ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের যত প্রেসিডেন্ট: প্রথম থেকে বর্তমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ২০ জানুয়ারী, ২০২১


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ শপথ নিবেন জো বাইডেন। আসুন দেখে নেয়া যাক যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্টদের নাম, মেয়াদকাল এবং রাজনৈতিক দল।

১. জর্জ ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট। তিনি ৩০ এপ্রিল, ১৭৮৯ থেকে ৪ মার্চ, ১৭৯৭ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি কোন রাজনৈতিক দল ছাড়াই প্রেসিডেন্ট হন।

২. জন অ্যাডাম্‌স: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৭৯৭ থেকে ৪ মার্চ, ১৮০১। রাজনৈতিক দল- ফেডারেলিস্ট (নির্দলীয়)

৩. টমাস জেফারসন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮০১ থেকে ৪ মার্চ, ১৮০৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিকান।

৪. জেমস ম্যাডিসন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮০৯ থেকে ৪ মার্চ, ১৮১৭। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিকান।

৫. জেমস মন্‌রো: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮১৭ থেকে ৪ মার্চ, ১৮২৫। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিকান।

৬. জন কুইন্সি অ্যাডাম্‌স: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮২৫ থেকে ৪ মার্চ, ১৮২৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিক।

৭. অ্যান্ড্রু জ্যাকসন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮২৯ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৩৭। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৮. মার্টিন ভ্যান বিউরেন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৩৭ থেকে মার্চ ৪ ১৮৪১। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৯. উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৪১ থেকে এপ্রিল ৪ ১৮৪১। রাজনৈতিক দল- হুইগ।

১০. জন টাইলার: মেয়াদকাল- ৪ এপ্রিল, ১৮৪১ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৪৫। রাজনৈতিক দল- হুইগ।

১১. জেমস নক্স পোক: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৪৫ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৪৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

১২. জ্যাকারি টেইলর: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৪৯ থেকে ৯ জুলাই, ১৮৫০। রাজনৈতিক দল- হুইগ।

১৩. মিলার্ড ফিল্‌মোর: মেয়াদকাল- ৯ জুলাই, ১৮৫০ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৫৩। রাজনৈতিক দল- হুইগ।

১৪. ফ্রাংক্‌লিন পিয়ের্স: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৫৩ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৫৭। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

১৫. জেমস বিউকানান: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৫৭ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৬১। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

১৬. আব্রাহাম লিংকন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৬১ থেকে ১৫ এপ্রিল, ১৮৬৫। রাজনৈতিক দল- ১ম মেয়াদে রিপাবলিকান এবং ২য় মেয়াদে ন্যাশনাল ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত হন।

১৭. অ্যান্ড্রু জনসন: মেয়াদকাল- ১৫ এপ্রিল, ১৮৬৫ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৬৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল ইউনিয়ন।

১৮.ইউলিসিস এস গ্রান্ট: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৬৯ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৭৭। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

১৯. রাদারফোর্ড বি হেইজ: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৭৭  থেকে ৪ মার্চ, ১৮৮১। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২০. জেমস গারফিল্ড: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৮১ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৮৮১। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২১. চেস্টার এ আর্থার: মেয়াদকাল- ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৮৮১ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৮৫। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২২. গ্রোভার ক্লিভ্‌ল্যান্ড: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৮৫ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৮৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

২৩. বেঞ্জামিন হ্যারিসন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৮৯ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৯৩। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২৪. গ্রোভার ক্লিভ্‌ল্যান্ড: ২২ তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ২৪ তম প্রেসিডেন্টও হন তিনি। মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৮৫ থেকে ৪ মার্চ, ১৮৮৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

২৫. উইলিয়াম ম্যাকিন্‌লি: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৮৯৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯০১। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২৬. থিওডোর রুজ্‌ভেল্ট: মেয়াদকাল- ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯০১ থেকে ৪ মার্চ, ১৯০৯। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২৭. উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্যাফ্‌ট্‌: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৯০৯ থেকে মার্চ ৪ ১৯১৩। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

২৮. উড্রো উইল্‌সন: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৯১৩ থেকে ৪ মার্চ, ১৯২১। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

২৯. ওয়ারেন জি. হার্ডিং: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৯২১ থেকে ২ আগস্ট, ১৯২৩। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৩০. ক্যালভিন কুলিজ: মেয়াদকাল- ২ আগস্ট, ১৯২৩ থেকে ৪ মার্চ, ১৯২৯। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৩১. হার্বার্ট হুভার: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৯২৯ থেকে ৪ মার্চ, ১৯৩৩। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৩২. ফ্রাংক্‌লিন ডি. রুজভেল্ট: মেয়াদকাল- ৪ মার্চ, ১৯৩৩ থেকে ১২ এপ্রিল, ১৯৪৫। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৩৩. হ্যারি এস ট্রুম্যান: মেয়াদকাল- ১২ এপ্রিল, ১৯৪৫ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৫৩। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৩৪. ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৫৩ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৬১। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৩৫. জন এফ কেনেডি: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৬১ থেকে ২২ নভেম্বর, ১৯৬৩। রাজনৈতিক দল-ডেমোক্রেটিক।

৩৬. লিন্ডন বি. জনসন: মেয়াদকাল- ২২ নভেম্বর ১৯৬৩ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৩৭. রিচার্ড নিক্সন: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯ থেকে ৯ আগস্ট, ১৯৭৪। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৩৮. জেরাল্ড ফোর্ড: মেয়াদকাল- ৯ আগস্ট, ১৯৭৪ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৭৭। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৩৯. জিমি কার্টার: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৭৭ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৮১। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৪০. রোনাল্ড রেগান: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৮১ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৮৯। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৪১. জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৮৯ থেকে ২০ জানুয়ারি, ১৯৯৩। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৪২. বিল ক্লিনটন: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ১৯৯৩ থেকে ২০ জানুয়ারি, ২০০১। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৪৩. জর্জ ডব্লিউ বুশ: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি ২০০১ থেকে ২০ জানুয়ারি, ২০০৯। রাজনৈতিক দল- রিপাবলিকান।

৪৪. বারাক ওবামা: মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ২০০৯ থেকে ২০ জানুয়ারি, ২০১৭। রাজনৈতিক দল- ডেমোক্রেটিক।

৪৫. ডোনাল্ড ট্রাম্প: যুক্তরাষ্ট্রের সদ্যবিদায়ী ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট। মেয়াদকাল- ২০ জানুয়ারি, ২০১৭ থেকে ২০ জানুয়ারি, ২০২১। তার রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান।

৪৬. জো বাইডেন: যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট। আজ (২০ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন তিনি। তার রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাপানিদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলোর মতো জাপানেও রমজান মাসকে ঘিরে এক ধরণের আমেজ বিরাজ করে। রমজান এলেই জামাতের সাথে তারাবিহ আদায় করা ও ইফতার নিয়ে এক ধরণের উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয় মুসল্লিদের ঘরে ঘরে। 

রমজান মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক। মুসল্লিরা যথেষ্ট ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে এই রমজান মাসকে পালন করে থাকেন। আর রোজাদারদের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ইফতারের সময়। তাদের বিশ্বাস, এ সময় আল্লাহ তাআলা তার রোজাদার বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। 

বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত 'ইনসাইড রমজান' ধারাবাহিক এর আজকের পর্বে আমরা জানবো জাপানের মুসলিমদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি- 

ইফতার মূলত খেজুর ও পানি দিয়ে শুরু করা হয়। কিন্তু অঞ্চলভেদে নানা ধরণের খাবার যুক্ত হয় এই ইফতারে।  

জাপানে মুসলমানের সংখ্যা অনেক কম। আর বাংলাদেশিদের আনাগোনা একটু বেশিই লক্ষ্য করা যায় দেশটিতে। এ কারণেই হয়তো তাদের ইফতারের তালিকায় কিছু বাঙালি খাবার যুক্ত হয়েছে।    

জাপানিরা তাদের ইফতারে মূলত, জুস, স্যুপ ও বিভিন্ন ধরণের ফল-মূল রাখেন। এছাড়াও থাকে মাশি মালফুফ নামের এক ধরণের ঐতিহ্যবাহী খাবার। যা আঙুর, বাঁধাকপি ও চাল মিশিয়ে বানানো হয়।  

এছাড়াও রয়েছে, মটরশুঁটি ও গরুর কলিজা মিশ্রিত কিবদা, রুটিতে মোড়ানো মাংসের কিমা ইত্যাদি।


জাপান   রমজান   ইফতার   সংস্কৃতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত দ্বন্দ্ব: বাংলাদেশে কী প্রভাব পড়বে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রকাশ্য কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ভারতের। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি এবং অবস্থানের সমালোচনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের পর ভারতে নিযুক্ত মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে নয়াদিল্লি। সেই তলবের প্রতিক্রিয়া নয়াদিল্লি আপত্তি অগ্রাহ্য করে আরও একবার ভারতের দমন নীতির সমালোচনা করে ওয়াশিংটন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফের কড়া জবাব দেয় ভারত। সব মিলিয়ে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা এখন তুঙ্গে অবস্থান করছে। 

উল্লেখ্য যে, লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করা হয়। এই আইন নিয়ে সমালোচনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি। এদিকে কেজরিওয়াল গ্রেপ্তারের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক বাকবিতণ্ডা তীব্র আকার ধারণ করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া আম আদমি পার্টির নেতা কেজরিওয়ালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সংশয় প্রকাশ করেছে এবং নয়াদিল্লিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে ভারত। সবকিছু মিলিয়ে এই অঞ্চলে ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুপ্রতিম কৌশলগত সম্পর্কে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে একটি দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই দূরত্ব বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন প্রভাব ফেলবে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থানে ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটাও বলা হয়েছিল যে, যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হয় তাহলে বাংলাদেশের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না। বাংলাদেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবস্থান নেবে। কিন্তু নির্বাচনের আগে আগে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একটি অবস্থান গ্রহণ করে। ভারতের অবস্থান ছিল বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং কোন দল অংশগ্রহণ করল, না করল সেটা বড় বিষয় নয়। সাংবিধানিক ধারায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়াটাই ভারত প্রত্যাশা করে এবং ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব পাল্টানোর জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কথা বলেছিলেন অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে। সবকিছু মিলিয়ে এই অঞ্চলে ভারতের কথা যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুনে সে নিয়ে দু দেশের মধ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। এই কূটনৈতিক তৎপরতার ফলশ্রুতিতেই বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত একটা নমনীয় অবস্থানে আসে। এই নমনীয় অবস্থান থেকেই নির্বাচনের পরপর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। 

অনেকেই মনে করেন যে, ভারতের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। এখন যখন ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে তখন তার প্রভাব কি বাংলাদেশে পড়বে?

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সেটি পড়বে না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এখন বাংলাদেশকে নিয়ে পৃথক এজেন্ডা তৈরি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করে বাংলাদেশের বাজারে যেতে চায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য বিস্তার করতে চায়। কাজেই ভারতের সঙ্গে যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব সেটির প্রভাব বাংলাদেশ সম্পর্কে পড়বে না। তাছাড়া ভারতের এই কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব দুদেশের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করে। বিশেষ করে ভারত একটি বড় দেশ। ভারতের সঙ্গে এর আগেও অনেক বিষয় নিয়ে মতদৈত্যতা ছিল। সেটি কাটিয়ে উঠে বৃহত্তর পরিসরে দু দেশ এক সাথে কাজ করেছে। এক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত   বাংলাদেশ   দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী   অরবিন্দ কেজরিওয়াল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার কেজরিওয়াল বিতর্কে জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর ভারতের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা দুনিয়ার দেশ জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র সংশয় প্রকাশ করার পর এবার বিতর্কে এলো জাতিসংঘ। 

বৃহস্পতিবার(২৯ মার্চ) রাতে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিকও জানান, তাদের আশা, ভোটের সময় অন্য দেশের মতো ভারতেও রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের প্রত্যেকের অধিকার রক্ষিত হবে, যাতে সবাই সুষ্ঠুভাবে, মুক্ত মনে ভোট দিতে পারেন।  

কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার এবং তাকে হেফাজতে রাখা নিয়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে, ভারতকে তা বিব্রত করলেও কূটনৈতিক পর্যায়ে তার জবাব দেয়া হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিতে নিযুক্ত জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের শীর্ষ কূটনীতিকদের ডেকে এ ধরনের মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র থেমে থাকেনি। দ্বিতীয়বারও তারা এ বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে, মন্তব্য করেছে। তাদের সঙ্গে এবার বিতর্কে যুক্ত হলো জাতিসংঘও। 

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে স্টিফেন ডুজারিককে কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রশ্নে কংগ্রেস দলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়। সেখানে বলা হয়, ভোটের ঠিক আগে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কংগ্রেসের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মীরা মনে করছেন, এভাবে বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি জাতিসংঘ কীভাবে দেখছে?  

এমন প্রশ্নে, তিনি মুক্ত মনে ভোট দেওয়া এবং রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের অধিকার রক্ষিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কথাটি ভারতের পক্ষে অবশ্যই বিব্রতকর।   

প্রথম দফায় সাত দিন হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার কেজরিওয়ালকে দিল্লির নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হেফাজতের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানোর দাবি জানায়। বিচারক চার দিন মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। তবে তার আগে কেজরিওয়ালকে অনুমতি দেন এজলাসে নিজের হয়ে সওয়াল করার। অনুমতি পেয়ে কেজরিওয়াল বলেন, তাকে ফাসানোই ইডির একমাত্র লক্ষ্য।


কেজরিওয়াল   বিতর্ক   জাতিসংঘ   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিরা এখনো যুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূলের জন্য কয়েক মাস ধরে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তবে এমন আক্রমণের পরও হামাসের যুদ্ধ করার সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ)। 

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ থেকে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা আল শিফা হাসপাতালের কাছাকাছি এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে প্রায় ৭০টি হামলা চালিয়েছে। গত বছরে গাজার এ হাসপাতালটিতে তাণ্ডবের পর আবারও চলতি বছরের মার্চে সেখানে ফিরে আসে ইসরায়েলি সেনারা।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এবং ক্রিটিকাল থ্রেট প্রজেক্ট (সিটিপি) তাদের সর্বশেষ গাজার যুদ্ধাবস্থার মূল্যায়নে জানিয়েছে, হামলার তীব্রতা এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের যুদ্ধের সক্ষমতা এখনো অটুট রয়েছে। যদিও গাজায় ইসরায়েলের হামাসকে নির্মূলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক জানিয়েছে, আল শিফা হাসপাতাল এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের অন্তত ছয়টি যোদ্ধা দল সক্রিয় রয়েছে।

সবশেষ তথ্যে পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৩ মার্চ গাজার জেইতুন এলাকা থেকে হামাসকে পুরোপুরিভাবে নির্মূলের দাবি করে। তবে বুধবার এ এলাকায় আবারও ফিরে এসেছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের ফিরে আসা এটাই প্রমাণ করে যে গাজার অন্যান্য এলাকার মতো সেখানেও নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে হামাসের যোদ্ধারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেশেটির এ হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের হামলার কারণে উপত্যকা এখন তাঁবুর বসতির জনপদে পরিণত হয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, গাজা থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা এ অভিযান চালিয়ে যাবে। অন্যদিকে অব্যাহত হামলার কারণে উপত্যকার ব্যপক আকারে খাদ্য ও মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।


ফিলিস্তিন   যুদ্ধ   ইসরায়েল   হামাস   গাজা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কাশ্মীরে গভীর খাদে যাত্রীবাহী ট্যাক্সি, নিহত ১০

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্যাক্সি গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে। 

দেশটির গণমাধ্যম বলছে, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে একটি যাত্রীবাহী ট্যাক্সি শ্রীনগরের দিকে যাচ্ছিল। পরে জম্মু ও কাশ্মীরের রমবান এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী-সহ ট্যাক্সিটি আচমকা রাস্তার পাশে থাকা গভীর খাদের মধ্যে পড়ে যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। তাদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে স্থানীয় বাসিন্দারাও যোগ দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে। তবে বৃষ্টির কারণে রাস্তা ভেজা থাকায় উদ্ধারকারীদের বেগ পেতে হচ্ছে।


কাশ্মীর   ট্যাক্সি   এসডিআরএফ   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন