নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৬ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০১৭
ব্রিটেনে গত বছর গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায়ের পর ঘৃণাজনিত অপরাধ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। অন্য বর্ণ ও ধর্মের মানুষদের প্রতি ঘৃণাজনিত অপরাধে (হেট ক্রাইম) ব্যবহার করা হচ্ছে অ্যাসিড। বিশেষ করে মুসলিম, ইউরোপীয় ও ইহুদিদের ওপর হামলার পরিমাণ দিন দিন বেড়ে চলছে।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল পুলিশ চিফ কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানায়, গত ছয় মাসে চারশতাধিকের বেশি ঘৃণাজনিত অপরাধে অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়। ব্রিটেনের পুলিশ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, গত ১১ মাসে আগের তুলনায় ঘৃণাজনিত অপরাধ ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই হয়েছে ওয়েলস ও লন্ডনে। সাধারণত অন্য বর্ণের বা ধর্মের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে যে অপরাধগুলো করা হয় সেগুলোই ঘৃণাজনিত অপরাধ বলে পরিচিত।
গত এক বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হামলার ঘটনাগুলো হলো: একজন মুসলিম নারীকে রাস্তায় প্রকাশ্যে জোর করে হিজাব টেনে খোলা, দুইজন পোলিশ নাগরিকের ওপর হামলা এবং দুইজন মুসলিম ভাইবোনকে অ্যাসিড হামলা। এসব হামলার অধিকাংশ শিকার হলেন মুসলিমরা। ব্রিটেনে মুসলিম অধিকারবিষয়ক সংগঠন মুসলিম এনগেজমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট জানায়, এ বছরের শুধু এপ্রিল মাসেই তাঁরা ২৩টি ঘৃণাজনিত অপরাধের অভিযোগ পেয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট আসার পর ঘৃণাজনিত অপরাধ ও অ্যাসিড হামলা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ব্রিটেনে সন্ত্রাসী হামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এই ঘৃণাজনিত অপরাধ আরও বেড়েছে। ব্রিটিশ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে বিদেশীদের প্রতি ঘৃণা যে বেড়েছে তা এই হামলার পরিমাণ থেকে অনুমান করা যায়।
গত জুন মাসে রমজানে মসজিদের সামনে এশার নামাজ আদায়ের জন্য জড়ো হওয়া মুসলিমদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় হামলাকারী। অকথ্য ভাষায় তিনি মুসলিমদেরকে উদ্দেশ্য করে গালি দিচ্ছিলেন। ্ম্প্রএ হামলায় নিহত হন একজন বাংলাদেশি। গত বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনে মাত্র দেড় ঘণ্টায় পাঁচজনের ওপর অ্যাসিড হামলা করা হয়। বাংলাদেশের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ব্রিটেনে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে গেলে ঘৃণাজনিত অপরাধে শিকার হন বলে শোনা যায়। তিনি সপরিবারে লন্ডনে এক রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে সেখানে অ্যাসিড নিয়ে তাঁর স্ত্রীর ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তামিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি অস্বীকার করেন।
অ্যাসিড হামলার উদ্দেশ্য শুধু যে ঘৃণাজনিত কারণে নয় বরং ছিনতাই, নিপীড়নের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্রিটেনে অ্যাসিড খুব সহজে পাওয়া যায়। অ্যাসিডজনিত অপরাধের শাস্তি তেমন গুরুতর নয়। ফলে অপরাধীরা অ্যাসিড ব্যবহারে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।
অন্য ধর্ম বা বর্ণের প্রতি ঘৃণা মানসিক ব্যাধি। এর জন্য প্রয়োজন কাউন্সেলিং। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার এ ধরনের হামলা ঠেকাতে শুধুমাত্র পুলিশ মোতায়েন করা ছাড়া অন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ব্রিটিশ পুলিশরা সাথে অস্ত্র রাখতে পারেন না। তাই এ ধরনের হামলা ঠেকানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সঙ্গে সঙ্গে নিতেও পারেন না তাঁরা। এক্ষেত্রে প্রয়োজন সচেতনতা তৈরি করা। ব্রিটিশ সরকারকেও সচেতনতা তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/আরএইচবি
মন্তব্য করুন
ইউক্রেন পশ্চিমা এফ-১৬ বিমান ভ্লাদিমির পুতিন
মন্তব্য করুন
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু দিন দিন হামলার ধরন নৃশংসতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনীর। ইসরায়েলি নৃশংশতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরীহ মানুষ থেকে শুরু করে শিশুরাও।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার হাতে এসেছে এক এক্সক্লুসিভ ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে গুলি করে হত্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেন তারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এই ঘটনা ঘটে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। একপর্যায়ে তাদের একজনকে বারবার একটি সাদা কাপড় নাড়তে দেখা যায়। কোনো হুমকি সৃষ্টি না করা সত্ত্বেও ওই দু'জনকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার এনে লাশ দুটি বালুচাপা দেন তারা।
এদিকে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলছে, এই ঘটনা ইসরায়েলি ফ্যাসিবাদ ও অপরাধের মাত্রার আরও প্রমাণ হাজির করে। এটাই জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।
আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) বলেছে, গাজার সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে হত্যা এবং বুলডোজার দিয়ে লাশ দুটি বালুর নিচে চাপা দেয়ার ঘটনার অবশ্যই জাতিসংঘকে তদন্ত করতে হবে।
ফিলিস্তিন হত্যা বুলডোজার ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলে বসতি স্থাপনকারীরা গাজার সমুদ্র উপকূলে প্লট কিনছে। তারা অবরুদ্ধ উপত্যাকাটিও গ্রাস করতে চাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে ড্যানিয়েলা ওয়েইসিস (৭৮) নামের ইসরাইলি এক নারী জানিয়েছেন, গাজায় বসতি স্থাপন করতে যাওয়া ৫০০ ব্যক্তির তালিকা তার কাছে আছে।
তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজায় একতরফাভাবে বসতি স্থাপনকারীদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। তখন ২১টি বসতি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং বসতির প্রায় ৯ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইসরায়েলের সেনারা। এরপর থেকেই বসতি স্থাপনকারী আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই গাজায় ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করে আসছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন ৩২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহদের সংখ্যাও লাখ ছোঁয়ার পথে। এদিকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অবরুদ্ধ উপত্যাকাটির ২০ লাখের মতো বাসিন্দা।
গাজা সমুদ্র তীর প্লট বুকিং ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের রকফোর্ডের উত্তর ইলিনয়ে ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৭ জন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিচয় জানা না গেলেও পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী তরুণী, ৬৩ বছর বয়সী এক নারী, ৪৯ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং ২২ বছর বয়সী একজন তরুণ রয়েছেন।
রকফোর্ড পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইউএসএটুডে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইলিনয়ে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৭ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি।
পুলিশ বলেছে, যে এলাকার বাসিন্দাদের ওপর হামলা হয়েছে, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ওই এলাকা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরও অর্থনৈতিক তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, এর ওপরই নির্ভর করে সুদের হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এর আগে ইউএস ট্রেজারি বন্ড ইল্ড নিম্নগামী হয়েছে। ফলে বুলিয়ন বাজার আরও চাঙা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে প্রায় ২১৯৫ ডলারে। গত ২২ মার্চ যা ছিল ২১৬৭ ডলার। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্যবান ধাতুটির দাম ঊর্ধ্বগামী হয়েছে ২৮ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০৭৪ টাকা।
বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান টেস্টিলাইভের বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান ইলিয়া স্পিভাক বলেন, সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। তবে বিশ্বব্যাপী এখনও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিদ্যমান। তাতে স্বর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মূল্য বাড়তি রয়েছে।
গত সপ্তাহে ফেড সংকেত দেয়, ২০২৪ সালে তিনবার সুদের হার কমাতে পারে তারা। এরপর থেকেই প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার চাপে পড়েছে। একই সঙ্গে স্বর্ণের বিশ্ববাজারে ঔজ্জ্বলতা বেড়েছে।
বিশ্ববাজার স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্র মুদ্রা ডলার
মন্তব্য করুন
তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।