নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৬ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২০
ইসরায়েলের একটি যাত্রীবাহী বিমান সুদানের রাজধানী খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে জানা যাচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পদাংক অনুসরণ করে সুদানও ফিলিস্তিন জবরদখলকারী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারে বলে যখন ব্যাপক জল্পনা চলছে তখন এ খবর প্রকাশিত হলো।
ইসরায়েলের ওয়াল্লা নিউজের বরাত দিয়ে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাতোলি জানিয়েছে, সাধারণত পদস্থ ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ব্যবহার করেন এমন একটি বিমান সম্প্রতি খার্তুম বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং কয়েক ঘণ্টা অবস্থানের পর সেটি ওই বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যখন সুদান সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন তখন ইসরায়েলি বিমানটি খার্তুম বিমানবন্দরে অবস্থান করছিল।
এর আগে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছিল, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন খার্তুমকে তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য একপ্রকার চেপে ধরেছে যাতে ট্রাম্প আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার কাজে বিষয়টি ব্যবহার করতে পারেন। সুদান ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলে দেশটিকে সন্ত্রাসবাদের কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে বলেও লোভনীয় প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
কিন্তু খার্তুম বলছে, কালো তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিষয়টিকে তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক করার সাথে সম্পর্কযুক্ত করে দেয়া ঠিক হবে না। এ ছাড়া এত দ্রুত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে সুদানের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা লেবানন
মন্তব্য করুন
ছায়াপথের বৃহত্তম কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন ফ্রান্সের গবেষকেরা। সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ ভারী এটি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটির নাম গাইয়া বিএইচ৩। মূলত, ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার গাইয়া মিশনের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এটির খোঁজ পাওয়া যায়।
গাইয়ার টেলিস্কোপ মূলত আকাশে কোনো নক্ষত্রের নিখুঁত অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর তথ্য থেকে জ্যোতির্বিদেরা নক্ষত্রের ভর, কক্ষপথ ও তাদের অদৃশ্য সঙ্গীকে খুঁজে বের করতে পারেন। গাইয়া মিশনটি পৃথিবী থেকে ২
হাজার আলোকবর্ষ দূরে আকুইলা গ্রহাণুপুঞ্জে বিএইচ৩ নামের কৃষ্ণগহ্বরটিকে শনাক্ত করেছে।
মন্তব্য করুন
উন্নয়নের নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা। এবার যুক্ত হলো চালকবিহীন মেট্রোরেল।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে এই চালকবিহীন মেট্রো। এদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ রুটে যাত্রার মধ্য দিয়ে এই পরিষেবার উদ্বোধন করা হয়।
পরিষেবাটি চালু হওয়ার ফলে অটোমেটিক ট্রেন অপারেশনে সময়ের ব্যবধান দুই থেকে তিন মিনিটের মতো কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের মধ্যে মেট্রো পরিষেবার ব্যবধান ২০ মিনিটের বদলে ১৭ মিনিট হবে। অন্যদিকে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পৌঁছাতে ২০ মিনিটের জায়গায় লাগবে ১৮ মিনিট। তবে দিনের প্রথম এবং শেষ মেট্রো পরিষেবার সময়সূচি একই থাকবে বলে জানা গেছে।
অবশ্য নতুন ব্যবস্থায় ট্রেনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম হলেও চালকের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে সেগুলোতে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কলকাতা শহরে মেট্রোরেলের এ পরিষেবাটি একেবারেই নতুন। তাই শুরুর দিকে মেট্রোতে চালকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে মেট্রোতে চালক থাকলেও এটি পরিচালনায় তাদের তেমন কোনো ভূমিকাই থাকছে না।
কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি বলেছেন, কলকাতার যাত্রীদের কাছে এটি একেবারেই নতুন বিষয়। তাই চালকবিহীন মেট্রো রেক নিয়ে যাত্রীদের মনে অনেকটা উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেট্রো রেক চালানো গেলেও শুরুর দিকে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কেবিনে চালক উপস্থিত থাকবেন।
কেবিনে চালকদের ভূমিকার বিষয়ে উদয় কুমার রেড্ডি জানান, বাস্তবিকভাবে সেখানে তাদের কোনও প্রকার ভূমিকাই থাকবে না। যাত্রীরা এই ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শুরু করলেই পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হতে পারে।
চালকবিহীনে এই মেট্রো পরিচালনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে করে কন্ট্রোল রুম থেকেই মেট্রোর যাবতীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ফলে যাত্রীবোঝাই মেট্রোটি চালকবিহীনভাবেই যাতায়াত করতে পারবে।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের ওপর ইরানের নজিরবিহীন সরাসরি হামলার দুই দিন পর উত্তেজনা বিরাজ করছে তেহরানে। শনিবার রাতে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডস কর্পস-এর ৩শ’ টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর পাল্টা আক্রমণের হুঁশিয়ার দিয়েছে তেল আবিব। খবর বিবিসি।
তবে এরইমধ্যে ইরানের হামলার সমর্থন দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের জনগণ। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইরানের প্রশংসাও করছে অনেকে।
এদিকে, ইরানের শহরগুলোর দেয়ালে কিছু গ্রাফিতি দেখা গিয়েছে যেখানে লিখা, “ইসরায়েল, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বাড়িতে আঘাত কর।”
অন্যদিকে, ইরান সরকারের নিজস্ব বিলবোর্ড রয়েছে যাতে লেখা রয়েছে, ” তেল আবিব আমাদের রণক্ষেত্র, তেহরান নয়।”
ঘটনা যেন এখানেই শেষ নয়! আইআরজিসি হামলার পরপরই, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সমর্থকরা উদযাপন করেছে এবং তেহরানের একটি বিল্ডিং থেকে ব্যানার ঝুলানো হয়েছিল যাতে লিখা রয়েছে, “পরবর্তী থাপ্পড় আরও ভয়ানক হবে।”
আইআরজিসি হামলার পরপরই মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের মূল্য কমে গেছে। ঠিক যেমনটি সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার পর ইতিমধ্যেই হয়েছিল।
মন্তব্য করুন