ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে করোনা কমছে কীভাবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:২৫ পিএম, ০৪ অগাস্ট, ২০২১


Thumbnail

করোনার ভয়ংকর তাণ্ডব পেরিয়ে কিছুটা ভালো জায়গায় ভারত। করোনার সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করছে ভারত?

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। গত ৮ মে ভারতে একদিনে চার লাখ একশর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল দিল্লিতে একদিনে ২৮ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন। সেই সময় দিল্লি সহ ভারতের অবস্থা শোচনীয় জায়গায় পৌঁছেছিল। হাসপাতালে জায়গা নেই। অক্সিজেন নেই। ওষুধের দাম আকাশ ছোঁয়া। মৃতদের দেহ সৎকার করতে লম্বা লাইন। উত্তর প্রদেশ ও বিহারের গঙ্গায় মৃতদেহের মিছিল। গোটা ভারত জুড়ে ডেল্টা ও ডেল্টা প্লাস আতঙ্ক।

সেখান থেকে ৪ অগাস্টে আসা যাক। সারা ভারতে দিনে এখন গড়ে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষ। দিল্লিতে দিনে ৫০ থেকে ৬০ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিয়ে দিল্লিতে প্রায় সব কিছুই খুলে গেছে। মেট্রো ও বাসেও যাত্রী নেয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো সীমা নেই। ভারতে কেরালা, মহারাষ্ট্র, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে এখনো করোনায় বহু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গও পুরো স্বাভাবিক হয়নি। এই রাজ্যগুলোকে বাদ দিলে ভারতের অন্যত্র পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটাই ভালো।

 

অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে

কী করে সম্ভব হলো এইভাবে করোনার নিয়ন্ত্রণ? এমনিতে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রবণতাই হলো, এর রেখাচিত্র ক্রমশ উপরে উঠতে থাকে। একেবারে উপরে উঠে তা নীচে নামতে থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু এই প্রবণতার কথা বলে ভারতের করোনা পরিস্থিতিকে ব্যাখ্যা করা যাবে না। যে দিল্লিতে দিনে ২৮ হাজার মানুষ একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেখানে সংখ্যাটা ৫০-৬০-এ নেমে আসার কারণ শুধু ভাইরাসের চরিত্র নয়।

দক্ষিণ দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা ফুসফুসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পার্থপ্রতিম বোস জানিয়েছেন, ``দিল্লিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার কয়েকটি কারণ আছে। প্রথমত, দিল্লিতে টিকা দেওয়ার হার যথেষ্ট ভালো। দ্বিতীয়ত, দিল্লিতে কড়া লকডাউন দীর্ঘদিন চলেছে। ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির স্মৃতি মাথায় থাকার কারণে মানুষ মাস্ক পরছেন, দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। সব চেয়ে বড় কথা, টিকার কারণে ও করোনা হয়ে যাওয়ার ফলে একটা বড় অংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।``

পার্থপ্রতিম বোস মনে করেন, ``করোনার গ্রাফ একবার উপরে উঠবে, তারপর নীচে নামবে এটা ঠিক। এটা সব ভাইরাসের চরিত্র। কিন্তু সে কথা মাথায় রেখেই বলতে হচ্ছে, মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি না হলে, হার্ড ইমিউনিটি তৈরি না হলে করোনাকে ঠেকানো যাবে না। দিল্লি আজ যে অবস্থায় পৌঁছেছে, সেই অবস্থায় পৌঁছনো যাবে না।``

দিল্লিতে দীর্ঘদিন ধরে কড়া লকডাউন চালু ছিল। সেসময় কাছের দোকান-বাজার বা টিকা নিতে যাওয়া এবং খুব জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারতেন না। রাখলে পুলিশের কাছে জবাবদিহি করতে হত।

 

তিন কারণের মিলিত ফল

কলকাতার চিকিৎসক সাত্যকি হালদার মনে করেন, ভারতে যে করোনার বাড়বাড়ন্ত কমেছে, তার পিছনে তিনটি কারণ আছে। তিনি বলেছেন, ``ভারতে স্বাস্থ্য কর্মী, যারা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন, তারা আগে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। তাদের দুই ডোজ  টিকা দেয়ার পর অসুস্থ হওয়ার হার অনেকটাই কমেছে। দ্বিতীয়ত সাধারণ মানুষ কিছুটা সচেতন হয়েছেন। তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন। তৃতীয় কারণ হলো, ভাইরাসের এপিডোমিয়োলজিকাল চরিত্র।`` তার ব্যাখ্যা, ``ভাইরাসের উত্থান যেমন থাকে, তেমনই পতন থাকে। ভাইরাস সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছে গেলে, তার সক্রিয়তা কমতে থাকে। তখন গ্রাফ নীচের দিকে নামে। এই সবকটি কারণ মিলেই ভারতের করোনার ভয়ংকর পরিস্থিতি অনেকটা  ভালো হয়েছে।``

সাত্যকি হালদার একটা উদাহরণ দিয়েছেন। বানের সময় সুন্দরবনে বাঁধ ভেঙে জল চলে আসে গ্রামের ভিতর। আবার সেই জল নিজে থেকে পরে চলেও যায়। কিন্তু সরকার বা গ্রামবাসীরা বাঁধ তৈরি করে। তাতে জোয়ারের জল আটকায়। কিন্তু আবার ভয়াবহ বান এলে সেই বাঁধ ভেঙে যায়। তেমনই ভাইরাসের রেখাচিত্র উপরে ওঠে এবং নীচে নামে এটা যেমন ঠিক, তেমনই এটাও ঠিক যে, করোনা প্রতিরোধে টিকা নিতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তাহলেই করোনার জোয়ার আটকানো যাবে।

 

দিল্লির সাফল্যের পিছনে

দ্য প্রিন্টের হেলথ এডিটর অবন্তিকা ঘোষ ভারতে করোনা নিয়ে একটি বই লিখেছেন। প্রথম ঢেউয়ের সময় ভারতের পরিস্থিতি, কারণ, প্রাসঙ্গিক সব ব্যাখ্যা আছে সেই বইতে। অবন্তিকা বলেছেন, ``একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দিল্লিতে সেরোপজিটিভিটির (অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া)  হার ৮৬ শতাংশ। তার উপর দিল্লিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি মানুষদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি মানুষ টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন। ফলে তাদের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।``

অবন্তিকার মতে, ``বিশ্বের অন্য জায়গায় এখন ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসের কারণে করোনা বাড়ছে। কিন্তু দিল্লি তথা ভারতে ডেল্টা ও ডেস্টা প্লাসের তাণ্ডব সহ্য করে নিয়েছে। এখন ভাইরাস আবার কবে মিউটেট করবে, অ্যান্টিবডি কতদিন থাকবে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। তবে ভাইরাসের নতুন ও ভয়ংকর সংস্করণ যতদিন না আসছে, ততদিন আমরা কিছুটা ভালো সময় কাটাতেই পারি।`` বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মধ্যে টিকাকরণ যতটা সম্ভব বাড়াতে হবে।

 

চিন্তার কারণ

এরপরেও চিন্তা আছে। বেশ ভালোরকমই আছে। সরকার ও বিশেষজ্ঞরা আর ফ্যাক্টর নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত। আর ফ্যাক্টর মানে রিপ্রোডাকশন নম্বর বা আরটি। এর অর্থ হলো একজনের শরীর থেকে কতজনের মধ্যে করোনা ছড়াচ্ছে। ভারতে গড়ে আর ফ্যাক্টর হলো এক দশমিক দুই। তার কারণ, মহারাষ্ট্র, কেরালা সহ আটটি রাজ্যে আর ফ্যাক্টর বেশ বেশি। এখন তো যত মানুষের করোনা হচ্ছে, তার ৪৯ শতাংশই কেরালার।

কেন্দ্রীয় সরকারেরের করোনা টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পল বলেছেন, ``আর ফ্যাক্টর শূন্য দশমিক ছয়ে নামিয়ে আনতে পারলে বলা যাবে করোনাকে বেশ খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। কিন্তু দেশের ৪৪টি জেলায় এই হার ১০ শতাংশের বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, "স্বাস্থ্যবিধি পালনের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র শিথিলতা চলবে না। অতিমারির দাপট এখনো আছে।"

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে, মাস্ক পরতে হবে, দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাময়িক সাফল্য এসেছে মানে পরিস্থিতি যে আবার খারাপ হবে না, তার কোনো মানে নেই। বিশেষ করে এইমসের ডিরেক্টর গুলেরিয়া সহ অনেকের মতে, এরপর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। তবে তা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো অত ভয়ংকর নাও হতে পারে। তখন দিনে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত হবেন। সেই সংখ্যাটাও তো কম নয়। তাই তারা বারবার সেই প্রবাদটার কথাই শোনাচ্ছেন, সাবধানতার মার নেই। সূত্র: ডয়চে ভেলে



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বেশ কয়েকজন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

বিশেষ এক সূত্রের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার শঙ্কায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিসির এই পদক্ষেপ ঠেকাতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। তার যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ও সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও আইন বিশেষজ্ঞ ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে কথা বলেছেন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই পদক্ষেপ ঠেকাতে ব্রিটিশ ও জার্মান সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হামাস ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর তদন্তের কাজ স্থগিত থাকে। তবে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি।

সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফর করেছিলেন আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান। কিন্তু ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে ব্যর্থ হন তিনি। সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে করিম খান বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ও তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়।

তিনি আরও বলেন, গাজায় যেসব সহিংসতা আগে হয়েছে, তা এখনো হচ্ছে। এসব সহিংসতা হামাস ও আইডিএফের পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করেন করিম খান। এমনকি এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।


নেতানিয়াহু   গ্রেপ্তার   আইডিএফ   ইসরায়েল   আইসিসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আইএমএফের নতুন ঋণের আশায় পাকিস্তান

প্রকাশ: ১১:১৬ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নতুন ঋণের রূপরেখা নিয়ে একমত হওয়ার আশা করছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ঋণ বাজারে ফিরে আসার জন্য রেটিং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে দেশটি। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বলেন, আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তানের বর্তমান তিন বিলিয়ন ডলার চুক্তির মেয়াদ এপ্রিলের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হয়েছে। সরকার এখন সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার স্থায়িত্ব আনতে একটি অবস্থান চাইছে, যাতে অতি প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার সম্পাদন করা যায়।

বুধবার আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আওরঙ্গজেব। এ সময় তিনি বলেন, আমরা আশা করছি মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে আইএমএফ মিশন ইসলামাবাদে পৌঁছাবে এবং তখনই এর কিছু রূপরেখা তৈরি হতে শুরু করবে।

পাকিস্তান কমপক্ষে ৬০০ কোটি ডলার চাইবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সরকার কোন ধরনের কর্মসূচি আশা করছে তার রূপরেখা দিতে অস্বীকৃতি জানান অর্থমন্ত্রী।

 


পাকিস্তান   আইএমএফ   ঋণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদিতে পাম্প বসিয়ে সরানো হলো বন্যার পানি

প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপসাগরীয় দেশগুলোতে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। আর মরুর দেশগুলোতে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের প্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫০ লাখ ঘনমিটারের বেশি পানি পাম্প করে অপসারণ করা হয়েছে। 

গালফ নিউজ জানিয়েছে প্রদেশটির মেয়রের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, টানা দুই দিনের বৃষ্টির পর জরুরি উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত বাহিনী বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য প্রায় ৫২ লাখ ঘনমিটার পানি পাম্প করেছে। প্রায় ৩ হাজার ১০০ উদ্ধারকর্মী পাম্প করার নানা সরঞ্জাম নিয়ে প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম চালিয়েছে। 

এ সময় উদ্ধারকর্মীরা ৩৩৬টি বন্যা কবলিত স্থানে পরিবেশ কর্মীদের ১১৫টি দল নিয়ে কার্যক্রম চালিয়েছে। পাশাপাশি জলাবদ্ধ স্থান ও ময়লার কনটেইনারে তারা জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দেয়। আর যেসব এলাকায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই সেসব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি এসব এলাকা থেকে বৃষ্টির পানি সরানোর জন্যও প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।


সৌদি আরব   বৃষ্টি   পানি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরব আমিরাতে ফের বৃষ্টির আভাস

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সংযুক্ত আরব আমিরাতে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের পর চলছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তবে এর মাঝে আবার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দেশটিতে এই সপ্তাহে আবার বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজির (এনসিএম) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৩ এপ্রিল আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যা কিছু কিছু এলাকায় তীব্র হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এনসিএম বলেছে, উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ এলাকায়, কুয়াশা বা কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাস হালকা থেকে মাঝারি হবে। উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হবে। গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে, মাঝে মাঝে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাবে।

এদিকে শনিবার আবহাওয়া আর্দ্র থাকবে। বিশেষ করে উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ এলাকায় মেঘ এবং কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। বিকেল নাগাদ আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে পরিষ্কার হবে। এছাড়া পাহাড়ি এলাকায় মেঘলা পরিবেশ এবং হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানানো হয় আবহাওয়া বার্তায়।

বলা হচ্ছে, দেশটিতে এক বছরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয় তা একদিনে (১৬ এপ্রিল) হয়েছে। এতে বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। রাস্তায় এতই পানি জমে যায় যে অনেক গাড়ি ভাসা শুরু করে। এছাড়া পানির লেভেল বাড়ার কারণে অনেকে গাড়ির ভেতর আটকা পড়ে যান। তেমনই একটি গাড়ির ভেতর আটকে দুই ফিলিপিনোর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

বন্যা ও বৃষ্টির কারণে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যদিও বৃহস্পতিবার থেকে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হওয়া শুরু করেছে।

আমিরাত মূলত একটি শুষ্ক অঞ্চল। ফলে এখানে বৃষ্টিপাত কম হয়। কিন্তু এ সপ্তাহে যে পরিমাণ বৃষ্টি ঝরেছে তার সঙ্গে সেখানকার মানুষ পরিচিত নয়।


আরব আমিরাত   বৃষ্টির আভাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরাকে ইরানপন্থী মিলিশিয়া বাহিনীর ঘাঁটিতে বিমান হামলা

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যপ্রাচ্যে এবার হামলা হলো ইরাকের রাষ্ট্রায়ত্ত প্যারা মিলিশিয়া বাহিনীর ওপর। পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস নামে ওই প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী ইরানের মদদপুষ্ট এবং প্রধানত শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিয়ে গঠিত।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কালসো নামের একটি সেনাঘাঁটিতে অবস্থানরত পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের সেনাদের ওপর আকাশ থেকে বোমা হামলা হয়। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গভীর রাতে সেখানে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বিমান থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে। এতে পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেসের এক সেনা নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হিলা শহরের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস বলেছে, 'বিস্ফোরণে বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।' তবে ওই বিবৃতিতে হতাহতের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।  

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্র জানিয়েছে, কারা এই বিমান হামলার জন্য দায়ী তা জানা যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে। ইরাকে অবস্থানরত এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, 'ইরাকে কোনো মার্কিন সামরিক তৎপরতা ছিল না।'


ইরাক   মিলিশিয়া বাহিনী   বিমান হামলা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন