নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
থাইল্যান্ডের রাজপরিবারে চলছে রাজা বনাম রাজকন্যা প্রবল যুদ্ধ। ৬৭ বছর বয়সী রাজকুমারী সিরিভাধানা বার্ণাভাদি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হতে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। আর তার নিজের ছোট ভাই রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণ সরাসরি এর বিরোধিতা করছেন। তিনি বলছেন, রাজপরিবারের সদস্য হয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়াটা সংবিধানপরিপন্থী এবং প্রথাবিরুদ্ধ কাজ। প্রথা ভাঙার এই ফল ভয়ংকর হতে পারে বলেও হুংকার দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু রাজার হুঙ্কারে ভড়কে যাওয়ার মানুষ যে তিনি নন, এর প্রমাণ সিরিভাধানা বহুবার দিয়েছেন। রাজপরিবারের প্রথাবিরুদ্ধ অঘটনও ঘটিয়েছেন বেশ কয়েকবার।
যে থাই রাজপরিবারে রাজকন্যাদের কঠোর অনুশাসনের মধ্যে থাকতে হয়, সেই পরিবারের সদস্য হয়েই সিরিভাধানা কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে ফেলেছেন। পড়াশোনা করেছেন ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে। ১৯৭২ সালে পরিবারের অমতেই এক আমেরিকান নাগরিককে বিয়ে করে রাজপরিচয়ও ত্যাগ করেছিলেন তিনি। কী মনে হচ্ছে, প্রথা ভাঙাকেই যিনি অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন তিনি খুব সহজেই প্রধানমন্ত্রিত্বের যুদ্ধে জিতে যাবেন? বিষয়টা কিন্তু মোটেই এতোটা সহজ নয়।
সিরিভাধানা নির্বাচনের দৌড়ে টিকে থাকতে পারেন কিনা, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। থাইল্যান্ডের সংবিধান বলছে, রাজপরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হতে হবে। তাই থাই রাজপরিবারের দীর্ঘ ইতিহাসে কখনোই রাজনীতিতে সক্রিয় হননি কেউ।
রাজকন্যা সিরিভাধানা বলছেন, তিনি রাজপরিচয় ত্যাগ করেছেন, সাধারণ মানুষের মতোই জীবন যাপন করছেন। তাই দেশের একজন নাগরিক হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশকে বদলে দেওয়ার অধিকার তার আছে। কিন্তু তিনি কি আসলেই রাজপরিচয় এবং সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা ত্যাগ করেছেন? স্বয়ং তার ভাই রাজা ভাজিরালংকর্ণ বলছেন, সিরিভাধানা এর সবকিছুই ভোগ করছেন। দেশটির মিডিয়াও জানাচ্ছে, ২০০১ সালে বিদেশি স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দেশে ফিরে সিরিভাধানা আবারও রাজ পদমর্যাদা গ্রহণ করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনী দৌড়ে থাকতে পারবেন কিনা, তা নির্ভর করছে থাই নির্বাচন কমিশনের ওপর।
বিশ্লেষকরা বলছেন, থাইল্যান্ডে রাজপরিবারকে সম্মানের চোখে দেখা হয়। রাজাকেও মান্য করা হয়। সেজন্যে রাজা বিরোধিতা করায় সিরিভাধানার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ইতিমধ্যে রাজকন্যার দল থাই রাকসা চার্ট পার্টি তাঁর প্রার্থিতা বাতিলের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সিরিবাধানা শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠজনরা।
শেষ পর্যন্ত যদি রাজকন্যার প্রার্থিতা টিকেও যায় তার জয় পাওয়াটা সহজ হবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ আগামী ২৪ মার্চের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা। ২০১৪ সালে তৎকালীন সরকারপ্রধান ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন এই জান্তা প্রধান। এখনো দেশের প্রশাসন তার নিয়ন্ত্রণে। এতো এতো প্রতিবন্ধকতা আর শক্ত প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন কি প্রথাভাঙা রাজকন্যা?
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা লেবানন
মন্তব্য করুন
ছায়াপথের বৃহত্তম কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন ফ্রান্সের গবেষকেরা। সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ ভারী এটি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটির নাম গাইয়া বিএইচ৩। মূলত, ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার গাইয়া মিশনের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এটির খোঁজ পাওয়া যায়।
গাইয়ার টেলিস্কোপ মূলত আকাশে কোনো নক্ষত্রের নিখুঁত অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর তথ্য থেকে জ্যোতির্বিদেরা নক্ষত্রের ভর, কক্ষপথ ও তাদের অদৃশ্য সঙ্গীকে খুঁজে বের করতে পারেন। গাইয়া মিশনটি পৃথিবী থেকে ২
হাজার আলোকবর্ষ দূরে আকুইলা গ্রহাণুপুঞ্জে বিএইচ৩ নামের কৃষ্ণগহ্বরটিকে শনাক্ত করেছে।
মন্তব্য করুন
উন্নয়নের নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা। এবার যুক্ত হলো চালকবিহীন মেট্রোরেল।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে এই চালকবিহীন মেট্রো। এদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ রুটে যাত্রার মধ্য দিয়ে এই পরিষেবার উদ্বোধন করা হয়।
পরিষেবাটি চালু হওয়ার ফলে অটোমেটিক ট্রেন অপারেশনে সময়ের ব্যবধান দুই থেকে তিন মিনিটের মতো কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের মধ্যে মেট্রো পরিষেবার ব্যবধান ২০ মিনিটের বদলে ১৭ মিনিট হবে। অন্যদিকে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পৌঁছাতে ২০ মিনিটের জায়গায় লাগবে ১৮ মিনিট। তবে দিনের প্রথম এবং শেষ মেট্রো পরিষেবার সময়সূচি একই থাকবে বলে জানা গেছে।
অবশ্য নতুন ব্যবস্থায় ট্রেনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম হলেও চালকের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে সেগুলোতে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কলকাতা শহরে মেট্রোরেলের এ পরিষেবাটি একেবারেই নতুন। তাই শুরুর দিকে মেট্রোতে চালকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে মেট্রোতে চালক থাকলেও এটি পরিচালনায় তাদের তেমন কোনো ভূমিকাই থাকছে না।
কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি বলেছেন, কলকাতার যাত্রীদের কাছে এটি একেবারেই নতুন বিষয়। তাই চালকবিহীন মেট্রো রেক নিয়ে যাত্রীদের মনে অনেকটা উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেট্রো রেক চালানো গেলেও শুরুর দিকে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কেবিনে চালক উপস্থিত থাকবেন।
কেবিনে চালকদের ভূমিকার বিষয়ে উদয় কুমার রেড্ডি জানান, বাস্তবিকভাবে সেখানে তাদের কোনও প্রকার ভূমিকাই থাকবে না। যাত্রীরা এই ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শুরু করলেই পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হতে পারে।
চালকবিহীনে এই মেট্রো পরিচালনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে করে কন্ট্রোল রুম থেকেই মেট্রোর যাবতীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ফলে যাত্রীবোঝাই মেট্রোটি চালকবিহীনভাবেই যাতায়াত করতে পারবে।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের ওপর ইরানের নজিরবিহীন সরাসরি হামলার দুই দিন পর উত্তেজনা বিরাজ করছে তেহরানে। শনিবার রাতে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডস কর্পস-এর ৩শ’ টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর পাল্টা আক্রমণের হুঁশিয়ার দিয়েছে তেল আবিব। খবর বিবিসি।
তবে এরইমধ্যে ইরানের হামলার সমর্থন দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের জনগণ। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইরানের প্রশংসাও করছে অনেকে।
এদিকে, ইরানের শহরগুলোর দেয়ালে কিছু গ্রাফিতি দেখা গিয়েছে যেখানে লিখা, “ইসরায়েল, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বাড়িতে আঘাত কর।”
অন্যদিকে, ইরান সরকারের নিজস্ব বিলবোর্ড রয়েছে যাতে লেখা রয়েছে, ” তেল আবিব আমাদের রণক্ষেত্র, তেহরান নয়।”
ঘটনা যেন এখানেই শেষ নয়! আইআরজিসি হামলার পরপরই, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সমর্থকরা উদযাপন করেছে এবং তেহরানের একটি বিল্ডিং থেকে ব্যানার ঝুলানো হয়েছিল যাতে লিখা রয়েছে, “পরবর্তী থাপ্পড় আরও ভয়ানক হবে।”
আইআরজিসি হামলার পরপরই মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের মূল্য কমে গেছে। ঠিক যেমনটি সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার পর ইতিমধ্যেই হয়েছিল।
মন্তব্য করুন