নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ২০ মার্চ, ২০১৯
টানা ২৯ বছর ধরে একচ্ছত্রভাবে কাজাখস্তানের ক্ষমতায় আছেন নূর সুলতান নাজারবায়েভ। বলা চলে, তার দূরদর্শী পররাষ্ট্রনীতির কারণেই বিশ্ব রাজনীতির প্রায় সব পরাশক্তিকে তুষ্ট রেখে এগিয়ে চলছে দেশটি। সেই তিনিই গতকাল মঙ্গলবার আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে বসলেন। পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সংস্কার করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বহাল রাখতেই তিনি বিদায় নিচ্ছেন। কিন্তু কাজাখস্তানের এই স্থপতির প্রস্থানে আসলেই কি সংস্কার হবে দেশটির? নাকি আরও বড় হুমকির মুখে পড়তে হবে তাদের?
মধ্য এশিয়ার ইউরেনিয়ামসমৃদ্ধ দেশ কাজাখস্তানের একেবারে পাশের দেশ হলো রাশিয়া। রুশদের কাছ থেকেই স্বাধীনতা লাভ করেছিল তারা। স্বাধীনতার পর থেকে শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা করে আসছেন নূর সুলতান। ইরান ও ইসরায়েলের মতো দুই প্রবল প্রতিপক্ষের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখেছেন তিনি। ইরান প্রথম যখন পরমাণু কর্মসূচি শুরু করেছিল তখন কাজাখস্তানই তাদের প্রথম ইউরেনিয়াম সরবরাহ করেছিল। আবার ইসরায়েলকেও চাহিদার ২০ শতাংশ তেল রপ্তানি করে আস্তানা। ইসরায়েলের কাছ থেকে কৃষি এবং নিরাপত্তা প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও সাহায্য নিচ্ছে তারা। নাজারবায়েভের বিদায়ের পর যিনি ক্ষমতায় আসবেন তিনি এই ভারসাম্যটা ধরে রাখতে পারবেন তো?
নাজাবায়েভের প্রস্থানে প্রতিবেশী রাশিয়াও হয়ে উঠতে পারে আস্তানার বড় হুমকি। ক্রিমিয়া নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পাঁচ মাস পর ২০১৪ সালে আস্তানার জন্য এক কঠিন বার্তা দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেসময় তিনি কাজাখস্তানের স্বাধীনতার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। পুতিন বলেছিলেন, নাজারবায়েভের আগে কাজাখদের কোনো রাষ্ট্র ছিল না। ‘কাজাখরা’- কাজাখস্তান নয়- ‘বৃহত্তর রুশ বিশ্বের’ অংশ।` এখন নাজারবায়েভের বিদায়ে কাজাখস্তানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পুতিনের সুপ্ত ইচ্ছাটা দৃঢ় হওয়াটাই স্বাভাবিক। কাজাখস্তানের নতুন নেতৃত্ব কী পারবে পুতিনের থাবা থেকে দেশকে রক্ষা করতে? নাকি রাশিয়াতেই বিলীন হবে নাজারবায়েভের কাজাখস্তান?
নাজারবায়েভের বিদায়কে লুসিয়াস কুইনটিয়াস সিনসিনাটাসের সঙ্গেই তুলনা করছেন বিশ্লেষকরা। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতকের রোমান সাম্রাজ্যের নেতা লুসিয়াস স্বেচ্ছায় তার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন। নাজারবায়েভও সেই পথে হেঁটে এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন। বর্তমান বিশ্বের অনেক নেতাই যেখানে জনগণের আন্দোলন বিক্ষোভের মুখেও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন। সেখানে নাজারবায়েভ এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রমই বটে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার হ্যালো পিওর গোল্ড
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পবিত্র মাহে রমজানের আগে আবারও বাড়লো চিনির দাম। কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, চিনির এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষ্যে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কজাত করে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ কেজিপ্রতি ১৪০ টাকা চিনির মূল্য নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জন্য ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারত। এই খবরে দেশের বাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হয়েছে। সরবরাহ বাড়তে থাকায় খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা কমেছে। অথচ রোজা শুরুর আগেও পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সরকার তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিশেষ উদ্যোগও নিয়েছিল।