ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাগরিকত্ব বিল: অমিত শাহ’র ৮ উত্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯


Thumbnail

ভারতে বিরোধী দলগুলোর তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। আজ সোমবার লোকসভার অধিবেশনের শুরুতেই বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিল পেশ নিয়ে বিরোধীরা আপত্তি করায় ভোটাভুটিও হয় লোকসভায়। তাতে অনায়াসেই জিতে যায় নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। তবে এর আগে প্রবল আক্রমণাত্মক হয়ে নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন—

১) নাগরিকত্ব সংশোধন বিল কোনওভাবেই সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করছে না। তার কথায়, চোদ্দ নম্বর ধারায় প্রতিটি নাগরিকের সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে সংবিধানে এও বলা হয়েছে যে, যুক্তিসঙ্গত শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিতে এর নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা যাবে।

২) যুক্তিসঙ্গত শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে সমাজের একাংশকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। ভারতে সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে বিশেষ মর্যাদা ও অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল কংগ্রেস সরকার। সেই নিয়ম আজও চলছে। তখন কি সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করা হয়নি?

৩) পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে সেখানকার যে সংখ্যালঘুরা এদেশে শরণার্থী হয়ে এসেছেন বা আসবেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বিলে বলা হয়েছে।

৪) এই প্রস্তাবের মধ্যে কোনও অন্যায় নেই। অনায্য কিছুও নেই। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ইসলামিক রাষ্ট্র। সেখানে ধর্মাচরণের জন্য মুসলিমদের উপর অত্যাচার করা হয় না। কিন্তু হিন্দু, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, পারসি ও বৌদ্ধদের উপর অত্যাচার হয়।

৫) ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছিল কংগ্রেস। নইলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। 

আরও পড়ুন লোকসভায় ফুঁসে উঠলেন অমিত শাহ, ‘ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করেছে কে!’

৬) ৭১ সালে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার নিয়ম করেছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের তখন কেন নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি? 

৭) অমিত শাহ বোঝাতে চান, ভারতের সম্পদের উপর অধিকার রয়েছে ভারতীয়দেরই। তাঁর কথায়, প্রতিটি দেশেরই নাগরিকত্ব দেওয়ার সুনির্দিষ্ট বিধি রয়েছে। ভারতীয়রা বিদেশে গিয়ে এমনি এমনি সেখানকার নাগরিকত্ব পান না। কেউ সেখানে লগ্নি করেন, কেউ গবেষণার কাজে ইত্যাদিতে সাহায্য করেন। 

৮) নাগরিকত্ব বিল সংখ্যালঘুদের স্বার্থ বিরোধী নয়। এই আইন সংশোধনের পরেও পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা কোনও মুসলিম ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তা সরকার বিবেচনা করে দেখবে।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অন্তর্বাস না পরায় নারীকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি!

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ব্রা(অন্তর্বাস) না পরায় বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেল্টা এয়ারের এক নারী যাত্রী। আর্কবোল্ড(৩৮) নামের ওই নারী যাত্রী দাবি করেছেন গত জানুয়ারিতে তার সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

ওই নারী বলেন, “আমি একটি ব্যাগি জিন্স এবং ঢিলেঢালা সাদা টি-শার্ট পরি, তখন আমি ব্রা পরিহিত অবস্থায় ছিলাম না। তখন এক নারী এজেন্ট আমাকে ফ্লাইট থেকে নামিয়ে আমার বুক ঢাকতে বলে। যদিও আমার বুক খালি ছিল না।”

তিনি আরও বলেছেন, “তার ধারণা অনুযায়ী, একজন নারী হিসেবে আমার যেমন হওয়ার কথা ছিল তেমন না হওয়ায় সে আমাকে বিমানের বাইরে নিয়ে ধমক দিয়েছে।”

আর্কবোল্ড পেশায় একজন ডিজে। তিনি ঘটনার দিন ওটাহর সল্টলেক সিটি থেকে সান ফ্রান্সিসকোতে যাচ্ছিলেন। ওই সময় ডেল্টা এয়ারের এক এজেন্ট জানান, তার শরীরের ভেতরের অংশ দেখা যাচ্ছে। আর এ অবস্থায় তারা কোনো যাত্রীকে বিমানে ভ্রমণ করতে দিতে পারবেন না। 

তবে ওই এজেন্ট জানান, যদি তিনি কোনো জ্যাকেট দিয়ে নিজের শরীর ঢেকে নেন তাহলে তাকে বিমানে চড়ার সুযোগ দেওয়া হবে।

ওই নারী এখন বিষয়টি নিয়ে ডেল্টা এয়ারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

আর্কবোল্ডের অ্যাটর্নি গ্লোরিয়া অ্যালার্ড জানিয়েছেন, মূলত নারী ও পুরুষদের ক্ষেত্রে যে বৈষম্য করা হয় সেটি নিয়েই আর্কবোল্ড ডেল্টা এয়ারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে চান।

তিনি বলেছেন, “পুরুষ যাত্রীদের বিমানে উঠতে জ্যাকেট দিয়ে টি-শার্ট ঢাকতে হয় না। আবার ব্রা-ও পরতে হয় না। তাহলে নারীদের ব্রা ছাড়া বিমানে চড়ার সুযোগ দিতে হবে।”

এই অ্যাটর্নি আরও বলেছেন, “নারীদের স্তন কোনো অস্ত্র নয় বা ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় নয়। কখনো কোনো নারীর স্তন বিমানের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়নি। আর স্তন থাকা নারীদের কোনো অপরাধ নয়।”

এদিকে বার্তাসংস্থা এএফপিকে ডেল্টার একটি সূত্র জানিয়েছে, এই নারীর কাছে ঘটনার পরপরই তাদের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়েছিল।


অন্তর্বাস   নারী   বিমান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাপানিদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলোর মতো জাপানেও রমজান মাসকে ঘিরে এক ধরণের আমেজ বিরাজ করে। রমজান এলেই জামাতের সাথে তারাবিহ আদায় করা ও ইফতার নিয়ে এক ধরণের উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয় মুসল্লিদের ঘরে ঘরে। 

রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক। মুসল্লিরা যথেষ্ট ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে এই রমজান মাসকে পালন করে থাকেন। আর রোজাদারদের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ইফতারের সময়। তাদের বিশ্বাস, এ সময় আল্লাহ তাআলা তার রোজাদার বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। 

বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত 'ইনসাইড রমজান' ধারাবাহিক এর আজকের পর্বে আমরা জানবো জাপানের মুসলিমদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি- 

ইফতার মূলত খেজুর ও পানি দিয়ে শুরু করা হয়। কিন্তু অঞ্চলভেদে নানা ধরণের খাবার যুক্ত হয় এই ইফতারে।  

জাপানে মুসলমানের সংখ্যা অনেক কম। আর বাংলাদেশিদের আনাগোনা একটু বেশিই লক্ষ্য করা যায় দেশটিতে। এ কারণেই হয়তো তাদের ইফতারের তালিকায় কিছু বাঙালি খাবার যুক্ত হয়েছে।    

জাপানিরা তাদের ইফতারে মূলত, জুস, স্যুপ ও বিভিন্ন ধরণের ফল-মূল রাখেন। এছাড়াও থাকে মাশি মালফুফ নামের এক ধরণের ঐতিহ্যবাহী খাবার। যা আঙুর, বাঁধাকপি ও চাল মিশিয়ে বানানো হয়।  

এছাড়াও রয়েছে, মটরশুঁটি ও গরুর কলিজা মিশ্রিত কিবদা, রুটিতে মোড়ানো মাংসের কিমা ইত্যাদি।


জাপান   রমজান   ইফতার   সংস্কৃতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত দ্বন্দ্ব: বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রকাশ্য কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ভারতের। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি এবং অবস্থানের সমালোচনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের পর ভারতে নিযুক্ত মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে নয়াদিল্লি। সেই তলবের প্রতিক্রিয়া নয়াদিল্লি আপত্তি অগ্রাহ্য করে আরও একবার ভারতের দমন নীতির সমালোচনা করে ওয়াশিংটন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফের কড়া জবাব দেয় ভারত। সব মিলিয়ে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা এখন তুঙ্গে অবস্থান করছে। 

উল্লেখ্য যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করা হয়। এই আইন নিয়ে সমালোচনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি। এদিকে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তারের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক বাকবিতণ্ডা তীব্র আকার ধারণ করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া আম আদমি পার্টির নেতা কেজরিওয়ালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সংশয় প্রকাশ করেছে এবং নয়াদিল্লিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে ভারত। সবকিছু মিলিয়ে এই অঞ্চলে ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুপ্রতিম কৌশলগত সম্পর্কে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে একটি দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই দূরত্ব বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন প্রভাব ফেলবে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থানে ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটাও বলা হয়েছিল যে, যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হয় তাহলে বাংলাদেশের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না। বাংলাদেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবস্থান নেবে। কিন্তু নির্বাচনের আগে আগে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি অবস্থান গ্রহণ করে। ভারতের অবস্থান ছিল বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং কোন দল অংশগ্রহণ করল, না করল সেটা বড় বিষয় নয়। সাংবিধানিক ধারায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াটাই ভারত প্রত্যাশা করে এবং ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব পাল্টানোর জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কথা বলেছিলেন অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে। সবকিছু মিলিয়ে এই অঞ্চলে ভারতের কথা যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুনে সে নিয়ে দু দেশের মধ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। এই কূটনৈতিক তৎপরতার ফলশ্রুতিতেই বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত একটা নমনীয় অবস্থানে আসে। এই নমনীয় অবস্থান থেকেই নির্বাচনের পরপর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। 

অনেকেই মনে করেন যে, ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। এখন যখন ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে তখন তার প্রভাব কি বাংলাদেশে পড়বে?

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেটি পড়বে না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এখন বাংলাদেশকে নিয়ে পৃথক এজেন্ডা তৈরি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করে বাংলাদেশের বাজারে যেতে চায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য বিস্তার করতে চায়। কাজেই ভারতের সঙ্গে যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব সেটির প্রভাব বাংলাদেশ সম্পর্কে পড়বে না। তাছাড়া ভারতের এই কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব দুদেশের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করে। বিশেষ করে ভারত একটি বড় দেশ। ভারতের সঙ্গে এর আগেও অনেক বিষয় নিয়ে মতদৈত্যতা ছিল। সেটি কাটিয়ে উঠে বৃহত্তর পরিসরে দু দেশ এক সাথে কাজ করেছে। এক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত   বাংলাদেশ   দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী   অরবিন্দ কেজরিওয়াল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার কেজরিওয়াল বিতর্কে জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর ভারতের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা দুনিয়ার দেশ জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র সংশয় প্রকাশ করার পর এবার বিতর্কে এলো জাতিসংঘ। 

বৃহস্পতিবার(২৯ মার্চ) রাতে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিকও জানান, তাদের আশা, ভোটের সময় অন্য দেশের মতো ভারতেও রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের প্রত্যেকের অধিকার রক্ষিত হবে, যাতে সবাই সুষ্ঠুভাবে, মুক্ত মনে ভোট দিতে পারেন।  

কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার এবং তাকে হেফাজতে রাখা নিয়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে, ভারতকে তা বিব্রত করলেও কূটনৈতিক পর্যায়ে তার জবাব দেয়া হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিতে নিযুক্ত জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের শীর্ষ কূটনীতিকদের ডেকে এ ধরনের মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র থেমে থাকেনি। দ্বিতীয়বারও তারা এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে, মন্তব্য করেছে। তাদের সঙ্গে এবার বিতর্কে যুক্ত হলো জাতিসংঘও। 

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে স্টিফেন ডুজারিককে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রশ্নে কংগ্রেস দলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়। সেখানে বলা হয়, ভোটের ঠিক আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কংগ্রেসের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মীরা মনে করছেন, এভাবে বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি জাতিসংঘ কীভাবে দেখছে?  

এমন প্রশ্নে, তিনি মুক্ত মনে ভোট দেওয়া এবং রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের অধিকার রক্ষিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কথাটি ভারতের পক্ষে অবশ্যই বিব্রতকর।   

প্রথম দফায় সাত দিন হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার কেজরিওয়ালকে দিল্লির নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হেফাজতের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানোর দাবি জানায়। বিচারক চার দিন মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। তবে তার আগে কেজরিওয়ালকে অনুমতি দেন এজলাসে নিজের হয়ে সওয়াল করার। অনুমতি পেয়ে কেজরিওয়াল বলেন, তাকে ফাসানোই ইডির একমাত্র লক্ষ্য।


কেজরিওয়াল   বিতর্ক   জাতিসংঘ   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিরা এখনো যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূলের জন্য কয়েক মাস ধরে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে এমন আক্রমণের পরও হামাসের যুদ্ধ করার সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা আল শিফা হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে প্রায় ৭০টি হামলা চালিয়েছে। গত বছরে গাজার এ হাসপাতালটিতে তাণ্ডবের পর আবারও চলতি বছরের মার্চে সেখানে ফিরে আসে ইসরায়েলি সেনারা।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এবং ক্রিটিকাল থ্রেট প্রজেক্ট (সিটিপি) তাদের সর্বশেষ গাজার যুদ্ধাবস্থার মূল্যায়নে জানিয়েছে, হামলার তীব্রতা এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের যুদ্ধের সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে। যদিও গাজায় ইসরায়েলের হামাসকে নির্মূলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক জানিয়েছে, আল শিফা হাসপাতাল এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের অন্তত ছয়টি যোদ্ধা দল সক্রিয় রয়েছে।

সবশেষ তথ্যে পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৩ মার্চ গাজার জেইতুন এলাকা থেকে হামাসকে পুরোপুরিভাবে নির্মূলের দাবি করে। তবে বুধবার এ এলাকায় আবারও ফিরে এসেছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের ফিরে আসা এটাই প্রমাণ করে যে গাজার অন্যান্য এলাকার মতো সেখানেও নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে হামাসের যোদ্ধারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশেটির এ হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের হামলার কারণে উপত্যকা এখন তাঁবুর বসতির জনপদে পরিণত হয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, গাজা থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা এ অভিযান চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে অব্যাহত হামলার কারণে উপত্যকার ব্যপক আকারে খাদ্য ও মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।


ফিলিস্তিন   যুদ্ধ   ইসরায়েল   হামাস   গাজা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন