ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাইডেন-পুতিন করমর্দন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ১৬ জুন, ২০২১


Thumbnail

হাত বাড়িয়ে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে হাত ধরলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার জেনেভা ভিলার বাইরে করমর্দনের মাধ্যমেই আলোচিত সম্মেলন শুরু করলেন দুই প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার দীর্ঘ উত্তেজনার মধ্যেই দুই প্রেসিডেন্ট পারস্পরিক বোঝাপড়ার লক্ষ্যে আলোচনা করছেন।

সম্মেলন আয়োজক সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট গাই পারমেলিন সম্মেলনের সূচনা করার পর বাইডেন-পুতিন হাত মেলান।

সম্মেলনে দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের নিয়ে দুই প্রেসিডেন্ট যখন আলোচনায় বসছেন, তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বাইডেন বললেন, ‘সরাসরি দেখা হওয়াটা সব সময়ই ভালো।’

মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সর্বোচ্চ উদ্বেগের মধ্যেই দুই প্রেসিডেন্টের এ সাক্ষাতে ইতিবাচক অনেক দিক দেখতে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এসব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর মধ্যে রয়েছে সাইবার হামলা, মানবাধিকার, ইউক্রেন, বেলারুশ প্রভৃতি প্রসঙ্গ।

আলোচনার শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ইতিবাচক দিকটিই তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ফলপ্রসূ আলোচনাই হতে যাচ্ছে।

রয়টার্স জানায়, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে বাইডেনের পাশে বসে পুতিন তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘মি. প্রেসিডেন্ট, আমি আপনাকে আজকের আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’

বাইডেন বলেছেন, দুই নেতা সহযোগিতা ও পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো নির্ধারণ করার চেষ্টা করবেন।

জেনেভা লেকমুখী দৃষ্টিনন্দন ভিলায় বুধবার জেনেভার স্থানীয় সময় বেলা একটায় বাইডেন ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। দুই নেতার মধ্যকার বৈঠকটি চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা টানা চলার কথা। এতে খাবারের কোনো বিরতি রাখা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আলোচনা টানা চলবে। খাবারের কোনো বিরতি নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাইডেন এই প্রথম পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন। তাঁদের এই বৈঠক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জোর আলোচনা চলছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া আলোচনা করে জেনেভাকে সম্মেলনস্থল হিসেবে ঠিক করে।

বিষয়টি স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার আরেক সম্মেলনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ১৯৮৫ সালে মিখাইল গর্বাচেভ ও রোনাল্ড রিগ্যান জেনেভায় ওই একই ভিলায় বৈঠকে অংশ নেন। তবে এবারের সম্মেলনে ওই সময়কার মতো কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র এবং প্রতিযোগিতামূলক মতাদর্শ নিয়ে উত্তেজনা কম।

বাইডেন ও পুতিনের বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে উভয় দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এসব ইস্যুর মধ্যে থাকতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, সাইবার হামলা, মানবাধিকার, ইউক্রেন, বেলারুশ, কৌশলগত স্থিতিশীলতা, আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি।

বৈঠকের প্রাক্কালে গত সোমবার বাইডেন বলেছেন, ‘আমি রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে যাচ্ছি না। তবে রাশিয়া যদি তাদের ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড চালিয়ে যায়, তবে আমরা তার জবাব দেব।’

গত সোমবার ন্যাটোর বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈঠক নিয়ে বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সীমা নির্ধারণ করে দেবেন তিনি। তিনি ওই সময়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট তাঁর যোগ্য প্রতিপক্ষ হিসেবেও উল্লেখ করেছিলেন। তিনি পুতিনকে ‘কঠোর’ নেতা হিসেবেও উল্লেখ করেন।

পশ্চিমা মিত্রদের দূরত্ব কমানোর বার্তা নিয়ে ইউরোপ সফর করছেন জো বাইডেন। তিনি জি-৭ সম্মেলন ও ন্যাটোর বৈঠকে অংশগ্রহণের পর মঙ্গলবার জেনেভার পৌঁছান।

সম্মেলন শুরুর আগে এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন রয়টার্সকে বলেছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কিছু কড়া বার্তা দিতে পারেন।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উভয় দেশের প্রেসিডেন্ট আলোচনা করবেন। তাঁরা আলোচনা করবেন কৌশলগত স্থিতিশীলতার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। বিভিন্ন আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনের উপায় নিয়ে তাঁরা কথা বলবেন। করোনা মহামারি মোকাবিলাসহ আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে তাঁরা বৈঠকে আলাপ করবেন।

খুব কম বিশেষজ্ঞই বাইডেন-পুতিন বৈঠক থেকে নাটকীয় কোনো ফল আশা করছেন। কেননা, বাইডেন কেবল ক্রেমলিনের সঙ্গে একটি কার্যনির্বাহী সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। অন্যদিকে রাশিয়া ঠিক কী চায়, তা অস্পষ্ট।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: প্রথম দিনেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ সকাল ৭ টায়। ভোটগ্রহণ শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টায়। 

চলমান এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চাঁদমারি এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকে ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে একজন আহত হয়েছে।

এবার পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। আজ প্রথম দফা। এই দফায় পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে। আসন তিনটি হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার আসন।

সকাল নয়টা পর্যন্ত তিনটি আসনে গড়ে ১৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

সকালেই কোচবিহারের দিনহাটার বিজেপি এজেন্ট বিশ্বনাথ পালকে ভোটকেন্দ্র  থেকে অপহরণ করার অভিযোগ তোলে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনও এ ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে ভোটকেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। দিনহাটায় তৃণমূলের এক ব্লক সভাপতিকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। আহত ব্যক্তিদের দেখতে হাসপাতালে যান তৃণমূল নেতা ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। 

এদিকে, কোচবিহারের চান্দামারিতে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে ভোটদান নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের তুফানগঞ্জের হরিহরহাটে আজ সকালে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, তাদের অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। 

শীতলখুচির শালবাড়ি এলাকায় তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত তৃণমূল নির্বাচন কমিশনে ৩৭টি অভিযোগ দায়ের করেছে। জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় বিজেপির একটি বুথ অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আবার তুফানগঞ্জের তৃণমূলের নির্বাচন অফিসও পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। 

কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী এবং বাম ফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়। 

জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বাম ফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ। আলিপুরদুয়ার আসনে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বাম ফ্রন্টের মিলি ওঁরাও। এই তিনটি আসনে আরও লড়ছেন ছোটখাটো রাজনৈতিক দল ও নির্দলীয় প্রার্থীরা।

আর আজ পশ্চিমবঙ্গের তিন আসনে ভোট দেবেন ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ১০৮ জন ভোটার। মোট ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ৫ হাজার ৮১৪টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর কেন্দ্র হচ্ছে ৮৩৭টি।

প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আরও থাকছে ১২ হাজার ৩১০ জন রাজ্য পুলিশ। নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।


তৃণমূল   বিজেপি   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের লোকসভা নির্বাচন কেন এত দীর্ঘ সময় হয়

প্রকাশ: ১২:৩১ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারত। দেশটিতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। যা মোট সাত দফায় অনুষ্ঠিত হবে এই ভোট। এবারের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ৪৪ দিন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ছিল ৩৯ দিন। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল আগের চেয়ে বেশি।

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) প্রথম দফার ভোট। বাকি দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২৬ এপ্রিল (দ্বিতীয় দফা), ৭ মে (তৃতীয় দফা), ১৩ মে (চতুর্থ দফা), ২০ মে (পঞ্চম দফা), ২৫ মে (ষষ্ঠ দফা) ও ১ জুন (সপ্তম দফা)। ভোট গণনা ৪ জুন। অর্থাৎ এবারের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল ছয় সপ্তাহের বেশি।

লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। আজ প্রথম ধাপে ১০২টি নির্বাচনী আসনে ভোট হচ্ছে। শেষ দফার দিন (১ জুন) ভোট হবে ৫৭টি আসনে।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনচক্রের ব্যাপ্তিকাল এত দীর্ঘ কেন, তার ব্যাখ্যা এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভোটারসংখ্যা

ভারতে সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে এতটা সময় লাগার প্রধান কারণ দেশটির আকার ও বিপুল ভোটারসংখ্যা। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য ভোটারসংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৬ লাখ। এই সংখ্যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যার দ্বিগুণের বেশি।

ভৌগোলিক বিস্তার

ভারত একটি বড় আয়তনের দেশ। দেশটির ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে কয়েকটিতে এক ধাপে ভোট হয়। তবে বড় রাজ্যগুলোর বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ভোট হয়। উদাহরণস্বরূপ উত্তর প্রদেশের কথা বলা যায়। রাজ্যটির জনসংখ্যা ২৩ কোটির বেশি। এখানে সংসদীয় আসনসংখ্যা ৮০টি। এই রাজ্যের আসনগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন দিনে ভোট হবে।

নিরাপত্তাব্যবস্থা

ভোট যাতে সহিংসতা ও কারচুপিমুক্ত হয়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তিন লাখের বেশি সদস্য রাজ্য সরকারগুলোর অধীনে থাকা পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা করবে। প্রতিটি দফার ভোটের মধ্যে পর্যাপ্ত ব্যবধান আছে। এর ফলে এই মধ্যবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এক নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্য নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বপালনের জন্য যেতে পারেন।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনী কর্মকর্তারা ভোটিং মেশিনগুলো ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যান। ভোট গণনার দিন পর্যন্ত এগুলো সুরক্ষিত রাখেন।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েল কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেনি: ইরান

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের জাতীয় সাইবারস্পেস কেন্দ্রের মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা সরাসরি অস্বীকার করেছেন। 

এক এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‌‌ইসফাহান কিংবা দেশের অন্য কোনো স্থানে সীমান্ত পেরিয়ে আশা কোনো আকাশ হামলার ঘটনা ঘটেনি।' তিনি আরো বলেছেন, 'তারা কোয়াডকপ্টার (ড্রোন) ওড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলো। এই ড্রোনগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে।' 

এদিকে ইসরায়েলে পাল্টা হামলার খবরের পরই উড়োজাহাজ চলাচলে নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ি ইস্পাহান, সিরাজ এবং তেহরানের ওপর দিয়ে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যই ইসফাহান শহরে কাছে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছিলো। আর দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বিবিসি জানায় ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

যদিও ইরানের প্রেস টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসফাহানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলও অবশ্য এ হামলা বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম আইরআইবি জানিয়েছে, ইসফাহান শহর নিরাপদ ও শান্ত রয়েছে। সেখানকার মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। 

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক ঘণ্টা আগে আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। কয়েকটি  মিনি ড্রোন ইসফাহানের আকাশে ওড়ার সময় সেগুলোকে টার্গেট করা হয়। সেখান থেকেই এই শব্দ আসে।

ইসফাহানের পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টিও সরাসরি নাকচ করে দেয়া হয় ওই প্রতিবেদনে। জানানো হয় কোথাও কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।


ইসরায়েল   ক্ষেপণাস্ত্র হামলা   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সবগুলো ইসরায়েলি ড্রোন গুঁড়িয়ে দিল ইরান

প্রকাশ: ১০:৪৭ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু ও সামরিক ঘাঁটির শহর ইসফাহানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এদিকে ইরান দাবি করছে, দেশটির ইস্ফাহানে ইসরায়েলের তিনটি ড্রোন পর্যবেক্ষণ করছিল যা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। দেশটির বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় থাকায় ড্রোনগুলো ধ্বংস করা হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।

ইরানের মহাকাশ সংস্থার একজন মুখপাত্রের বরাতে কাতারি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছোট ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই পাল্টা হামলার হুমকি দেয় নেহতানিয়াহু প্রশাসন। যদিও বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে এমন আচরণ না করতে অনুরোধ করে পশ্চিমা দেশগুলো। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ রাখেনি তেলআবিব।

এখন পর্যন্ত চলমান এ হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি পাল্টা এ হামলার দায়ও স্বীকার করেনি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।

ইরানের ইস্ফাহান শহরটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শহরটিতে সামরিক গবেষণা ও উন্নয়নের সাইট এবং ঘাঁটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এ ছাড়া নিকটবর্তী নাতাঞ্জ শহরে ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ সাইটগুলোর অবস্থান রয়েছে।

ইসরায়েল অবশ্য ইতোমধ্যেই তার মিত্রদের প্রতি তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে। মূলত ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত বছরের অক্টোবরে শেষ হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার জন্য। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে এবং বিভিন্ন সময়ে নতুন নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত করে।


হামলা   ইসরায়েল   ড্রোন   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতীয় রাজনৈতিক বক্তব্যযুক্ত পোস্ট ব্লক করলো এক্স

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য রাজনৈতিক বক্তব্য সম্পর্কিত পোস্ট ব্লক করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স। নির্বাচন চলাকালীন এমন পোস্ট ব্লক করতে এক্সকে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।  

নির্দেশ মেনে পোস্ট ব্লক করলেও এক বিবৃতিতে এক্স ভারতের নির্বাচন কমিশনের ঐ নির্দেশের সঙ্গে একমত নয় বলে জানিয়েছে। তারা মনে করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত।

ভারতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাহত হচ্ছে বলে মোদির সমালোচকেরা অভিযোগ করেছেন। গতবছর মোদি প্রশাসনের সমালোচনা করা টুইট ও অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার নির্দেশ শুরুতে না মানায় ভারতের একটি আদালত এক্সকে ৬১ হাজার ডলার জরিমানা করেছিল। 

২০১৪ সালে মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গণমাধ্যম সূচকে দেশটির অবস্থান ২১ ধাপ পিছিয়েছে। বর্তমানে ১৮০ দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৬১। 

আগামী সোমবার এক্স এর মালিক ইলন মাস্ক ভারতে মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে ভারতে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। এদিকে আজ থেকে ভারতে নির্বাচন শুরু হচ্ছে। ফলাফল জানা যাবে আগামী ৪ জুন।


এক্স   ভারত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন