নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ১৪ জুলাই, ২০১৭
ভারতের সর্বদক্ষিণের ছোট একটি দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। মসলা, রাবার ও চার জন্য উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীতে শ্রীলঙ্কা বিখ্যাত ছিল। বর্তমানে পর্যটন শিল্প, চা রপ্তানি, পোশাক শিল্প, চাল ও অন্যন্য কৃষিপণ্য দেশটির প্রধান অর্থনৈতিক খাত।
ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে জিডিপিতে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দারিদ্র্যের হার ৭.৬ শতাংশ, বেকারত্বের হার মাত্র ৪.৯ শতাংশ এবং সাক্ষরতার হার ৯২.৫ শতাংশ। শ্রীলঙ্কার ৯০ শতাংশ বাড়িতে বিদুৎসেবা পৌছে গেছে। ৮৭.৩ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পায়। আয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য দেশটিতে দিন দিন কমে যাচ্ছে। টেলিকমিউনিকেশন সেবায় ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। এ খাত থেকে প্রচুর পরিমাণ আয় হয়। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে মোবাইলে ৪র্থ প্রজন্মের সেবা পাচ্ছে দেশটির জনগণ। মানব উন্নয়নের সূচকেও মালদ্বীপের সঙ্গে শ্রীলঙ্কাও শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সেনারা বিচ্ছিন্নতাবাদী দল এলটিটিইকে পরাজিত করলে ৩০ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। এই গৃহযুদ্ধের ক্ষত নিয়েও শ্রীলঙ্কা খুব দ্রুত দাঁড়িয়ে যায়।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে। শ্রীলঙ্কায় তামিলদের বিদ্রোহের সময় ভারত বিদ্রোহীদের উসকানি দিত বলে মনে করে দেশটি। তাই যে কোনো আন্তন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভারতের থেকে বাংলাদেশকে বেশি সমর্থন দেয় শ্রীলঙ্কা। ভারতের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব থাকায় হাম্বানটোটায় বন্দর নির্মাণে চীনের সহযোগিতা নেয় দেশটি।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে ১৯৭২ সালে। ১৯৭৬ সালে কলম্বোতে বাংলাদেশের হাইকমিশন স্থাপন করা হয়। ১৯৭৯ সালের জুন মাসে ঢাকায় শ্রীলঙ্কার হাইকমিশন স্থাপিত হয়। চট্টগ্রামেও দেশটির কনস্যুলেট রয়েছে। ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে যান।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপাল সিরিসেনা বাংলাদেশ সফরে আসেন। দুই দেশের মধ্যে দু’টি দ্বিপাক্ষীয় চুক্তি ও ১২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। চুক্তিগুলোর মধ্যে উপকূলীয় জাহাজ চলাচল এবং সরকারী কর্মকর্তাদের ভিসা ছাড় অন্যতম। অন্য চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৃষি খাতে সহযোগিতা, উচ্চ শিক্ষা, বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, উভয় দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে, পররাষ্ট্র সেবা বিষয়ক ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বিস’ ও শ্রীলঙ্কার এলকেআইআইআরএসএস’র মধ্যে এবং রেডিও, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র বিষয়ে সহযোগিতা বিনিময়।
অর্থনৈতিক বিষয়ে সহযোগিতা ছাড়াও দুদেশের মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান, সংবাদ সংস্থা এবং চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ফ্যাশন ইন্সটিটিউট ও শ্রীলঙ্কা টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল ইন্সটিটিউটের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।
শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে ছাত্র আসে। ক্রিকেটের কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ। বর্তমানে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের পোশাক ও ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগ করছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৮ কোটি মার্কিন ডলার। এই বাণিজ্যের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। কিন্তু মাত্র দুই কোটি সংখ্যার জনগণের দেশে বাণিজ্য বিস্তার করা কঠিন বলে সাংবাদিকদের জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীদের তিনি বাংলাদেশে আসার পরামর্শ দেন।
তিনি আহ্বান করেন, শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীরা ১৬ কোটি জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশের ৩ থেকে ৪ কোটি মধ্যবিত্ত ও ধনীদের ভোগ্যপণ্যের চাহিদা পূরণ করতে পারবে। শ্রীলঙ্কা থেকে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদও দেন তিনি।
জাতিসংঘ, সার্ক, কমনওয়েলথ, বিমসটেকে, ইন্ডিয়ান ওশান রিম এবং এশিয়া কোঅপারেশন ডায়লগে দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতা সমর্থন করে আসছে। সম্পর্ক ভালো থাকা সত্ত্বেও এ নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপেক্ষিত থেকে যায়। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে উভয়পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ছোট দেশ হওয়ায় দুই দেশের একত্রে আঞ্চলিক সংগঠনগুলোতে ভূমিকা রাখতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশকেও কূটনৈতিকভাবে সমঝোতার ভিত্তিতে এগিয়ে আসতে হবে এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে কাজ করে যেতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/আরএইচবি
মন্তব্য করুন
কেনিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমোন্ডি ওগোলা বৃহস্পতিবার এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। দেশটির পশ্চিম দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে তিনি নিহত হন বলে জানান প্রেসিডেন্ট।
জেনারেল
ওগোলা কেনিয়ার সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। হেলিকপ্টারে তার সঙ্গে
সামরিক বাহিনীর আরও ১১ কর্মকর্তা ছিলেন। তবে বেঁচে ফিরেছেন মাত্র দুজন।
এক
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, দেশের জন্য এটি গভীর শোকের এক মুহূর্ত।
রুটো
বলেন, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার
কারণ অনুসন্ধানে বিমান বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে তদন্ত দল পাঠিয়েছে।
সামরিক
প্রধানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রাজধানী নাইরোবির ৪০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এলজিও
মারাকওয়েট কাউন্টিতে বিধ্বস্ত হয়। প্রেসিডেন্ট বলেন, দুর্ভাগ্যবশত হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের
পরপরই বিধ্বস্ত হয়।
বিমানবাহিনীর
কমান্ডার এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের এপ্রিলে
জেনারেল ওগোলাকে সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট রুটো।
কেনিয়া সামরিক বাহিনীর প্রধান হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিহত
মন্তব্য করুন
ইসরাইলে
ইরানের হামলার পর নেতানিয়াহু বাহিনী
পাল্টা হামলা চালাবে- এমন গুঞ্জনের মধ্যেই
নতুন করে ইসরাইলকে সতর্কবার্তা
দিল তেহরান।
ইরানের
একজন সিনিয়র রেভল্যুশনারি গার্ড কমান্ডার বলেছেন, পারমাণু কর্মসূচি নিয়ে দেশটি তার
বর্তমান অবস্থান পর্যালোচনা করতে পারে। ইরানের
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে এ
খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।
ইরানের
নিউক্লিয়ার সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা আহমদ হাগতালাব
বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর (ইসরাইল) হুমকি আমাদেরকে আগের অবস্থান (পরমাণু
কর্মসূচি সংক্রান্ত) থেকে সরে আসার
বিষয়টিকে তরান্বিত করছে।
তিনি
আরও বলেন, ইহুদিবাদী শাসকরা যদি আমাদের পারমাণবিক
কেন্দ্র এবং স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নিতে চায়, আমরা
অবশ্যই উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তার জবাব দেব।
ইসরাইলের
পারমাণবিক স্থাপনাও চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে
আহমদ হাগতালাব বলেছেন, ‘আমাদের হাত ট্রিগারে রয়েছে।’
এর
আগে, ইসরাইলের যেকোনো আক্রমণ মোকাবিলায় ইরানের সামরিক বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান।
দেশটির বিমান বাহিনীও বলেছে তারা প্রস্তুত।
ইরানের
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বুধবার (১৭ এপ্রিল) সেনা
দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক কুচকাওয়াজে বলেছেন,
আমাদের
মাটিতে ইহুদিবাদী শাসকদের যেকোনো আক্রমণের কঠোর জবাব দেয়া
হবে।
উল্লেখ্য,
এর আগে, গত ১
এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের
মৃত্যু হয়। এ হামলার
জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান।
হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে
ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
চালিয়েছে ইরান।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ভোট নেয়া শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে। সাত দফায় দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। ফলে এ নির্বাচন হতে চলেছে বিশ্বের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় নির্বাচন। ফল ঘোষণা করা হবে আগামী চার জুন। এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।
প্রথম দফায় আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি রয়েছে। প্রথম দফা ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে আড়াই হাজারের বেশি।
এই তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্র। ২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের ওই তিন কেন্দ্রসহ মোট ৪৫টিতে জিতেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। লোকসভার পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের ৬০ এবং সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনের সবকটিতেই ভোটগ্রহণ হবে এই দফায়।
শুক্রবার প্রথম দফায় অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পন্ডিচেরি। মণিপুরে মোট দুটি লোকসভা আসন। ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুর।
প্রথম দফায় দেশে হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ৮ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দুইজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং একজন সাবেক রাজ্যপাল। এদের মধ্যে অন্যতম সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীত প্রামাণিক, কেন্দ্রীয় ভূ-বিজ্ঞান ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী কিরেন রিজিজু প্রমুখ
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মোট ৪২ লোকসভার আসনের মধ্যে শুক্রবার প্রথম দফায় ভোট নেয়া হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে। তিনটি কেন্দ্রেই ত্রিমুখী লড়াই (তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোট) হলেও নজর থাকবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে। গত নির্বাচনে এই তিনটি আসনই বিজেপির দখলে ছিল, আর দ্বিতীয় স্থানে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী এবং বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়। এছাড়া অন্য ছোটখাটো দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও আছেন। আর জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বামফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ। পাশাপাশি আছেন অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এদিকে আলিপুরদুয়ার আসনে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বামফ্রন্টের মিলি ওঁরাওসহ অন্যান্য ছোট দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
২০১৯ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে ভারতের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৩০৩টি, কংগ্রেস ৫২টি, সমাজবাদী পার্টি ৫টি, বহুজন সমাজ পার্টি ১০, তৃণমূল ২২, ডিএমকে ২৩, ওয়াইএসআর কংগ্রেস ২২ এবং টিডিপি দুইটি আসনে জিতেছিল। আর পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ২২, বিজেপি ১৮ এবং কংগ্রেস ২টি আসনে। বামফ্রন্ট ছিল শূন্য।
পশ্চিমবঙ্গে এবার ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার ৯৮১ জন। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজার ৯৬০ জন। রাজ্যে ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ১ হাজার ৮৩৭ জন।
লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি শুক্রবার অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমে একটি মাত্র দফায় বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্ষেত্রে সিকিমে ৩২ আসনে এবং অরুণাচল প্রদেশে ৬০ আসনের জন্য ভোট নেওয়া হবে।
নির্বাচন কেন্দ্রিক সব জরিপ বলছে ১০২ টি আসনের অন্তত ৬৫ থেকে ৭০ টি পেতে পারে বিজেপি। আর পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের সবই যেতে পারে বিজেপির দখলে। প্রথম দফায় গোটা দেশে যে কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচন হতে চলেছে, তার প্রচারণা শেষ হয়েছে বুধবার সন্ধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবসহ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা দলীয় প্রার্থীদের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।
ইতোমধ্যেই ভোটগ্রহণের কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে গেছে ভোট কর্মীরা। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের তরফেও একাধিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কেন্দ্রগুলোতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করার পাশাপাশি ক্যুইক রেসপন্স টিম, আর্টি মোবাইল বা হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ওয়েবক্যাম, ড্রোনের মাধ্যমেও ভোট প্রক্রিয়ার ওপরে নজর রাখবে কমিশন। ভোটারদের ভোট দানে উৎসাহিত করতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, এবার নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ, আর পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ। ৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। একই সঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ।
মন্তব্য করুন
ইরান নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কেনিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমোন্ডি ওগোলা বৃহস্পতিবার এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। দেশটির পশ্চিম দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে তিনি নিহত হন বলে জানান প্রেসিডেন্ট। জেনারেল ওগোলা কেনিয়ার সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। হেলিকপ্টারে তার সঙ্গে সামরিক বাহিনীর আরও ১১ কর্মকর্তা ছিলেন। তবে বেঁচে ফিরেছেন মাত্র দুজন।
ইসরাইলে ইরানের হামলার পর নেতানিয়াহু বাহিনী পাল্টা হামলা চালাবে- এমন গুঞ্জনের মধ্যেই নতুন করে ইসরাইলকে সতর্কবার্তা দিল তেহরান। ইরানের একজন সিনিয়র রেভল্যুশনারি গার্ড কমান্ডার বলেছেন, পারমাণু কর্মসূচি নিয়ে দেশটি তার বর্তমান অবস্থান পর্যালোচনা করতে পারে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ভোট নেয়া শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকে। সাত দফায় দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। ফলে এ নির্বাচন হতে চলেছে বিশ্বের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় নির্বাচন। ফল ঘোষণা করা হবে আগামী চার জুন। এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।