নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৮ এএম, ০৬ জুলাই, ২০২০
ইরানে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কয়েকটি জায়গায় আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে বৃহস্পরিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্রে আগুন লেগে `ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি` হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পারমাণবিক কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র। তিনি বলেন, নাতানজে পারমাণবিক কেন্দ্রের আগুনের কারণ তারা জানতে পেরেছেন, যদিও এর বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি। তবে আগুনে যেসব যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে সেগুলোর জায়গায় আরও উন্নত যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পারমাণবিক কেন্দ্রটির সেন্ট্রিফিউজ সংযোজন ওয়ার্কশপে আগুন লেগেছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে ইরানের কর্মকর্তারা এ দুর্ঘটনার জন্য সাইবার নাশকতাকে দায়ী করছেন।
প্রসঙ্গত, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এটি রিয়েক্টর এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়।
ইরানের অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি বলেছেন নিরাপত্তাজনিত কারণে কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন না। "এ ঘটনায় উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি," বলেন তিনি।
কামালভান্দি বলছেন, "এ ঘটনা অ্যাডভান্সড সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন ও উন্নয়নের গতিকে ধীর করতে পারে... ইরান ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের জায়গায় আরও বড় ভবন করবে যাতে আরও আধুনিক উপকরণ সংযোজিত হবে"।
নির্মাণাধীন একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল শেডে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে প্রকাশ করা একটি ছবিতে দেখা যায় ভবনটি আগুনে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। পরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্লেষকরা এটিকে নতুন সেন্ট্রিফিউজ সংযোজন কারখানা হিসেবে শনাক্ত করেন।
পারচিন মিলিটারি কমপ্লেক্সের কাছে বিস্ফোরণের ছয়দিন পর নাতানজের আগুনের ঘটনা ঘটে।
ইরান কর্তৃপক্ষ সেখানে গ্যাস ট্যাংক বিস্ফোরণের কথা জানিয়েছে, কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন স্যাটেলাইটে তোলা ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে যে এর কাছে মিসাইল উৎপাদন কেন্দ্র আছে।
পারচিন তেহরানের কাছেই একটি জায়গা। পশ্চিমা শক্তিগুলো এটিকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মনে করে।
ইরান বরাবরই তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ দাবি করে। এদিকে রোববার কর্মকর্তারা জানায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহভাজে একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
তেহরান থেকে প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দক্ষিণে নাতানজ এবং এখানেই ইরানের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সাইট।
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে দেখা গেছে ইরান সম্মত হয়েছিলো যে কম মাত্রার ইউরেনিয়াম উৎপাদন করবে যা পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য তেল উৎপাদন করবে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর গত বছর ইরান এই চুক্তি থেকে সরে আসে। এরপর ইরান নাতানজে অ্যাডভান্সড সেন্ট্রিফিউজ দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে জানায়।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের সরকারের সঙ্গে গুগলের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তির বিরোধিতা করায় আরও ২০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে গুগল। এ নিয়ে সব মিলিয়ে ৫০ জন কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।
‘প্রজেক্টি নিম্বাস’ নামের ১২০ কোটি ডলারের এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্লাউড সেবা প্রদান করবে গুগল।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার গুগলের কার্যালয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছেন নো টেক ফর দ্য অ্যাপার্থাইড’ শীর্ষক এই গোষ্ঠীর প্রতিবাদকারীরা। গত সোমবার তারা এক বিবৃতিতে জানান, গুগল আরও ২০ জন কর্মী ছাঁটাই করেছে। এর আগের সপ্তাহে আরও ৩০ জন কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছিল।
নো টেক ফর দ্য অ্যাপার্থাইডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের অনেকেই প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেননি, বরং তারা পাশে দাঁড়িয়ে এই সমাবেশ দেখেছেন। কর্মক্ষেত্রের এসব তৎপরতায় তাদের অংশগ্রহণও তেমন একটা নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এভাবে কর্মীদের চাকরিচ্যুত করার মধ্য দিয়ে গুগলের মতো মহিরুহ প্রযুক্তি কোম্পানি আগ্রাসী ও প্রতিশোধমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
সিএনএনকে দেওয়া এক বিবৃতিতে গুগলের মুখপাত্র বলেছেন, সেদিনের প্রতিবাদ বিক্ষোভের কারণ আরও বেশ কিছু কর্মীর চাকরি গেছে, তা ঠিক। তবে ওই মুখপাত্র নিশ্চিত করে বলেননি, এ দফায় কতজন চাকরি হারিয়েছেন।
গুগলের সিইইউ সুন্দর পিচাই এই ঘটনার পর কর্মীদের কাছে একটি মেমো পাঠিয়েছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কাজে বিঘ্ন ঘটানোর জায়গা গুগল নয়। তিনি কর্মীদের আরও বলেন, তারা হলেন একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ফলে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য তারা নীতি অনুযায়ী সবই করবেন।
ইসরায়েল চুক্তি বিরোধিতা গুগল ২০ কর্মী ছাঁটাই
মন্তব্য করুন
‘অনাহারে’দিন কাটছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার অর্ধেক জনসংখ্যার। আর চরম এই খাদ্য সংকটের মাঝে তাদের যে সাহায্যটুকু দেওয়া হচ্ছে তা বিশাল সমুদ্রে এক ফোঁটা পানির মতো বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডব্লিউএফপি বলেছে- গাজার জনসংখ্যার অর্ধেক, আনুমানিক ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষ অনাহারে রয়েছে।
সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে বলেছে, ডব্লিউএফপি যখন প্রতি মাসে গাজায় ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে, তখন প্রয়োজন এতটাই তীব্র যে- এই ধরনের প্রচেষ্টা ‘প্রয়োজনের তুলনায় সাগরে এক ফোঁটা পানির মতো’।
এদিকে জাতিসংঘের খাদ্য ত্রাণ সংস্থাও বলেছে, অবিলম্বে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।
গাজা অর্ধেক মানুষ অনাহার জাতিসংঘ
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলার প্রেক্ষাপটে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। আদালতের সমন জারির পর তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল, কলম্বিয়াসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কাম্পাসেও গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
গাজা যুদ্ধ প্রতিবাদ নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় আটক ১৩৩
মন্তব্য করুন
আমেরিকার উত্তরাঞ্চলীয় আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে একটি কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দু’জন মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডগলাস ডিসি-৪ নামের ওই কার্গো প্লেনটি মঙ্গলবার ( ২৩ এপ্রিল ) ফেয়ারব্যাঙ্কস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পরই বিধ্বস্ত হয়।
আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্লেনটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টার কিছুক্ষণ আগে উড্ডয়ন করে এবং এর কিছুক্ষণ পরেই তানানা নদীর কাছে এটি বিধ্বস্ত হয়।
ওই অঙ্গরাজ্যের জননিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, প্লেনটি নদীর তীরে একটি খাড়া পাহাড়ের ওপর বিধ্বস্ত হওয়ার পর এতে আগুন ধরে যায়।
ওই দুর্ঘটনায় কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।
কী কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দ্য ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (এফএএ)।
উল্লেখ্য, ডগলাস ডিসি-৪ মডেলের এই প্লেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার। বিশ্বে এ ধরনের অল্প কিছু প্লেন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় খান ইউনিস শহরের একটি হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই কবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কবর খোঁড়ার কাজ এখনো চলছে। এতগুলো মরদেহ দেখে হতবাক করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে। খবর সিএনএনের।
খান ইউনিসের বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের পরিচালক কর্নেল ইয়ামেন আবু সুলেমান জানিয়েছেন, গত শনিবার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এই গণকবর থেকে সোমবার আরও ৭৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ২৮৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আল শিফা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আরেকটি গণকবরে পাওয়া গেছে ৩০টি মরদেহ।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি মরদেহের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারও গায়ে মাঠেই ফাঁসি দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া তাদের জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তা আমরা জানি না। বেশিরভাগ লাশই পচে গেছে।
এর আগে খান ইউনিস বেসরকারি প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র এবং এই অনুসন্ধান মিশনের প্রধান রায়েদ সাকার বলেছিলেন, গত ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর তারা আরও ৪০০ নিখোঁজ মানুষের মরদেহের সন্ধান করছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরদেহগুলো বর্জ্যের স্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল। তাদের মধ্যে নারী ও বয়স্ক মানুষও ছিল।
গাজার হাসপাতালে শত শত লাশের গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবর আতঙ্কিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিনি বলেছেন, গাজায় নাসের এবং আল-শিফা হাসপাতাল ধ্বংস করা এবং সেখানে শত শত মরদেহ গণকবর দেওয়ার প্রতিবেদন দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত আমি।
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল দক্ষিণ গাজার এই শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। শহরে থেকে ইসরায়েলি সেনারা চলে যাওয়ার পরই এই গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়।
চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকায় তীব্র বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াইও হয়েছে। এসব কারণে এলাকাটি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে যে, তারা ইসরায়েলে জিম্মি শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গাজা থেকে কয়েক ডজন মরদেহ সরিয়েছে।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের সরকারের সঙ্গে গুগলের ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তির বিরোধিতা করায় আরও ২০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে গুগল। এ নিয়ে সব মিলিয়ে ৫০ জন কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। ‘প্রজেক্টি নিম্বাস’ নামের ১২০ কোটি ডলারের এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্লাউড সেবা প্রদান করবে গুগল।