নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫২ এএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২১
২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি, বুধবার। দিনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে স্মরণীয় হতে যাচ্ছে ৪৬তম প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। শপথ নিতে যাচ্ছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
নিয়ম অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি দুপুরে শপথ নেয়ার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হবেন তিনি। চার বছর আগে ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি অভিষিক্ত হয়েছিলেন বিদায় নিতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে আয়োজনের কমতি থাকছে না। এরইমধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে। নিজেকেও যথাসাধ্য প্রস্তুত করে নিচ্ছেন এই অভিজ্ঞ রাজনীতিক। কি পরবেন সেদিন, সবকিছুই হবে পরিকল্পনা মাফিক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার সময় জো বাইডেন বিখ্যাত ব্র্যান্ড রালফ লোরেনের স্যুট পরবেন বলে জানা গেছে। ৭৮ বছর বয়সী বাইডেন ফ্যাশনসচেতন হিসেবে পরিচিত। তিনি যে রালফ লোরেনের স্যুট পরে শপথ নেবেন, এমন তথ্য জানিয়েছে ওম্যান’স ওয়ার ডেইলি নামের যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফ্যাশন সংবাদ সাময়িকী। দেশটির বিখ্যাত ডিজাইনারদের সমন্বয়ে বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানের স্যুট তৈরি করা হয়েছে। সিঙ্গেল ব্রেস্টেড স্যুটটি হবে দুই বোতামের। বাইডেনের পরনে গাঢ় নীল রঙের স্যুটের সঙ্গে থাকবে হালকা নীল রঙের শার্ট।
বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে থাকছে সংগীতায়োজনও। গাইবেন লেডি গাগা, লোপেজসহ আরও অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে দেখানো হবে দেশটিতে করোনার টিকা পাওয়া প্রথম ব্যক্তি নিউইয়র্কের স্যান্ড্রা লিন্ডসেকে। তিনি নিউইয়র্কের কুইন্সে লং আইল্যান্ড জুইশ মেডিকেল সেন্টারের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) নার্স।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক রিপোর্ট বলছে, বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রাইম টাইমে স্যান্ড্রা লিন্ডসেকে নিয়ে টেলিভিশনে ‘সেলিব্রেটিং আমেরিকা’ শিরোনামে বিশেষ অনুষ্ঠান হবে। এটি মূলত দেশটিতে ভ্যাকসিন নেয়ার সচেতনতার জন্য।
১৭ জানুয়ারি বাইডেনের অভিষেক কমিটি হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইট বার্তায় জানায়, ‘অভিষেক অনুষ্ঠান এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যার কোনো কিছুই আপনি মিস করতে চাইবেন না।’
এদিকে, হামলার শঙ্কা খতিয়ে দেখছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলায় ৬ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি মার্কিনীদের কাছে ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনা বাইডেনের দিকে সব পক্ষের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ফলে প্রশাসন থেবে শুরু করে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী এমনকি ৫০টি রাজ্যের মেয়ররাও নিজস্ব স্টাইলে নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। শুধুমাত্র ওয়াশিংটনে ২০ হাজার সৈন্য মোতায়েন থাকছে। অন্যবাহিনীর সদস্যরা তো আছেই। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট। পুরো নগরী নিশ্চিছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। দূর থেকে শপথ অনুষ্ঠান দেখারও আহ্বান জানানো হয়েছে যেনো বিশৃঙ্খলা সষ্টি না হয়।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা করতে পারেন, এমন শঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না এফবিআই। তাই আগেভাগেই সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার চেষ্টা ন্যাশনাল গার্ডের।
বাইডেনের শপথ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেই ৩ নভেম্বরের নির্বাচন বৈধতা পাবে, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নানা টাল বাহানার পরও। অনেক রিপাবলিকানও এখন চাইছেন ভালভাবেই সম্পন্ন হোক বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান। বিশ্বে আধিপত্যকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতেই পরবর্তী বিশ্ব রাজনীতির অনেক কিছুই নির্ভর করছে। তাই ক্ষ্যাপাটে ট্রাম্প নয়, বাইডেনকে নিয়ে অনেকটা আশাবাদি বিশ্ব নেতারাও।
মন্তব্য করুন
ইউক্রেন পশ্চিমা এফ-১৬ বিমান ভ্লাদিমির পুতিন
মন্তব্য করুন
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু দিন দিন হামলার ধরন নৃশংসতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনীর। ইসরায়েলি নৃশংশতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরীহ মানুষ থেকে শুরু করে শিশুরাও।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার হাতে এসেছে এক এক্সক্লুসিভ ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে গুলি করে হত্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেন তারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এই ঘটনা ঘটে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। একপর্যায়ে তাদের একজনকে বারবার একটি সাদা কাপড় নাড়তে দেখা যায়। কোনো হুমকি সৃষ্টি না করা সত্ত্বেও ওই দু'জনকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার এনে লাশ দুটি বালুচাপা দেন তারা।
এদিকে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলছে, এই ঘটনা ইসরায়েলি ফ্যাসিবাদ ও অপরাধের মাত্রার আরও প্রমাণ হাজির করে। এটাই জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।
আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) বলেছে, গাজার সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে হত্যা এবং বুলডোজার দিয়ে লাশ দুটি বালুর নিচে চাপা দেয়ার ঘটনার অবশ্যই জাতিসংঘকে তদন্ত করতে হবে।
ফিলিস্তিন হত্যা বুলডোজার ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলে বসতি স্থাপনকারীরা গাজার সমুদ্র উপকূলে প্লট কিনছে। তারা অবরুদ্ধ উপত্যাকাটিও গ্রাস করতে চাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে ড্যানিয়েলা ওয়েইসিস (৭৮) নামের ইসরাইলি এক নারী জানিয়েছেন, গাজায় বসতি স্থাপন করতে যাওয়া ৫০০ ব্যক্তির তালিকা তার কাছে আছে।
তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজায় একতরফাভাবে বসতি স্থাপনকারীদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। তখন ২১টি বসতি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং বসতির প্রায় ৯ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইসরায়েলের সেনারা। এরপর থেকেই বসতি স্থাপনকারী আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই গাজায় ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করে আসছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন ৩২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহদের সংখ্যাও লাখ ছোঁয়ার পথে। এদিকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অবরুদ্ধ উপত্যাকাটির ২০ লাখের মতো বাসিন্দা।
গাজা সমুদ্র তীর প্লট বুকিং ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের রকফোর্ডের উত্তর ইলিনয়ে ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৭ জন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিচয় জানা না গেলেও পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী তরুণী, ৬৩ বছর বয়সী এক নারী, ৪৯ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং ২২ বছর বয়সী একজন তরুণ রয়েছেন।
রকফোর্ড পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইউএসএটুডে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইলিনয়ে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৭ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি।
পুলিশ বলেছে, যে এলাকার বাসিন্দাদের ওপর হামলা হয়েছে, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ওই এলাকা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরও অর্থনৈতিক তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, এর ওপরই নির্ভর করে সুদের হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এর আগে ইউএস ট্রেজারি বন্ড ইল্ড নিম্নগামী হয়েছে। ফলে বুলিয়ন বাজার আরও চাঙা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে প্রায় ২১৯৫ ডলারে। গত ২২ মার্চ যা ছিল ২১৬৭ ডলার। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্যবান ধাতুটির দাম ঊর্ধ্বগামী হয়েছে ২৮ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০৭৪ টাকা।
বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান টেস্টিলাইভের বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান ইলিয়া স্পিভাক বলেন, সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। তবে বিশ্বব্যাপী এখনও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিদ্যমান। তাতে স্বর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মূল্য বাড়তি রয়েছে।
গত সপ্তাহে ফেড সংকেত দেয়, ২০২৪ সালে তিনবার সুদের হার কমাতে পারে তারা। এরপর থেকেই প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার চাপে পড়েছে। একই সঙ্গে স্বর্ণের বিশ্ববাজারে ঔজ্জ্বলতা বেড়েছে।
বিশ্ববাজার স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্র মুদ্রা ডলার
মন্তব্য করুন
তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।