ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দ্য ইকোনমিস্ট কলাম: করোনায় ‘আমেরিকান পদ্ধতি’ কতটা ভয়াবহ?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:২০ পিএম, ২৯ মে, ২০২০


Thumbnail

বিশ্বের মধ্যে করোভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের নাম যুক্তরাষ্ট্র। মৃতের সংখ্যাতেও তাদের ধারেকাছে নেই কেউ। মহামারির ভয়াবহ পরিস্থিতি তো আছেই, এ নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্ভট কথাবার্তা আর কার্যকলাপ নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে বেশ।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের করোনা নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি ও এ বিষয়ে ট্রাম্পের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে অনলাইনে একটি কলাম প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট। প্রিন্ট পত্রিকাতেও ‘দ্য আমেরিকান ওয়ে’ নামে ছাপা হয়েছে এটি। কলামটির চুম্বক অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

আমেরিকা এক ভয়াবহ মাইলফলক পার করেছে: নভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যু এক লাখ ছাড়িয়েছে। অনেক আমেরিকান নাগরিকই ভাবছেন তাদের প্রেসিডেন্ট মহামারি পরিস্থিতি খুব জঘন্যভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন। কারণ এক লাখের কাছাকাছি মৃত্যু আর কোনও দেশে ঘটেনি। এটিকে সবসময়ই ভিয়েতনাম যুদ্ধে ৬০ হাজার মার্কিনির মৃত্যুর সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। এমনকি টাইমস স্কয়ারে ‘ট্রাম্প ডেথ ক্লক’ স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রেসিডেন্টের অদক্ষতায় কতগুলো প্রাণহানি হচ্ছে তার সংখ্যা দেখানো হচ্ছে। তবে ট্রাম্পের অদক্ষতার কারণেই আমেরিকা করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে এটি এখনই নিশ্চিত ধরে নেয়া যায় না।

আমেরিকায় সরকারি হিসাবে মৃত্যুর হার ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রায় সমান। সেখানেও অনেক মৃত্যু হয়েছে, তবে কম অস্থির নেতা এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা রয়েছে তাদের। ইতালির লোম্বার্দি শহরের মতোই আক্রান্ত হয়েছে নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ায় তাদের অবস্থা অনেকটা জার্মানির মতো, গ্রামীণ রাজ্যগুলোও অনেকটা মধ্য ইউরোপের মতো সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা থেকে বেঁচে গেছে।

এক্ষেত্রে দু’টি বিষয় পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। প্রথমত, করোনা সংক্রমণ যখন প্রথম শুরু হলো তখন রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে এ নিয়ে পরিকল্পনায় উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। এটি যখন নিউইয়র্ক, লন্ডন, প্যারিসের মতো বড় ও ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন সেখানকার লোকেরা কেয়ারহোম, কসাইখানায় দলবদ্ধভাবে ঘুরেছে, এমনকি কারাগারেও গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। সেই সময় আমেরিকাসহ অনেক দেশেই করোনা টেস্ট ছিল অপ্রতুল।

করোনায় চীনে যা ঘটেছে তা দেখে তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামের মতো ট্রাম্পও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারতেন। সংকটকালে সুস্পষ্ট সরকারি নির্দেশনা জারি বা কেন্দ্রীয়ভাবে সব ব্যবস্থার সমন্বয় করার মতো প্রত্যাশিত বিষয়গুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এর বদলে বারবার হাঁতুড়ে চিকিৎসা, ভোটদান পদ্ধতি, এমনকি যে হত্যাকাণ্ড কখনোই ঘটেনি তার জন্য এক টেলিভিশিন উপস্থাপককে দায়ী করায় ব্যস্ত ছিলেন এ রিপাবলিকান নেতা।

তার এসব আচরণের জন্য বড় মূল্য চুকাতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। তারপরও, দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের দোষ শুধু প্রেসিডেন্টের ঘাঁড়ে দেয়া কঠিন। কারণ বাস্তাবতা বেশ জটিল।

এখানেই উঠে আসে দ্বিতীয় বিষয়টি। করোনাভাইরাস সবসময়ই দরিদ্র ব্যক্তি, স্থূলতা-ডায়বেটিসের মতো অসুখে আক্রান্ত, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের মধ্যেই বেশি সংক্রমিত হয়েছে। তবে আশার কথা, যে কাজ প্রেসিডেন্টের করার কথা ছিল স্থানীয় সরকারগুলো তার অনেকটাই করে দিয়েছে। এর জন্য অবশ্যই অকেন্দ্রীভূত শাসন ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ দিতে হয়।

বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য, শহর ও কাউন্টিতে লকডাউনের ভিন্নতা রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া সংক্রমণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছে। হোয়াইট হাউসকে অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গভর্নরেরা কড়াকড়ি আরোপ করেছেন। এতে ম্যারিল্যান্ড ও ম্যাসাচুসেটসের গভর্নরেরা ট্রাম্পের বিরাগভাজন হলেও তাদের প্রতি সমর্থন বেড়েছে অনেকেরই। ফ্লোরিডাতে গভর্নর না বললেও কাউন্টি কর্মকর্তারা ঠিকই লকডাউন জারি করেছেন।

দেশব্যাপী আইনপ্রয়োগের এই ভিন্নতা দেশের দুর্বলতা নয়, বরং শক্তির দিক। আর মহামারির সময় এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে। সুসংগঠিত অঙ্গরাজ্যগুলো প্রয়োজন অনুসারে তাদের টেস্ট করার সক্ষমতা ও ব্যবস্থা নির্ধারণ করেছে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি বা এলাকা দ্রুত শনাক্ত করে প্রয়োজন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া সহজ হয়েছে। কারণ প্রতিটি অঞ্চলই আলাদা, তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও আলাদা হওয়া উচিত। দেশব্যাপী উদ্যোগের চেয়ে এক্ষেত্রে আঞ্চলিক উদ্যোগই বেশি কার্যকর।

আমেরিকানরা প্রেসিডেন্ট বা ফেডারেল সরকারের চেয়ে তাদের স্থানীয় কর্মকর্তাদেরই বেশি বিশ্বাস করে। আর যখন প্রশ্ন জনস্বাস্থ্যের, তখন প্রকৃত ক্ষমতা চলে আসে স্থানীয় কর্মকর্তাদের হাতেই। এই ধরনের ব্যবস্থা না থাকলে আজ আমেরিকার অবস্থা হতো ব্রাজিলের মতো। সেখানকার প্রেসিডেন্টেরও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনপ্রীতি ও মাস্কের ওপর অরূচি রয়েছে।

এদিকে, আমেরিকার জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি ইউরোপের মতো হয়, তবে তাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আরও ভালো হওয়ার কথা। আর এটাই সত্য।

আমেরিকায় বেকারত্বের হার ১৫ শতাংশ, যা ইউরোপের প্রায় দ্বিগুণ। এখনও ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ কর্মীদের চাকরি ধরে রাখার চেষ্টা করছে। তবে লকডাউন শেষ হলেই সেটি হয়তো আর ধরে রাখা যাবে না। ইউরোপ সম্ভবত এক ভয়াবহ পরিস্থিতির আগমন কিছুটা বিলম্বিত করছে। সে তুলনায় আমেরিকার অবস্থা কিছু স্বস্তিদায়ক।

তবে আমেরিকাকে এখনও বহুপথ যেতে হবে। দেশটিতে এখনও যে হারে মানুষ মারা যাচ্ছে তাতে বছর শেষে আরও এক লাখ মৃত্যু দেখতে হতে পারে। এটি থেকে বাঁচতে আমেরিকাকে বর্তমানে যে ব্যবস্থা রয়েছে তা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। লকডাউন শেষে সব চালু করা ও সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে ভারসাম্য আনতে স্থানীয় রাজনীতিবিদদের প্রতি আস্থা রাখতে হবে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরাকে ইরানপন্থী মিলিশিয়া বাহিনীর ঘাঁটিতে বিমান হামলা

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে এবার হামলা হলো ইরাকের রাষ্ট্রায়ত্ত প্যারা মিলিশিয়া বাহিনীর ওপর। পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস নামে ওই প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী ইরানের মদদপুষ্ট এবং প্রধানত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে গঠিত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কালসো নামের একটি সেনাঘাঁটিতে অবস্থানরত পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের সেনাদের ওপর আকাশ থেকে বোমা হামলা হয়। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গভীর রাতে সেখানে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বিমান থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে। এতে পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেসের এক সেনা নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হিলা শহরের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস বলেছে, 'বিস্ফোরণে বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।' তবে ওই বিবৃতিতে হতাহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।  

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্র জানিয়েছে, কারা এই বিমান হামলার জন্য দায়ী তা জানা যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে। ইরাকে অবস্থানরত এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, 'ইরাকে কোনো মার্কিন সামরিক তৎপরতা ছিল না।'


ইরাক   মিলিশিয়া বাহিনী   বিমান হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ওমরাহকারীদের ফেরার তারিখ জানালো সৌদি

প্রকাশ: ০৯:২৪ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৬ জুনের মধ্যে বাইরে থেকে আসা সকল ওমরাহকারীকে সৌদি আরব ছাড়তে হবে বলে জানিয়েছে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। ওইদিন আরবি বর্ষপঞ্জিকার ১১তম মাস জিলকদের ২৯তম দিন থাকবে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, সৌদি আরব ওমরাহর জন্য যে ভিসা দিয়ে থাকে সেটির মেয়াদ থাকে ৯০ দিন। যাদের কাছে ওমরাহর ভিসা আছে তারা আগামী ১৫ জিলকদ পর্যন্ত সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পবিত্র হজের প্রস্তুতি শুরুর অংশ হিসেবে ওমরাহকারীদের সৌদি আরব ছাড়ার তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

দেশটি জানিয়েছে, ভিসা যেদিন ইস্যু করা হয় সেদিন থেকে ৯০ দিনের হিসাব শুরু হয়। যদিও অনেকে মনে করেন যেদিন সৌদিতে প্রবেশ করবেন সেদিন থেকে ভিসার মেয়াদ শুরু হয়। তাদের এ ধারণাটি ভুল। এছাড়া ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৯০ দিনের বেশি কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না। এই ভিসা অন্য ভিসা হিসেবেও পরিবর্তন করা হবে না।

জিলক্বদ মাসের পরের মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে হজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৩ তারিখ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মুসলমান হজ করার জন্য সৌদিতে সমবেত হন।

হজযাত্রীদের একটা বড় অংশ আসা শুরু করেন জিলক্বদ মাস থেকে। হজের সময় যেন হজ যাত্রীরা নির্বিঘ্নে মক্কা ও মদিনায় পৌঁছাতে পারেন এবং সেখানে অবস্থান করতে পারেন সেজন্য ওমরাহকারীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সৌদি ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


সৌদি আরব   ভিসা   হজ   জিলক্বদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রবাসী শ্রমিকদের সুখবর দিল কুয়েত

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য সুখবর দিল কুয়েত।  শ্রমিক সংকট দূরীকরণ এবং শ্রমিক নিয়োগের খরচ কমাতে বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে দেশটি। 

কুয়েতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কুয়েতের শ্রম বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে আগের পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন নিয়ম কার্যকর হবে আগামী ১ জুন থেকে।

আগের নিয়ম অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নিয়োগ দিত, বিদেশ থেকে তারা যদি কোনো শ্রমিক আনতে চাইত তাহলে কুয়েতে থাকা শ্রমিকদের মধ্য থেকেই শ্রমিক নেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। এছাড়া চাহিদার একটি নির্দিষ্ট অংশে শুধু নতুন বিদেশি শ্রমিক নিতে পারত।

এতে শ্রম ব্যয় অনেক বেড়ে যায় দেশটিতে। যার প্রভাব পড়ে ভোক্তা পর্যায়েও। এমন পরিস্থিতিতে শ্রম ব্যয় এবং শ্রমিক সংকট কমাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার।


প্রবাসী   শ্রমিক   কুয়েত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: প্রথম দফায় ভোট দিলেন ৬০ শতাংশ ভোটার

প্রকাশ: ০৮:৩৩ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দেশটির লোকসভার ৫৪৩টি আসনে মোট সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি ও সিকিমের বিধানসভার ৩২টি আসনে ভোট হয়।

এদিন এসব অঞ্চলের ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তবে মণিপুর ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। এদিকে প্রথম দফার নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ৬২ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। 


লোকসভা নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে নিহতের সংখ্যা। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। শুক্রবার হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বলছে, ইসরায়েলের হামলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪২ জন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৬৩ জন।

এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৪ হাজার ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হলেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু রয়েছেন। পাশাপাশি গাজায় আহত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ৮৩৩ জনে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া গাজা থেকে পালানোর সময় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা চালানোর খবর এসেছে। হামলা হয়েছে গাজার হাসপাতালেও।


গাজা   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন