ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এতো সহজ নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৫০ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০১৯


Thumbnail

নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার পর থেকেই দেশটির অস্ত্র আইন নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। ওই ঘটনার পর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করে নিয়েছেন যে তাদের অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা দরকার। আজ সোমবার অস্ত্র আইনে পরিবর্তনা জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রিসভাও। যেই অস্ত্র আইন নিয়ে এতো হৈচৈ কী আছে সে আইনে?

নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, অস্ত্রের মালিকানা পাওয়ার বৈধ বয়স ১৬। আর কেউ যদি মিলিটারি স্টাইল সেমি-অটোমেটেড অস্ত্রের মালিক হতে চায়, সেক্ষেত্রে তার ১৮ বছর বয়স হলেই চলবে। সেখানে অস্ত্রের মালিকদের অবশ্যই লাইসেন্সধারী হতে হয়। লাইসেন্স পাওয়ার শর্তগুলোও আহামরি কিছু নয়। স্বাস্থ্য যাচাই ও অতীত ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে যে কাউকেই লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হয়।

লাইসেন্স পাওয়ার পর কেউ চাইলেই যতগুলো ইচ্ছা অস্ত্র কিনতে পারেন। সব অস্ত্রেরই যে নিবন্ধন করতে হবে এমন কোনো নিয়ম নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনে নেই। এজন্যই কোনো সন্দেহের উদ্রেক না করেই মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যরান্ট বৈধভাবে একাধিক অস্ত্রের মালিক হয়েছিলেন।  

এতো সহজ আইনের কারণেই ব্রেন্টন অস্ত্র বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান থেকে চার মাসে চারটি সেমি অটোমেটেড গান কিনতে পেরেছিলেন। তাও আবার কোনো ঝামেলা ছাড়াই। ঘরে বসে অনলাইনে সব কটি অস্ত্র কিনেছিলেন তিনি।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, অন্য সব দেশে অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে যেখানে কাড়ি কাড়ি টাকা ব্যয় করতে হয়, নিউজিল্যান্ডে সেই খরচ মাত্র ২৫ ডলার। অর্থাৎ ২৫ ডলার ফি দিয়েই যেকোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ নিউজিল্যান্ডে বৈধ অস্ত্রধারী হয়ে যেতে পারেন। এজন্যই মাত্র ৫০ লাখ জনসংখ্যার দেশ নিউজিল্যান্ডে বৈধ অস্ত্রধারীর সংখ্যা ১২ লাখ। 

কেউ যদি নিউজিল্যান্ডের নাগরিক নাও হন সেক্ষেত্রেও তাকে অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে খুব বেশি বেগ পেতে হয় না। এজন্য শুধু নিজ দেশের অস্ত্রের লাইসেন্স দেখালেই চলে। পাখি শিকারের কথা বলেও যেকোনো পর্যটক সেখানে অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে পারেন। সেটা লাইসেন্স কার্যকর থাকে ১২ মাস পর্যন্ত। এয়ার গান থেকে শুরু করে স্বয়ংক্রিয় রাইফেলও কেনা যায় এই লাইসেন্স দেখিয়ে। এজন্য পর্যটকরাও চাইলেই নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ইচ্ছামতো অস্ত্র কিনতে পারেন।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি

প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় কংগ্রেস ও মুসলমানদের সরাসরি আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছেন প্রায় ২০ হাজার নাগরিক, যে চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।  

তারা বলছে, নির্বাচনি জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনি সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে।

ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসকেও।

সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনি জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনি ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা?

‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রূপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।

তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কৃষকদের মাথার খুলি-হাড় নিয়ে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে, ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করা কৃষকদের মাথার খুলি ও হাড় নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ভারতের তামিলনাড়ুরর কৃষকরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নয়াদিল্লির জন্তর মন্তরে অভিনব এই কায়দায় বিক্ষোভ করেন তামিলনাড়ুর দুইশর জনের মতো কৃষক। জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বাড়ানো হয়নি ফসলের দাম। দাবি জানানো হয় ঋণ মওকুফের। তারা বলেন, ঋণের বোঝা বইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন হাজার হাজার চাষী।

তারা বলেন, কোনো দলের হয়ে নয় বরং সাধারণ কৃষক হয়েই সাহায্য চান তারা। দাবি না মানলে মোদির বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে লড়ারও হুমকি দেন বিক্ষোভকারীরা। একই দাবিতে এই স্থানে এর আগেও বিক্ষোভ করেন ঋণগ্রস্ত কৃষকরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় শস্যের দাম দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন, শস্যের দাম দ্বিগুণ করা হবে এবং নদীগুলোকে আন্তঃসংযুক্ত করা হবে।


ভারত   তামিলনাড়ুর   কৃষক   মাথার খুলি   হাড়   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নুডলসের প্যাকেটে কোটি টাকার হীরা পাচার

প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাই থেকে ব্যাংকক যাওয়ার পথে এক ভারতীয় পর্যটকের স্যুটকেসের ভেতরে রাখা নুডলসের প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল অঙ্কের সোনা ও হীরা। ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দরে সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) রাতে ৬ কোটি ৪৬ লাখ রুপি মূল্যের হীরা ও স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।

সোমবার রাতে একটি যাত্রীর ব্যাগ থেকে ৪ কোটি ৪৪ লাখ রুপি মূল্যের ৬ দশমিক ৮ কেজি সোনা ও ২ কোটি ২০ লাখ রুপির হীরা উদ্ধার হয়েছে। এ সময় ওই যাত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর কর্মকর্তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মুম্বাইয়ের শুল্ক দপ্তরের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।

এছাড়াও, কলোম্বো থেকে মুম্বাই আসা বিদেশী পর্যটকের অন্তর্বাসের ভিতরে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায় ৩২১ গ্রাম ওজনের সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এতো বিপুল পরিমাণ সোনা ও হীরা কোথায় পাচার করছিলো অভিযুক্তরা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।


ভারতীয়   পর্যটক   স্যুটকেস   নুডলস   প্যাকেট   হীরা   পাচার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বন্যার পর এবার আরব আমিরাতে ঘন কুয়াশার প্রকোপ

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার ঘন কুয়াশার কবলে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির রাজধানী আবুধাবি ও ওমান সীমান্তবর্তী শহর আল আইনে বসবাসরতদের গাড়ি চালানোর সময় অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে খালিজ টাইমস এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি (এনসিএম) আজ বুধবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ধূলিঝড়ের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও প্রবল বাতাসের কারণে অনুভূমিক দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটারের থেকেও কম।

এনসিএম পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ধুলো ও ময়লা বহনকারী উত্তর-পশ্চিমী বাতাস ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন অবস্থায় ঘন কুয়াশার কারণে ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে।


আরব আমিরা   ঘন   কুয়াশার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কার পথে ইরানের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ০২:৫৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তিনদিনের পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে করাচি ছেড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলম্বোর উদ্দেশে বিমানে চড়েন তিনি। এ সময় তাকে পাকিস্তানের গণপূর্তমন্ত্রী রিয়াজ হোসেন পিরজাদা ও সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর বিদায় জানান। খবর ইরনার
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের আমন্ত্রণে একদিনের সফরে দেশটির রাজধানী কলম্বো যাচ্ছেন রাইসি। এই সফরে রনিল বিক্রমাসিংহে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে দুটি বাঁধ ও একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। প্রায় ৫৩ কোটি ডলারের প্রকল্পটি ইরানি বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) পাকিস্তানে আসেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। গত ৮ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম বিদেশি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি ইসলামাবাদ সফর করেন। ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল দেশটিতে অবস্থান করেন ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর করেন রাইসি।

প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক মাস আগে পাল্টাপাল্টি হামলায় ইরান-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। তবে কূটনীতির মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগায় মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশ। পাকিস্তানের নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ইব্রাহিম রাইসির এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।


পাকিস্তান   সফর   শ্রীলঙ্কা   ইরান   প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন