ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমেরিকাকে ঠেকাতে রাশিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ২২ জুলাই, ২০২১


Thumbnail

আমেরিকা ও ন্যাটো জোট রাশিয়ার সাথে সামরিক ভারসাম্য বিনষ্ট করায় এবার শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ গতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।

গত মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ক্রেমলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।

তিনি এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল ট্রিটি বা এবিএম চুক্তি থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন পেসকভ। ১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ওই চুক্তি সই করেছিল ওয়াশিংটন।

পেসকভ বলেন, আমেরিকা ও ন্যাটো জোট সুনির্দিষ্টভাবে এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যার ফলে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সামরিক ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। তারা রাশিয়ার সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছ। এসব ব্যবস্থা দিয়ে প্রয়োজনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো সম্ভব।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, পাশ্চাত্যের এসব পদক্ষেপের জবাব দিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সামরিক ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন ছিল মস্কো তা করেছে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘ইউক্রেন হারলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে’

প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার সাথে সংঘাতে ইউক্রেন হেরে গেলে ‌‌‘‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’’ শুরু হয়ে যাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল। রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা একটি বিদেশি সহায়তা বিল পাসের আহ্বান জানিয়ে এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেনের এই প্রধানমন্ত্রী বিলটি পাসের বিষয়ে আশাপ্রকাশ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা কিয়েভের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজটির অনুমোদন দেবেন। আগামী শনিবার মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে এই বিলের ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইসরায়েলের পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক সহায়তার বিষয়টিও ওই বিলে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী শ্যামিহাল যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সহায়তার বিষয়ে বলেন, ‘‘এই অর্থ আমাদের গতকালই দরকার ছিল, আজ কিংবা আগামীকাল নয়।’’

তিনি বলেন, আমরা যদি এটা না পাই... তাহলে ইউক্রেনের পতন ঘটবে। আর তখন বিশ্ব, বিশ্বের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে...। আর এটা ঘটলে পুরো বিশ্বকে নিরাপত্তার একটি নতুন ব্যবস্থা খুঁজে বের করতে হবে।’’

‘‘অথবা বিশ্বজুড়ে অনেক সংঘাত দেখা দেবে। এই ধরনের অনেক যুদ্ধ বাধবে। দিনের শেষে এটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে গড়াবে।’’

রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে সম্ভাব্য পরাজয় নিয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এবারই প্রথম যে এভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, বিষয়টি তেমন নয়। কারণ এর আগে গত বছর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, সংঘাতে রাশিয়া যদি জিতে যায়, তাহলে তারা পরবর্তীতে পোল্যান্ডে আক্রমণ করবে; যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করবে।

তবে পশ্চিমাদের এই ধরনের যুদ্ধভীতির দাবিকে নিয়ে উপহাস করেছেন ক্রেমলিনের কর্মকর্তারা। গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া পূর্ব ইউরোপে একদিন হামলা চালাতে পারে পশ্চিমাদের এমন আশঙ্কাকে ‘‘পুরোপুরি বাজে কথা’’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ভেতরে কোনও দেশে রাশিয়া কখনই হামলা চালায়নি। ন্যাটোর সামষ্টিক প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী, কোনও সদস্য দেশের ওপর হামলা হলে তা জোটের সব সদস্যের ওপর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

বুধবারের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শ্যামিহালকে রিপাবলিকান হাউসের পররাষ্ট্রবিষয়ক চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককালের নিজ দলের সদস্যরা রাশিয়ার প্রচারণায় ‘‘সংক্রমিত’’ হচ্ছেন’, সাম্প্রতিক এমন এক দাবির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বোঝা উচিত যে, মিথ্যা তথ্য এবং অপপ্রচার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক মানুষের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক লোকজনের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে ইউক্রেনেও ছড়ানো হচ্ছে।’’


ইউক্রেন   হারল   তৃতীয়   বিশ্বযুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মারা গেলেন বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা সেই ইসমাইল

প্রকাশ: ০৩:২৭ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবে সবার প্রিয় এবং অতিথিপরায়ণ ব্যক্তি শেখ ইসমাইল আল জাইম মারা গেছেন। তিনি ‘আবু আল সেবা’ নামেও পরিচিত। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

এতে বলা হয়, প্রায় চার দশক ধরে মদিনার পবিত্র স্থানগুলোতে ভ্রমণকারী ও হাজিদের জন্য বিনামূল্যে গরম পানীয় এবং খাবার সরবরাহ করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন শেখ ইসমাইল আল জাইম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার হামা শহরে জন্মগ্রহণকারী শেখ ইসমাইল আল জাইম ৫০ বছরেরও বেশি আগে মদিনায় চলে আসেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শহরটির অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।

শেখ ইসমাইল আল জাইম প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে কফি, চা এবং রুটি তৈরি করে মসজিদে নববীর কাছে বসে বিতরণ করতেন। সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে খেজুর ও আদাও নিয়ে যেতেন তিনি।

অন্যদের সেবা দিতে শেখ ইসমাইল আল জাইমের অক্লান্ত প্রতিশ্রুতি স্থানীয় সীমানা অতিক্রম করে সারাবিশ্ব থেকে মদিনায় আগত লাখ লাখ মানুষের হৃদয়ও স্পর্শ করেছে।

অতুলনীয় আতিথেয়তার সঙ্গে দর্শকদের সম্মান করে তার জীবন উৎসর্গ করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি।


সৌদি আরব   শেখ ইসমাইল আল জাইম   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের ভাগ্য আটকে যেতে পারে মার্কিন ভেটোতে

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়া নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট হবে। এ সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে পাস হতে অন্তত ৯ ভোট প্রয়োজন।

তবে ভোটের চেয়েও বড়ো কথা ইসরায়েলের পরম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এ প্রস্তাবে ভেটো দিতে পারে বলেই শোনা যাচ্ছে। যদিও মুখে তারা ফিলিস্তিন ইস্যুতে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কথাই বলে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এই ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে কার্যত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই স্বীকৃতি পাবে। 

কূটনীতিকরা জানান, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে খসড়া প্রস্তাব নিয়ে ভোট অনুষ্ঠান করবে। এই প্রস্তাবে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্য হিসাবে স্বীকার করে নেওয়া হোক।

নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রস্তাব পাশ হতে এর পক্ষে অন্তত ৯টি ভোট প্রয়োজন। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া কিংবা চীনের কেউ ভেটো দিলেই কোনো ভোটে আর কাজ হবে না।

কূটনীতিকরা বলছেন, ফিলিস্তিনকে পূর্ণ জাতিসংঘ সদস্য করার পক্ষ সমর্থন করতে পারে নিরাপত্তা পরিষদের ১৩ সদস্য। ফলে প্রস্তাবটি আটকানোর জন্য শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিতে পারে।

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘ সদস্য না হলেও ২০১২ সালে তারা জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য ফিলিস্তিন বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।


জাতিসংঘ   ফিলিস্তিন   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে সার্কাসের দল থেকে হাতি পালালো

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সার্কাসের বিভিন্ন খেলায় পৃথিবীব্যাপী হাতির ব্যবহার বেশ প্রচলিত। হাতির সাহায্যে প্রায়ই এসব আসরে চিত্তবিনোদন এবং মজার বিভিন্ন ইভেন্ট আয়োজন করতে দেখা যায়। তবে সেই হাতিকে নিয়ন্ত্রণও করা হয় অভিনব কিছুই কৌশলে। কিন্তু সেই হাতি যদি বাধ্যগত তকমা ছেড়ে খেয়াল খুশিমতো বেড়িয়ে পড়ে তা বেশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে এমনই এক ঘটনা।

যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা শহরে দেখা গিয়েছে রাস্তায় অবাধে বেড়িয়ে পড়েছে এক হাতি। এমনকি ব্যস্ত সড়ক বা হাইওয়ে এবং জনবহুল আবাসিক এলাকায় হাতিটিকে মুক্তভাবে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাতির সেই ভিডিও ইতোমধ্যে বেশ ভাইরাল।

জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া ভায়োলা নামের হাতিটি জর্ডান ওয়ার্ল্ড সার্কাস নামে একটি ভ্রাম্যমান সার্কাসের দলের সদস্য। শো শুরুর আগে গোসল করানো হচ্ছিল প্রাণীটিকে। হঠাৎ করেই গাড়ির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ভায়োলা। পালিয়ে যায় বেড়া ভেঙে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে হাতিটির রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য। ব্যস্ত রাস্তায় হাতি চলে আসায় ব্যাহত হয় যান চলাচল। ঘাবড়েও যান অনেকে। কেউ কেউ আবার মজা পেয়ে মুঠোফোনে ধারণ করেন ভিডিও।

প্রসঙ্গত, কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য হাতিটিকে খুঁজে পায় সার্কাস দল। ফিরিয়ে নেয় তাদের তাবুতে। ওইদিনই দু’টি শো’তে অংশগ্রহন করে ভায়োলা। তবে তার মুক্ত হয়ে ঘোরাফেরা করার দৃশ্যটুকু নেটিজেনদের অবাক করেছে সেইসাথে আনন্দও দিয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র   সার্কাস   হাতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে পুরুষদের ছাপিয়ে নারী ভোটার বাড়ছে

প্রকাশ: ০২:৪৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে ২০২৯ সালের লোকসভা ভোটে সংখ্যার নিরিখে নারী ভোটাররা ছাপিয়ে যেতে পারেন পুরুষ ভোটারদের। নারী ভোটারদের সংখ্যাবৃদ্ধির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, চলতি বছরের লোকসভা ভোটে পুরুষ ভোটারদের সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন নারী ভোটাররা।

ভারতের এসবিআই রিসার্চ প্রকাশিত ওই রিপোর্ট বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মোট ৪২ কোটি ভোটদাতা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছিলেন তাদের মধ্যে ১৯ কোটি নারী। ওই নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৮৯ কোটি। তার মধ্যে ৪৬ কোটির কিছু বেশি পুরুষ এবং ৪৩ কোটির কিছু বেশি নারী। এবার ভোটারের মোট সংখ্যা প্রায় ৯৬ কোটি ৮০ হাজার। এর মধ্যে সাড়ে ৪৯ কোটির কিছু বেশি পুরুষ এবং ৪৭ কোটির কিছু বেশি নারী।

দেশে নারী ভোটারের অনুপাত বেড়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। ১৯৬২-র লোকসভা নির্বাচনে পুরুষ ভোটার ছিল নারী ভোটারের চেয়ে ১৬.৬৮ শতাংশ বেশি। ২০০৪-এর নির্বাচনে এই পার্থক্য কমে হয় আট শতাংশ। ২০১৪-তে নারীদের থেকে পুরুষ ভোটার ছিলেন ১.৪৬ শতাংশ বেশি। ২০১৯ এবং ২০২৪-এ সেই ব্যবধান আরও কমেছে। আরও কমেছে ভোটপর্বে পুরুষ এবং নারীদের অংশগ্রহণের অনুপাত।

গত কয়েকটি সাধারণ নির্বাচনে ভোটদানের হার বিশ্লেষণ করে ওই রিপোর্ট বলছে, ২০২৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৭৩ কোটি ভোটার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। তাদের মধ্যে ৩৭ কোটি নারী এবং ৩৬ কোটি পুরুষ হওয়ার সম্ভাবনা।

আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশে নারী ভোটারের সংখ্যা সাধারণত পুরুষদের চেয়ে বেশি। এর ব্যতিক্রম হয়নি গত অর্ধশতকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীরা বেশি সংখ্যক নারী ভোট পেয়েছেন চল্লিশ, পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকে। সত্তরের দশক থেকেই নারীদের ভোট ক্রমশ ঢলে পড়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের দিকে। এর পিছনে অবশ্যই ছিল নারীদের সমান অধিকারের বা গর্ভপাত সংক্রান্ত সামাজিক-রাজনৈতিক ইস্যু।

১৯৮০-র নির্বাচনে রোনাল্ড রেগন জিতলেও নারীদের ভোটে আট শতাংশ এগিয়ে ছিলেন জিমি কার্টার। ভারতেও অতীতে নারী ভোটারদের বড় অংশ সমর্থন করতেন কংগ্রেসকে। কিন্তু গত এক দশকের কয়েকটি পরিসংখ্যান বলছে, সেই সমর্থনের পাল্লা কিছুটা ঝুঁকে পড়েছে নরেন্দ্র মোদীর দিকে। তবে ভারতবর্ষের মতো সামাজিক-অর্থনৈতিক-ধর্মীয় বৈচিত্রের দেশে ‘নারী ভোটার’ একটি অখণ্ড সত্তা হতে পারে কি না, তা নিয়ে তর্ক রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মনে।


লোকসভা নিবার্চন   ভোট   নারী   পুরুষ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন