নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০২ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
সারাবিশ্বে বাম রাজনীতির পতন শুরু হয় মূলত ১৯৮৫ সালে। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হন দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি মিখাইল গর্বাচেভ। তাঁর গ্লাসিনস্ত ও পেরেস্ত্রইকা নীতি পূর্ব ইউরোপ এবং সোভিয়েত ইউনিয়নকে সমাজতান্ত্রিক নীতি থেকে বের করে নিয়ে আসে। বাম রাজনীতির জন্য এই নীতি ছিল অশনি সংকেত। গত শতাব্দীর নব্বই দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সারা বিশ্বে উদারতাবাদ ছড়িয়ে পড়ে। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হতে থাকে অধিকাংশ রাষ্ট্র। পুঁজিবাদের দিকে ঝুঁকতে থাকে সমাজতান্ত্রিক নীতি অনুসরণ করা দেশগুলো।
বিগত এক বছরে ইউরোপে দেখা যাচ্ছে বাম রাজনীতি তেমন কোনো সুবিধা করতে পারছে না। ফ্রান্সের নির্বাচনে প্রভাবশালী দুই রাজনৈতিক পক্ষ রক্ষণশীল ও বামদের হোচট খাওয়া এবং ব্রিটেনের আগাম নির্বাচনে কনজারভেটিভের ফের জয় প্রমাণ করে লোকরঞ্জনবাদের জয়জয়কার। যদিও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ কট্টর জাতীয়তাবাদী নন। তিনি মধ্যপন্থী। ডান বা বাম কোনও কিছুই তিনি বিশ্বাস করেন না।
পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো যেমন, জার্মানি, সুইডেন ও পোল্যান্ডে বামেরা এখনও ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা ধীরে ধীরে কমছে। একই চিত্র দেখা যায় ব্রিটেনের নির্বাচনে। বামপন্থী লেবাররা এবারও কনজারভেটিভের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও জয়ী হতে পারেনি।
বামপন্থী বলে খ্যাত ভেনেজুয়েলায় হুগো চাভেজের পর নিকোলা মাদুরোর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ছে। চীনে মাও সেতুংয়ের সমাজতান্ত্রিক দল ক্ষমতায় থাকলেও সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সে নীতিতে আর থাকেননি। চীন সমাজতন্ত্র থেকে সরে এসেছে। দেশটি এখন কিছুটা গণতান্ত্রিক নীতিতে চলছে। সমাজতন্ত্রের সফল প্রয়োগ হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে। সেখানেও এখন সমাজতন্ত্র বিলুপ্ত। এমনকি ভারতে বামপন্থী বলে খ্যাত কংগ্রেসও ক্ষমতায় বেশিদিন টিকতে পারেনি। নেপালেও এখন বামপন্থীরা ক্ষমতায় নেই। এশিয়ার অল্প কিছু দেশে বামপন্থী দল ক্ষমতায় রয়েছে। এর মধ্যে ভিয়েতনাম অন্যতম। কিন্তু মার্কসবাদ বা সমাজতান্ত্রিক নীতির প্রয়োগ সেখানে দেখা যায় না।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক ভাবধারা বিশ্বে বামদেরকে প্রায় কোণঠাসা করে ফেলেছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, লোকরঞ্জনবাদ কখনই সমাজতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে দেয় না। বিশ্বে এখন এটিরই জয়জয়কার। সাধারণত জনগণের আবেগ-অনুভূতিকে কেন্দ্র করে এই রাজনৈতিক ধারা গড়ে উঠেছে।
অধিকাংশদের মতে বামদের এই ব্যর্থতার পেছনে দায়ী উদ্দীপনা বা ইনসেটিভের অভাব। শ্রমিক কর্মচারীদের কাজে কোনও ইনসেনটিভ না থাকায় উৎপাদনে তারা নিরুৎসাহ হয়। ফলে তারা কাজে কর্মে দায়িত্বহীন হয়ে পড়ে। মার্কসীয় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সমস্ত ক্ষমতা ও সম্পদ রাষ্ট্রের হাতে কেন্দ্রীভূত থাকে বলে গড়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদ বা স্টেট ক্যাপিটালিজম। আর এই কেন্দ্রীভূত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও সম্পদ ভোগ করে মুষ্টিমেয় কিছু পার্টিনেতা ও আমলা। তারাই তখন পরিণত হয় বুর্জোয়া শ্রেণিতে। এ-কথা অনেক মার্কসবাদী তাত্ত্বিক স্বীকারও করেছেন এই বলে যে, একদিকে শ্রমিক শ্রেণির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ ও অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক নেতৃত্বের মধ্যে বুর্জোয়াসুলভ মনোভাব, দুর্নীতি, বিলাসবহুল জীবনযাপনের প্রবণতা ও স্বজনপোষণের মতো বিভিন্ন অবাঞ্ছিত ঘটনা একের পর এক ঘটতে থাকে। একই চিত্র দেখা গেছে চীন, রাশিয়া ও কিউবার ক্ষেত্রে।
চিন্তা ও বাকস্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। সমাজতন্ত্রপন্থী দেশগুলোতে মানুষ স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রকাশ করতে পারে না। সরকারের কোনো নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সুযোগ নেই। রাশিয়ায় যেমন পুতিনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার নেই। ফলে জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলছে। সমাজতন্ত্রের বদলে দেশগুলোতে গড়ে উঠেছে স্বৈরাচারী সরকার। লিবিয়া, ইরাক, মিসরের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছিল। সঠিকভাবে সমাজতন্ত্রের প্রয়োগ কিউবা ছাড়া অন্য কোনো দেশে হয়নি। সেই কিউবা এখন পুঁজিবাদের দিকেই ঝুঁকছে।
অনেক অর্থনীতিবিদ এর অবাস্তব ও ত্রুটিপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে দায়ী করে। অনেকে মনে করেন, ক্ষমতার লোভে ক্ষমতাসীনরা মার্কসবাদের সফল প্রয়োগ কখনও করেননি। অনুসরণ করেননি এর পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক মডেলকে। নিজেদের লাভের কথা চিন্তা করে পুঁজিবাদকে আপন করে নিয়েছেন।
শ্রেণীহীন সমাজ গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে মার্কসবাদ গড়ে উঠেছিল সেটি বরং রাষ্ট্র ও জনগণ নামে দুই শ্রেণী গড়ে তুলেছে। আত্মসমর্পন করেছে সেই পুঁজিবাদের কাছে যার বিরোধিতা করতে এই তত্ত্বের জন্ম।
বাংলা ইনসাইডার/আরএইচবি/জেডএ
মন্তব্য করুন
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
গ্রেফতার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের পর, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে
তলব করে নয়াদিল্লি। সেই তলবের প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লির আপত্তি অগ্রাহ্য করে আরও একবার
মুখ খোলে ওয়াশিংটন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফের কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে ভারত
ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে বির্তকিত
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করে বিজেপি শাসিত দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন নিয়ে
সমালোচনা করায় ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মতবিরোধ চলছিল। সেই আগুনে ঘি ঢালে
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার ইস্যু। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বাকবিতণ্ডায়
জড়িয়েছে দেশ দুটি।
গ্রেফতার হওয়া আম আদমি পার্টির নেতা
কেজরিওয়ালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ‘সুষ্ঠু আইনি
প্রক্রিয়ায়’ বিচারকাজ সম্পন্ন করতে নয়াদিল্লিকে আহ্বান জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
কিন্তু বিষয়টিকে মোটেও ভালো চোখে দেখেনি ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ
প্রকাশ করে দেশটি।
এমনকি দিল্লিতে মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে
তলব করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৭ মার্চ) ভারতে নিযুক্ত মার্কিন মিশনের
ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধান গ্লোরিয়া বারবেনাকে তলব করা হয়। ওয়াশিংটনের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ
ও আপত্তি জানিয়ে নয়াদিল্লি বলে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য কূটনৈতিক শিষ্টাচারের
পরিপন্থি।
তবে নয়াদিল্লির এসব আপত্তি অগ্রাহ্য
করে, বিষয়টি নিয়ে আরও একবার মুখ খোলে ওয়াশিংটন। মার্কিন কূটনীতিককে তলব এবং ভারতের
বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যাংক একাউন্ট জব্দের অভিযোগ নিয়ে মন্তব্য করে মার্কিন পররাষ্ট্র
দফতর।
মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, কেজরিওয়াল
ইস্যুতে ‘নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ’ করছে যুক্তরাষ্ট্র। দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন
ডেপুটি রাষ্ট্রদূতকে তলবের বিষয়টিও তাদের নজরে আছে। এছাড়া কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট জব্দের বিষয়ে মিলার বলেন,
মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট জব্দের অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। এতে আসন্ন নির্বাচনে প্রচারণা চালানো তাদের
পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে বলে মনে করে ওয়াশিংটন।
এর প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটনের আচরণকে
অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের করা মন্তব্যের বিষয়ে দেশটির কূটনীতিকের
কাছে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। মন্তব্যগুলো একেবারেই অযৌক্তিক। আমাদের নির্বাচনী
এবং আইনি প্রক্রিয়ার ওপর বহিরাগত যেকোনো অভিযোগ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। ভারতে আইনের
শাসনেই সব আইনি প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়।
এমন ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ভারতীয় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলেও। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নাক না গলানোর আহ্বান জানিয়েছেন কেউ কেউ।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর লাখ লাখ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজার মিশর
সীমান্তবর্তী এলাকা রাফায় আশ্রয় নেয়। এরই মধ্যে উত্তর ও মধ্য গাজাকে ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি
বাহিনী। এখন আন্তর্জাতিক সব চাপ উপেক্ষা করে রাফায়ও অভিযান চালাবে ইসরায়েল। সূত্র:
আল-জাজিরা
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামাসের হাতে
জিম্মি সেনাদের পরিবারের সদস্যদের বলেছেন, একমাত্র সামরিক চাপের মাধ্যমেই তাদের মুক্ত
করা সম্ভব। তাছাড়া রাফায় সেনাবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি। এসময়
তিনি রাফায় স্থল অভিযানের ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে উত্তর গাজা ও খান
ইউনিস জয় করেছি।
এদিকে গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে
আরও দুইটি ইস্যু জারি করেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। সেখানে মৌলিক সেবা ও মানবিক সহায়তা
প্রবেশের নিশ্চিয়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩২ হাজার ৫৫২
জন নিহত হয়েছেন। আহাত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৯৮০ জন।
ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস হামলা চালানোর পর থেকে গাজায় যে
যুদ্ধ শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) উভয়
পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ গৃহীত প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি
গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা উচিত এবং ‘একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি
কার্যকর করে রমজান মাসের প্রতি সব পক্ষেরই শ্রদ্ধা দেখানো উচিত’। তবে যুক্তরাষ্ট্র
গত ২৫ মার্চ পাস হওয়া ২৭২৮ নম্বর প্রস্তাবটিকে বাধ্যতামূলক নয় বলে বর্ণনা করেছে। তাদের
যুক্তি, ওই প্রস্তাবে ‘যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে’ কথাগুলোর
পরিবর্তে ‘যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করা হয়েছে’ অভিব্যক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও সাংবাদিকদের
বলেছেন, এটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব নয়।
রাফা সেনাবাহিনী নেতানিয়াহু ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার ২৮টি অ্যাটাক ড্রোনের মধ্যে ২৬টি ড্রোন আকাশ প্রতিরক্ষা
ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ইরান নির্মিত
ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে।
রয়টার্স সূত্র বলছে, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের গভর্নর টেলিগ্রামে বলেছেন,
সেখানকার আঞ্চলিক রাজধানীতে বিধ্বস্ত ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুই নারী আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এলাকার প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন,
বিধ্বস্ত তিনটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে একটি রেস্তোরাঁ, একটি স্টোর এবং বেশ কয়েকটি
অফিস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, সারারাত ধরে করা হামলায় ড্রোনের
পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়ান বাহিনী।
মন্তব্য করুন
সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি শুক্রবার (২৯ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে।
এএফপির ওই খবরে ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার অধীনে থাকা একটি রকেট ডিপোর কাছে এই হামলা চালানো হয়।
সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ভোরের আগে চালানো হামলায় বেসামরিক মানুষ ও সামরিক কর্মী নিহত ও আহত হয়েছেন।
এর আগে সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছিল, একটি হামলায় ইরানপন্থি নয় যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন আইআরজিসির কমান্ডার রয়েছেন। একটি উপত্যকায় তাদের লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়।
গত কয়েক বছর ধরেই সিরিয়ায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু কখনই তারা এসব হামলার দায় স্বীকার করে না।
সিরিয়া ইসরায়েল বিমান হামলা লেবানন
মন্তব্য করুন
প্রায় দশ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে
ভ্রমণে পাড়ি জমান রোজারিও পরিবার। স্বপ্নপূরণে স্থায়ীভাবে থাকতে আবেদনও করেছিল আমেরিকায়।
তাই দুই বছর আগে গ্রিনকার্ড অনুমোদন হয়। তবে আর দু-এক মাসের মধ্যেই উইন রোজারিও পেয়ে
যেত স্বপ্নের গ্রিনকার্ড। তার স্বপ্ন ছিল গ্রিনকার্ড পেলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে
যোগ দেবেন। কিন্তু এর আগেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল উইনের। ধরে দেখা হলো না কাঙ্ক্ষিত
গ্রিনকার্ড, আর অপূর্ণই থেকে গেল নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন।
বুধবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সময় নিউইয়র্কের
কুইন্স এলাকায় নিজ বাসায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৯ বছরের উইন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ওই তরুণ
পুলিশ সদস্যদের দিকে এক জোড়া কাঁচি নিয়ে তেড়ে গেলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালিয়েছিল।
ছেলে হারানোর শোকে ভালো করে কথাও বলতে পারছেন না বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও।
বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ছেলে
আমার নিউইয়র্কের জন এডাম স্কুল থেকে থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছিল। তাকে নিয়ে আমাদের
কত স্বপ্ন ছিল!’
ফ্রান্সিস রোজারিও বলেন, মানসিক সমস্যার
কারণে দুবার জ্যামাইকা হসপিটালে ভর্তি হয়েছিল উইন। এ সমস্যার জন্যই আমাদের কাছে বেশি
আদরের ছিল সে। আর সে ছেলেই হারিয়ে গেল মায়ের কোলে গুলিবিদ্ধ হয়ে।
উইনের ছোট ভাই উৎস রোজারিও বলেন, পুলিশ
গুলি ছোড়ার আগে পুরোটা সময় তার মা ভাইকে জাপটে ধরে রেখেছিলেন। এমনকি ভাইকে ধরে রাখা
অবস্থায়ই গুলি ছোড়ে পুলিশ। এই গুলি ছোড়ার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
মর্মন্তুদ ঘটনার সাক্ষী মা ইভা ডি কস্টার
আর্তনাদ যেন থামার নয়। ক্রমাগত কেঁদেই চলেছেন ছেলের কথা বলতে বলতে। বাঙালি কমিউনিটির
আইনি পরামর্শকেরা এসেছেন তাঁদের সান্ত্বনা দিতে এবং মামলার বিষয়ে পরামর্শ করতে। কমিউনিটির
নেতাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সিস রোজারিও।
রোজারিও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান
আইনজীবী মঈন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘পরিবারের অনুমতি নিয়ে আমরা পুলিশের কার্যক্রম তদন্ত
করছি। তাদের কোনো ত্রুটি থাকলে আমরা নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধে শিগগিরই
মামলা করব।’
নিহত উইনের দূর সম্পর্কের আত্মীয় সুখেন
জোসেফ গোমেজ। তিনি বলেন, উইনের মায়ের বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জ আর বাবার বাড়ি পুবাইলে।
আমার মা এবং উইনের মা বাংলাদেশ থেকেই পরিচিত। এ ছাড়া রোজারিও পরিবারের সঙ্গে অন্য
কারও খুব একটা যোগাযোগ ছিল না।’
সুখেন বলেন, রোজারিও পরিবার এখানে আসার
পর গুটিকয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে খুব একটা দেখা যেত
না। তাঁদের বাসায় যতবার গিয়েছি, উইনকে দেখেছি পড়ালেখা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে
ব্যস্ত থাকতে।
উইনের ভাই উৎস রোজারিও বলেন, ‘ভাই ছিলেন খুবই অন্তর্মুখী স্বভাবের। খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন সব সময়। আমেরিকার মেরিনে (নৌবাহিনী) যোগ দেওয়ার স্বপ্ন ছাড়াও তাঁর ইচ্ছা ছিল বড় অ্যাথলেট হওয়ার। বাসায় চর্চাও করতেন। খুব একটা বন্ধুবান্ধব ছিল না তাঁর। আমিই ছিলাম তাঁর বন্ধু।’
মন্তব্য করুন
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের পর, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে নয়াদিল্লি। সেই তলবের প্রতিক্রিয়ায় নয়াদিল্লির আপত্তি অগ্রাহ্য করে আরও একবার মুখ খোলে ওয়াশিংটন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ফের কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।
সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৬ সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি শুক্রবার (২৯ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে। এএফপির ওই খবরে ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার অধীনে থাকা একটি রকেট ডিপোর কাছে এই হামলা চালানো হয়।
প্রায় দশ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ভ্রমণে পাড়ি জমান রোজারিও পরিবার। স্বপ্নপূরণে স্থায়ীভাবে থাকতে আবেদনও করেছিল আমেরিকায়। তাই দুই বছর আগে গ্রিনকার্ড অনুমোদন হয়। তবে আর দু-এক মাসের মধ্যেই উইন রোজারিও পেয়ে যেত স্বপ্নের গ্রিনকার্ড। তার স্বপ্ন ছিল গ্রিনকার্ড পেলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে যোগ দেবেন। কিন্তু এর আগেই পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল উইনের। ধরে দেখা হলো না কাঙ্ক্ষিত গ্রিনকার্ড, আর অপূর্ণই থেকে গেল নৌবাহিনীতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন।