নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৫ পিএম, ২৯ জুন, ২০২০
বাংলাদেশি বেশ কিছু পণ্যে চীন শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ায় সেটাকে ‘খয়রাতি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল ভারতের মিডিয়া। এবার দেখা যাচ্ছে, বাণিজ্য সুবিধা নয়, বরং সরাসরি ভারতকে দান অর্থাৎ ‘খয়রাতি’ই দিয়েছে চীন। সেটাও আবার চীন-ভারত টানটান উত্তেজনার মধ্যে।
খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘পিএম কেয়ার ফান্ডে’ চীনা অনুদান রয়েছে বলে জানা গেছে। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২০ মে পর্যন্ত বিতর্কিত তহবিলে ৯ হাজার ৬৭৬ কোটি রুপি গ্রহণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে চীনের সংস্থাগুলোর থেকেও অনুদান গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হুয়াওয়ের কাছ থেকে ৭ কোটি রুপি, ৩৮ শতাংশ চীনা মালিকানাধীন Paytm এর কাছ থেকে ১০০ কোটি রুপি, শাওমির কাছ থেকে ১৫ কোটি রুপি, অপ্পোর কাছ থেকে ১ কোটি রুপি। যেই চীন ভারতের ২০জন সেনা সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে সেই দেশের কোম্পানির কাছ থেকেই নরেন্দ্র মোদির এই দান গ্রহণ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীদল কংগ্রেস।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম বলছে, দিন কয়েক আগে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে চীনা অনুদান নেওয়ার অভিযোগ এনে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছিল ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। এর রেশ ধরে এবার বিজেপি শিবিরকে পাল্টা আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। এ ক্ষেত্রে তাদের অস্ত্র ‘প্রধানমন্ত্রী কেয়ার ফান্ড’।
কংগ্রেসের দাবি, এই তহবিলে কয়েক কোটি টাকা ঢেলেছে চীনের বিভিন্ন সংস্থা। চীনের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘দুর্বলতা’ আছে বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
কংগ্রেসের তোলা এই অভিযোগ সম্পর্কে বিজেপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে দলের কয়েকজন নেতা বলছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে পিএম কেয়ার ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। ফলে এই ধরনের তহবিলে আর্থিক অনুদান আর রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনুদান এক জিনিস নয়। ওই ফাউন্ডেশন সোনিয়া গান্ধী এবং গান্ধী পরিবার পরিচালনা করে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, এক দেশ অন্য দেশকে বিভিন্ন কারণে বাণিজ্য সুবিধা দেয়। সেটাকে ‘খয়রাতি’ বলাটা রীতিমতো বোকামী। ভারতের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সেই কাজটিই করেছে। অন্যদিকে চীনের বিভিন্ন সংস্থা মোদির তহবিলে অনুদান দিয়েছে, সেটি অবশ্যই বাণিজ্য সুবিধা নয়। এটা হলো দান।
মোদির এই দান গ্রহণ নিয়ে এখন ভারতেই শোরগোল পড়ে গেছে। আর বাংলাদেশেও এ নিয়ে পাল্টা আওয়াজ উঠছে যে, বাণিজ্য সুবিধা যদি ‘খয়রাতি’ হয়ে থাকে, তাহলে কোটি কোটি ডলারের অনুদানকে কী বলা হবে?
ভারতে অনেকেই এখন আরেকটি প্রশ্ন নিয়ে সরব হচ্ছেন। তা হলো- লাদাখে তো বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই চীন-ভারত উত্তেজনা দানা বাঁধছিল। দুই দেশের সেনারা হাতাহাতিতেও জড়িয়েছিল। এর মধ্যেই চীনা কোম্পানি কেন মোদির তহবিলে অনুদান দিল? মোদিই বা কেন তা গ্রহণ করলেন? তবে কি মোদির সঙ্গে চীনের গোপন আঁতাত আছে?
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিক জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ইরান ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপনাস্ত্র হামলা
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম বাসন্তী দাস। তিনি শুক্রবার সকাল সকাল চলে গিয়েছিলেন ভোট দিতে। কিন্তু, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে শুনলেন তিনি নাকি মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে দেওয়া হবে না তাকে। কাগজে-কলমে তিনি মৃত। তাই ভোটাধিকার নেই।
পরে অশ্রুসজল চোখ নিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে আসেন বাসন্তী দাস নামে ওই বৃদ্ধা। এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীদের। এদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই, ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে।
ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, 'মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখান থেকে বলেছে- তোমার নাম নেই, তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায়- নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে। আমরা পরে বুঝে নেব।'
তিনি আরও বলেন, মা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। তারপরেও ভোট দিতে পারেনি। আমরা তো প্রতিবার তো এখানেই ভোট দিই। এবারে কী হলো জানি না।
অন্যদিকে অশ্রুসজল চোখে বাসন্তী দেবী বলেন, 'আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা প্রশাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে- আমি মরে গিয়েছি। আমি তো প্রতিবারই ভোট দিই। কিন্তু, এবার পারলাম না।'
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন- জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটায় শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ। শেষ হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়।
আজ শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোট। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ১০২টি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। এর মধ্যে রয়েছে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩ আসনও।
ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে।
পশ্চিমবঙ্গের যে তিন আসনে ভোট শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার। কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী ও বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়।
জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ।
আলিপুরদুয়ারে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
এবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজারের বেশি। রাজ্যে আরও রয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার ১ হাজার ৮৩৭ ভোটারও।
আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র ৮৩৭টি।
এবারের ভোটকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলো। নিয়োগ করা হয়েছে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য। প্রতিটি কেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছেন ১২ হাজার ৩১০ রাজ্য পুলিশ সদস্য। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর কেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রথম পর্বের ভোটের দিন আজ নির্ধারিত হবে ভারতের আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাগ্যও। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের। নিশীথ দাঁড়িয়েছেন কোচবিহার আসনে। এ আসনেরই সংসদ সদস্য তিনি।
অন্য আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেন নীতিন গড়করি, কিরেন রিজিজু, ভূপেন্দ্র যাদব, সর্বানন্দ সেনেওয়াল, জিতেন্দ্র সিং, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, সঞ্জীব বালিওয়ান এবং এল মুরুগান।
লোকসভা নির্বাচন ভোট লোকসভা পশ্চিমবঙ্গ
মন্তব্য করুন
চলছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে গিয়ে এক বৃদ্ধা শুনেছেন- তিনি মারা গেছেন, আর ভোট দিতে না পেরে নিরাশ তিনি। কাগজে-কলমে মৃত হওয়ায় বাস্তবে জীবিত এই ভোটারের ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ার এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিভি৯ বাংলা।