ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেমন প্রেম তাদের?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯


Thumbnail

কথায় বলে, সবার জীবনেই নাকি প্রেম আসে। চরম কর্কশ ব্যক্তিটিও নাকি জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে প্রেমে পড়েন। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতির জটিল সব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন যারা, যাদের মাথার মধ্যে কিলবিল করে রাজনীতির হাজারো মারপ্যাঁচ, তারা কি জীবনে আসলেই কখনও প্রেমে পড়েছেন? তাদের জীবনসঙ্গীরাই বা কেমন? যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ বেশকিছু দেশের রাষ্ট্রনেতাদের প্রেম, বিয়ে কিংবা জীবনসঙ্গী সম্পর্কে কম বেশি জানি আমরা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে তো হরহামেশাই দেখা যায়। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বরাজনীতির শীর্ষস্থানীয় নেতা জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল কিংবা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র জীবনসঙ্গীরা যেন পর্দার আড়ালেই থেকে যান। তাদের আসলেই কোনো জীবনসঙ্গী আছে কিনা সেটা নিয়েও সন্দিহান হয়ে পড়েন অনেকেই। চলুন দেখে নিই কয়েকজন বিশ্বনেতার প্রেম-পরিণয়ের কাহিনী।

অ্যাঞ্জেলা মেরকেল- জোয়াকিম সয়্যার

জার্মানির চ্যান্সেলর আঞ্জেলা মেরকেলকে অনেকেই খিটমিটে স্বভাবের বুড়ো দাদির সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতির এই কড়া হেডটিচারের জীবনেও প্রেম এসেছে। বার্লিনের সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অব ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রিতে গবেষক হিসেবে কাজ করার সময় কোয়ান্টাম রসায়নবিদ জোয়াকিম সয়্যারের সঙ্গে প্রেমের বাঁধনে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দু’জনের রসায়ন গড়ায় বিয়েতে। যা অমলিন আছে আজও।

সরকারি প্রাসাদের বদলে নিজেদের বাড়িতেই থাকতে পছন্দ করেন এই জুটি।  বার্লিনের ‘মিউজিয়াম আইল্যান্ড’র কাছে একটি পুরনো ফ্ল্যাটেই থাকেন তারা। ছুটি পেলেই দুজনে চলে যান উকারমার্ক নামের ছোট্ট এক শহরে। ব্যস্ততা না থাকলে সুপার মার্কেটে গিয়ে দুজন মিলে সাপ্তাহিক বাজারটাও করে ফেলেন একসঙ্গে। এক নির্বাচনী প্রচারণায় মেরকেল জানিয়েছিলেন, তিনি কেক তৈরি করতে ভালোবাসেন। আর তা মনমতো না হলে স্বামীর অনুযোগও শুনতে হয় তাঁকে। সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই দম্পতি শারীরিক এবং মানসিকভাবে ‘ফিট’ থাকতে সময় পেলেই মুক্ত বাতাসে হেঁটে বেড়াতে পছন্দ করেন।

থেরেসা মে-ফিলিপ জন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বেশ কয়েক মাস ধরেই যেন ব্রেক্সিটের বেড়াজালেই আটকে আছেন। তাই বলে ভেবে বসবেন না যে, তার কোনো ব্যক্তিগত জীবন নেই। তার স্বামী ফিলিপ জন একজন বিনিয়োগকারী এবং ব্যাংকার। বেশ কয়েক মাস প্রেম করে ১৯৮০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঘর বেঁধেছিলেন এই জুটি। নিঃসন্তান এই দম্পতি সুযোগ পেলেই ফুরফুরে হাওয়ায় ঘুরে বেড়ান বলে জানা যায়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প-মেলানিয়া ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্পকে বিভিন্ন সফর বা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে একসঙ্গেই দেখা যায়। কিন্তু এই দম্পতির মধ্যে ভালোবাসা যে কতটুকু তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। মেলানিয়াকে বিয়ে করার আগেও ট্রাম্প বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, সেটা তো সবারই জানা। ট্রাম্পের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথাও এখন ওপেন সিক্রেট। ট্রাম্প-মেলানিয়ার সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন, একে অপরের হাতে হাত রেখে, হাসিমুখেই উপস্থিত থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন পার্টিতে। এর একটি কারণও আছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের স্ত্রী অর্থাৎ ফার্স্ট লেডি অনেকটা আনুষ্ঠানিক একটি পোস্ট। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফর বা হোয়াইট হাউসের অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডির উপস্থিতি অনেকটা অপরিহার্যই বলা চলে।

ইমানুয়েল ম্যাখোঁ- ব্রিজিত ম্যাখোঁ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ আর ব্রিজিত ম্যাখোঁর প্রেমকাহিনী যেন সিনেমা নাটককেও হার মানায়। ম্যাখোঁ কিশোর বয়সে তার টিচার ব্রিজিতের প্রেমে পড়েছিলেন। সন্তানের এই অবুঝ প্রেম ভেস্তে দিতে ম্যাখোঁর মা-বাবা ব্রিজিতের বাড়িতে গিয়ে তাকে শাসিয়েও এসেছিলেন। ২৫ বছরের বড় ব্রিজিতকে ম্যাখোঁ যখন বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তখন তিনি বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জননী। শোনা যায়, বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার আগে ম্যাখোঁ ব্রিজিতের সন্তানদের অনুমতি নিয়েছিলেন।

 

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভোট দিতে গিয়ে শুনলেন, তিনি মারা গেছেন

প্রকাশ: ০৩:০৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।

পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।

ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।

ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।' 

তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।

অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।' 

উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।


ভোট   ভারত   পশ্চিমবঙ্গ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: প্রথম দফায় ভোটে প্রার্থী যারা

প্রকাশ: ০১:৩৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। 

আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩ আসনও।

ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে। 

পশ্চিমবঙ্গের যে তিন আসনে ভোট শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়।

জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ।

আলিপুরদুয়ারে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।

প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।

এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজারের বেশি। রাজ্যে আরও রয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার ১ হাজার ৮৩৭ ভোটারও।

আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৮৩৭টি।

এবারের ভোটকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলো। নিয়োগ করা হয়েছে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছেন ১২ হাজার ৩১০ রাজ্য পুলিশ সদস্য। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।

অন্য আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নীতিন গড়করি, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সেনেওয়াল, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সঞ্জীব বালিওয়ান এবং এল মুরুগান।


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   লোকসভা   পশ্চিমবঙ্গ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: প্রথম দিনেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ সকাল ৭ টায়। ভোটগ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টায়। 

চলমান এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চাঁদমারি এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকে ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে একজন আহত হয়েছে।

এবার পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। আজ প্রথম দফা। এই দফায় পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে। আসন তিনটি হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার আসন।

সকাল নয়টা পর্যন্ত তিনটি আসনে গড়ে ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

সকালেই কোচবিহারের দিনহাটার বিজেপি এজেন্ট বিশ্বনাথ পালকে ভোটকেন্দ্র  থেকে অপহরণ করার অভিযোগ তোলে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনও এ ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে ভোটকেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। দিনহাটায় তৃণমূলের এক ব্লক সভাপতিকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। আহত ব্যক্তিদের দেখতে হাসপাতালে যান তৃণমূল নেতা ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। 

এদিকে, কোচবিহারের চান্দামারিতে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে ভোটদান নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের তুফানগঞ্জের হরিহরহাটে আজ সকালে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, তাদের অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। 

শীতলখুচির শালবাড়ি এলাকায় তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত তৃণমূল নির্বাচন কমিশনে ৩৭টি অভিযোগ দায়ের করেছে। জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় বিজেপির একটি বুথ অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আবার তুফানগঞ্জের তৃণমূলের নির্বাচন অফিসও পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। 

কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী এবং বাম ফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়। 

জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ। আলিপুরদুয়ার আসনে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও। এই তিনটি আসনে আরও লড়ছেন ছোটখাটো রাজনৈতিক দল ও নির্দলীয় প্রার্থীরা।

আর আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দেবেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ জন ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র হচ্ছে ৮৩৭টি।

প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছে ১২ হাজার ৩১০ জন রাজ্য পুলিশ। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।


তৃণমূল   বিজেপি   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের লোকসভা নির্বাচন কেন এত দীর্ঘ সময় হয়

প্রকাশ: ১২:৩১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারত। দেশটিতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। যা মোট সাত দফায় অনুষ্ঠিত হবে এই ভোট। এবারের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ৪৪ দিন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ছিল ৩৯ দিন। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল আগের চেয়ে বেশি।

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফার ভোট। বাকি দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২৬ এপ্রিল (দ্বিতীয় দফা), ৭ মে (তৃতীয় দফা), ১৩ মে (চতুর্থ দফা), ২০ মে (পঞ্চম দফা), ২৫ মে (ষষ্ঠ দফা) ও ১ জুন (সপ্তম দফা)। ভোট গণনা ৪ জুন। অর্থাৎ এবারের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ছয় সপ্তাহের বেশি।

লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। আজ প্রথম ধাপে ১০২টি নির্বাচনী আসনে ভোট হচ্ছে। শেষ দফার দিন (১ জুন) ভোট হবে ৫৭টি আসনে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল এত দীর্ঘ কেন, তার ব্যাখ্যা এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভোটারসংখ্যা

ভারতে সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে এতটা সময় লাগার প্রধান কারণ দেশটির আকার ও বিপুল ভোটারসংখ্যা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য ভোটারসংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৬ লাখ। এই সংখ্যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যার দ্বিগুণের বেশি।

ভৌগোলিক বিস্তার

ভারত একটি বড় আয়তনের দেশ। দেশটির ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে কয়েকটিতে এক ধাপে ভোট হয়। তবে বড় রাজ্যগুলোর বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ভোট হয়। উদাহরণস্বরূপ উত্তর প্রদেশের কথা বলা যায়। রাজ্যটির জনসংখ্যা ২৩ কোটির বেশি। এখানে সংসদীয় আসনসংখ্যা ৮০টি। এই রাজ্যের আসনগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন দিনে ভোট হবে।

নিরাপত্তাব্যবস্থা

ভোট যাতে সহিংসতা ও কারচুপিমুক্ত হয়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তিন লাখের বেশি সদস্য রাজ্য সরকারগুলোর অধীনে থাকা পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা করবে। প্রতিটি দফার ভোটের মধ্যে পর্যাপ্ত ব্যবধান আছে। এর ফলে এই মধ্যবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এক নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্য নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বপালনের জন্য যেতে পারেন।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোটিং মেশিনগুলো ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যান। ভোট গণনার দিন পর্যন্ত এগুলো সুরক্ষিত রাখেন।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েল কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেনি: ইরান

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের জাতীয় সাইবারস্পেস কেন্দ্রের মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন। 

এক এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‌‌ইসফাহান কিংবা দেশের অন্য কোনো স্থানে সীমান্ত পেরিয়ে আশা কোনো আকাশ হামলার ঘটনা ঘটেনি।' তিনি আরো বলেছেন, 'তারা কোয়াডকপ্টার (ড্রোন) ওড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলো। এই ড্রোনগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে।' 

এদিকে ইসরায়েলে পাল্টা হামলার খবরের পরই উড়োজাহাজ চলাচলে নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ি ইস্পাহান, সিরাজ এবং তেহরানের ওপর দিয়ে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যই ইসফাহান শহরে কাছে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছিলো। আর দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি জানায় ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

যদিও ইরানের প্রেস টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসফাহানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলও অবশ্য এ হামলা বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম আইরআইবি জানিয়েছে, ইসফাহান শহর নিরাপদ ও শান্ত রয়েছে। সেখানকার মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক ঘণ্টা আগে আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কয়েকটি  মিনি ড্রোন ইসফাহানের আকাশে ওড়ার সময় সেগুলোকে টার্গেট করা হয়। সেখান থেকেই এই শব্দ আসে।

ইসফাহানের পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টিও সরাসরি নাকচ করে দেয়া হয় ওই প্রতিবেদনে। জানানো হয় কোথাও কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।


ইসরায়েল   ক্ষেপণাস্ত্র হামলা   ইরান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন