ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের ১০ শত্রু-মিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৪ জানুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

একটা সময় ছিল যখন পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ছিল উষ্ণতায় ভরা। কিন্তু ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর সেই উষ্ণ সম্পর্কটাই দা-কুমড়ার পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। বর্তমান বিশ্বে অনেকটা ‘এক ঘরে’ হয়ে পড়েছে ইরান। এমন বৈরি পরিস্থিতেও কিছু দেশ আছে, যারা ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে। আসুন জেনে নিই ইরানের আজকের শত্রু-মিত্র কারা, বর্তমানে কার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক দেশটির।

যুক্তরাষ্ট্র: বন্ধু থেকে শত্রু

১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় মোসাদ্দেক সরকার উৎখাত হওয়ার পর ইরানের ক্ষমতায় আসেন রেজা শাহ পাহলভি। পরর্বতী ২৬ বছর ইরান-যুক্তরাষ্ট্র ছিল একে অপরের বন্ধু। ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবে শাহ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই সম্পর্ক শত্রুতায় রূপ নেয়। ১৯৮০ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। একে অপরকে তারা সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবেও অ্যাখ্যায়িত করেছে।

সৌদি আরব: ঘাড়ের কাছে শত্রু

মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতা বিস্তারের লড়াইয়ে ইরানের চিরশত্রু সৌদি আরব। ১৯৭৯ সালে তেহরানের ক্ষমতায় পরিবর্তন আসার পর থেকেই তা প্রকট আকার ধারণ করেছে। দুই দেশ কখনও সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও চলছে তাদের ছায়াযুদ্ধ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিবদমান গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দেয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদির দুইটি তেলক্ষেত্রে হামলার পেছনে ইরান রয়েছে বলে দাবি করেছে রিয়াদ।

ইসরায়েল: আন্তরিকতা থেকে অবিশ্বাস

তুরস্কের পর ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া দ্বিতীয় মুসলিম দেশ ইরান (১৯৫০ সাল)। রেজা শাহের শাসনকালে দুই দেশের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক ছিল। ১৯৭৯ সালে খোমেনি ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইসরায়েলকেও শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেন। তেহরান পরমাণু অস্ত্র বানাচ্ছে বলে ১৯৯০ সালের পর থেকে অভিযোগ করছে ইসরায়েল। দেশটির বিরুদ্ধে হামাস ও হেজবোল্লাহকে মদদ দেয় ইরান। অন্যদিকে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রেকে সমর্থন দেয় ইসরায়েল।

রাশিয়া: দখলদার থেকে মিত্র

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইরানে আস্তানা গাড়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও কয়েকবছর দখলদারি বজায় রাখে তারা। শাহের শাসনামলেও সম্পর্ক ভাল ছিল না। এমনকি ইরাক-ইরান যুদ্ধে সাদ্দামকে সহায়তা দিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। তবে ১৯৯১ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে ইরান হয়ে ওঠে মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদার।

চীন: অস্ত্র আর বাণিজ্যের সম্পর্ক

১৯৮০ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধে তেহরানকে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল চীন। বেইজিংয়ের শীর্ষ তিনটি অস্ত্র ক্রেতা দেশের একটি ইরান। অন্যদিকে ইরানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার চীন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর সেখান থেকে তেল আমদানি ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিতে হয়েছে চীনকে। কাসেম সোলেইমানিকে হত্যাকাণ্ডের পর চীন জানিয়েছে তেহরানের সঙ্গে বেইজিংয়ে সম্পর্ক অটুট থাকবে।

ইউরোপ: আলোচনায় সমাধান

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের পর ইউরোপের সঙ্গেও তেহরানের সম্পর্ক শীতল হয়ে ওঠে। তবে প্রেসিডেন্ট আলী আকবর রাফসানজানির সময়ে এই সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়। পরমাণুসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ইইউ বরাবরই ইরানের সঙ্গে আলোচনার উপর জোর দিয়ে আসছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে পরমাণু কার্যক্রম স্থগিতকরণ চুক্তি বাতিল করলেও ইউরোপের দেশগুলো তা এখনও বজায় রেখেছে।

ইরাক: সর্ম্পকে নতুন মোড়

সাদ্দাম হোসেনের চালানো হামলা থেকে শুরু হওয়া ইরাক-ইরান যুদ্ধ অব্যাহত ছিল আট বছর। তবে বর্তমানে বাগদাদের শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে তেহরানের। দেশটির একাধিক সশস্ত্র গোষ্ঠীকেও সামরিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে ইরান। এইসব গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ: পাঁচ দশকের সম্পর্ক

১৯৭১ সালের পর থেকে ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক। বিভিন্ন সময়ে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ১৯৯৫ সালে প্রেসিডেন্ট রাফসানজানি ঢাকা এসেছিলেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। অক্টোবরে বাকুতে ন্যাম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসার রুহানি ‘সাইডলাইন বৈঠক’ করেন। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ১.৭৭ কোটি ডলারেরর পণ্য রপ্তানি করেছে দেশটিতে।

ভেনেজুয়েলা: শত্রু যখন একই

অবরোধ, অর্থনৈতিক সঙ্কট আর দুই দেশের একই শত্রু, ইরান-ভেনেজুয়েলাকে নিয়ে এসেছে কাছাকাছি। ২০০১ সালে ইরানের মোহাম্মদ খাতামি আর ভেনেজুয়েলার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট হুগো চাভেজের মাধ্যমে সহযোগিতামূলক এই সম্পর্কের গোড়াপত্তন। আহমদিনেজাদ ক্ষমতায় আসার পর তা আরো নিবিড় হয়। একক শত্রু যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়তে দুইদেশ বেশি কিছু চুক্তিও করেছে।

সহযোগী হিজবুল্লাহ, হামাস, হুতি

কথিত আছে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর উত্থান ইরানের মাধ্যমেই। তাদের মূল টার্গেট মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের শত্রু ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের আস্তানাগুলো। ২০১৮ সালে হিজবুল্লাহ ও তাদের জোট দেশটির নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। যার মধ্য দিয়ে লেবাননের সরকারে ইরানের প্রভাব আরো বেড়েছে। এছাড়াও ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহী আর ফিলিস্তিনের হামাস ইরানের মিত্রশক্তি। 

সূত্র: ডয়েচে ভেলে



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের ভাগ্য আটকে গেল মার্কিন ভেটোতে

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পর্যাপ্ত ভোট পাওয়ার পরও নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের সদস্য পদ পেলো না ফিলিস্তিন। মার্কিন ভেটোতেই আটকে গেল ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার পথ। 

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল।

নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২ সদস্যই এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেয়নি। তবে ইসরায়েলের পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে সব ভোটই ভেস্তে গেছে।

ভেটো না পড়লে প্রস্তাবটি পাস হতে দরকার ছিলো মাত্র ৯ ভোট। ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ জনের ফেভার পেয়েও খালি হাতেই ফিরতে হলো ফিলিস্তিনকে। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন, এদের একজন ভেটো দিলেই ওই প্রস্তাব আর পাস হয় না।

বর্তমানে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কার্যত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফিলিস্তিন। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। 


জাতিসংঘ   ফিলিস্তিন   ভেটো   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে সাত দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশ: ০৮:৫৫ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে ১৮তম লোকসভার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। 

৫৪৩টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে সাত দফায়। প্রথম দফার ভোটে তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্র। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পন্ডিচেরি। 

এ নির্বাচনে প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার ভোট দেবেন, যা ইউরোপের সব দেশ মিলে যে জনসংখ্যা, তার চেয়েও বেশি।

নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইনডিয়া’ জোটের মধ্যে।

ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের মূল দল ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন।

গত ১৬ মার্চ ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে লোকসভা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন।

তপশিল অনুযায়ী, মোট সাত দফায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফার ভোটের দিন ১৯ এপ্রিল, এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন সবশেষ দফার ভোট হবে।

৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে। লোকসভা আসন কম এমন কয়েকটি রাজ্যে মাত্র এক দিনেই ভোট হবে। কিন্তু যেসব রাজ্যে আসন বেশি সেখানে কয়েক দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারতে ২ হাজার ৬০০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর রয়েছে নিজস্ব প্রতীক—যেমন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রতীক পদ্ম, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের হাত আর অন্যান্য দলের হাতি থেকে শুরু করে বাইসাইকেল, চিরুনি বা তীর নানাবিধ প্রতীক রয়েছে।

ভারতীয় উপমহাদেশে নির্বাচনী প্রতীক ভোটের মাঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ভারতের বেলায় সত্য। দেশটির এক-তৃতীয়াংশ ভোটারই নিরক্ষর, তাই প্রতীক দেখেই তারা কে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তা বুঝতে পারেন।

এবার ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। যা ইউরোপের সব দেশ মিলে যে জনসংখ্যা, তার চেয়েও বেশি। তারা সাড়ে ১০ লাখ ভোটকেন্দ্রে ৫৫ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেবেন।


ভারত   সাত দফা   লোকসভা নির্বাচন   গণতান্ত্রিক দেশ   নির্বাচন   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলার জবাবে দেশটিতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা। 

এর আগে গত শনিবার ইরান ইসরাইলে ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর এর কড়া জবাব দেয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছিল ইসরায়েল প্রশাসন। তবে হামলার ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।

এদিকে আগেই ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে যে, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় তাহলে কঠিন জবাব দেয়া হবে। সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, ইরানের মাটিতে ইহুদিবাদী শাসকদের (ইসরায়েল) যেকোনো ধরনের আক্রমণের কড়া জবাব দেয়া হবে।

একই অনুষ্ঠানে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান এয়ার ফোর্সের কমান্ডার বলেন, ইসরায়েলি হামলা মোকাবিলা করতে রাশিয়ার তৈরি সুখোই-২৪সহ আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো সর্বোচ্চ প্রস্তুতিমূলক অবস্থায় রয়েছে। আমরা সবসময় প্রস্তুত।


ইরান   ইসরায়েল   ক্ষেপণাস্ত্র হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত কেনিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কেনিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমোন্ডি ওগোলা বৃহস্পতিবার এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। দেশটির পশ্চিম দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে তিনি নিহত হন বলে জানান প্রেসিডেন্ট।

জেনারেল ওগোলা কেনিয়ার সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। হেলিকপ্টারে তার সঙ্গে সামরিক বাহিনীর আরও ১১ কর্মকর্তা ছিলেন। তবে বেঁচে ফিরেছেন মাত্র দুজন।

এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, দেশের জন্য এটি গভীর শোকের এক মুহূর্ত।  

রুটো বলেন, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিমান বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে তদন্ত দল পাঠিয়েছে।

সামরিক প্রধানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রাজধানী নাইরোবির ৪০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এলজিও মারাকওয়েট কাউন্টিতে বিধ্বস্ত হয়। প্রেসিডেন্ট বলেন, দুর্ভাগ্যবশত হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়।  

বিমানবাহিনীর কমান্ডার এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের এপ্রিলে জেনারেল ওগোলাকে সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট রুটো।


কেনিয়া   সামরিক বাহিনীর প্রধান   হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘আমাদের হাত ট্রিগারেই আছে’, ইসরাইলকে ইরানের সতর্কবার্তা

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরাইলে ইরানের হামলার পর নেতানিয়াহু বাহিনী পাল্টা হামলা চালাবে- এমন গুঞ্জনের মধ্যেই নতুন করে ইসরাইলকে সতর্কবার্তা দিল তেহরান।

ইরানের একজন সিনিয়র রেভল্যুশনারি গার্ড কমান্ডার বলেছেন, পারমাণু কর্মসূচি নিয়ে দেশটি তার বর্তমান অবস্থান পর্যালোচনা করতে পারে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।

ইরানের নিউক্লিয়ার সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা আহমদ হাগতালাব বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর (ইসরাইল) হুমকি আমাদেরকে আগের অবস্থান (পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত) থেকে সরে আসার বিষয়টিকে তরান্বিত করছে।

তিনি আরও বলেন, ইহুদিবাদী শাসকরা যদি আমাদের পারমাণবিক কেন্দ্র এবং স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়, আমরা অবশ্যই উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তার জবাব দেব।

ইসরাইলের পারমাণবিক স্থাপনাও চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে আহমদ হাগতালাব বলেছেন, ‘আমাদের হাত ট্রিগারে রয়েছে।’

এর আগে, ইসরাইলের যেকোনো আক্রমণ মোকাবিলায় ইরানের সামরিক বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দেশটির বিমান বাহিনীও বলেছে তারা প্রস্তুত।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বুধবার (১৭ এপ্রিল) সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক কুচকাওয়াজে বলেছেন,

আমাদের মাটিতে ইহুদিবাদী শাসকদের যেকোনো আক্রমণের কঠোর জবাব দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।


ইসরাইল   ইরান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন