশ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংলাপের সময় অব্যাহতভাবে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে আমরা কথা বলে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় সময়ই আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। বিষয়টা ছিল অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে’।

গণতান্ত্রিক শাসন জোরদার এবং মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করে স্বাধীনতা দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন যে বিবৃতি দিয়েছেন সেই অবস্থানেরই পুনরাবৃত্তি করেন স্টেট ডির্পাটমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   গণতন্ত্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন