ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দুপুরে পদত্যাগ বিকালে ফের প্রধানমন্ত্রী হলেন মাহাথির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৪৫ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

মাহাথির মোহাম্মদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর আবারও তাকে মালয়েশিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির রাজা সুলতান আব্দুল্লাহ। সোমবার তাকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে একটি আদেশ জারি করেন তিনি।

সোমবার দুপুরে আচমকা পদত্যাগ করেন মাহাথির মোহাম্মদ। পদত্যাগের পর স্থানীয় সোমবার বিকেল ৫টায় তিনি মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান আবদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে রাজপ্রাসাদে যান। এসময় পুনরায় তাকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন রাজা।

মাহাথির সরকারের মুখ্যসচিব মোহদ জুকি আলি বলেন, মাহাথির মোহাম্মদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজা। তবে নতুনভাবে সরকারপ্রধান নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত মাহাথিরকেই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।

ডা. মাহাথির মোহাম্মদের পদত্যাগের বিষয়ে সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দুই বাক্যের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। আনোয়ার ইব্রাহীম যেন ক্ষমতায় আসতে না পারেন; সেজন্য নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়েন তিনি।

দেশটির রাজনীতিতে সপ্তাহব্যাপী নানা নাটকীয়তার পর আজ পদত্যাগ করেন মাহাথির। ‘প্যাক্ট অব হোপ’ নামে আনোয়ার ইব্রাহীম যে জোট গঠন করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিলেন; সেই জোটের ভেতরেই আনোয়ার বিরোধীরা এই নাটক মঞ্চস্থ করেছে। বিরোধী নেতারা এখন নতুন একটি জোট গঠন করতে যাচ্ছেন।

বিরোধী এই জোট থেকে বাদ পড়বেন আনোয়ার ইব্রাহীম-অথচ মাহাথির মোহাম্মদ পদত্যাগ করলে তারই হওয়ার কথা ছিল মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। আনোয়ার ইব্রাহিম হলেন দেশটির জনপ্রিয় সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা। তবে সমকামিতার অভিযোগে বেশ কয়েক বছর কারাবন্দী থাকায় তার প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে জটিলতা আছে।

আনোয়ার ইব্রাহীম এবং ৯৪ বছর বয়সী বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির ছিলেন দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের মধ্যে সম্পর্ক দাঁ-কুড়াল হলেও ২০১৮ সালে দুর্নীতিগ্রস্ত নাজিব রাজাকের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেন তারা। বিরোধী জোটের জয় হয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মাহাথির মোহাম্মদ।

১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। তার শাসনামলে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও স্বজনপ্রীতিসহ দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে মাহাথির মোহাম্মদ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে। কিছুদিন থাকার পর ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতিতে তাকে প্রধানমন্ত্রী করা হলেও, ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি এ নিয়ে নির্দিষ্ট কোন দিনক্ষণ জানাচ্ছিলেন না।

সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের ভাগ্য ছিল অনিশ্চিত। আচমকা মাহাথিরের কার্যালয় থেকে ঘোষণা আসে, তিনি দুপুর ১টায় রাজা ‌‘ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগংগ’র কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। বিবৃতিটি ছিল মাত্র দুই লাইনের—যেখানে পদত্যাগের কোনো কারণ উল্লেখ করেননি মাহাথির।

এর কিছুক্ষণ আগে মাহাথিরের দল বারসাতু পার্টি ঘোষণা দেয়, ক্ষমতাসীন জোট পাকাতান হারাপান থেকে বের হয়ে যাচ্ছে তারা এবং তাদের ১১ জন আইনপ্রণেতা আনোয়ার ইব্রাহীমের দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। ফলে ‘প্যাক্ট অব হোপ’ নামের ওই জোটে ভাঙন ধরে এবং নতুন একটি জোট গঠনের খবর শোনা যেতে থাকে।

চারপাশে গুঞ্জন ওঠে নতুন এই জোট গঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাহাথির মোহাম্মদ। দেশটির রাজনৈতিক মহলে এমন খবর চাউর হলেও খোদ আনোয়ার ইব্রাহিমের দাবি, বিষয়টি সত্য নয়। তিনি বলেন, মাহাথির তাকে নিশ্চিত করেছেন, তিনি এর (নতুন জোট গঠন) মধ্যে নেই।

আনোয়ার ইব্রাহিম আরও বলেন, তিনি এটা নিশ্চিত যে, আগের সরকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে তিনি (মাহাথির মোহাম্মদ) আর কাজ করবেন না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নতুন এই জোটে থাকবে ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (উমনো)-যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের দল। দলটি গত নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত হয়।

‘প্যাক্ট অব হোপ’ নামের ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন পার্টির (ডিএপি) মহাসচিব লিম গুয়ান ইয়ং বলেছেন, মাহাথির মোহাম্মদ তাকে বলেছেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যে কূটচাল শুরু হয়েছিল তা ঠেকাতেই তিনি পদত্যাগ করছেন। তার এই বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তার জল আরও ঘোলা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার বামপন্থী দল হিসেবে পরিচিত ডিএপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে যে দলকে (ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন-উমনো) ক্ষমতা থেকে সরাতে আমরা কাজ করেছি, সেই দলের সঙ্গে কাজ করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মাহাথির মোহাম্মদ।’

তিনি বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় জরুরি এক বৈঠক শেষে মাহাথির মোহাম্মদকে আবারও প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার দল ডিএপি। মালয়েশিয়ার রাজনীতির ময়দানে এই নাটকের শেষ কোথায় হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটিতে আগাম নির্বাচনও আহ্বান করা হতে পারে।

তবে নির্বাচন ছাড়াই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকারের স্থলে নতুন আরেকটি সরকার আসার ব্যাপারটি উন্মোচিত হওয়ার পর মালয়েশিয়ার অনেক নাগরিক ক্ষোভ জানিয়েছেন। দেশটির একদল শিক্ষাবিদ ও অ্যাক্টিভিস্ট বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ব্যক্তিস্বার্থে পেছন দরজা দিয়ে গঠিত সরকারকে মেনে নেবে না দেশের মানুষ।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাপানিদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলোর মতো জাপানেও রমজান মাসকে ঘিরে এক ধরণের আমেজ বিরাজ করে। রমজান এলেই জামাতের সাথে তারাবিহ আদায় করা ও ইফতার নিয়ে এক ধরণের উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয় মুসল্লিদের ঘরে ঘরে। 

রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক। মুসল্লিরা যথেষ্ট ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে এই রমজান মাসকে পালন করে থাকেন। আর রোজাদারদের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ইফতারের সময়। তাদের বিশ্বাস, এ সময় আল্লাহ তাআলা তার রোজাদার বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। 

বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত 'ইনসাইড রমজান' ধারাবাহিক এর আজকের পর্বে আমরা জানবো জাপানের মুসলিমদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি- 

ইফতার মূলত খেজুর ও পানি দিয়ে শুরু করা হয়। কিন্তু অঞ্চলভেদে নানা ধরণের খাবার যুক্ত হয় এই ইফতারে।  

জাপানে মুসলমানের সংখ্যা অনেক কম। আর বাংলাদেশিদের আনাগোনা একটু বেশিই লক্ষ্য করা যায় দেশটিতে। এ কারণেই হয়তো তাদের ইফতারের তালিকায় কিছু বাঙালি খাবার যুক্ত হয়েছে।    

জাপানিরা তাদের ইফতারে মূলত, জুস, স্যুপ ও বিভিন্ন ধরণের ফল-মূল রাখেন। এছাড়াও থাকে মাশি মালফুফ নামের এক ধরণের ঐতিহ্যবাহী খাবার। যা আঙুর, বাঁধাকপি ও চাল মিশিয়ে বানানো হয়।  

এছাড়াও রয়েছে, মটরশুঁটি ও গরুর কলিজা মিশ্রিত কিবদা, রুটিতে মোড়ানো মাংসের কিমা ইত্যাদি।


জাপান   রমজান   ইফতার   সংস্কৃতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত দ্বন্দ্ব: বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রকাশ্য কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ভারতের। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি এবং অবস্থানের সমালোচনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের পর ভারতে নিযুক্ত মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে নয়াদিল্লি। সেই তলবের প্রতিক্রিয়া নয়াদিল্লি আপত্তি অগ্রাহ্য করে আরও একবার ভারতের দমন নীতির সমালোচনা করে ওয়াশিংটন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফের কড়া জবাব দেয় ভারত। সব মিলিয়ে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা এখন তুঙ্গে অবস্থান করছে। 

উল্লেখ্য যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করা হয়। এই আইন নিয়ে সমালোচনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি। এদিকে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তারের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক বাকবিতণ্ডা তীব্র আকার ধারণ করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া আম আদমি পার্টির নেতা কেজরিওয়ালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সংশয় প্রকাশ করেছে এবং নয়াদিল্লিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে ভারত। সবকিছু মিলিয়ে এই অঞ্চলে ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুপ্রতিম কৌশলগত সম্পর্কে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে একটি দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই দূরত্ব বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন প্রভাব ফেলবে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থানে ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটাও বলা হয়েছিল যে, যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হয় তাহলে বাংলাদেশের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না। বাংলাদেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবস্থান নেবে। কিন্তু নির্বাচনের আগে আগে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি অবস্থান গ্রহণ করে। ভারতের অবস্থান ছিল বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং কোন দল অংশগ্রহণ করল, না করল সেটা বড় বিষয় নয়। সাংবিধানিক ধারায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াটাই ভারত প্রত্যাশা করে এবং ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব পাল্টানোর জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কথা বলেছিলেন অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে। সবকিছু মিলিয়ে এই অঞ্চলে ভারতের কথা যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুনে সে নিয়ে দু দেশের মধ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। এই কূটনৈতিক তৎপরতার ফলশ্রুতিতেই বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত একটা নমনীয় অবস্থানে আসে। এই নমনীয় অবস্থান থেকেই নির্বাচনের পরপর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। 

অনেকেই মনে করেন যে, ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। এখন যখন ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে তখন তার প্রভাব কি বাংলাদেশে পড়বে?

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেটি পড়বে না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এখন বাংলাদেশকে নিয়ে পৃথক এজেন্ডা তৈরি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করে বাংলাদেশের বাজারে যেতে চায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য বিস্তার করতে চায়। কাজেই ভারতের সঙ্গে যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব সেটির প্রভাব বাংলাদেশ সম্পর্কে পড়বে না। তাছাড়া ভারতের এই কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব দুদেশের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করে। বিশেষ করে ভারত একটি বড় দেশ। ভারতের সঙ্গে এর আগেও অনেক বিষয় নিয়ে মতদৈত্যতা ছিল। সেটি কাটিয়ে উঠে বৃহত্তর পরিসরে দু দেশ এক সাথে কাজ করেছে। এক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত   বাংলাদেশ   দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী   অরবিন্দ কেজরিওয়াল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার কেজরিওয়াল বিতর্কে জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর ভারতের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা দুনিয়ার দেশ জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র সংশয় প্রকাশ করার পর এবার বিতর্কে এলো জাতিসংঘ। 

বৃহস্পতিবার(২৯ মার্চ) রাতে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিকও জানান, তাদের আশা, ভোটের সময় অন্য দেশের মতো ভারতেও রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের প্রত্যেকের অধিকার রক্ষিত হবে, যাতে সবাই সুষ্ঠুভাবে, মুক্ত মনে ভোট দিতে পারেন।  

কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার এবং তাকে হেফাজতে রাখা নিয়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে, ভারতকে তা বিব্রত করলেও কূটনৈতিক পর্যায়ে তার জবাব দেয়া হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিতে নিযুক্ত জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের শীর্ষ কূটনীতিকদের ডেকে এ ধরনের মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র থেমে থাকেনি। দ্বিতীয়বারও তারা এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে, মন্তব্য করেছে। তাদের সঙ্গে এবার বিতর্কে যুক্ত হলো জাতিসংঘও। 

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে স্টিফেন ডুজারিককে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রশ্নে কংগ্রেস দলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়। সেখানে বলা হয়, ভোটের ঠিক আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কংগ্রেসের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মীরা মনে করছেন, এভাবে বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি জাতিসংঘ কীভাবে দেখছে?  

এমন প্রশ্নে, তিনি মুক্ত মনে ভোট দেওয়া এবং রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের অধিকার রক্ষিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কথাটি ভারতের পক্ষে অবশ্যই বিব্রতকর।   

প্রথম দফায় সাত দিন হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার কেজরিওয়ালকে দিল্লির নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হেফাজতের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানোর দাবি জানায়। বিচারক চার দিন মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। তবে তার আগে কেজরিওয়ালকে অনুমতি দেন এজলাসে নিজের হয়ে সওয়াল করার। অনুমতি পেয়ে কেজরিওয়াল বলেন, তাকে ফাসানোই ইডির একমাত্র লক্ষ্য।


কেজরিওয়াল   বিতর্ক   জাতিসংঘ   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিরা এখনো যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূলের জন্য কয়েক মাস ধরে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে এমন আক্রমণের পরও হামাসের যুদ্ধ করার সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা আল শিফা হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে প্রায় ৭০টি হামলা চালিয়েছে। গত বছরে গাজার এ হাসপাতালটিতে তাণ্ডবের পর আবারও চলতি বছরের মার্চে সেখানে ফিরে আসে ইসরায়েলি সেনারা।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এবং ক্রিটিকাল থ্রেট প্রজেক্ট (সিটিপি) তাদের সর্বশেষ গাজার যুদ্ধাবস্থার মূল্যায়নে জানিয়েছে, হামলার তীব্রতা এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের যুদ্ধের সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে। যদিও গাজায় ইসরায়েলের হামাসকে নির্মূলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক জানিয়েছে, আল শিফা হাসপাতাল এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের অন্তত ছয়টি যোদ্ধা দল সক্রিয় রয়েছে।

সবশেষ তথ্যে পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৩ মার্চ গাজার জেইতুন এলাকা থেকে হামাসকে পুরোপুরিভাবে নির্মূলের দাবি করে। তবে বুধবার এ এলাকায় আবারও ফিরে এসেছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের ফিরে আসা এটাই প্রমাণ করে যে গাজার অন্যান্য এলাকার মতো সেখানেও নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে হামাসের যোদ্ধারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশেটির এ হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের হামলার কারণে উপত্যকা এখন তাঁবুর বসতির জনপদে পরিণত হয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, গাজা থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা এ অভিযান চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে অব্যাহত হামলার কারণে উপত্যকার ব্যপক আকারে খাদ্য ও মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।


ফিলিস্তিন   যুদ্ধ   ইসরায়েল   হামাস   গাজা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কাশ্মীরে গভীর খাদে যাত্রীবাহী ট্যাক্সি, নিহত ১০

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্যাক্সি গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে। 

দেশটির গণমাধ্যম বলছে, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে একটি যাত্রীবাহী ট্যাক্সি শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল। পরে জম্মু ও কাশ্মীরের রমবান এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী-সহ ট্যাক্সিটি আচমকা রাস্তার পাশে থাকা গভীর খাদের মধ্যে পড়ে যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। তাদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে স্থানীয় বাসিন্দারাও যোগ দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে রাস্তা ভেজা থাকায় উদ্ধারকারীদের বেগ পেতে হচ্ছে।


কাশ্মীর   ট্যাক্সি   এসডিআরএফ   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন