ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কোন দেশের কত প্রতিবেশী?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:১৩ পিএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

বিশ্বে যত দ্বন্দ্ব, সংঘাত, সন্ত্রাস সেসবের বেশিরভাগই ঘটে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিরোধের জের ধরে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ মধ্যপ্রাচ্য। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে শত্রুতার জের ধরে পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে বিশ্ব পরাশক্তিগুলো। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত-পাকিস্তান এবং কোরীয় উপদ্বীপের দুই দেশ উত্তর- দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থাও একই রকম। বলা হয়, যেই দেশের প্রতিবেশী যত বেশি, তাদের আতঙ্কও তত বেশি। কিছু ক্ষেত্রে আবার এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। যেমন- এক মিয়ানমারের হঠকারীকারিতার কারণে ১২ লাখ রোহিঙ্গার ভার বইতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। আবার এমন অনেক দেশ আছে ৫/৬টি প্রতিবেশী নিয়েও মোটামুটি স্বস্তিতেই আছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রতিবেশীর দেশগুলোর তথ্যই এখানে তুলে ধরা হলো-   

১১. জাম্বিয়া

আফ্রিকার এই দেশটিকে ঘিরে রেখেছে মোট ৮টি দেশ- ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, মালাউই, মোজাম্বিক, তাঞ্জানিয়া, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে এবং বৎসোয়ানা। সবচেয়ে বেশি প্রতিবেশী আছে এমন দেশগুলোর তালিকায় তারা আছে ১১ নম্বরে।

১০. তুরস্ক

তুরস্কের প্রতিবেশী দেশও আটটি। সেগুলো হলো আর্মেনিয়া, জর্জিয়া, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, আজারবাইজান, বুলগেরিয়া এবং গ্রিস।

৯. তাঞ্জানিয়া

জাম্বিয়া আর তুরস্কের মতো তাঞ্জানিয়ার প্রতিবেশী দেশও আটটি। সেই আটটি দেশ হলো কেনিয়া, বুরুন্ডি, উগান্ডা, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, জাম্বিয়া, মালাউই, মোজাম্বিক এবং রুয়ান্ডা।

৮. সার্বিয়া

ইউরোপের দেশ সার্বিয়াকেও ঘিরে রেখেছে আটটি দেশ- রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্ৎসেগোভেনিয়া, মেসিডোনিয়া, বুলগেরিয়া, কসভো এবং মন্টেনেগ্রো।

৭. অস্ট্রিয়া

জাম্বিয়া, তুরস্ক, তাঞ্জানিয়া এবং সার্বিয়ার মতো অস্ট্রিয়ার প্রতিবেশীও আটটি। সেই দেশগুলো হলো হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ইটালি, লিশটেনস্টাইন এবং স্লোভেনিয়া।

৬. ফ্রান্স

ইউরোপের এই দেশটিকে ঘিরে রেখেছে বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ইটালি, স্পেন, অ্যান্ডোরা, লুক্সেমবুর্গ, মোনাকো এবং ব্রিটেন, অর্থাৎ মোট নয়টি দেশ।

৫. জার্মানি

ফ্রান্সের মতো জার্মানিকেও ঘিরে রেখেছে নয়টি দেশ। ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটির প্রতিবেশীরা হলো নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, ডেনমার্ক ও লুক্সেমবুর্গ।

৪. ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো

বুরুন্ডি, রুয়ান্ডা, উগান্ডা, সাউথ সুদান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, কঙ্গো রিপাবলিক, অ্যাঙ্গোলা, জাম্বিয়া ও তাঞ্জানিয়া, অর্থাৎ নয়টি প্রতিবেশী দেশ নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো আছে এই তালিকার চার নম্বরে।

৩. ব্রাজিল

ব্রাজিলের প্রতিবেশী দেশ ১০টি৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকার এই দেশটিকে ঘিরে রাখা দেশগুলো হলো সুরিনাম, গিনি, ফ্রেঞ্চ গিনি, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া, পেরু, বলিভিয়া, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে এবং আর্জেন্টিনা।

২. রাশিয়া

১৩টি ঘিরে রেখেছে রাশিয়াকে৷ সেই দেশগুলো হলো ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেন, জর্জিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, চীন, মঙ্গোলিয়া, উত্তর কোরিয়া এবং নরওয়ে।

১. চীন

চীনের ২২ হাজার ১১৭ কিলোমিটারের সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে মোট ১৪টি দেশ। সেগুলো হলো ভারত, মঙ্গোলিয়া, কাজাখস্তান, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, কির্ঘিস্তান, তাজাকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, লাওস এবং ভিয়েতনাম।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ করায় নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আটক ১৩৩

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলার প্রেক্ষাপটে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। আদালতের সমন জারির পর তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল, কলম্বিয়াসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কাম্পাসেও গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।


গাজা   যুদ্ধ   প্রতিবাদ   নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়   আটক ১৩৩  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমেরিকায় কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আমেরিকার উত্তরাঞ্চলীয় আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দু’জন মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডগলাস ডিসি-৪ নামের ওই কার্গো প্লেনটি মঙ্গলবার ( ২৩ এপ্রিল )  ফেয়ারব্যাঙ্কস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পরই বিধ্বস্ত হয়।

আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্লেনটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টার কিছুক্ষণ আগে উড্ডয়ন করে এবং এর কিছুক্ষণ পরেই তানানা নদীর কাছে এটি বিধ্বস্ত হয়।

ওই অঙ্গরাজ্যের জননিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, প্লেনটি নদীর তীরে একটি খাড়া পাহাড়ের ওপর বিধ্বস্ত হওয়ার পর এতে আগুন ধরে যায়।

ওই দুর্ঘটনায় কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।

কী কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (এফএএ)।

উল্লেখ্য, ডগলাস ডিসি-৪ মডেলের এই প্লেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার। বিশ্বে এ ধরনের অল্প কিছু প্লেন রয়েছে।


আমেরিকা   কার্গো প্লেন   বিধ্বস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় এক কবরে শত শত লাশ

প্রকাশ: ১০:০৫ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই কবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কবর খোঁড়ার কাজ এখনো চলছে। এতগুলো মরদেহ দেখে হতবাক করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে। খবর সিএনএনের।

খান ইউনিসের বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের পরিচালক কর্নেল ইয়ামেন আবু সুলেমান জানিয়েছেন, গত শনিবার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এই গণকবর থেকে সোমবার আরও ৭৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আল শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আরেকটি গণকবরে পাওয়া গেছে ৩০টি মরদেহ।

তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি মরদেহের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারও গায়ে মাঠেই ফাঁসি দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা আমরা জানি না। বেশিরভাগ লাশই পচে গেছে।

এর আগে খান ইউনিস বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এবং এই অনুসন্ধান মিশনের প্রধান রায়েদ সাকার বলেছিলেন, গত ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর তারা আরও ৪০০ নিখোঁজ মানুষের মরদেহের সন্ধান করছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরদেহগুলো বর্জ্যের স্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল। তাদের মধ্যে নারী ও বয়স্ক মানুষও ছিল।

গাজার হাসপাতালে শত শত লাশের গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবর আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিনি বলেছেন, গাজায় নাসের এবং আল-শিফা হাসপাতাল ধ্বংস করা এবং সেখানে শত শত মরদেহ গণকবর দেওয়ার প্রতিবেদন দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত আমি।

প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। শহরে থেকে ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পরই এই গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়।

চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকায় তীব্র বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াইও হয়েছে। এসব কারণে এলাকাটি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলে জিম্মি শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গাজা থেকে কয়েক ডজন মরদেহ সরিয়েছে।


গাজা   কবর   শত শত লাশ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

উত্তেজনার মধ্যেই ইরানে বিরল সফরে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দল

প্রকাশ: ০৯:২৫ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজাযুদ্ধ এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই ইরানে বিরল সফর করছে উত্তর কোরিয়ার একটি প্রতিনিধি দল।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশটির একটি প্রতিনিধি দল ইরান সফর করছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দেশটির বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী ইউন জং হো’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ইরান সফরের উদ্দেশে বিমানে করে মঙ্গলবার পিয়ংইয়ং ত্যাগ করে।

তবে ওই প্রতিবেদনে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।

পশ্চিমাদের সন্দেহ, উত্তর কোরিয়া এবং ইরান দীর্ঘদিন ধরে পরস্পরকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সহযোগিতা করছে। তাদের ধারণা, এই ধরনের বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরিতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং তৈরির বিভিন্ন উপাদান পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করছে এই দুই দেশ।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরান রাশিয়াকে বিপুল সংখ্যক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদনে দাবি করে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান সরবরাহ করেছে বলেও সন্দেহ করা হয়, যদিও উভয় দেশই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি তথ্যানুযায়ী, উত্তর কোরীয় মন্ত্রী ইউন জং হো এর আগে সিরিয়ার সাথে তার দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করেছেন।

সেই সঙ্গে তিনি রাশিয়ার সাথে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান আদান-প্রদানে সক্রিয় ছিলেন। কেসিএনএ’র তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের শুরুতেও মস্কো সফরে একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তিনি।


ইরান   বিরল   সফর   উত্তর কোরিয়ার   প্রতিনিধি দল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, নিহত ৩৩

প্রকাশ: ০৮:৫৬ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এতে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। হতভাগ্য এসব অভিবাসীর মধ্যে শিশুও রয়েছে।

নিহত অভিবাসীদের সবাই ইথিওপিয়ান। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আট বছর বয়সী এক বালকসহ অন্তত ৩৩ ইথিওপিয়ান অভিবাসী জিবুতির উপকূলে তাদের নৌকা ডুবে মারা গেছে বলে কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ইথিওপিয়ায় লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে যাওয়া ৭৭ জনের মধ্যে তারা ছিলেন।

মৎস্যজীবীরা মঙ্গলবার কয়েকজন অভিবাসীকে ডুবে যাওয়ার ঘটনা প্রত্যক্ষ করার পর ট্র্যাজেডির বিষয়ে উপকূলরক্ষীদের সতর্ক করেন। পরে উদ্ধারকারীরা ২০ জনেরও বেশি লোককে বাঁচাতে সক্ষম হন। তবে অন্যরা নিখোঁজ রয়েছেন।

উদ্ধারের পর জিবুতির উপকূলে গডোরিয়া শহরে নিয়ে আসা জীবিতদের চেহারায় বিপর্যয় এবং ভয় স্পষ্ট ছিল। পরে সেখানে চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম তাদের ইথিওপিয়ায় প্রত্যাবাসন করে।

জিবুতি কোস্টগার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তা ইস ইইয়াহ বলেছেন, যারা ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিলেন তারা ইয়েমেন ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কারণ তাদের নিজের দেশের তুলনায় সেখানে জীবন আরও বেশি সংগ্রামের ছিল।

এদিকে জিবুতিতে নিযুক্ত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত বারহানু সেগায়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে অভিবাসীদের মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জিবুতি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবৈধপন্থায় ভ্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এতে করে ক্রমাগত আমাদের নাগরিকরা তাদের জীবন হারাচ্ছেন।’

বিবিসি বলছে, স্থলবেষ্টিত ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধের পর পালিয়ে আসা লোকেরা প্রায়শই জিবুতি এবং ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব এবং তার বাইরেও অন্য অনেক দেশে ভালো সুযোগের সন্ধানে যেয়ে থাকেন।

তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার আটকে যায় ইয়েমেনে। আরব উপদ্বীপের এই দেশটিও যুদ্ধের কবলে রয়েছে।

লোহিত সাগরে আরেকটি নৌকা দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৮ ইথিওপিয়ান মারা যাওয়ার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবারের এই নৌকাডুবি ও অভিবাসীদের প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটল।

কর্মকর্তাদের মতে, গত এক দশকে লোহিত সাগরের একই এলাকায় প্রায় এক হাজার লোককে মৃত বা নিখোঁজ হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।


জিবুতি   উপকূল   অভিবাসীবাহী   নৌকাডুবি   নিহত ৩৩  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন