ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তালেবানের পক্ষে পুরো ক্ষমতা করায়ত্ত্ব করা সম্ভব?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৪৭ এএম, ২৫ জুলাই, ২০২১


Thumbnail

আফগানিস্তান এমন একটি ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ দেশ, যা নিয়ে আসলে বিশ্লেষণ করা চাট্টিখানি কথা নয়। এখানে আন্তধর্মীয় নানা গোষ্ঠী রয়েছে, এবং এদের মধ্যে মতাদর্শগত নানা পার্থক্য ও বিরোধ স্পষ্ট।

আফগানিস্তানের প্রধান শহর হলো কাবুল, হেরাত, জালালাবাদ, মাজার-ই-শরিফ, কান্দাহার ও কুন্দুজ। আফগানিস্তানের জাতিগত গোষ্ঠীগুলো হলো পশতুন, তাজিক, হাজারা, উজবেক, আইমাক, তুর্কমেন, বালুচ, পাশাই, নুরস্তিনি, গুজ্জর, আরব, ব্রাহুই, কিজিলবাশ, পামিরি, কিরগিজ, সাদাত প্রভৃতি। এর মধ্যে পশতুন মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ। বেশির ভাগ তালেবান হয় আফগান এবং পাকিস্তানের পশতুন অথবা বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ভাড়াটে সৈন্য।

সত্যি কথা বলতে গেলে, তালেবান কোনো ধর্মীয় মন্ত্রে দীক্ষিত হয়নি, কিংবা জাতীয়তাবাদীর অদম্য নেশাও তাদের পেয়ে বসেনি। এদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত বেতনে কাজ করে এবং মাদক সেবন করে। তাদের ব্যয়ের প্রধান উৎসগুলো হলো তাদের দখল করা অঞ্চলে উৎপাদিত পপি, আফিম ও অন্যান্য ড্রাগ বিক্রি করে আয়, যা তাদের নিয়ন্ত্রিত।

আমেরিকানরা এসব অঞ্চল পপি ও আফিমের পরিবর্তে বিকল্প ফসলের জন্য কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছিল। তবে অঞ্চলগুলোর মানুষের নোংরা মানসিকতার কারণে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের নেতাদের অনেক সন্তানের সঙ্গে অনেক স্ত্রী রয়েছেন এবং তাঁরা তাঁদের পরিবার ও বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও সংকটে রয়েছেন। তাঁদের বাচ্চারাও বর্তমানে স্কুলে পড়াশোনা করছে এবং মুঠোফোন, টেলিভিশন ও আধুনিক পোশাকে অভ্যস্ত হয়ে সাধারণ জীবন যাপন করছে।

তালেবানদের বেশির ভাগই পশতুন, আফগানিস্তান বা পাকিস্তানের। তাজিক, হাজারা বা উজবেক জনবহুল অঞ্চল তালেবানদের অধিকার নেই এবং তারা যদি কাউকে খুঁজে পায়, তবে সাধারণ জনগণ তাদের হত্যা করবে। তালেবানরাও তাদের সঙ্গে একই কাজ করে। অন্যদিকে পশতুন পরোক্ষভাবে তালেবানদের সমর্থন করে। এটি মারাত্মক বিদ্বেষের এক রাজনীতি।

ধারণা করা হচ্ছে, তালেবান আফগানিস্তানের কোনো বড় শহর, এমনকি কাবুল, হেরাত, জালালাবাদ, মাজার-ই-শরিফ, কান্দাহার এবং কুন্দুজও দখল করতে সক্ষম হবে না। তালেবানরা দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধেও অনেক ক্লান্ত। তারাও শিগগিরই ফলাফল পেতে চায়। অন্যথায় যদি খুব শিগগির কিছু না ঘটে, তবে তাদের অনেকেই যুদ্ধের মাঠ ছেড়ে চলে যাবে। তারা সবাই জানে যে তারা ইরান ও পাকিস্তান বাদে এখন মধ্যপ্রাচ্যের সমর্থন পাবে না।

বর্তমানে আফগানিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার এবং তাদের রয়েছে পর্যাপ্তসংখ্যক আধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদসহ বিমানবাহিনী। এ ছাড়া রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার সদস্যের স্পেশাল অপারেশন ফোর্স। আমেরিকানরা অত্যাধুনিক রসদ, সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে। তালেবান সেনার সংখ্যা নিয়ে প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে। অনেকের মতে, এই সংখ্যা ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার হতে পারে। একটি বিশেষ শহর দখল করতে এসব বাহিনীকে এক করা তাদের জন্য কঠিন হবে। এটি একটি সত্য যে আমেরিকানরা আফগানিস্তান ছাড়ার পরও তারা তালেবানকে যুদ্ধের মাধ্যমে পুরো দেশ দখল করতে দেবে না।

এটা হতে পারে ৬০/৪০-এর মতো ক্ষমতার ভাগাভাগি, যেখানে বর্তমান সরকারের ৬০ শতাংশ এবং তালেবানদের ৪০ শতাংশ থাকবে। ক্ষমতা ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে কিছু মন্ত্রণালয়, প্রাদেশিক গভর্নরের পদ এবং কিছু সংস্থার পরিচালনা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

অন্যদিকে আফগানিস্তানে তালেবানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া, রাশিয়ানদের জন্য তাজিকিস্তান, চীনের জন্য উইঘুর, ভারতের পক্ষে কাশ্মীর এবং অন্য অনেক দেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ যুদ্ধ পরিচালনা তালেবানদের পক্ষে সম্ভব হবে না এ কারণে যে আফগানিস্তান পুরোপুরি পশ্চিমা অর্থের ওপর নির্ভরশীল, যেখানে সমস্ত উন্নয়ন সংস্থা তাৎক্ষণিকভাবে তহবিল বন্ধ করে দেবে।

প্রচারযন্ত্র ব্যবহারে আফগান সরকার অত্যন্ত দুর্বল। তবে তালেবান একেবারে বিপরীত। যেখানে তালেবানরা শূন্য থেকে ১০০ দেখায়, সেখানে সরকার প্রায় নীরব। তালেবানদের সঙ্গে তাদের লড়াইয়ের ফলাফল প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে আসছে না। জনগণের জন্য তারা যে যথাসম্ভব সবকিছুই করছে, সেটা সরকারকে জানাতে হবে। সেনাবাহিনীর প্রধান প্রধান যানবাহন এবং কাফেলা আজকাল আর কাবুলে চলাচল করছে না। ফলে সাধারণ জনগণ বুঝতে পারছে না, যেকোনো আক্রমণ সম্পর্কে সরকার সজাগ রয়েছে। কৌশলগত সম্পদের ১০ শতাংশ সংস্থানও যে তালেবানদের হাতে নেই এবং সরকারের কাছে যে সমস্ত আধুনিক অস্ত্র, সরঞ্জাম এবং উচ্চ প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী রয়েছে, সেটা তারা জনগণকে বোঝাতে পারছে না। তবে সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এখনো সব দল একসঙ্গে বসে সম্মিলিত হওয়ার বিষয়ে একমত হলে আফগানিস্তানের আশার আলো রয়েছে।

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, নিহত ১৪

প্রকাশ: ০৩:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসীবোঝাই নৌকাডুবে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। মেডেনাইন শহরের একজন পাবলিক প্রসিকিউটর বুধবার (২৪ এপ্রিল) এএফপিকে বলেন, তিউনিসিয়ার দক্ষিণের জেরবা দ্বীপের উপকূলে গত কয়েক দিনে ১৪ জন অভিবাসীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে বলেন, এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।

এর আগে গত মঙ্গলবার তিউনিসিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা ২২ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। এসব মরদেহ বেশ কয়েক দিন ধরে উপকূলে ভেসে ছিল।

এদিকে ফরাসি উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর চেষ্টাকালে শিশুসহ অন্তত পাঁচ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটেছে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ওই সময়ে ঠিক কয়টি নৌকা যাত্রা করেছিল তা এখনও নিশ্চিত নয়।

ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৫টায় ১১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে একটি ছোট নৌকা ভিমুরু উপকূল থেকে যাত্রা করেছিল। যাত্রার পর প্রথমে নৌকাটি একটি বালির তীরে আটকা পড়ে। পরে আবার যাত্রা করে সেটি। নৌকাটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল বলে জানা গেছে।

বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। প্রায়ই বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।


তিউনিসিয়া   উপকূল   নৌকাডুবি   নিহত ১৪  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রিসের আকাশ ঢেকে গেছে রঙিন কুয়াশায়

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গ্রিসের আকাশ সূর্য্যের দেখা মিলছে না। কমলা রঙের মেঘে ঢেকে গেছে আকাশ। এ যেন রঙিন কুয়াশায় ঢাকা পুরো আকাশ। সবকিছু যেন কমলা রং ধারণ করেছে। হঠাৎ মনে হবে, এ যেন কম্পিউটার স্ক্রিনের আলোর রং পরিবর্তনের মতো। গ্রিসের রাজধানী এথেন্স ও অন্যান্য শহরে এমন দেথা গেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পরিস্থিতি প্রকৃত মেঘের কারণে হয়নি। আকাশ ঢেকে রেখেছে সাহারা মরুভূমি থেকে উড়ে আসা ধূলিকণা। ধূলিকণার মেঘে বিপর্যস্ত গ্রিস। এতে কমে গেছে মানুষের দৃষ্টিসীমা। ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বাসিন্দারা।

২০১৮ সালের পর ফের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। এর আগে এথেন্সে গত কয়েক দিন ধরে প্রবল বাতাস বইছিল। পরে মঙ্গলবার থেকে আকাশে ধূলিকণার মেঘ ওড়ে আসে।

দেশটির আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা এথেন্স অবজারভেটরির গবেষণা পরিচালক কোস্টাস লাগোয়ার্দোস বলেন, কমলা রঙের এই ধূলিকণার আস্তরণ বিশেষ করে ক্রিট দ্বীপে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

চলতি বছর আরও দু’বার ধূলিকণার মুখোমুখি হয়েছে গ্রিস। উত্তর আফ্রিকা থেকে এসেছে এই ধূলিকণা। যা ছড়িয়ে পড়েছে সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের দক্ষিণের কিছু অঞ্চলেও।

গ্রিসের আবহাওয়া সেবা সংস্থা জানায়, বুধবার থেকে দেশের আকাশ পরিষ্কার শুরু হতে পারে। লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার কয়েকটি অঞ্চলে দাবানলের ঘটনা ঘটেছে গ্রিসে। ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশটিতে ২৫টি দাবানলের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

সাহারা মরুভূমি থেকে ধূলিকণার মেঘ ভেসে আসার ঘটনা নতুন নয়। বালুঝড়ে ধুলোবালি ওড়ে আশপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।

অপেক্ষাকৃত ছোট ও হালকা ধুলো বায়ুমণ্ডলে ‘ধুলো মেঘের’ সৃষ্টি করে। প্রবল বাতাসে যার বেশিরভাগ ভেসে আসে ইউরোপের দেশে।


গ্রিস   আকাশ   রঙিন   কুয়াশা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অরুণাচলে ভয়াবহ ভূমিধস, চিন সীমান্তের কাছে ভেসে গেল জাতীয় সড়ক

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের একটি মহাসড়কের বড় অংশ ভেসে গেছে। এর ফলে সারা দেশের সঙ্গে চীন সীমান্তবর্তী ভারতীয় জেলা দিবাং উপত্যকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। খবর এনডিটিভির।

ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে দিবাং জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে সেখানে ব্যাপক হারে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে।একপর্যায়ে বৃষ্টি ও ভূমিধসে জেলার হুনলি ও অনিনির মধ্যবর্তী জাতীয় সড়কের বিস্তর অংশ ভেসে গেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, মহাসড়কের বিশাল একটি অংশ পানির সঙ্গে ভেসে গেছে। এর ফলে কোনো যানবাহনের পক্ষে সড়ক পার হওয়া সম্ভব না। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন।

ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) ইতিমধ্যে সড়ক মেরামত করতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সেখানে পাঠিয়েছে।

অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু বলেছেন, হুনলি ও আনিনির মধ্যবর্তী মহাসড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে যাত্রীদের অসুবিধার কথা জানতে পেরে মর্মহত হয়েছি। এই রাস্তাটি দিবাং উপত্যকাকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। তাই দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা সচলের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

তবে মহাসড়কে যান চলাচল পুনরায় চালু করতে কমপক্ষে তিন দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে দিবাং জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে ভূমিধস প্রবণ এলাকা থেকে জনগণকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।

 


অরুণাচল   ভূমিধস   চিন সীমান্ত   ভেসেগেল   জাতীয় সড়ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বক্তৃতা দিতে গিয়ে জ্ঞান হারালেন ভারতীয় মন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়করি এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মঞ্চে আচমকা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা ছুটে এসে তাকে ধরাধরি করে মঞ্চ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের এক নির্বাচনী জনসভায় এ ঘটনা ঘটে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র প্রদেশের নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা করার এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন। মঞ্চেই মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে তার দেহরক্ষী ও দলীয় নেতারা ছুটে এসে তাকে ধরেন। মঞ্চ থেকে নিচে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু সময় পর জ্ঞান ফেরে তার। এরপর আবারও মঞ্চে উঠে নিজের বক্তৃতা শেষ করেন নিতিন।

ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমের কারণেই মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন এই মন্ত্রী। বর্তমানে সুস্থ আছেন জানিয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন এই বিজেপি নেতা।


ভারত   মহারাষ্ট্র   বিজেপি   নির্বাচন   জনসভা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডে হিস্ট স্ট্রোকের বিষয়ে নতুন করে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, চলতি বছরে দেশজুড়ে হিস্ট স্ট্রোকে কমপক্ষে ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চরম তাপদাহের বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নগরীতে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। 

গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ তাপদাহ বিরাজ করছে। তীব্র তাপদাহের কারণে ফিলিপাইনে স্কুলে ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির নাগরিকরা বলেছেন, গরমের তীব্রতা এত বেশি যে নিঃশ্বাস নেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। 

বাংলাদেশেও নজিরবিহীন তাপদাহ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি কামনায় বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। 

থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে হিট স্ট্রোকে অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। তার আগে ২০২৩ সালে দেশটিতে হিট স্ট্রোকে ৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক দিরেক খামপায়েন বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তারা বয়স্ক লোকজন এবং যারা দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের বাড়িতে অবস্থান ও নিয়মিত পানি পান করার আহ্বান জানিয়েছেন।

থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সাধারণত এপ্রিল মাসে আবহাওয়া সবেচেয় গরম থাকে। কিন্তু এল নিনো ধাঁচের আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।


থাইল্যান্ড   মৃত্যু   হিট স্ট্রোক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন