নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ২১ মার্চ, ২০১৯
সদ্যই ‘বিশ্ব সুখী প্রতিবেদন-২০১৯’ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জীবনধারা, সামাজিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা, স্বাধীনতা, শিষ্টাচার, মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন, দুর্নীতির হার ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে এই সুখী দেশের তালিকা তৈরি করেছে তারা। চলুন দেখে নিই, এবছরের তালিকার শীর্ষ ১০ টি দেশের অবস্থান।
ফিনল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে স্কান্ডিনেভিয়ান দেশ ফিনল্যান্ড। তাদের স্কোর ৭ দশমিক ৭। গতবছরও তারা শীর্ষে থাকলেও ২০১৭ তে তাদের অবস্থান ছিল পাঁচে।
ডেনমার্ক
ডেনমার্ক গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের তালিকায় ছিল তিনে। এবার তারা এক ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। সুখী জাতি হিসেবে ডেনিশদের স্কোর ৭ দশমিক ৬।
নরওয়ে
নিশীথ সূর্যের দেশ নরওয়ে সুখী দেশের তালিকার তিনে অবস্থান করছে। গত বছর নরওয়েজিয়ানরা ছিল দুইয়ে। এবার ডেনিশরা তাদের সেখান থেকে হটিয়ে দিয়েছে। ধাপে ধাপে এই তালিকায় তাদের পতনই হচ্ছে। কারণ ২০১৭ তে নরওয়েই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ।
আইসল্যান্ড
২০১৮ তে এই তালকার চতুর্থ স্থানে ছিল আইসল্যান্ড। এবারেও সে জায়গাতেই আছে আইরিশরা। তাদের স্কোর ৭ দশমিক ৪।
নেদারল্যান্ডস
সুইজারল্যান্ডকে পেছনে ঠেলে দিয়ে এবারের সুখী দেশের তালিকায় পাঁচে উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডস। গতবারের থেকে এক ধাপ এগিয়েছে তারা। তাদের স্কোর ৭ দশমিক ৪।
সুইজারল্যান্ড
গত চার বছর ধরেই সুখী দেশ হিসেবে ধাপে ধাপে অবনমন হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের। ২০১৫ তে তারা এই তালিকার শীর্ষে ছিল। এরপরের বছরই এক ধাপ পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে চলে যায় তারা। এরপর ২০১৭ তে চলে যায় চারে। আর গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ তে আরও এক ধাপ পিছিয়ে পাঁচে নেমে যায় সুইসরা। পতনের এই ধারা এ বছরও অব্যাহত রেখেছে তারা। এবার তাদের অবস্থান ছয়ে।
সুইডেন
সুইজারল্যান্ডের ঠিক বিপরীত অবস্থা সুইডেনের। ২০১৭ সাল থেকেই সুখী দেশের তালিকায় ধাপে ধাপে তাদের অগ্রগতি হচ্ছে। ২০১৬ তে তালিকার ১০ এ ছিল সুইডিশরা। এরপরের বছর তারা উঠে আসে নয়ে। ২০১৮ তেও সেখানেই থাকে তারা। আর এ বছর নয় থেকে এক লাফে সাতে উঠে এসেছে সুইডেন।
নিউজিল্যান্ড
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিপর্যস্ত নিউজিল্যান্ড সুখী মানুষের দেশের তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে। টানা চার বছর ধরেই এখানে আছে তারা। এ বছর তাদের স্কোর ৭ দশমিক ৩।
কানাডা
কানাডা আছে তালিকার নবম স্থানে। ২০১৬ সাল থেকেই সুখী দেশ হিসেবে তাদের অবনমন ঘটছে। ২০১৫ তে কানাডার ছিল পাঁচে। ২০১৬ তে এক ধাপ পিছিয়ে নেম আসে ছয়ে। এরপরের বছর আবারও পতন। চলে যায় সাতে। এরপর ২০১৮ তেও তারা সাতেই ছিল। আর এবার আরও দুই ধাপ পেছালো তারা।
অস্ট্রিয়া
এবছরের সুখী মানুষের তালিকায় অস্ট্রিয়া আছে দশে। অস্ট্রিয়ানদের স্কোর ৭ দশমিক ২। ২০১৮ তে তারা ছিল ১২ তম স্থানে। আর আগে ২০১৭ তে অস্ট্রিয়ার অবস্থান ছিল ১৩ তে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/এমআর
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ইরান ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।
পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।'
তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।
অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়।
আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩ আসনও।
ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে।
পশ্চিমবঙ্গের যে তিন আসনে ভোট শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়।
জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ।
আলিপুরদুয়ারে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজারের বেশি। রাজ্যে আরও রয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার ১ হাজার ৮৩৭ ভোটারও।
আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৮৩৭টি।
এবারের ভোটকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলো। নিয়োগ করা হয়েছে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছেন ১২ হাজার ৩১০ রাজ্য পুলিশ সদস্য। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
অন্য আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নীতিন গড়করি, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সেনেওয়াল, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সঞ্জীব বালিওয়ান এবং এল মুরুগান।
লোকসভা নির্বাচন ভোট লোকসভা পশ্চিমবঙ্গ
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।