ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসমাইল হানিয়া: পশ্চিমাদের কাছে যিনি শুধুই সন্ত্রাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০২ পিএম, ০৪ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

ইসমাইল হানিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একবার তাকে “বিশেষ ট্যাগযুক্ত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী” বলে উল্লেখ্য করেছিলেন। তাকে বহুবার বহুজন হত্যাও করতে চেয়েছিলেন কিন্তু প্রতিবারেই তিনি কোন না কোনভাবে শেষ মুহূর্তে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। যাদের মাঝে ছিলো ইসরায়েলি বাহিনী কিংবা তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ। এত কিছুর পরেও তাকে কেও দমাতে পারে নি। পশ্চিমারা তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করলেও সমগ্র ফিলিস্তিনে তিনি মহানায়ক। 

ইসমাইল হানিয়ার জন্ম ১৯৬২ সালে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি শরণার্থী ক্যাম্পে। হানিয়ার বাবা মাছ ধরার পেশায় যুক্ত ছিলেন। আরব–ইসরায়েল যুদ্ধে ঘর হারিয়ে তিনি শরণার্থীশিবিরে পরিবার নিয়ে ওঠেন। সেখানেই জন্ম হয় হানিয়ার। পরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজায় আরবি সাহিত্যে পড়াশোনা করেন তিনি। ছাত্রাবস্থায় মুসলিম ব্রাদারহুডের মতাদর্শ হানিয়াকে আকৃষ্ট করে।

সময়টা ২০১৬ সাল। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যেই ইসরায়েলের কট্টরপন্থী রাজনৈতিক আভিগদর লিবারম্যান হুঁশিয়ারি দেন, ‘আমি যদি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হই, তাহলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করা হবে।’ এই হুঁশিয়ারির এক মাসের মাথায় লিবারম্যান সত্যি সত্যি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তবে হানিয়াকে হত্যার হুঁশিয়ারি বাস্তবায়ন করতে পারেননি।

লিবারম্যানের হুঁশিয়ারির পরের বছরই হানিয়া ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের প্রধান হিসেবে খালেদ মিশেলের স্থলাভিষিক্ত হন। এই হামাস ফিলিস্তিনিদের চোখে স্বাধীনতাকামী সংগঠন আর পশ্চিমাদের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে হামাসের প্রধান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন হানিয়া। এর মধ্য দিয়ে হামাস ও ফিলিস্তিনের রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ আরও মজবুত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

১৯৮৭–৮৮ সালেই হানিয়া হামাসের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর দীর্ঘদিন জেল খাটা, লেবাননে নির্বাসন, সেখান থেকে ফিরে এসে আবার হামাসের পতাকাতলে যুক্ত হন তিনি। ১৯৯৭ সালে হামাসের তখনকার প্রধান আহমেদ ইয়াসিনের সহযোগী মনোনীত হন। সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে ফিলিস্তিনি, তথা গাজাবাসীর মনে নায়কের স্থান করে নিতে দেরি হয়নি তাঁর। প্রমাণ, ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে ফিলিস্তিনে সাধারণ নির্বাচন। এই নির্বাচনে হানিয়ার হাত ধরে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় হামাস। মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বিভক্ত ফাতাহ দলের বিপরীতে জয় পায় তাঁর দল।

ভোটে জিতে ওই বছরের মার্চে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন হানিয়া। কিন্তু হামাস–ফাতাহের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে গাজায় উত্তেজনা বাড়ে। ডিসেম্বরে হানিয়ার ওপর হামলা হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। হামাস দাবি করে, এই হামলায় ফাতাহ জড়িত। ২০০৭ সালের জুনে হানিয়া সরকারকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তবে হানিয়া এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি। ফাতাহকে হটিয়ে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস।

ফিলিস্তিনি লেখক ও রাজনীতি বিশ্লেষক হুসাম আন–দাজানি বলেন, ‘গাজার রাজনীতিতে ভারসাম্য এনেছেন হানিয়া। তিনি একজন সহানুভূতিশীল মানুষ, যিনি শান্তি, ঐক্য ও স্থিলিশীলতা সমর্থন করেন।’

হানিয়ার উত্থান ও গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণ ভালো চোখে দেখেনি পশ্চিমারা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেয়। এর মধ্যেই হানিয়ার হাত ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘাতে জড়ায় হামাস। দূরত্ব বাড়ে পশ্চিমাদের সঙ্গেও। তবে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রভাব রয়ে যায়। সংগঠনে প্রভাব বাড়ে হানিয়ার।

২০১৩ সালের এপ্রিলে হানিয়া হামাসের উপপ্রধান হন। এরপর হামাসের প্রধান হিসেবে ইসমাইল হানিয়া ২০১৭ সালের ৬ মে খালেদ মিশেলের স্থলাভিষিক্ত হন। ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হানিয়াকে ‘বিশেষ ট্যাগযুক্ত বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা দেন। হানিয়াকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, হানিয়াকে হত্যাচেষ্টার ঘটনাগুলোর পেছনে যেমন ইসরায়েল জড়িত, তেমনি জড়িত ফাতাহ।

ব্যক্তিগত জীবনে হানিয়া ১৩ সন্তানের জনক। তাঁর পরিবার ২০০৯ সাল পর্যন্ত গাজার উত্তরাঞ্চলের আল–শাতি শরণার্থীশিবিরে ছিল। এর পর গাজার রিমাল এলাকায় জমি কিনে থিতু হয় হানিয়া পরিবার। তবে হানিয়া কখন কোথায় থাকেন, সেটার সুষ্পষ্ট তথ্য পাওয়া কঠিন। মনে করা হয়, নিরাপত্তার জন্য তিনি তাঁর অবস্থানের কথা আগাম জানান না।

ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরপরই ২০০৬ সালে প্রথম বিদেশ সফরে তিনি ইরানে গিয়েছিলেন। ওই সময় ইসরায়েল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা কখনোই দখলদার ইহুদি সরকারকে স্বীকৃতি দেব না। জেরুজালেম মুক্ত করার আগপর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’

আল–কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে ‘আরব বিশ্বের পবিত্র যোদ্ধা’ মনে করতেন হানিয়া। ২০১১ সালে পাকিস্তানের মাটিতে মার্কিন সেনাদের গোপন অভিযানে নিহত হন লাদেন। এর প্রতিক্রিয়ায় হানিয়া বলেন, ‘আরব বিশ্বের পবিত্র একজন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে হানিয়া তুরস্ক সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। হামাসের প্রধান হওয়ার পর এটাই ছিল তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। গত বছরের জানুয়ারিতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডসের কমান্ডার কাসেম সুলেইমানির দাফন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হানিয়া। এ সময় তিনি সুলেইমানিকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলে অভিহিত করেন। ইরাকের মাটিতে মার্কিন বাহিনীর হামলায় নিহত হন সুলেইমানি।

জেল কিংবা একাধিক হামলায় হানিয়াকে দমানো সম্ভব হয়নি। অনেকের মতে, তিনি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির দূত। দেশি–বিদেশি বাধার মুখেও এক দশকের বেশি সময় গাজার নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছেন তিনি। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। গড়ে তুলেছেন হামাসের সশস্ত্র বাহিনী। হামাসের রাজনৈতিক শাখার ভিত্তি মজবুত করেছেন। ইরান, তুরস্ক, লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো মিত্রদের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা ধরে রেখেছেন।

গাজায় স্বঘোষিত সরকার চালাচ্ছেন হানিয়া। যদিও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলে তাঁর সরকারের স্বীকৃতি নেই। তাদের কাছে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সরকারই ফিলিস্তিনের বৈধ কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে গাজার রাজনীতি বিশ্লেষক ইব্রাহিম মাধৌন বলেন, ‘আগামী দিনগুলোয় হানিয়াকে মিসর, কাতার ও সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে কাজ করতে হবে।’ বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক স্বীকৃতি আদায়ই হানিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

গত মে মাসে গাজায় টানা ১১ দিনের ইসরায়েলি হামলায় আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। বিধ্বস্ত হয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক অবকাঠামো। হামাসের প্রধান হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া হানিয়াকে এই অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিকাশ নিশ্চিত করতে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। সেখানকার বিপুল পরিমাণ কর্মহীন তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়বে হানিয়ার ওপর। এর সঙ্গে রয়েছে ইসরায়েলের হুমকি ও আগ্রাসনের আশঙ্কাও।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৭০ হাজার কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা

প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

সরকারের ব্যয়ভার কমাতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ৭০ হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জ্যাভিয়ের মিলেই।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বুয়েনস আইরেসে একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে মাইলি এমনটি জানান। 

কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা ছাড়াও মাইলি গণ কর্মসূচি স্থগিত, প্রাদেশিক সরকারের কিছু ফান্ডিং বন্ধ ও প্রায় দুই লাখের বেশি সামাজিক কল্যাণ পরিকল্পনা বাতিল করার কথা জানান। এগুলোকে তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেন। 

এদিকে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের চাকরি ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা জানানোর পর আন্দোলনে নেমেছে দেশটির শক্তিশালী শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। গত মঙ্গলবার একটি ইউনিয়ন জানায়, তাদের অধীনে থাকা কিছু সরকারি কর্মী আন্দোলন শুরু করেছে।   

আর্জেন্টিনার সরকারি কর্মী প্রায় ৩৫ লাখ। দেশটি বেশ কয়েক বছর ধরেই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত বছর দেশটির বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ২১১ দশমিক ৪ শতাংশ। 


আর্জেন্টিনা   প্রেসিডেন্ট   জ্যাভিয়ের মিলেই  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে আলবেনিয়ানদের রোজা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে রোজা রাখা এবং ইফতার করার প্রচলন রয়েছে আলবেনিয়ার রোমা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্য। 

তারা গানের সঙ্গে রোজা রাখে এবং ইফতার করে। রমজান মাসে প্রতিদিন দুই দিক ঘেরা ঢোল বাজিয়ে রাস্তার ওপর নেচে গেয়ে মিছিল করা হয়। ঘরোয়া পরিবেশে এই বিশেষ ঢোলটি সম্পূর্ণ হাতে তৈরি করা হয়। এর নাম লোদ্রা। লোদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ভেড়া বা ছাগলের চামড়া। মুসলিম পরিবারগুলো তাদের ইফতার শুরু ও উদ্যাপন করতে বাড়ির ভেতরে এই ঐতিহ্যবাহী গান-বাজনার আয়োজন করে এবং প্রতিবেশীদের দাওয়াত দেয়। 

অন্যদিকে, রমজান মাসে আলবেনিয়ানরা ফ্লাকি পেস্টি পাই নামক এক ধরণের খাবার খায়। এটি তৈরি করা হয় মাংস ও পালং শাক দিয়ে। রান্নার পর দইসহ ঠাণ্ডা বা গরম দুভাবেই পরিবেশন করা হয় ঐতিহ্যবাহী এই খাবারটি। আবার, দুধ, পনির, মাখন ও ডিম দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি করা হয় একটি পাস্তা। 

এছাড়া, ইফতার বা সেহেরিতে মিষ্টান্ন হিসেবে পেকটুলা খেতেও পছন্দ করেন দেশের মুসলিমরা। খাবারটি মূলত ক্রিমসস কিংবা পনিরে ভরা সুস্বাদু মিষ্টি।  

আবার, এমাম বেলদি নামক বেগুন ও রসুন মিশ্রিত আরও একটি ডিস রমজান মাসে খাবার টেবিলে বেশ জনপ্রিয় দেশটিতে। 

অন্যান্য দেশের মতো আলবেনিয়াতেও রাতে এশার নামাজের সাথে তারাবিহ পরতে মুসল্লিরা মসজিদে একত্রিত হয়। রমজানে দান সতগাকেও বেশ গুরুত্ব দেয়া হয় এ দেশে।


আলবেনিয়া   রোজা   ইফতার   রমজান   সংস্কৃতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিবিড় পর্যবেক্ষণ

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ ভারতের বিভিন্ন ইস্যু যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।  

নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার অভিযোগ সম্পর্কেও অবহিত যুক্তরাষ্ট্র। 

সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিককে তলব করেছে ভারত। এর প্রেক্ষিতে আপনার প্রতিক্রিয়া কী এবং বিরোধী দলের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করাসহ ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখেন? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সেখানকার পরিস্থিতিকে 'জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন একটি সঙ্কটজনক পয়েন্টে এসে পৌঁছেছে' বলে অভিহিত করেছে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলছি- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ এসব বিষয়ে আমরা অব্যাহতভাবে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট আয়কর বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে বলে অভিযোগের বিষয়েও আমরা অবহিত। এটা করার ফলে আসন্ন নির্বাচনে কার্যকর প্রচারণা চালানো তাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। এর প্রতিটি ইস্যুতে সময়মতো অবাধ, স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি আমরা। আর প্রথম প্রশ্নের জবাবে বলতে হয়, কূটনৈতিক কোনও প্রাইভেট আলোচনা নিয়ে আমি কথা বলব না। তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে আমি যেটা বলব তা হল, আমরা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং সময়মতো আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি। আশা করি এতে কারও কোনও আপত্তি থাকা উচিত নয়। একই বিষয় আমরা প্রাইভেটলিও ক্লিয়ার করব।


ভারত   ইস্যু   যুক্তরাষ্ট্র   ম্যাথিউ মিলার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অর্থ নেই ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০২:১০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিজের পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি তাকে অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা তামিলনাড়ু থেকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে, এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।  

বুধবার(২৭, মার্চ) এক সম্মেলনে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সপ্তাহ বা ১০ দিন ভাবার পর তিনি ফিরে গিয়ে জানান 'খুব সম্ভবত না'। নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তার নেই।    এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ নাকি তামিলনাড়ু; এটি নিয়েও তার সমস্যা আছে। নির্বাচনে জয় পাওয়ার যে কয়েকটি নির্ণায়ক রয়েছে, সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে...আপনি কি এই গোত্রের অথবা এই ধর্মের? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, না, তিনি মনে করেন না তিনি এটা করতে পারবেন।  

এছাড়াও, নির্মলা বলেন, 'তিনি খুবই খুশি, কারণ, বিজেপি তার যুক্তিটি গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।'

সম্মেলনে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় অর্থমন্ত্রীর কেন নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। জবাবে তিনি জানান, ভারতের অর্থসম্পদ তার নয়। তিনি বলেন, আমার বেতন, আমার আয় এবং আমার সঞ্চয় আমার এবং এগুলো ভারতের সম্পদ নয়।

নির্মলা সীতারামণ ভারতের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য। মূলত এমএলএ-রা রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচন করে থাকেন। এ বছর রাজ্যসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে, যা সাত ধাপে ২ জুন পর্যন্ত চলবে। নিজে নির্বাচন না করলেও বিজেপির অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেবেন নির্মলা।


নির্বাচন   লোকসভা নির্বাচন   রাজ্যসভা   ভারত   অর্থমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘গাজায় দেখা দিচ্ছে দুর্ভিক্ষ’

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অনাহার ও অসুস্থতা গাজার অধিবাসীদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাৎক্ষণিক ও সমন্বিত পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুস বলেছেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ তরান্বিত করাসহ গাজায় স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান ব্যবস্থাকে রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন।

গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে গাজা সিটি এবং শাতি ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজা শহরের আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকাগুলোতে কামানের গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।   

অন্যদিকে, কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরে দুজন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে এবং পরে তাদের মরদেহ বুলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দেয়। উপকূল ধরে হেঁটে যাবার সময় একজন ফিলিস্তিনিকে সাদা কাপড় নাড়তেও দেখা যায় ভিডিওটিতে।

গাজায় আকাশ থেকে ফেলা সাহায্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া সাগর থেকে আরও ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। ৮ অক্টোবরের পর হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষে এটিই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির সংখ্যা।   

অন্যদিকে, গাজায় দক্ষিণাঞ্চরের রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েল মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে নতুন সূচি নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা বাতিল করে দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এই নতুন প্রস্তাবটি পাওয়া গেল।

গতকাল বুধবার রাতে চতুর্থ দিনের মতো গাজায় ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের প্রতিবাদে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে শত শত বিক্ষোভকারী অবস্থান বজায় রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় গাজার অধিবাসীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ায়। বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে জর্ডানকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি বাতিলেরও আহ্বান জানায়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা   ডব্লিউএইচও   গাজা   দুর্ভিক্ষ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন