ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিয়ানমারের জান্তাকে দানব বানিয়েছে যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭


Thumbnail

মিয়ানমারে সেনাশাসন প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত অস্ত্রের মজুদ বাড়ছে। চলমান রোহিঙ্গা সংকটে দেশটি তাদের পাশে পাচ্ছে অনেককে। রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালালেও চীন, রাশিয়া, ভারত এখনো দেশটির পাশে আছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এর পেছনে অস্ত্র ব্যবসাই হয়তো আসল উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করছে। যদি মিয়ানমারের সেনাশাসকদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানায় দেশগুলো তাহলে হয়তো অস্ত্র বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে। এমন আশঙ্কায় কয়েকটি দেশ মিয়ানমারে চলমান সহিংসতায় নীরব আছে।

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে শক্ত হাতে মিয়ানমারের রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করছে সেনাবাহিনী। ১৯৯০-এর দশকের শুরু থেকে বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র। ২০১২ সালে তথাকথিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর হয় মিয়ানমার। তা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত দেশটির ওপর ইইউর অস্ত্র আমদানি-রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ইইউ ভুক্ত কয়েকটি দেশ সহয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল অস্ত্র আমদানি করেছে মিয়ানমার। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে ১৯৯০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার কোন দেশের কাছ থেকে কোন অস্ত্র কিনেছে, তার একটি বিবরণ তুলে ধরা হয়।

মিয়ানমারের কাছে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম বিক্রি করেছে চীন, রাশিয়া, ভারত, ইসরায়েল ও ইউক্রেন। মিয়ানমারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশ থেকেও অস্ত্র কেনার তথ্য উঠে এসেছে। ইউরোপের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞায় বলা ছিল, যুদ্ধ কিংবা সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র দেওয়া হবে না। তবে মানবিক সংকট মোকাবেলায় সামরিক সরঞ্জাম প্রয়োজন হলে তা মেটানোর ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দেশগুলোর কোনো বাধা ছিল না। প্রশ্ন হলো রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে মিয়ানমার কোন মানবিক প্রয়োজন মেটাচ্ছে।

বিমান: আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমারের কাছে সবচেয়ে বেশি ১২০টি যুদ্ধবিমান বিক্রি করেছে চীন। এর পরই আছে রাশিয়ার অবস্থান। দেশটি ৬৪টি বিমান বিক্রি করেছে মিয়ানমারের কাছে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির কাছে পোল্যান্ড ৩৫, জার্মানি ২০, সাবেক যুগোস্লাভিয়া ১২, ভারত নয়, সুইজারল্যান্ড তিন ও ডেনমার্ক একটি বিমান বিক্রি করেছে ।

ক্ষেপণাস্ত্র: মিয়ানমারের কাছে সর্বাধিক দুই হাজার ৯৭১টি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করেছে রাশিয়া। এর পরই আছে চীনের অবস্থান। দেশটি প্রতিবেশীর কাছে এক হাজার ২৯টি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করেছে। এ ছাড়া বেলারুশ ১০২, বুলগেরিয়া ১০০ ও ইউক্রেন ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করেছে।

নৌযান: বার্মিজ নৌবাহিনীর জন্য ২১টি রণতরী কেনা হয়েছে চীনের কাছ থেকে। এ ছাড়া ভারত ও সাবেক যুগোস্লাভিয়ার কাছ থেকে কেনা হয়েছে তিনটি করে তরী।

কামান: সীমান্তবর্তী দেশ চীন সবচেয়ে বেশি ১২৫টি কামান বিক্রি করেছে মিয়ানমারের কাছে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় সার্বিয়া ১২০, রাশিয়া ১০০, ইসরায়েল ২১, উত্তর কোরিয়া ১৬ ও ভারত ১০টি কামান বিক্রি করেছে।

সাঁজোয়া যান: মিয়ানমারের কাছে সর্বাধিক ৬৯৬টি সাঁজোয়া যান বিক্রি করেছে চীন। এর পরই আছে ইসরায়েলের অবস্থান। দেশটি মিয়ানমারের কাছে সাঁজোয়া যান বিক্রি করেছে ১২০টি। এ ছাড়া ইউক্রেন ৫০ ও ভারত ২০টি সাঁজোয়া যান বিক্রি করেছে।

গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি সেনা ও কিছু পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায় সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা। এরপর থেকে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের মুখে এরই মধ্যে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এই অভিযান শুরুর পর থেকে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের নাগরিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মিয়ানমারের আচরণের তীব্র সমালোচনা করলেও কয়েকটি বৃহৎ শক্তি এক রকম নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে।

এর মধ্যে জার্মানি, পোল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ শরণার্থী সংকট ও মানবাধিকার প্রশ্নে বিভিন্ন সময়ে সোচ্চার ছিল। কিন্তু তারাই মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে দানবে পরিণত হতে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। রোহিঙ্গা সংকট আজকের না। প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরেই। এরকম সংকটে রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক জান্তা যে কোনো সময় হস্তক্ষেপ করছে-এ বিষয়টি তাদের অজানা নয়। তাই বর্তমান রোহিঙ্গা সংকটে তারাও দায় এড়াতে পারে না।  

বাংলা ইনসাইডার/আরএইচবি/জেডএ

Save

Save

Save

Save



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ১৪

প্রকাশ: ০৩:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। মেডেনাইন শহরের একজন পাবলিক প্রসিকিউটর বুধবার (২৪ এপ্রিল) এএফপিকে বলেন, তিউনিসিয়ার দক্ষিণের জেরবা দ্বীপের উপকূলে গত কয়েক দিনে ১৪ জন অভিবাসীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে বলেন, এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।

এর আগে গত মঙ্গলবার তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা ২২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। এসব মরদেহ বেশ কয়েক দিন ধরে উপকূলে ভেসে ছিল।

এদিকে ফরাসি উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টাকালে শিশুসহ অন্তত পাঁচ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটেছে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ওই সময়ে ঠিক কয়টি নৌকা যাত্রা করেছিল তা এখনও নিশ্চিত নয়।

ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ১১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে একটি ছোট নৌকা ভিমুরু উপকূল থেকে যাত্রা করেছিল। যাত্রার পর প্রথমে নৌকাটি একটি বালির তীরে আটকা পড়ে। পরে আবার যাত্রা করে সেটি। নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল বলে জানা গেছে।

বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। প্রায়ই বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।


তিউনিসিয়া   উপকূল   নৌকাডুবি   নিহত ১৪  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রিসের আকাশ ঢেকে গেছে রঙিন কুয়াশায়

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রিসের আকাশ সূর্য্যের দেখা মিলছে না। কমলা রঙের মেঘে ঢেকে গেছে আকাশ। এ যেন রঙিন কুয়াশায় ঢাকা পুরো আকাশ। সবকিছু যেন কমলা রং ধারণ করেছে। হঠাৎ মনে হবে, এ যেন কম্পিউটার স্ক্রিনের আলোর রং পরিবর্তনের মতো। গ্রিসের রাজধানী এথেন্স ও অন্যান্য শহরে এমন দেথা গেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পরিস্থিতি প্রকৃত মেঘের কারণে হয়নি। আকাশ ঢেকে রেখেছে সাহারা মরুভূমি থেকে উড়ে আসা ধূলিকণা। ধূলিকণার মেঘে বিপর্যস্ত গ্রিস। এতে কমে গেছে মানুষের দৃষ্টিসীমা। ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা।

২০১৮ সালের পর ফের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। এর আগে এথেন্সে গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বাতাস বইছিল। পরে মঙ্গলবার থেকে আকাশে ধূলিকণার মেঘ ওড়ে আসে।

দেশটির আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা এথেন্স অবজারভেটরির গবেষণা পরিচালক কোস্টাস লাগোয়ার্দোস বলেন, কমলা রঙের এই ধূলিকণার আস্তরণ বিশেষ করে ক্রিট দ্বীপে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

চলতি বছর আরও দু’বার ধূলিকণার মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। উত্তর আফ্রিকা থেকে এসেছে এই ধূলিকণা। যা ছড়িয়ে পড়েছে সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের দক্ষিণের কিছু অঞ্চলেও।

গ্রিসের আবহাওয়া সেবা সংস্থা জানায়, বুধবার থেকে দেশের আকাশ পরিষ্কার শুরু হতে পারে। লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার কয়েকটি অঞ্চলে দাবানলের ঘটনা ঘটেছে গ্রিসে। ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশটিতে ২৫টি দাবানলের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

সাহারা মরুভূমি থেকে ধূলিকণার মেঘ ভেসে আসার ঘটনা নতুন নয়। বালুঝড়ে ধুলোবালি ওড়ে আশপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।

অপেক্ষাকৃত ছোট ও হালকা ধুলো বায়ুমণ্ডলে ‘ধুলো মেঘের’ সৃষ্টি করে। প্রবল বাতাসে যার বেশিরভাগ ভেসে আসে ইউরোপের দেশে।


গ্রিস   আকাশ   রঙিন   কুয়াশা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অরুণাচলে ভয়াবহ ভূমিধস, চিন সীমান্তের কাছে ভেসে গেল জাতীয় সড়ক

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের একটি মহাসড়কের বড় অংশ ভেসে গেছে। এর ফলে সারা দেশের সঙ্গে চীন সীমান্তবর্তী ভারতীয় জেলা দিবাং উপত্যকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। খবর এনডিটিভির।

ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে দিবাং জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে সেখানে ব্যাপক হারে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে।একপর্যায়ে বৃষ্টি ও ভূমিধসে জেলার হুনলি ও অনিনির মধ্যবর্তী জাতীয় সড়কের বিস্তর অংশ ভেসে গেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মহাসড়কের বিশাল একটি অংশ পানির সঙ্গে ভেসে গেছে। এর ফলে কোনো যানবাহনের পক্ষে সড়ক পার হওয়া সম্ভব না। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন।

ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) ইতিমধ্যে সড়ক মেরামত করতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সেখানে পাঠিয়েছে।

অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু বলেছেন, হুনলি ও আনিনির মধ্যবর্তী মহাসড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে যাত্রীদের অসুবিধার কথা জানতে পেরে মর্মহত হয়েছি। এই রাস্তাটি দিবাং উপত্যকাকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। তাই দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা সচলের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

তবে মহাসড়কে যান চলাচল পুনরায় চালু করতে কমপক্ষে তিন দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে দিবাং জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে ভূমিধস প্রবণ এলাকা থেকে জনগণকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।

 


অরুণাচল   ভূমিধস   চিন সীমান্ত   ভেসেগেল   জাতীয় সড়ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বক্তৃতা দিতে গিয়ে জ্ঞান হারালেন ভারতীয় মন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়করি এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মঞ্চে আচমকা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা ছুটে এসে তাকে ধরাধরি করে মঞ্চ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের এক নির্বাচনী জনসভায় এ ঘটনা ঘটে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র প্রদেশের নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা করার এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন। মঞ্চেই মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে তার দেহরক্ষী ও দলীয় নেতারা ছুটে এসে তাকে ধরেন। মঞ্চ থেকে নিচে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু সময় পর জ্ঞান ফেরে তার। এরপর আবারও মঞ্চে উঠে নিজের বক্তৃতা শেষ করেন নিতিন।

ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের কারণেই মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন এই মন্ত্রী। বর্তমানে সুস্থ আছেন জানিয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন এই বিজেপি নেতা।


ভারত   মহারাষ্ট্র   বিজেপি   নির্বাচন   জনসভা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডে হিস্ট স্ট্রোকের বিষয়ে নতুন করে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, চলতি বছরে দেশজুড়ে হিস্ট স্ট্রোকে কমপক্ষে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চরম তাপদাহের বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নগরীতে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। 

গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ তাপদাহ বিরাজ করছে। তীব্র তাপদাহের কারণে ফিলিপাইনে স্কুলে ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির নাগরিকরা বলেছেন, গরমের তীব্রতা এত বেশি যে নিঃশ্বাস নেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। 

বাংলাদেশেও নজিরবিহীন তাপদাহ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি কামনায় বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। 

থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে হিট স্ট্রোকে অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। তার আগে ২০২৩ সালে দেশটিতে হিট স্ট্রোকে ৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক দিরেক খামপায়েন বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তারা বয়স্ক লোকজন এবং যারা দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের বাড়িতে অবস্থান ও নিয়মিত পানি পান করার আহ্বান জানিয়েছেন।

থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সাধারণত এপ্রিল মাসে আবহাওয়া সবেচেয় গরম থাকে। কিন্তু এল নিনো ধাঁচের আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।


থাইল্যান্ড   মৃত্যু   হিট স্ট্রোক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন