নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ০১ জুন, ২০২০
২০১৬ সালের জুন মাসে অভীক সরকারের ইস্তফার পর আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক হন অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়। প্রায় চার বছরের মাথায় ৩১ মে ২০২০, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হলেন ঈশানী দত্ত রায়।
কিন্তু অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় কেন বাংলার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক থেকে আচমকা ইস্তফা দিলেন, তা নিয়ে রবিবার দুপুরের পর সরগরম কলকাতার সংবাদমাধ্যম জগৎ। যদিও আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে মে মাসের শেষ তিন-চার দিন কলকাতার মিডিয়ায় নানা গুজব ছড়িয়েছে। যে গুজবের সূত্রপাত ২৮ মে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের একটি ট্যুইট থেকে। কলকাতা পুলিশ কেন আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদককে সমন করেছে, তা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে জানতে চান তিনি।
এই ট্যুইটের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে জল্পনা শুরু হয়, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়কে হেয়ার স্ট্রিট থানায় ছ’ঘণ্টা বসিয়ে রেখেছে পুলিশ। ৩০ মে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রর একটি ট্যুইট এই জল্পনায় নতুন মাত্রা যোগ করে। সূর্যকান্ত মিশ্র ট্যুইট করে আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ এনে প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
শনিবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের এই ট্যুইটের পর থেকে গুজব ছড়াতে শুরু করে, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই জল্পনার মাঝেই ৩১ মে, আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কেন? অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফার দুটি সম্ভাব্য কারণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এক, পত্রিকায় ব্যাপক ছাঁটাই। দুই, পুলিশের সমন।
সংস্থায় ছাঁটাই বন্ধ করতে না পারা
কোভিড পরিস্থিতির পর গোটা ভারতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বেতন কমানো এবং ছাঁটাইয়ের খবর প্রকাশ্যে এলেও, আনন্দবাজার পত্রিকাও যে একই অবস্থান নিয়েছে তা গত দু’মাসে সেভাবে আলোচিত হয়নি। অথচ ওয়াকিবহাল মহল জানেন, আনন্দবাজার পত্রিকা কর্তৃপক্ষ এপ্রিল মাসের শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছিল, এ বছর কোনও ইনক্রিমেন্ট, প্রমোশন হবে না। তারপর কর্মীদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কেটে নেওয়া হয় কর্মীদের একাংশের। এপ্রিলে এই জোড়া ধাক্কার পরও আনন্দবাজার কর্মীদের সামনে কী অপেক্ষা করছে তা মে মাসের শুরুতেও বোঝা যায়নি। মে মাসের ১৯-২০ তারিখ থেকে আনন্দবাজার গোষ্ঠীতে শুরু হয় ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই। বন্ধ করা হয় দ্য টেলিগ্রাফের উত্তর-পূর্ব ও ঝাড়খণ্ড সংস্করণ। বিভিন্ন সূত্র মারফত যা হিসেব, তাতে মে মাসের শেষে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে ছাঁটাই করেছে আনন্দবাজার গোষ্ঠী। কিন্তু সেটাই শেষ নয়। এবার ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে। আনন্দবাজার পত্রিকা সূত্রের খবর, এই ছাঁটাইয়ের ইস্যুতে সম্পাদক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাতের শুরু কর্তৃপক্ষের।
সূত্রের খবর, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আনন্দবাজার গোষ্ঠীর বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের মিটিংয়ে এই ছাঁটাইয়ের বিরোধিতা করেছিলেন অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেই বিরোধিতায় কর্তৃপক্ষ কান দেননি। বরং তার দু’দিন পর থেকেই ছাঁটাই শুরু হয়। এরই মধ্যে আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে অন্তত ৪০-৪৫ জনকে কমাতে হবে বলে নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর হাত দিয়ে এত সাংবাদিককে ছাঁটাই করা হবে, তা মানতে পারেননি সম্পাদক। আনন্দবাজার পত্রিকা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই সম্পাদকীয় বিভাগে অন্তত ১৫-১৮ জনের চাকরি যেতে পারে। কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগেই সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়।
কেন পুলিশের সমন, সত্যিই কী ঘটেছে?
এপ্রিল মাসের শুরুতে আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি খবর প্রকাশিত হয়, সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের যথেষ্ট পরিমাণে পিপিই দেওয়া হয়নি। এই খবর ঠিক নয় বলে স্বরাষ্ট্র দফতরকে জানায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এরপর নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ এপ্রিল আনন্দবাজার পত্রিকার বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩/১৮২/৫০৪/৫০৫(১)/ ৫০৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার সূত্র ধরে প্রায় ৫০ দিন পর ২৫ মে হেয়ার স্ট্রিট থানা আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদককে ডেকে পাঠায়। তিন দিনের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয় থানায়।
কিন্তু নির্দিষ্ট তিন দিনের মধ্যে অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় থানায় হাজিরা দেননি। তাঁকে থানায় বসিয়ে জেরা করা হয়েছে বা গ্রেফতার করা হয়েছে বলে যে জল্পনা, গুজব ছড়াতে শুরু করে, তা ঠিক নয়। ২৯ মে অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসিকে একটি চিঠি দেন। তাতে লেখেন, তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। তাছাড়া তিনি সিনিয়র সিটিজেন, তাঁর ৬২ বছর বয়স এবং চিকিৎসক পরামর্শ দিয়েছেন, এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে তাঁকে পাবলিক প্লেসে না যেতে।
চিঠির সঙ্গে চিকিৎসকের সার্টিফিকেটও দেন তিনি। চিকিৎসক লেখেন, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের হাইপারটেনশন রয়েছে, ১৫ বছর ধরে তিনি চিকিৎসাধীন।
ভিত্তিহীন খবরের অভিযোগে আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদককে থানায় ডেকে পাঠানো, হাজির না হয়ে তাঁর হাইকোর্টে আবেদন করা, চিঠি দিয়ে থানায় যেতে না পারার কারণ জানানোর গোটা প্রক্রিয়ায় পুলিশ আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
কিন্তু প্রশ্ন, হঠাৎ কেন ইস্তফা দিলেন আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক? সংস্থায় ছাঁটাই বন্ধ করতে, না পুলিশের সমন? না অন্য কোনও কারণ, তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু এটা বলাই যায়, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রায় লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা সম্পাদককে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে কলকাতার সংবাদমাধ্যম থেকে রাজ্যপাল এবং রাজনৈতিক মহলে যে চর্চা হয়েছে, তা নজিরবিহীন। উঠে এসেছে মমতা ব্যানার্জির নামও। তারও ক্ষোভ রয়েছে এই বামপন্থী সম্পাদকের ওপর। সেই প্রেক্ষিতে মমতার নির্দেশ কিংবা কলকাঠি নাড়াতেও অনির্বাণ বাধ্য হয় ইস্তফা দিতে এমন কথাও শোনা যায়।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ইরান ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।
পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।'
তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।
অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়।
আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩ আসনও।
ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে।
পশ্চিমবঙ্গের যে তিন আসনে ভোট শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়।
জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ।
আলিপুরদুয়ারে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজারের বেশি। রাজ্যে আরও রয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার ১ হাজার ৮৩৭ ভোটারও।
আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৮৩৭টি।
এবারের ভোটকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলো। নিয়োগ করা হয়েছে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছেন ১২ হাজার ৩১০ রাজ্য পুলিশ সদস্য। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
অন্য আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নীতিন গড়করি, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সেনেওয়াল, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সঞ্জীব বালিওয়ান এবং এল মুরুগান।
লোকসভা নির্বাচন ভোট লোকসভা পশ্চিমবঙ্গ
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।