ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কৃষক আন্দোলন চলছেই ভারতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৪৬ পিএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২০


Thumbnail

বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে টানা কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে  ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। হাজার হাজার কৃষক এখন দিল্লীতে অবস্থান করছে। তাদের সাথে একে একে যুক্ত হচ্ছেন অন্য রাজ্যের কৃষকরাও।

ট্রাক্টর ও ট্রলিতে বেশ কয়েক মাসের রেশন নিয়ে, খোলা আকাশের নিচে তাঁবু খাটিয়ে শীতের রাত কাটানোর প্রস্তুতি নিয়েই অনেকে এখন দিল্লীর পথে। এখন রাজধানীর `লাইফলাইন` জাতীয় সড়ক ৪৪ কার্যত তাদেরই দখলে। আন্দোলনরত হাজার হাজার কৃষক কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া আগাম আলোচনার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছেন।

সম্প্রতি পার্লামেন্টে পাস হওয়া তিনটি বিতর্কিত কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবি তাদের। দাবি মানা না হলে রাজপথ ছাড়তে নারাজ ভারতের আন্দোলনরত কৃষকরা। 

সরকার ও বিরোধীরা কি বলছে? 

ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় আগেই পাস হওয়া কৃষি সংস্কারের দুটি বিল গত ২০ সেপ্টেম্বর উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় কণ্ঠভোটে পাস হয়।

ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বলছে, কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত এসব বিলে ভারতের কৃষকদেরকে বৃহৎ ক্রেতাদের কাছে সহজে পণ্য বিক্রির সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে।

নতুন এ বিলগুলো মান্ধাতার আমলের আইনের সংস্কারের পাশাপাশি কৃষিপণ্যের ব্যবসা থেকে দালাল ও ফড়িয়াদের উৎখাত করবে। কৃষকদের সুযোগ করে দেবে ওয়ালমার্টের মতো খুচরা বিক্রেতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করার।

তবে বিরোধীরা বলছে, বিজেপির আনা সংস্কার বিলগুলোতে কৃষকদের দর কষাকষির সুযোগ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে; যে কারণে খুচরা বিক্রেতারা এখন কৃষকদের উপর বেশি মাতবরি করার সুযোগ পাবে।

তাছাড়া, বিলে কৃষিপণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে কোথাও কৃষকদের না রাখায় এর পুরো সুবিধাই পাবে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে বিভিন্ন কৃষক ইউনিয়ন এবং বিরোধীদলগুলো এই বিলকে কৃষকদের স্বার্থবিরোধী হিসাবেই দেখছে।

প্রায় ৫০ কোটি কৃষক এখন আন্দোলনে নেমে পড়ছে। এতোদিন করোনার কারণে স্থির থাকলেও গত এক সপ্তাহ ধরে তারা আর নিয়মনীতি তোয়াক্কা করছেন না। 

তবে লাগাতার এই তুমুল বিক্ষোভের মধ্যেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি বিলের সমর্থনে কথা বলেছেন। তার কথায়,কিছু মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থে কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে এবং বিপথে চালিত করছে।

কৃষি ভারতীয় সংবিধানের যৌথ তালিকায় থাকলেও এ ক্ষেত্রে রাজ্যের অধিকার ছিল প্রশ্নাতীত। সংস্কারের ফলে সেই অধিকার চলে আসছে কেন্দ্রের হাতে। নতুন আইনে কৃষিবাজারের (এ দেশে যা ‘মান্ডি’) ওপর রাজ্যের একচেটিয়া অধিকার আর থাকবে না। কৃষকদের মতো বেসরকারি বহুজাতিক সংস্থাও তাদের পছন্দমতো ‘মান্ডি’ তৈরি করতে পারবে। কৃষককে বাধ্য করা যাবে না কোনো এক বাজারে উৎপাদিত পণ্য বিক্রিতে। চুক্তিভিত্তিক চাষও করা যাবে। সবচেয়ে বড় কথা, কোন দামে চাষি তাঁর পণ্য বেচবেন, তা বাজারই ঠিক করে দেবে। কৃষক বিক্ষোভের বড় কারণগুলোর মধ্যে এটা অন্যতম।

তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস (এমএসপি) নিয়ে। এ দেশের কৃষিব্যবস্থায় এমএসপি প্রথা চালু রয়েছে বহু দশক ধরে। ক্ষতির হাত থেকে চাষিকে বাঁচিয়ে ন্যায্যমূল্য দিতে সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ফসলের এমএসপি ঠিক করে দেয়। এটাই এই দেশের কৃষকের প্রধান রাজনৈতিক হাতিয়ার। সেই দামের নিচে সরকার ফসল কিনতে পারে না। এই ব্যবস্থা চাষির কাছে একটা বড় নিরাপত্তাও। নতুন আইনে কিন্তু এই প্রথা বাধ্যতামূলক রাখা হয়নি। 

সংস্কার আরও একটি বিষয় নিশ্চিত করেছে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের আওতা থেকে বাদ দিয়েছে চাল, ডাল, তৈলবীজ, পেঁয়াজ ও আলুকে। এই পাঁচ পণ্যের উৎপাদন ও মজুতের ওপর কেন্দ্র বা রাজ্য কোনো সরকারেরই আর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। আলু ও পেঁয়াজের মতো পচনশীল পণ্যের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ও অন্য পণ্যের দাম ১০০ শতাংশ বাড়লে একমাত্র তবেই রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতে পারবে। নইলে বাজারই সর্বেসর্বা।

যদিও মোদী সরকার বলছে, এই সংস্কার ২০২২ সালে আয় দ্বিগুণ বাড়াবে কৃষকের। কিন্তু তাতেও নিভছে না কৃষক মনের ক্ষোভ।

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের ভাগ্য আটকে গেল মার্কিন ভেটোতে

প্রকাশ: ০৯:১৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পর্যাপ্ত ভোট পাওয়ার পরও নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের সদস্য পদ পেলো না ফিলিস্তিন। মার্কিন ভেটোতেই আটকে গেল ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার পথ। 

বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল।

নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২ সদস্যই এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোট দেয়নি। তবে ইসরায়েলের পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে সব ভোটই ভেস্তে গেছে।

ভেটো না পড়লে প্রস্তাবটি পাস হতে দরকার ছিলো মাত্র ৯ ভোট। ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ জনের ফেভার পেয়েও খালি হাতেই ফিরতে হলো ফিলিস্তিনকে। নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন, এদের একজন ভেটো দিলেই ওই প্রস্তাব আর পাস হয় না।

বর্তমানে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কার্যত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফিলিস্তিন। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। 


জাতিসংঘ   ফিলিস্তিন   ভেটো   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে সাত দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশ: ০৮:৫৫ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে ১৮তম লোকসভার নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। 

৫৪৩টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে সাত দফায়। প্রথম দফার ভোটে তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি কেন্দ্র। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পন্ডিচেরি। 

এ নির্বাচনে প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার ভোট দেবেন, যা ইউরোপের সব দেশ মিলে যে জনসংখ্যা, তার চেয়েও বেশি।

নির্বাচনে মূল লড়াই হচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইনডিয়া’ জোটের মধ্যে।

ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের মূল দল ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন।

গত ১৬ মার্চ ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে লোকসভা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করেন।

তপশিল অনুযায়ী, মোট সাত দফায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফার ভোটের দিন ১৯ এপ্রিল, এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন সবশেষ দফার ভোট হবে।

৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে। লোকসভা আসন কম এমন কয়েকটি রাজ্যে মাত্র এক দিনেই ভোট হবে। কিন্তু যেসব রাজ্যে আসন বেশি সেখানে কয়েক দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

বহুদলীয় গণতন্ত্রের দেশ ভারতে ২ হাজার ৬০০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর রয়েছে নিজস্ব প্রতীক—যেমন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রতীক পদ্ম, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের হাত আর অন্যান্য দলের হাতি থেকে শুরু করে বাইসাইকেল, চিরুনি বা তীর নানাবিধ প্রতীক রয়েছে।

ভারতীয় উপমহাদেশে নির্বাচনী প্রতীক ভোটের মাঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা ভারতের বেলায় সত্য। দেশটির এক-তৃতীয়াংশ ভোটারই নিরক্ষর, তাই প্রতীক দেখেই তারা কে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তা বুঝতে পারেন।

এবার ৯৬ কোটি ৯০ লাখ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। যা ইউরোপের সব দেশ মিলে যে জনসংখ্যা, তার চেয়েও বেশি। তারা সাড়ে ১০ লাখ ভোটকেন্দ্রে ৫৫ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেবেন।


ভারত   সাত দফা   লোকসভা নির্বাচন   গণতান্ত্রিক দেশ   নির্বাচন   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলার জবাবে দেশটিতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা। 

এর আগে গত শনিবার ইরান ইসরাইলে ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর এর কড়া জবাব দেয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছিল ইসরায়েল প্রশাসন। তবে হামলার ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলকে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল।

এদিকে আগেই ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে যে, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় তাহলে কঠিন জবাব দেয়া হবে। সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, ইরানের মাটিতে ইহুদিবাদী শাসকদের (ইসরায়েল) যেকোনো ধরনের আক্রমণের কড়া জবাব দেয়া হবে।

একই অনুষ্ঠানে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান এয়ার ফোর্সের কমান্ডার বলেন, ইসরায়েলি হামলা মোকাবিলা করতে রাশিয়ার তৈরি সুখোই-২৪সহ আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো সর্বোচ্চ প্রস্তুতিমূলক অবস্থায় রয়েছে। আমরা সবসময় প্রস্তুত।


ইরান   ইসরায়েল   ক্ষেপণাস্ত্র হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত কেনিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কেনিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ফ্রান্সিস ওমোন্ডি ওগোলা বৃহস্পতিবার এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। দেশটির পশ্চিম দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে তিনি নিহত হন বলে জানান প্রেসিডেন্ট।

জেনারেল ওগোলা কেনিয়ার সর্বোচ্চ পদমর্যাদার সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। হেলিকপ্টারে তার সঙ্গে সামরিক বাহিনীর আরও ১১ কর্মকর্তা ছিলেন। তবে বেঁচে ফিরেছেন মাত্র দুজন।

এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বলেন, দেশের জন্য এটি গভীর শোকের এক মুহূর্ত।  

রুটো বলেন, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিমান বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে তদন্ত দল পাঠিয়েছে।

সামরিক প্রধানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রাজধানী নাইরোবির ৪০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এলজিও মারাকওয়েট কাউন্টিতে বিধ্বস্ত হয়। প্রেসিডেন্ট বলেন, দুর্ভাগ্যবশত হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়।  

বিমানবাহিনীর কমান্ডার এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের এপ্রিলে জেনারেল ওগোলাকে সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট রুটো।


কেনিয়া   সামরিক বাহিনীর প্রধান   হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘আমাদের হাত ট্রিগারেই আছে’, ইসরাইলকে ইরানের সতর্কবার্তা

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরাইলে ইরানের হামলার পর নেতানিয়াহু বাহিনী পাল্টা হামলা চালাবে- এমন গুঞ্জনের মধ্যেই নতুন করে ইসরাইলকে সতর্কবার্তা দিল তেহরান।

ইরানের একজন সিনিয়র রেভল্যুশনারি গার্ড কমান্ডার বলেছেন, পারমাণু কর্মসূচি নিয়ে দেশটি তার বর্তমান অবস্থান পর্যালোচনা করতে পারে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।

ইরানের নিউক্লিয়ার সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা আহমদ হাগতালাব বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর (ইসরাইল) হুমকি আমাদেরকে আগের অবস্থান (পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত) থেকে সরে আসার বিষয়টিকে তরান্বিত করছে।

তিনি আরও বলেন, ইহুদিবাদী শাসকরা যদি আমাদের পারমাণবিক কেন্দ্র এবং স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়, আমরা অবশ্যই উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তার জবাব দেব।

ইসরাইলের পারমাণবিক স্থাপনাও চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে আহমদ হাগতালাব বলেছেন, ‘আমাদের হাত ট্রিগারে রয়েছে।’

এর আগে, ইসরাইলের যেকোনো আক্রমণ মোকাবিলায় ইরানের সামরিক বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দেশটির বিমান বাহিনীও বলেছে তারা প্রস্তুত।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বুধবার (১৭ এপ্রিল) সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক কুচকাওয়াজে বলেছেন,

আমাদের মাটিতে ইহুদিবাদী শাসকদের যেকোনো আক্রমণের কঠোর জবাব দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে সরাসরি দায়ী করেছে ইরান। হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।


ইসরাইল   ইরান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন