ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সোনার কারণেই জ্বলছে আমাজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ২৪ অগাস্ট, ২০১৯


Thumbnail

পৃথিবীর ২০ শতাংশ অক্সিজেনের আমদানি হয় যে বন থেকে সে বনটাই তিন সপ্তাহ ধরে দাউদাউ করে জ্বলছে। আগুনের লেলিহান শিখা ক্রমশ গ্রাস করছে চিরহরিৎ বনভূমি আমাজনকে।  আগুনের তীব্রতা এতই বেশি যে, ১৭০০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে কালো ধোঁয়া। বৃষ্টি বন আমাজনে দাবানলের ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রতি বছরই সেখানে শুষ্ক মৌসুমে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এবার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইনপে’-র সমীক্ষা বলছে এ বছর আমাজন বৃষ্টি-অরণ্যে ৭২,৮৪৩টি দাবানলের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় যা ৮৩% বেশি! এবং ২০১৩-র তুলনায় দ্বিগুণ! কিন্তু আমাজনে এই ভয়াবহ আগুনের কারণটা কী? এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, আমাজনের লেলিহান শিখার পেছনে রয়েছে এর ভেতরে লুকিয়ে থাকা সোনার খনি। ব্রাজিল সরকারের নিস্ক্রিয় আইন ও দুর্বল প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক বাজারে চড়া মূল্যের গুঞ্জনে পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত আমাজনে এখন অবৈধ উপায়ে নজিরবিহীনভাবে সোনার খনির খোঁজ করছেন স্থানীয় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ। গভীর জঙ্গলে শত শত মেশিন বসিয়ে সোনার উত্তোলন করা হচ্ছে। এই কাজের জন্য বনের ভেতরেই চোরাকারবারিরা গড়ে তুলেছে নিজেদের আস্তানা আর চলাচলের পথ।  

হাজার হাজার অবৈধ খনির সন্ধানকারীরা সোনার খোঁজে খনন কাজ পরিচালনা করছেন। এ জন্য তারা আমাজনের গাছ কাটছেন ও নদী দূষণ এবং আদিবাসীদের জমি দখল করছেন। ব্রাজিলের ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো সরকারের সঙ্গে শিল্প কারখানা ও সোনার খনির সন্ধানকারীদের মিত্র সম্পর্ক রয়েছে। তিনি খনি খনন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ আদিবাসীদের ভূমি আইনের মাধ্যমে উন্মুক্ত করে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো প্রত্যেক সপ্তাহে ফেসবুক লাইভে এসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সম্প্রতি এক লাইভে তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর উদ্বিগ্ন, তাতে যদি একজন আদিবাসী (ব্যক্তি) তার নিজের ভূমি থেকে খনিজ পদার্থ উত্তোলন করতে চান, তাহলে তিনি তা পারবেন।’

আমাজনের ভূতত্ত্ব ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করে দেশটির সংস্থা আমাজন জিও রেফারেন্সড সোসিও-এনভায়রনমেন্টাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক। সংস্থাটি বলছে, ব্রাজিল ভূখণ্ডে থাকা চিরহরিৎ এই বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে সাড়ে চারশ’র বেশি অবৈধ খনি খনন স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র আদিবাসীদের ভূমিতেই রয়েছে কয়েক ডজন।

আল জাজিরার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বনের ট্যাপাজোস নদীর অববাহিকাই খনি খনন সঙ্কটের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। হালকা একটি বিমানে করে আমাজনের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা দেখা সম্ভব হয়েছে। সেখানে বন সাবাড় হচ্ছে এবং নদীর তীর উপচে বাদামি রঙয়ের কাঁদার স্তুপ জমছে। এ ধরনের কিছু কাজ এই অঞ্চলে বৈধ। প্রত্যেক বছর, এখানে অন্তত ৩০ টন স্বর্ণ অবৈধভাবে কেনাবেচা হয়। গত এপ্রিলে ব্রাজিলের জাতীয় খনি সংস্থা দেশটির কংগ্রেসের কাছে একটি প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈধ উপায়ে আমাজনের জঙ্গলে প্রত্যেক বছর যে পরিমাণ সোনা বেচাকেনা হয়, তার চেয়ে ছয়গুণ (এক দশমিক এক বিলিয়ন ডলার) বেশি হয় অবৈধভাবে।

অবৈধ এই খনি শ্রমিকদের অধিকাংশ দরিদ্র শ্রেণির, যাদের কোনো শিক্ষা নেই। তবে তারা স্বপ্ন দেখেন হঠাৎ ধনবান হয়ে যাবেন। তাদের মধ্যে নিরক্ষতার হার সর্বোচ্চ।

আমাজনের ছোট্ট শহর ক্রিপুরিজাও। সেখান থেকে প্রত্যেক দিন কয়েক ডজন ছোট বিমানে করে খনন মেশিনের যন্ত্রাংশ, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হয় গভীর জঙ্গলে।

খনি শ্রমিকদের ভাষ্যমতে, সেখানে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করা যায়। আয়ের প্রায় পুরোটাই তারা মদ্যপান এবং পতিতালয়ে গিয়ে উড়িয়ে দেন।

বিবিসি ব্রাজিলের হাতে আসা স্যাটেলাইটের সাম্প্রতিক ছবিতে দেখা যায়, আদিবাসী অধ্যুষিত তিনটি অঞ্চলে ব্যাপকভাবে অবৈধ খনন কাজ চলছে। এর মধ্যে মুন্ডুরুকু সম্প্রদায়ের ভূখণ্ডও রয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে এসব অঞ্চলে খননকাজ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। খনির খনন কাজের মারাত্মক প্রভাব পড়ছে সেখানকার জনজীবনের ওপর। অবৈধ খনন কাজের জন্য সেখানে ম্যালেরিয়া, পতিতাবৃত্তি, মানবপাচার, মাদকাসক্তি ও সহিংসতা বাড়ছে। যখন একটি খনির কাজ শেষ হয়ে যায়, তখন জঙ্গলের অন্য অংশ ধ্বংস করে নতুন করে খনিজ পদার্থের সন্ধান চলে। চক্রাকারভাবে চলে এই কাজ।

সম্প্রতি ব্রাজিলের ফেডারেল প্রসিকিউশনের কার্যালয়, ফেডারেল পুলিশের সঙ্গে একটি অনুসন্ধান চালিয়েছে। এতে দেখা গেছে, স্যান্তারেম শহরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী কেনার সময় অন্তত ৬১০ কেজি সোনা জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন; যার বাজারমূল্য ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসব সোনা ২০১৫ এবং ২০১৮ সালের মাঝে আদিবাসীদের ভূমি থেকে উত্তোলন করা হয়েছিল। এরকম বিপুল পরিমাণ লাভের আশায় আমাজনে ঘাঁটি গাড়ছে চোরাকারবারিরা। সাধারণ মানুষকেও এ কাজে জড়িয়ে ফেলছে। আপাত দৃষ্টিতে আর্থিক লাভ সবারই হচ্ছে। কিন্তু কটা টাকার জন্য পৃথিবীর অস্তিত্বই হুমকির মুখে ফেলছেন তারা।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে সার্কাসের দল থেকে হাতি পালিলো

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সার্কাসের বিভিন্ন খেলায় পৃথিবীব্যাপী হাতির ব্যবহার বেশ প্রচলিত। হাতির সাহায্যে প্রায়ই এসব আসরে চিত্তবিনোদন এবং মজার বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করতে দেখা যায়। তবে সেই হাতিকে নিয়ন্ত্রণও করা হয় অভিনব কিছুই কৌশলে। কিন্তু সেই হাতি যদি বাধ্যগত তকমা ছেড়ে খেয়াল খুশিমতো বেড়িয়ে পড়ে তা বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে এমনই এক ঘটনা।

যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা শহরে দেখা গিয়েছে রাস্তায় অবাধে বেড়িয়ে পড়েছে এক হাতি। এমনকি ব্যস্ত সড়ক বা হাইওয়ে এবং জনবহুল আবাসিক এলাকায় হাতিটিকে মুক্তভাবে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাতির সেই ভিডিও ইতোমধ্যে বেশ ভাইরাল।

জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া ভায়োলা নামের হাতিটি জর্ডান ওয়ার্ল্ড সার্কাস নামে একটি ভ্রাম্যমান সার্কাসের দলের সদস্য। শো শুরুর আগে গোসল করানো হচ্ছিল প্রাণীটিকে। হঠাৎ করেই গাড়ির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ভায়োলা। পালিয়ে যায় বেড়া ভেঙে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে হাতিটির রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য। ব্যস্ত রাস্তায় হাতি চলে আসায় ব্যাহত হয় যান চলাচল। ঘাবড়েও যান অনেকে। কেউ কেউ আবার মজা পেয়ে মুঠোফোনে ধারণ করেন ভিডিও।

প্রসঙ্গত, কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য হাতিটিকে খুঁজে পায় সার্কাস দল। ফিরিয়ে নেয় তাদের তাবুতে। ওইদিনই দু’টি শো’তে অংশগ্রহন করে ভায়োলা। তবে তার মুক্ত হয়ে ঘোরাফেরা করার দৃশ্যটুকু নেটিজেনদের অবাক করেছে সেইসাথে আনন্দও দিয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র   সার্কাস   হাতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে পুরুষদের ছাপিয়ে নারী ভোটার বাড়ছে

প্রকাশ: ০২:৪৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে ২০২৯ সালের লোকসভা ভোটে সংখ্যার নিরিখে নারী ভোটাররা ছাপিয়ে যেতে পারেন পুরুষ ভোটারদের। নারী ভোটারদের সংখ্যাবৃদ্ধির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের লোকসভা ভোটে পুরুষ ভোটারদের সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন নারী ভোটাররা।

ভারতের এসবিআই রিসার্চ প্রকাশিত ওই রিপোর্ট বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মোট ৪২ কোটি ভোটদাতা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছিলেন তাদের মধ্যে ১৯ কোটি নারী। ওই নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৮৯ কোটি। তার মধ্যে ৪৬ কোটির কিছু বেশি পুরুষ এবং ৪৩ কোটির কিছু বেশি নারী। এবার ভোটারের মোট সংখ্যা প্রায় ৯৬ কোটি ৮০ হাজার। এর মধ্যে সাড়ে ৪৯ কোটির কিছু বেশি পুরুষ এবং ৪৭ কোটির কিছু বেশি নারী।

দেশে নারী ভোটারের অনুপাত বেড়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। ১৯৬২-র লোকসভা নির্বাচনে পুরুষ ভোটার ছিল নারী ভোটারের চেয়ে ১৬.৬৮ শতাংশ বেশি। ২০০৪-এর নির্বাচনে এই পার্থক্য কমে হয় আট শতাংশ। ২০১৪-তে নারীদের থেকে পুরুষ ভোটার ছিলেন ১.৪৬ শতাংশ বেশি। ২০১৯ এবং ২০২৪-এ সেই ব্যবধান আরও কমেছে। আরও কমেছে ভোটপর্বে পুরুষ এবং নারীদের অংশগ্রহণের অনুপাত।

গত কয়েকটি সাধারণ নির্বাচনে ভোটদানের হার বিশ্লেষণ করে ওই রিপোর্ট বলছে, ২০২৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৭৩ কোটি ভোটার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। তাদের মধ্যে ৩৭ কোটি নারী এবং ৩৬ কোটি পুরুষ হওয়ার সম্ভাবনা।

আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশে নারী ভোটারের সংখ্যা সাধারণত পুরুষদের চেয়ে বেশি। এর ব্যতিক্রম হয়নি গত অর্ধশতকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীরা বেশি সংখ্যক নারী ভোট পেয়েছেন চল্লিশ, পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকে। সত্তরের দশক থেকেই নারীদের ভোট ক্রমশ ঢলে পড়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের দিকে। এর পিছনে অবশ্যই ছিল নারীদের সমান অধিকারের বা গর্ভপাত সংক্রান্ত সামাজিক-রাজনৈতিক ইস্যু।

১৯৮০-র নির্বাচনে রোনাল্ড রেগন জিতলেও নারীদের ভোটে আট শতাংশ এগিয়ে ছিলেন জিমি কার্টার। ভারতেও অতীতে নারী ভোটারদের বড় অংশ সমর্থন করতেন কংগ্রেসকে। কিন্তু গত এক দশকের কয়েকটি পরিসংখ্যান বলছে, সেই সমর্থনের পাল্লা কিছুটা ঝুঁকে পড়েছে নরেন্দ্র মোদীর দিকে। তবে ভারতবর্ষের মতো সামাজিক-অর্থনৈতিক-ধর্মীয় বৈচিত্রের দেশে ‘নারী ভোটার’ একটি অখণ্ড সত্তা হতে পারে কি না, তা নিয়ে তর্ক রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মনে।


লোকসভা নিবার্চন   ভোট   নারী   পুরুষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে গিয়ে বন্যার কবলে দুবাই!

প্রকাশ: ০১:৫২ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হঠাৎ করেই ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে দুবাই। কেউ দাবি করছেন ক্লাউড সিডিং করে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি নামাতে গিয়েই এই বিপর্যয় ডেকে আনা হয়েছে। অনলাইনসহ নানা মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে বেশ আলোচনা।

তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে,  মঙ্গলবার কোনো ধরনের ক্লাউড সিডিং (কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি নামানোর পদ্ধতি) করা হয়নি। এটা মৌসুমি বৃষ্টিপাত।  

খালিজ টাইমসকে আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান আহমেদ হাবিব বলেছেন, আবহাওয়ার চরম অবস্থার কারণেই এমন বৃষ্টি হয়েছে। কোনো ধরনের ক্লাউড সিডিং করা হয়নি। 

গত দুই দিনে ৭৫ বছরের মধ্যে দুবাইতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর তাতেই তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা। রাস্তাঘাট নদীতে পরিণত হয়েছে। 

ভারী বৃষ্টিতে অনেক রাস্তাঘাট ও বিমানবন্দরের অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় গত দুই দিনে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের ৮৮৪ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।


সংযুক্ত আরব আমিরাত   আবহাওয়া দপ্তর   দুবাই   ক্লাউড সিডিং  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারী বৃষ্টিতে ২দিনে দুবাইয়ের ৮৮৪ ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০১:৩৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারী বৃষ্টিতে অনেক রাস্তাঘাট ও বিমানবন্দরের অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় গত ২ দিনে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের ৮৮৪টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। দুবাই বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র খালিজ টাইমসকে এই তথ্য জানিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) আংশিকভাবে শুরু হয়েছে দুবাই বিমানবন্দরের কার্যক্রম। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে চায় পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরটি।

মুখপাত্র জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ও বুধবারের মধ্যে মোট ৮৮৪টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ৪৬টি ফ্লাইট স্থানান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে অংশীদার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে ক্ষতি প্রশমনের চেষ্টা করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। 

তবে এখনো দুবাই বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালটি বন্ধ রয়েছে।


ফ্লাইট   বাতিল   দুবাই   টার্মিনাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শুক্রবার থেকে ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশ: ১২:৩৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতে শুরু হতে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) অষ্টাদশ লোকসভার সাত দফা ভোটের প্রথম দফায় দেশের ১৭টি রাজ্য এবং চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হবে ১০২টি আসনে।

এই তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্র। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের ওই তিন কেন্দ্রসহ মোট ৪৫টিতে জিতেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। লোকসভার পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের ৬০ এবং সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনের সবকটিতেই ভোটগ্রহণ হবে এই দফায়।

শুক্রবার প্রথম দফায় অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পন্ডিচেরি। মণিপুরে মোট দুটি লোকসভা আসন। ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুর।

তবে নির্বাচন কমিশন আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দুই দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার তাই আউটার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর এবং চান্দেল জেলার ১৫টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বাকি ১৩টিতে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল।

পাশাপাশি বিহারের চার, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ছয়, উত্তরপ্রদেশের আট আসন, রাজস্থানের ১২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই দফায় সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে ৩৯টি লোকসভা আসনের সবগুলিতেই ভোটগ্রহণ হবে প্রথম দফায়। 


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   গণতন্ত্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন