ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সাড়া দিচ্ছেন না প্রণব মুখার্জী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৪৭ পিএম, ১২ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

দিল্লির আর্মি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির অবস্থা সংকটজনক। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না। হাসপাতালের চিকিৎসকরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানান। এ খবর শুনে দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান প্রণব মুখার্জির ছেলে অভিজিত মুখার্জি ও মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জি।

সোমবার রাতে প্রণব মুখার্জির মস্তিষ্কে জটিল অস্ত্রোপচার হয়। এরপর তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে অভিজিৎ মুখার্জি জানিয়েছিলেন, তার বাবার মস্তিষ্কে জমে থাকা রক্ত সরাতে অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তবে আগামী ৯৬ ঘণ্টা সাবেক রাষ্ট্রপতি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই থাকবেন। প্রতি ঘণ্টায় তার মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ করবে বিশেষজ্ঞ টিম।

প্রণব মুখার্জির স্বাস্থ্যের খবর নিতে সোমবার রাতে হাসপাতালে যান ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এদিন টেলিফোনে সাবেক রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্যের খবর নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।

উল্লেখ্য, মস্তিষ্কের এ অস্ত্রোপচারের কারণে কোভিড পরীক্ষা করতে গিয়েই দেখা যায় প্রণব মুখার্জির করোনা পজিটিভ। করোনা সংক্রমিত অবস্থায়ই তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। বাড়ির বাথরুমে রোববার রাতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান প্রণব মুখার্জি। রক্তপাত না হলেও সোমবার সকাল থেকে স্নায়ুঘটিত সমস্যা দেখা দেয় তার। বাঁ-হাত নাড়াচাড়া করতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে আর্মি হসপিটাল রিসার্চ অ্যান্ড রেফারালে ভর্তি হন। এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, আঘাত পাওয়ার ফলে তার মাথার ভেতর রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অস্ত্রোপচারের আগে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, শরীরে দানা বেঁধেছে কোভিড-১৯। তিনি ডায়াবেটিসের রোগী। তাই তার ওপর নজর রাখতে ডা. সিমরন কাশ্যপের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রণব মুখার্জির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মঙ্গলবার প্রণব মুখার্জির অফিসে পাঠানো এক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি ১৯৭৩-৭৪ সালে ভারতের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তার সঙ্গে আমার সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আমার প্রথম সফর ছিল ভারতে। তখন আমি সস্ত্রীক তার সরকারি বাসভবনে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসার অনুরোধ করেছিলাম। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি প্রত্যাশা করি, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবেন।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনিবন্ধিত অনলাইন!

প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা (সাংবাদিক) বলছেন নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনারাই বলছেন কিছুটা দরকার ডিসিপ্লিনের জন্য। স্বাধীনতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা লিমিটলেস। যে কারণে কিছুটা ডিসিপ্লিনের অভাবও হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরেও অনেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন। এখানে গণমাধ্যম এতোটাই মুক্ত, উন্মুক্ত এবং স্বাধীন যে, নিবন্ধন ছাড়াও চলতে পারে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাগত সাংবাদিকরাই বলছেন, এটা করা দরকার। কিন্তু আমরা এগুলো করি না। যেটা প্রমাণ করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। এটা মুক্ত না, উন্মুক্ত।

তিনি বলেন, একটা ডিসিপ্লিন আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট (এগিয়ে) করার জন্য।

তিনি বলেন, অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়। এটা একটা ভালো দিক— সাংবাদিক মহলই চাচ্ছেন একটি শৃঙ্খল ডিসিপ্লিনযুক্ত সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে আপনাদের সাথে একমত।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, তবে একইসাথে আমি মনে করি, নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির প্রশ্ন আসে না। আমরা এগুলোর পক্ষে না, আমরা করতে চাই না। আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি না। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের এখন ৪২৬টি নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল আছে। এরমধ্যে ২১৩টির মূলধারার গণমাধ্যমে আছে—ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। আর ২১৩টি কেবল অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আরও কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।

তিনি জানান, নতুন কেউ অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিয়ে আসতে চাইলে তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সময় দেওয়া দরকার। আর যারা অনিবন্ধিত, আমি মনে করি, অবৈধভাবে কোনো কিছু সঠিক না, তারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবো। আর এটা আপনাদের (সাংবাদিক) দাবি। আমি কিন্তু বলছি না। কাজেই আমি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমি চাই না, সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি ঘোষণা দিলাম যে, অনিবন্ধিত অনলাইন বন্ধ করে দেবো, কালকে হেডলাইন করে পরের দিন আলাপ হবে, সরকার তো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরছে। সেটা আমি চাই না। সাংবাদিকরাই এমনটা বলছেন।


বন্ধ   অনিবন্ধিত   অনলাইন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের হামলা, ইসরায়েলকে সহায়তা করায় জর্ডানে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গত শনিবার ( ১৩ এপ্রিল ) ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। এ হামলায় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহায়তা করে জর্ডান। এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে দেশটির নাগরিকরা।

হুসেইন নামে দেশটির একজন রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, ‘জর্ডান যেভাবে ইসরায়েলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত। বিপদের আশঙ্কা থাকায় তিনি তার পুরো নাম উল্লেখ করতে চাননি৷

তিনি আরও বলেন, গাজায় এখন যা ঘটছে তার পেছনে ইরানের বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করি। এজন্য ইরানকে আমরা সমর্থন করি না। তবে গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন যে-কোনো পদক্ষেপের সঙ্গে আমরা আছি।

মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই৷ কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি৷

আম্মানের সামরিক বিশ্লেষক মাহমুদ রিদাসাদ বলেন, জর্ডান যা করেছে তা ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য নয় বরং জর্ডানের সার্বভৌমত্ব এবং আকাশসীমা রক্ষার জন্য করা হয়েছে। কারণ ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র কোথায় পড়বে তা জানা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

এদিকে জর্ডান সহায়তা করেছে বলে ইসরায়েলের গণমাধ্যমে খুশির খবর প্রকাশ সম্পর্কে রিদাসাদ বলেন, এটা ইসরায়েলের প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয়৷


ইরান   হামলা   ইসরায়েল   সহায়তা   জর্ডান   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কাশ্মীরের ঝিলাম নদী পার হতে গিয়ে নৌকাডুবে নিহত ৪

প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের কাশ্মীরের ঝিলাম নদী পার হতে গিয়ে, স্কুলে শিশুসহ নৌকা ডুবে নিহত হয়েছে চার জন। এছাড়াও আহত হয়েছে তিন জন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য দেয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালের দিকে কাশ্মীরের শ্রীনগরের ঝিলাম নদী পার হতে গিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাটিতে বেশ কয়েকজন শিশুও ছিল। নৌকাটিতে করে স্কুলে যাচ্ছিল শিশুরা। সবমিলিয়ে নৌকাটিতে ১৫ জন নিখোঁজ।

কাশ্মীর উপত্যকায় টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে ঝিলাম নদী বর্তমানে পানিতে ভরপুর অবস্থায় আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নৌকাটি নিয়ন্ত্রণ করতে দাঁড় ব্যবহার করা হলেও, তীব্র স্রোতের কারণে তা কাজে আসেনি। ফলে নৌকাটি ভেসে যায়।


কাশ্মীর   ঝিলাম নদী   নৌকাডুবে   নিহত ৪  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কুয়ালালামপুরের ফ্ল্যাটে মিললো ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জয়ের মরদেহ

প্রকাশ: ০৪:২১ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের তালিকায় তিনি ছিলেন ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী। এতদিন ভিন্ন নামে আত্মগোপনে ছিলেন মালয়েশিয়ায়। সেই খোন্দকার তানভীর ইসলাম জয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে কুয়ালালামপুরের একটি বদ্ধ ফ্ল্যাট থেকে। ১২ এপ্রিল একটি অ্যাপার্টমেন্টের দরজার তালা ভেঙে পুডু থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সেখানেই দাফন করা হয়েছে জয়কে। এতদিন তারেক রানা নামে ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন তিনি।

জয় অনেক দিন ধরে কুয়ালালামপুরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে একা বসবাস করছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি কিডনী রোগে আক্রান্ত হন। তাকে ডায়ালাইসিস করাতে হতো নিয়মিত। ওই অ্যাপার্টমেন্টে একজন গৃহকর্মী দুদিন পরপর এসে রান্না ও ঘর পরিষ্কার করে চলে যেতেন।

১২ এপ্রিল সকালে ওই গৃহকর্মী অ্যাপার্টমেন্টে এসে কলিংবেল বাজানোর পরও কোনো সাড়া না পেলে বিষয়টি নিরাপত্তাকর্মীদের জানান। তারাও ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে জয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।

হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, জয়ের বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কুয়ালালামপুরে এসে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসে ভাইয়ের মরদেহ নেয়ার জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে দূতাবাস তাকে এনওসি দেয়। সেটা হাসপাতালে জমা দিয়ে তিনি মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দাফন করেন।

নব্বই দশকের ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ লিয়াকত–হান্নানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে আলোচিত হন তানভীর ইসলাম জয়। কলাবাগানের ধনাঢ্য পরিবারের এই সন্তান সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদের সঙ্গে মিলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেন। সে সময় তাদের গ্রুপটি পুলিশের কাছে সেভেন স্টার নামে পরিচিতি পায়। জয়ের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাকাণ্ড, দুটি হত্যাচেষ্টা, ভয়ংকর অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম এবং চাঁদার জন্য শারীরিক ক্ষতির হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা ছিল।

২০০০ সালে জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি ভারতে চলে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় তারেক রানা নামে পাসপোর্ট করে ২০০১ সালে মালয়েশিয়া চলে যান। আবার ভারতে ফিরে আসেন। ভারতে থাকার সময় তার নামসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর পোস্টার প্রকাশ করে পুলিশ।

২০০৫ সালে বাংলাদেশের অনুরোধে ইন্টারপোল ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করে জয়ের বিরুদ্ধে। ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আফতাব আহমেদ খুনের ঘটনায় তার নাম আসে। ২০০৭ সালে রাজধানীর গড গিফট ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিতে গোলাগুলির ঘটনায়ও তার জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।

২০০৭ সালে ভারতে অবস্থানের সময় সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে। সেখানে কিছুদিন জেল খেটে বেরিয়ে চলে যান কানাডায়। পরে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান। এরপর তিনি মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন।


কুয়ালালামপুর   ফ্ল্যাট   মোস্ট ওয়ান্টেড   জয়ের মরদেহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদি আরব ঘুম বঞ্চিত দেশের তালিকায় বিশ্বে তৃতীয়

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

২০১৯ সালে ঘুম নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম থেকে বঞ্চিত দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল জাপান। দ্বিতীয় স্থানে ভারত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটা অবাক করে তৃতীয় স্থানে এসেছে সৌদি আরব। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে গালফ নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কিং ফাহদ মেডিক্যাল সিটির স্লিপ মেডিসিনের বিশিষ্ট পরামর্শদাতা ডা. মানা আল শাহরানির মতে, সৌদি আরবকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে কম ঘুমের দেশ হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ডা. মানা আল শাহরানি সৌদিদের মধ্যে ঘুম বঞ্চনার প্রচলিত সমস্যাটি তুলে ধরেন। সৌদিদের সাধারণ রাতের ঘুমের সময়কাল মাত্র ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা, যা উদ্বেগজনক।

আল এখবারিয়া টিভিতে আলোচনার সময় ডা. শাহরানি রমজানের পরে ঘুমের ধরন পুনরায় সেট করতে সৌদিদের আহ্বান জানান। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টা জেগে থাকার অভ্যাসের বিরুদ্ধে সতর্কও করেন তিনি। বলেন, এই ধরনের ক্রমাগত ঘুমের বঞ্চনা শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, ধীরে ধীরে ঘুমের সময়সূচী সামঞ্জস্য করার ওপর জোর দেন।


সৌদি আরব   ঘুম বঞ্চিত   দেশ   বিশ্বে তৃতীয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন