ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ৩ লাখ ছাড়ালো, ভারতেও নতুন রেকর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ০৫ এপ্রিল, ২০২০


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে করোনা সংক্রমণের এই রেকর্ড গড়লো যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৩ লাখ ১১ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৮ হাজার ৪৫২ জন। শুধুমাত্র শনিবারই সেখানে মারা গেছে ১ হাজার ৩৩১ জন। অন্যদিকে ভারতেও একদিনে করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৬০১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এক দিনের হিসাবে দেশটিতে এটি সর্বোচ্চ সংক্রমিত সংখ্যা। সব মিলিয়ে গত রাতে প্রতিবেশী দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৭০০ পেরিয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে। মোট আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশই সেখানকার বাসিন্দা। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুযায়ী, গতকাল পাকিস্তানে ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২৭০৮-এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১০৭২ জনই পাঞ্জাব প্রদেশের।

দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের প্রতিবেদন বলছে, পাঞ্জাবের পরই দুরবস্থা সিন্ধু প্রদেশের। সেখানে কভিড-১৯ পজিটিভ ৮৩৯ জন। খাইবার-পাখতুনখোয়াতে সংক্রমিত ৩৪৩, বেলুচিস্তানে ১৭৫, গিলগিট-বালটিস্তানে ১৯৩, ইসলামাবাদে ৭৫ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ১১ জন। পাকিস্তানে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ আছে। রেল যোগাযোগও বন্ধ। তবে রাস্তাঘাট, দোকান-বাজারে লোকজন অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সামাজিক মেলামেশাও বন্ধ হয়নি। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের নানা প্রান্তে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের হিসাবে গত রাতে  উত্তর কোরিয়া বাদে এ অঞ্চলের বাকি ১০ দেশে মোট সাত হাজার ৫১১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ভারতে ৩০৭২, ইন্দোনেশিয়ায় ২০৯২, থাইল্যান্ডে ২০৬৭, শ্রীলঙ্কায় ১৫৯, বাংলাদেশে ৭০, মিয়ানমারে ২০, মালদ্বীপে ১৯, নেপালে ছয়, ভুটানে পাঁচ ও পূর্ব তিমুরে একজন। এখন পর্যন্ত এ অঞ্চলে মারা গেছে ৩০০ জন। অর্থাৎ মৃত্যুর হার ৩.৯৯ শতাংশ। এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ১৯১ জন। আর এখন পর্যন্ত মৃত্যুশূন্য আছে মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান ও পূর্ব তিমুর।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত শুক্রবার সকালে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩০১। গতকাল বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯০২। এক সপ্তাহ আগে ২৯ মার্চ এ সংখ্যা ছিল ৯০২। এর পর থেকেই আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

করোনা সংক্রমণ এড়াতে বর্তমানে ভারতজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ অবস্থা। এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে দেশটির সরকার। তবে আশার কথা হলো, আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে সেই সংখ্যা ২১২।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির দেশে পরিণত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটিতে প্রথমবারের মতো করোনা শনাক্ত হয় গত ২ মার্চ। এক মাসের মাথায় গতকাল সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২০৯২ জনে। এর মধ্যে মারা গেছে ১৯১ জন। গত শুক্রবার করোনায় ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যুহার ছিল ৯.১ শতাংশ, একই সময়ে বৈশ্বিক মৃত্যুহার ছিল ৫.২ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ার পাদজাদজারান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের ফ্যাকাল্টি মেম্বার পানজি ফরচুনা হাদিসোয়েমাত্রো বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ে সরকার কয়েক কদম পিছিয়ে আছে দেখতে পাচ্ছি। ল্যাবরেটরি ও পরীক্ষার যন্ত্রপাতির ব্যবস্থায় বিলম্ব এবং কমসংখ্যক পরীক্ষা করা হয়েছে।’ করোনা সংক্রমণের পর চীন থেকে প্রায় পাঁচ লাখ কিট সংগ্রহ করে ইন্দোনেশিয়া। অনলাইন সংবাদমাধ্যম কাটাডাটাডটকমের হিসাব অনুযায়ী, ২ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতি দশ লাখের মধ্যে মাত্র ২৫ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। এশিয়ার মধ্যে এই হার সর্বনিম্ন।

বিশ্বের ২০৬টি দেশ ও অঞ্চল কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ১ হাজার ৭৬৭ জনে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৪ হাজার ৭১০ জনের। সুস্থ হয়েছে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৪৬৯ জন।

ইতালিতে করোনাভাইরাসে গতকাল শনিবার নতুন করে ৬৮১ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৬২ জন। কভিড-১৯ মহামারিতে ভয়ংকর ক্ষতিগ্রস্ত দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি সত্ত্বেও এ মহামারি কাটিয়ে ওঠার ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বেসরকারি প্রতিরক্ষা সংস্থার নতুন পরিসংখ্যানে দৈনিক নিবন্ধিত আক্রান্তদের সংখ্যা ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় যারা পুরোপুরি সুস্থ হয়েছে তাদের হার ১৭.৩ শতাংশ বেড়ে ১৯ হাজার ৭৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। ইতালির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে এমন আভাস মিলেছে। ইতালির উত্তরের লোমবারডিতে আক্রান্তদের সংখ্যা কমছে। সেখানে প্রধান হাসপাতাল কর্মকর্তা গিউলি গ্যাললেরা বলেছেন, আক্রান্তদের সংখ্যা কমছে। আমাদের হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে।

মৃত্যুর মিছিলে এখন যুক্তরাষ্ট্রের পরই আছে ফ্রান্স। শনিবার সেখানে মারা গেছে ১ হাজার ৫৩ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৫৬০ জনে। ইউরোপের আরেক দেশ যুক্তরাজ্যে গতকাল মারা গেছে ৭০৯ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট করোনায় মৃত্যু হলো ৪ হাজার ৩১৩ জনের।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা, গুগলের আরও ২০ কর্মীকে ছাঁটাই

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সরকারের সঙ্গে গুগলের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তির বিরোধিতা করায় আরও ২০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে গুগল। এ নিয়ে সব মিলিয়ে ৫০ জন কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।

‘প্রজেক্টি নিম্বাস’ নামের ১২০ কোটি ডলারের এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্লাউড সেবা প্রদান করবে গুগল।

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার গুগলের কার্যালয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন নো টেক ফর দ্য অ্যাপার্থাইড’ শীর্ষক এই গোষ্ঠীর প্রতিবাদকারীরা। গত সোমবার তারা এক বিবৃতিতে জানান, গুগল আরও ২০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর আগের সপ্তাহে আরও ৩০ জন কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছিল।

নো টেক ফর দ্য অ্যাপার্থাইডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অনেকেই প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেননি, বরং তারা পাশে দাঁড়িয়ে এই সমাবেশ দেখেছেন। কর্মক্ষেত্রের এসব তৎপরতায় তাদের অংশগ্রহণও তেমন একটা নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এভাবে কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার মধ্য দিয়ে গুগলের মতো মহিরুহ প্রযুক্তি কোম্পানি আগ্রাসী ও প্রতিশোধমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।

সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে গুগলের মুখপাত্র বলেছেন, সেদিনের প্রতিবাদ বিক্ষোভের কারণ আরও বেশ কিছু কর্মীর চাকরি গেছে, তা ঠিক। তবে ওই মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলেননি, এ দফায় কতজন চাকরি হারিয়েছেন।

গুগলের সিইইউ সুন্দর পিচাই এই ঘটনার পর কর্মীদের কাছে একটি মেমো পাঠিয়েছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কাজে বিঘ্ন ঘটানোর জায়গা গুগল নয়। তিনি কর্মীদের আরও বলেন, তারা হলেন একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ফলে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য তারা নীতি অনুযায়ী সবই করবেন।


ইসরায়েল   চুক্তি   বিরোধিতা   গুগল   ২০ কর্মী   ছাঁটাই  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার অর্ধেক মানুষের দিন কাটছে অনাহারে: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

‘অনাহারে’দিন কাটছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার অর্ধেক জনসংখ্যার। আর চরম এই খাদ্য সংকটের মাঝে তাদের যে সাহায্যটুকু দেওয়া হচ্ছে তা বিশাল সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডব্লিউএফপি বলেছে- গাজার জনসংখ্যার অর্ধেক, আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষ অনাহারে রয়েছে।

সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে বলেছে, ডব্লিউএফপি যখন প্রতি মাসে গাজায় ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে, তখন প্রয়োজন এতটাই তীব্র যে- এই ধরনের প্রচেষ্টা ‘প্রয়োজনের তুলনায় সাগরে এক ফোঁটা পানির মতো’।

এদিকে জাতিসংঘের খাদ্য ত্রাণ সংস্থাও বলেছে, অবিলম্বে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।


গাজা   অর্ধেক মানুষ   অনাহার   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ করায় নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আটক ১৩৩

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলার প্রেক্ষাপটে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। আদালতের সমন জারির পর তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল, কলম্বিয়াসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কাম্পাসেও গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।


গাজা   যুদ্ধ   প্রতিবাদ   নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়   আটক ১৩৩  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমেরিকায় কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আমেরিকার উত্তরাঞ্চলীয় আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দু’জন মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডগলাস ডিসি-৪ নামের ওই কার্গো প্লেনটি মঙ্গলবার ( ২৩ এপ্রিল )  ফেয়ারব্যাঙ্কস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পরই বিধ্বস্ত হয়।

আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্লেনটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টার কিছুক্ষণ আগে উড্ডয়ন করে এবং এর কিছুক্ষণ পরেই তানানা নদীর কাছে এটি বিধ্বস্ত হয়।

ওই অঙ্গরাজ্যের জননিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, প্লেনটি নদীর তীরে একটি খাড়া পাহাড়ের ওপর বিধ্বস্ত হওয়ার পর এতে আগুন ধরে যায়।

ওই দুর্ঘটনায় কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।

কী কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (এফএএ)।

উল্লেখ্য, ডগলাস ডিসি-৪ মডেলের এই প্লেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার। বিশ্বে এ ধরনের অল্প কিছু প্লেন রয়েছে।


আমেরিকা   কার্গো প্লেন   বিধ্বস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় এক কবরে শত শত লাশ

প্রকাশ: ১০:০৫ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই কবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কবর খোঁড়ার কাজ এখনো চলছে। এতগুলো মরদেহ দেখে হতবাক করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে। খবর সিএনএনের।

খান ইউনিসের বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের পরিচালক কর্নেল ইয়ামেন আবু সুলেমান জানিয়েছেন, গত শনিবার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এই গণকবর থেকে সোমবার আরও ৭৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আল শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আরেকটি গণকবরে পাওয়া গেছে ৩০টি মরদেহ।

তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি মরদেহের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারও গায়ে মাঠেই ফাঁসি দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা আমরা জানি না। বেশিরভাগ লাশই পচে গেছে।

এর আগে খান ইউনিস বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এবং এই অনুসন্ধান মিশনের প্রধান রায়েদ সাকার বলেছিলেন, গত ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর তারা আরও ৪০০ নিখোঁজ মানুষের মরদেহের সন্ধান করছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরদেহগুলো বর্জ্যের স্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল। তাদের মধ্যে নারী ও বয়স্ক মানুষও ছিল।

গাজার হাসপাতালে শত শত লাশের গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবর আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিনি বলেছেন, গাজায় নাসের এবং আল-শিফা হাসপাতাল ধ্বংস করা এবং সেখানে শত শত মরদেহ গণকবর দেওয়ার প্রতিবেদন দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত আমি।

প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। শহরে থেকে ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পরই এই গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়।

চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকায় তীব্র বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াইও হয়েছে। এসব কারণে এলাকাটি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলে জিম্মি শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গাজা থেকে কয়েক ডজন মরদেহ সরিয়েছে।


গাজা   কবর   শত শত লাশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন