ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিক্ষোভ থেকে বাঁচতে বাঙ্কারে লুকিয়েছিলেন ট্রাম্প!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৫৮ এএম, ০১ জুন, ২০২০


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ থেকে বাঁচতে বাঙ্কারে লুকিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার রাতে যখন হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিল সে সময়ই নিরাপত্তার কথা ভেবে ট্রাম্পকে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে বাঙ্কারে তাকে বেশিক্ষণ রাখা হয়নি। সেখানে তিনি ঘণ্টাখানেকের জন্য ছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কিছু সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছাড়াও মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এবং তাদের ছেলে ব্যারনকেও বাঙ্কারে নেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বাঙ্কারে নেওয়ার ঘটনা প্রথম প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন যে, ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউসার হোয়াইট হাউসের আশেপাশে বিক্ষোভ সামলানোর জন্য নগর পুলিশকে দায়িত্ব নেওয়ার অনুমতি দেননি। তবে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা বলছেন, ওয়াশিংটন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।

প্রসঙ্গত যে, গত সপ্তাহে পুলিশের নির্যাতনে মারা যান কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। তাকে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর  শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ-নির্বিশেষে সব শ্রেণিগোষ্ঠীর মানুষ এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে লকডাউন, কারফিউকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন। টানা ষষ্ঠ দিনের মতো চলছে এই আন্দোলন। 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বের ব্যস্ততম ১০ বিমানবন্দর

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বিশ্বের ব্যস্ততম ১০ বিমানবন্দরের তালিকা প্রকাশ করেছে এয়ারপোর্টস কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল (এসিআই)। তালিকায় স্থান পেয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারতের একটি বিমানবন্দর।

এসিআই এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রায় ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন যাত্রী উড়োজাহাজে ভ্রমণ করেছেন যা ২০২২ সালের তুলনায় ২৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। জানিয়েছে এনডিটিভি।

i.    হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: ২০২৩ সালে ১০৪ দশমিক ৬৫ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন বা এখান থেকে যাত্রা শুরু করেছেন যা ২০২২ সালের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি।

ii.    দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর : তালিকার ২ নাম্বারে থাকা দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা ছিল ৮৬ মিলিয়ন।

iii.    ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ২০২৩ সালে ৮১ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন যাত্রী নিয়ে তালিকার তৃতীয় নাম্বারে উঠে এসেছে।

iv.    হিথ্রো বিমানবন্দর- যুক্তরাজ্য: লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরটি ২০২৩ সালে ৭৯ দশমিক ২ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে।

v.    টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- জাপান: ৭৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন যাত্রী নিয়ে তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে এশিয়ার দেশ জাপানের টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি ২০২৩ সালে সবচেয়ে উন্নত বিমানবন্দরের পুরস্কারও অর্জন করে নিয়েছে। এর যাত্রী সংখ্যা ২০২২ এর তুলনায় বেড়েছে ৫৫ শতাংশ।

vi.    ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত বছর ৭৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন যাত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে।

vii.    ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর- তুরস্ক: ৭৬ মিলিয়ন যাত্রীকে স্বাগত জানিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে তুরস্কের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর।

viii.    লস এঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: ২০২৩ সালে এই বিমানবন্দরটিতে যাত্রী সংখ্যা ছিল ৭৫ মিলিয়ন।

ix.    ও’হারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- যুক্তরাষ্ট্র: শিকাগোর ও’হারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত বছর ৭৪ মিলিয়ন যাত্রীকে স্বাগত জানিয়েছে যা বিমানবন্দরটিকে তালিকার নবম স্থানে নিয়ে এসেছে।

x.    ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর- ভারত: তালিকার দশম স্থানে আছে প্রতিবেশি দেশ ভারতের ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ২০২৩ সালে এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছে বিশ্বের ৭২ দশমিক ২ মিলিয়ন যাত্রী।


বিশ্ব   ব্যস্ততম   বিমানবন্দর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার দাবি ইসরায়েলের

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শনিবার ( ১৩ এপ্রিল ) রাতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী নজিরবিহীন আক্রমণের জেরে এবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। অন্তত ৩২ দেশকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সামাজিকমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসি।

এক্স পোস্টে ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ‘আজ সকালে আমি ৩২টি দেশকে চিঠি পাঠিয়েছি এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি।’

ইরানকে প্রতিহত এবং দুর্বল করে দিতে দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীকে (আইআরজিসি) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইসরায়েল কাৎজ বলেন, আর দেরি নয়। ইরানকে এখনই থামাতে হবে।

এদিকে, এই হামলাটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য ভীষন প্রয়োজন ছিল। আমি বিশ্বাস করি, ইসরায়েল এবং ইরান পরস্পর ভাইয়ের মতো, যাদের অভিভাবক হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ঝগড়া-বিবাদের ওপর নজর রাখছে ওয়াশিংটন। কেবল তখনই হস্তক্ষেপ করবে যখন তারা একে অন্যের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হয়ে উঠবে।

গত কয়েক মাস ধরে, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতি অন্ধ সমর্থনের কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এটি সহ্য করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। ইসরায়েলের মতো দখলদার রাষ্ট্রের প্রতি সমর্থন এবং এর যুদ্ধাপরাধের প্রতি ন্যায্যতা অব্যাহত রাখতে একটি নতুন অজুহাত খুঁজে ফিরছিল যুক্তরাষ্ট্র।

গাজায় চলমান গণহত্যার মতো অপরাধ লুকাতে এবং বিশ্ববাসীর মনোযোগ ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে ইরানের হামলা পরোক্ষভাবে উপকারে এসেছে তেল আবিবের। সেই সঙ্গে আরব দেশগুলোকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে ইসরায়েলই নয় তাদের প্রচ্ছন্ন শত্রু হচ্ছে ইরান। তেহরানের বড় ধরনের সামরিক শক্তি যেকোন আরব রাষ্ট্রকেও অস্তিত্ব সংকটে ফেলে দিতে পারে।

এ প্রসঙ্গে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। তার সরকার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার জবাবে সামরিক প্রতিক্রিয়ার কথা বিবেচনা করছে।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রথমবারের মতো ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় ‘সীমিত’ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে ইসরায়েল। ইরানের বাইরে ইরান-সমর্থিত শক্তিগুলোর ওপর হামলা চালাতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের চার কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ। গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান।

সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দামেস্কে গত ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।


ইরান   নিষেধাজ্ঞা   ইসরায়েলের  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের হামলা, ইসরায়েলকে সহায়তা করায় জর্ডানে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গত শনিবার ( ১৩ এপ্রিল ) ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। এ হামলায় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহায়তা করে জর্ডান। এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে দেশটির নাগরিকরা।

হুসেইন নামে দেশটির একজন রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত। বিপদের আশঙ্কা থাকায় তিনি তার পুরো নাম উল্লেখ করতে চাননি৷

তিনি আরও বলেন, গাজায় এখন যা ঘটছে তার পেছনে ইরানের বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করি। এজন্য ইরানকে আমরা সমর্থন করি না। তবে গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন যে-কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে আমরা আছি।

মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই৷ কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি৷

আম্মানের সামরিক বিশ্লেষক মাহমুদ রিদাসাদ বলেন, জর্ডান যা করেছে তা ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য নয় বরং জর্ডানের সার্বভৌমত্ব এবং আকাশসীমা রক্ষার জন্য করা হয়েছে। কারণ ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় পড়বে তা জানা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

এদিকে জর্ডান সহায়তা করেছে বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমে খুশির খবর প্রকাশ সম্পর্কে রিদাসাদ বলেন, এটা ইসরায়েলের প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয়৷


ইরান   হামলা   ইসরায়েল   সহায়তা   জর্ডান   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কাশ্মীরের ঝিলাম নদী পার হতে গিয়ে নৌকাডুবে নিহত ৪

প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের কাশ্মীরের ঝিলাম নদী পার হতে গিয়ে, স্কুলে শিশুসহ নৌকা ডুবে নিহত হয়েছে চার জন। এছাড়াও আহত হয়েছে তিন জন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য দেয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালের দিকে কাশ্মীরের শ্রীনগরের ঝিলাম নদী পার হতে গিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাটিতে বেশ কয়েকজন শিশুও ছিল। নৌকাটিতে করে স্কুলে যাচ্ছিল শিশুরা। সবমিলিয়ে নৌকাটিতে ১৫ জন নিখোঁজ।

কাশ্মীর উপত্যকায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে ঝিলাম নদী বর্তমানে পানিতে ভরপুর অবস্থায় আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নৌকাটি নিয়ন্ত্রণ করতে দাঁড় ব্যবহার করা হলেও, তীব্র স্রোতের কারণে তা কাজে আসেনি। ফলে নৌকাটি ভেসে যায়।


কাশ্মীর   ঝিলাম নদী   নৌকাডুবে   নিহত ৪  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কুয়ালালামপুরের ফ্ল্যাটে মিললো ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জয়ের মরদেহ

প্রকাশ: ০৪:২১ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের তালিকায় তিনি ছিলেন ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী। এতদিন ভিন্ন নামে আত্মগোপনে ছিলেন মালয়েশিয়ায়। সেই খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে কুয়ালালামপুরের একটি বদ্ধ ফ্ল্যাট থেকে। ১২ এপ্রিল একটি অ্যাপার্টমেন্টের দরজার তালা ভেঙে পুডু থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সেখানেই দাফন করা হয়েছে জয়কে। এতদিন তারেক রানা নামে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন তিনি।

জয় অনেক দিন ধরে কুয়ালালামপুরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে একা বসবাস করছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি কিডনী রোগে আক্রান্ত হন। তাকে ডায়ালাইসিস করাতে হতো নিয়মিত। ওই অ্যাপার্টমেন্টে একজন গৃহকর্মী দুদিন পরপর এসে রান্না ও ঘর পরিষ্কার করে চলে যেতেন।

১২ এপ্রিল সকালে ওই গৃহকর্মী অ্যাপার্টমেন্টে এসে কলিংবেল বাজানোর পরও কোনো সাড়া না পেলে বিষয়টি নিরাপত্তাকর্মীদের জানান। তারাও ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।

হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, জয়ের বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কুয়ালালামপুরে এসে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসে ভাইয়ের মরদেহ নেয়ার জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দূতাবাস তাকে এনওসি দেয়। সেটা হাসপাতালে জমা দিয়ে তিনি মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দাফন করেন।

নব্বই দশকের ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ লিয়াকত–হান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে আলোচিত হন তানভীর ইসলাম জয়। কলাবাগানের ধনাঢ্য পরিবারের এই সন্তান সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের সঙ্গে মিলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। সে সময় তাদের গ্রুপটি পুলিশের কাছে সেভেন স্টার নামে পরিচিতি পায়। জয়ের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাকাণ্ড, দুটি হত্যাচেষ্টা, ভয়ংকর অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম এবং চাঁদার জন্য শারীরিক ক্ষতির হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা ছিল।

২০০০ সালে জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় তারেক রানা নামে পাসপোর্ট করে ২০০১ সালে মালয়েশিয়া চলে যান। আবার ভারতে ফিরে আসেন। ভারতে থাকার সময় তার নামসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর পোস্টার প্রকাশ করে পুলিশ।

২০০৫ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে ইন্টারপোল ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করে জয়ের বিরুদ্ধে। ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফতাব আহমেদ খুনের ঘটনায় তার নাম আসে। ২০০৭ সালে রাজধানীর গড গিফট ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিতে গোলাগুলির ঘটনায়ও তার জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।

২০০৭ সালে ভারতে অবস্থানের সময় সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে। সেখানে কিছুদিন জেল খেটে বেরিয়ে চলে যান কানাডায়। পরে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর তিনি মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন।


কুয়ালালামপুর   ফ্ল্যাট   মোস্ট ওয়ান্টেড   জয়ের মরদেহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন