ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্বাধীন কাতালোনিয়ার সক্ষমতা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:৫৫ পিএম, ০৪ অক্টোবর, ২০১৭


Thumbnail

কয়েক দিনের মধ্যেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হবে। স্পেন থেকে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার। বিবিসিকে এমনটাই জানিয়েছেন, কাতালোনিয়ার নেতা কার্লস পোয়েগডেমন।

স্পেনের মধ্যে থাকা স্বায়ত্বশাসিত একটি অঞ্চল এই কাতালোনিয়া। দীর্ঘ দিন ধরেই চলা স্বাধীনতার জন্য বিতর্ক, পরে গণভোট ও এই ভোটকে অবৈধ বলে সেখানে স্প্যানিশ পুলিশের বাধা এবং আরও অনেক ঘটনা পেরিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার প্রহর গুনছে তারা। স্পেন হয়তো কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা আরও কিছুদিন আটকে রাখতে পারবে, কিন্তু প্রশ্ন হলো কাতালোনিয়া শিগগিরই স্বাধীনতা পেলে কী হবে তাদের অবস্থা? নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার সক্ষমতা কী আছে কাতালোনিয়ার?

সাাধারণ চোখে কাতালোনিয়া স্বাধীন বলেই কারও মনে হতে পারে। স্বাধীন দেশের মতো অনেক সুযোগই আছে কাতালোনিয়ার। আছে নিজস্ব পতাকা, পার্লামেন্ট এবং তাঁর নেতা কার্লস পোয়েগডেমন।

স্বাধীন হলেই প্রয়োজন

কাতালোনিয়ার নিজস্ব পুলিশ বাহিনী আছে। নিজেদের সম্প্রচার নীতিও আছে এমনকি বিশ্বজুড়ে কাতালোনিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে এমন কিছু দেশে পররাষ্ট্র সফরও করেন কাতালোনিয়ার কর্মকর্তারা। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো অনেক নাগরিক সেবাও দেওয়া হয় অঞ্চল পক্ষ থেকেই।

তবে স্বাধীন হওয়ার পর কাতালোনিয়াকেই আরও কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে হবে, যার মধ্যে আছে সীমান্ত সুরক্ষা, কাস্টমস, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অভ্যন্তরীণ শুল্ক ব্যবস্থা। বিষয়গুলো এখন স্পেন থেকেই দেখা হয়।

ধরা যাক, কাতালোনিয়া প্রতিষ্ঠানগুলো সৃষ্টি করল, এগুলো চালানোর মতো আর্থিক সক্ষমতা কি তাদের আছে?

আশার কথা

‘মাদ্রিদ আমাদের লুট করছে’-কাতালোনিয়ার জনপ্রিয় একটি স্লোগান। ধনী কাতালোনিয়ার কাছ থেকে স্পেন যা পাচ্ছে, তার খুব কমই কাতালোনিয়ার উন্নয়ন ও জনগণের সেবায় ব্যয় হচ্ছে বলে কথা প্রচলিত। এর পক্ষে যুক্তিও আছে।

স্পেনের অন্যান্য অংশের তুলনায় কাতালোনিয়া ধনী অঞ্চল। এখানে স্প্যানিশ জাতীয়তার মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৬ শতাংশ। তবে স্পেনের জিডিপির ১৯ শতাংশ এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের এক চতুর্থাংশ আসে কাতালোনিয়া থেকে। পর্যটনের ক্ষেত্রে বিশেষ আকর্ষণীয় কাতালোনিয়া। গত বছরের হিসাব অনুযায়ী, স্পেনে পর্যটন এসেছিল সাত কোটি ৫০ লাখ। এর মধ্যে এক কোটি ৮০ লাখ পর্যটক এসেছিলেন শুধুই কাতালোনিয়া ভ্রমণে। এটি বলার অপেক্ষা রাখেনা, স্পেনের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় কাতালোনিয়া পর্যটক বেশি যান।

পণ্যের ওজনের হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ ২০ টি বন্দরের একটি বার্সেলোনা। কাতালোনিয়ার কর্মক্ষম জনগোষ্ঠির এক তৃতীয়াংশই তিন স্তরের শিক্ষা সমাপ্ত করা।

কর হিসেবে কাতালোনিয়া থেকে যে আয় হয় সেখানে ব্যয় হয় তার কম। গত ২০১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী কাতালোনিয়া সেবায় যা ব্যয় হয়েছে তার চেয়ে এক হাজার কোটি ইউরো বেশি ট্যাক্স দিয়েছে কাতালানরা। স্বাধীন হলে এমন বিপুল পরিমাণ অর্থ নিজের কাছেই থাকবে।

অনেকের মতে, স্বাধীনতার মাধ্যমে কাতালোনিয়া বিপুল পরিমাণ করের অর্থ পেলেও, তা ব্যয় হয়ে যাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি এবং তা চালানোর জন্য। আবার অনেকেই মত দেন স্পেনের পক্ষে, কারণ ধনী অঞ্চল থেকে পাওয়া বাড়তি অর্থ গরীব অঞ্চলের উন্নয়নে ব্যয় করাই তো একটি রাষ্ট্রের কাজ।

ঝামেলাটা ঋণে

কাতালোনিয়ার স্বাধীন হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো স্পেনের কাছে ঋণ। সাত হাজার ৭০০ কোটি ইউরো ঋণ এই অঞ্চলের, যা কাতালোনিয়ার জিডিপির ৩৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আর মোট ঋণের মধ্যে পাঁচ হাজার ২০০ কোটি ইউরো ঋণ স্প্যানিশ সরকারের কাছে।

২০১২ সালে বৈশ্বিক মন্দার সময় স্পেন সরকার বিশেষ ঋণ সেবা চালু করে। স্পেনের যে অঞ্চলগুলো আন্তর্জাতিক ঋণ নেওয়ায় সক্ষম ছিল না শুধু তাদের জন্যই ছিল ওই ঋণ। কাতালোনিয়া ছয় হাজার ৭০০ কোটি ইউরো ঋণ নিয়েছিল।

কাতালোনিয়া স্বাধীন হওয়ার আলোচনার টেবিলে এই ঋণ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তারা স্বাধীন হলে স্পেনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার অধিকার হারাবে। একই সঙ্গে আলোচনা হবে স্বাধীনতার পর কতোটা ঋণ তারা ফেরত দিবে।

বাণিজ্য সংকট?

কাতালোনিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের দুই তৃতীয়াংশই হয় ইউরোপের দেশগুলোতে। স্বাধীন হলে কাতালোনিয়াকে ইইউয়ের সদস্য হতে পুনরায় আবেদন করতে হবে। ইইউয়ের সদস্য হওয়া দীর্ঘ সময়ের প্রক্রিয়া। আবার এমন আবেদনে ইইউভুক্ত সব দেশের মতামত নেওয়া হয়। আর সদস্যের মধ্যে স্পেনও থাকবে। তাই স্পেন চাইলে স্বাধীন কাতালানদের জীবন দুর্বিসহ করে তুলতে পারে।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিবিড় পর্যবেক্ষণ

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ ভারতের বিভিন্ন ইস্যু যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।  

নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার অভিযোগ সম্পর্কেও অবহিত যুক্তরাষ্ট্র। 

সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিককে তলব করেছে ভারত। এর প্রেক্ষিতে আপনার প্রতিক্রিয়া কী এবং বিরোধী দলের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করাসহ ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখেন? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সেখানকার পরিস্থিতিকে 'জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন একটি সঙ্কটজনক পয়েন্টে এসে পৌঁছেছে' বলে অভিহিত করেছে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলছি- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ এসব বিষয়ে আমরা অব্যাহতভাবে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট আয়কর বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে বলে অভিযোগের বিষয়েও আমরা অবহিত। এটা করার ফলে আসন্ন নির্বাচনে কার্যকর প্রচারণা চালানো তাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। এর প্রতিটি ইস্যুতে সময়মতো অবাধ, স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি আমরা। আর প্রথম প্রশ্নের জবাবে বলতে হয়, কূটনৈতিক কোনও প্রাইভেট আলোচনা নিয়ে আমি কথা বলব না। তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে আমি যেটা বলব তা হল, আমরা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং সময়মতো আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি। আশা করি এতে কারও কোনও আপত্তি থাকা উচিত নয়। একই বিষয় আমরা প্রাইভেটলিও ক্লিয়ার করব।


ভারত   ইস্যু   যুক্তরাষ্ট্র   ম্যাথিউ মিলার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অর্থ নেই ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০২:১০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিজের পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি তাকে অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা তামিলনাড়ু থেকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে, এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।  

বুধবার(২৭, মার্চ) এক সম্মেলনে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সপ্তাহ বা ১০ দিন ভাবার পর তিনি ফিরে গিয়ে জানান 'খুব সম্ভবত না'। নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তার নেই।    এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ নাকি তামিলনাড়ু; এটি নিয়েও তার সমস্যা আছে। নির্বাচনে জয় পাওয়ার যে কয়েকটি নির্ণায়ক রয়েছে, সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে...আপনি কি এই গোত্রের অথবা এই ধর্মের? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, না, তিনি মনে করেন না তিনি এটা করতে পারবেন।  

এছাড়াও, নির্মলা বলেন, 'তিনি খুবই খুশি, কারণ, বিজেপি তার যুক্তিটি গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।'

সম্মেলনে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় অর্থমন্ত্রীর কেন নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। জবাবে তিনি জানান, ভারতের অর্থসম্পদ তার নয়। তিনি বলেন, আমার বেতন, আমার আয় এবং আমার সঞ্চয় আমার এবং এগুলো ভারতের সম্পদ নয়।

নির্মলা সীতারামণ ভারতের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য। মূলত এমএলএ-রা রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচন করে থাকেন। এ বছর রাজ্যসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে, যা সাত ধাপে ২ জুন পর্যন্ত চলবে। নিজে নির্বাচন না করলেও বিজেপির অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেবেন নির্মলা।


নির্বাচন   লোকসভা নির্বাচন   রাজ্যসভা   ভারত   অর্থমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘গাজায় দেখা দিচ্ছে দুর্ভিক্ষ’

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অনাহার ও অসুস্থতা গাজার অধিবাসীদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাৎক্ষণিক ও সমন্বিত পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুস বলেছেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ তরান্বিত করাসহ গাজায় স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান ব্যবস্থাকে রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন।

গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে গাজা সিটি এবং শাতি ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজা শহরের আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকাগুলোতে কামানের গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।   

অন্যদিকে, কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরে দুজন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে এবং পরে তাদের মরদেহ বুলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দেয়। উপকূল ধরে হেঁটে যাবার সময় একজন ফিলিস্তিনিকে সাদা কাপড় নাড়তেও দেখা যায় ভিডিওটিতে।

গাজায় আকাশ থেকে ফেলা সাহায্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া সাগর থেকে আরও ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। ৮ অক্টোবরের পর হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষে এটিই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির সংখ্যা।   

অন্যদিকে, গাজায় দক্ষিণাঞ্চরের রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েল মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে নতুন সূচি নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা বাতিল করে দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এই নতুন প্রস্তাবটি পাওয়া গেল।

গতকাল বুধবার রাতে চতুর্থ দিনের মতো গাজায় ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের প্রতিবাদে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে শত শত বিক্ষোভকারী অবস্থান বজায় রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় গাজার অধিবাসীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ায়। বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে জর্ডানকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি বাতিলেরও আহ্বান জানায়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা   ডব্লিউএইচও   গাজা   দুর্ভিক্ষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে সেতু ধস: ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় জনের মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ( ২৭ মার্চ) তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫) এবং ডোরিয়ান রনিয়াল ক্যাস্টিলো ক্যাব্রেরা (২৬)। এই দুই ব্যক্তিই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি ধসে পড়ার সময় তারা একটি ট্রাকের মধ্যে ছিলেন।  মেরিল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, কিছু যানবাহন সেতুর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে। এগুলো সরানো হলে ডুবুরিরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে আবারও অভিযান শুরু করবে।   

এদিকে আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসের ঘটনায় ধাক্কা খাওয়া পণ্যবাহী জাহাজ থেকে ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের আশা, কী কারণে জাহাজটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে, তার কারণ জানা যাবে রেকর্ডার থেকে।

মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থার প্রাথমিক ধারণা, বাল্টিমোরের হারবার ছেড়ে যাওয়ার সময় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হলো সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ ডালি সেতুতে ধাক্কা দেওয়ার আগে সেটির বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। এমনকি ইঞ্জিনেও কোনো শক্তি ছিল না।

সমস্যা সমাধানে বারবার অ্যালার্ম বাজানো হয়। ক্রুরা মরিয়া হয়ে জাহাজটিতে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। যদিও ডালির একটি জরুরি জেনারেটর ছিল। কিন্তু ইঞ্জিনগুলোর শক্তি ফিরিয়ে আনতে পারেনি সেই জেনারেটর।

গত মঙ্গলবার ( ২৬ মার্চ) রাতে আমেরিকার অন্যতম বন্দর বাল্টিমোর থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে যাওয়ার সময় সেতুটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে সিঙ্গাপুরের পণ্যবাহী জাহাজ ডালির। এতে সেতুটির একাংশ ধসে পড়ে। পরের দিন দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।


যুক্তরাষ্ট্র   বাল্টিমোর   সেতু   ধস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসবেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূ্ত্রে জানা যায়, আমিরের সফরের প্রস্তুতি নিয়ে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র জানায়, এই সফরে জ্বালানি নিরাপত্তা, শ্রমবাজার, বৈদেশিক বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে গতবছর দোহায় কাতার এনার্জির সদরদপ্তরে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) এবং কাতার এনার্জির এলএনজি ট্রেডিং শাখার মধ্যে কাতার থেকে বছরে ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটি) করে ১৫ বছর পর্যন্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই হয়।

চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতি বছর অতিরিক্ত ১ দশমিক ৮ এমএমটি এলএনজি পাবে, যা ২০২৬ সালে শুরু হবে।

বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদার বড় অংশই পূরণ করছে কাতার৷ আমিরের বাংলাদেশ সফরের ফলে এলএনজি আমদানির দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

জীবীকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাস করছেন প্রায় চার লাখ বাংলাদেশী। আমিরের সফরের খবরে প্রাবসীদের মধ্যেও এক ধরনের স্বস্তি কাজ করছে। প্রবাসীরা মনে করছেন এই সফরের মাধ্যমে দেশটিতে নতুন করে বাংলাদেশী শ্রমবাজারের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।

এই বিষয়ে কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। তারা বলেন, আমির যেহেতু বাংলাদেশে যাবেন সেখানে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, কথা হবে। আমরা চাই আমাদের যেসব চাহিদা রয়েছে, দৈনন্দিন সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলেচনা হোক।


কাতার   আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি   বাংলাদেশ   সফর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন