ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাতিসংঘ কি স্রেফ বুলিসর্বস্ব একটি প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল মহৎ।  আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা সংরক্ষণ এবং এতদুদ্দেশ্যে শান্তিভঙ্গের হুমকি নিবারণ ও দুরীকরণের জন্য, এবং আক্রমণ অথবা অন্যান্য শান্তিভঙ্গকর কার্যকলাপ দমনের জন্য কার্যকর যৌথ কর্মপন্থা গ্রহণ, এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক বিরোধ বা আইনের নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আন্তর্জাতিক বিরোধ বা শান্তিভঙ্গের আশঙ্কাপূর্ণ পরিস্থিতির নিষ্পত্তি বা সমাধান; বিভিন্ন জাতির মধ্যে সমঅধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণ নীতির ভিত্তিতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের প্রসার এবং বিশ্বশান্তি দৃঢ় করার জন্য অন্যান্য উপযুক্ত কর্মপন্থা গ্রহণ; অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা মানবিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমস্যাসমূহের সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিকাশ সাধন এবং মানবিক অধিকার ও জাতিগোষ্ঠি, স্ত্রী-পুরুষ, ভাষা বা ধর্ম নির্বিশেষে সকলের মৌল অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে উৎসাহ দান।

কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমরা কী দেখতে পাচ্ছি? যে চিন্তাধারা নিয়ে জাতিসংঘ তার যাত্রা শুরু করেছিল, সে যাত্রা কি এখনও অব্যাহত আছে? বিভিন্ন দেশগুলোর মধ্যকার বিবদমান যে পরিস্থিতি, সেগুলো কি তারা একটু হলেও স্তিমিত করতে পেরেছে? জাতিসংঘের “আশঙ্কা প্রকাশ” করা ছাড়া তো আমরা কার্যকর আর তেমন কোনো কার্যাবলি দেখতে পাচ্ছি না। বরং বিভিন্ন মোড়লের দোর্দন্ড প্রতাপের ফলে জাতিসংঘ যেন তার মূল সুরটিই আজ হারিয়ে ফেলেছে। 

জাতিসংঘের পাঁচটি বড় বড় ব্যর্থতার কথা যদি আমরা বলতে চাই, তাহলে প্রথমেই বলতে হবে রুয়াণ্ডাতে হুতু এবং তুতসিদের মধ্যকার বিরাজমান সমস্যার কথা। ১৯৯৪ সালের এই গণহত্যায় ১০০ দিনের মধ্যে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্যরা তখন সেখানেই অবস্থান করছিল কিন্তু তাদেরকে কোনো কাজ করতে দেয়া হয়নি। তুতসিদের যখন কচুকাটা করা হচ্ছিল, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্যরা স্রেফ কাঠপুতুলের মতো সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল। 

২০০৩ সালে সুদানে এসে দেখা যায় মিলিটারি শাসকরা জাঞ্জাবিদদের দারফুরে অবস্থানকারী সংখ্যালঘুদের নির্বিচারে হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে। প্রায় তিন বছর পর দেশটিতে শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্যদের প্রেরণ করা হয়েছিল। ততদিনে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ খুন হয়েছে। 

এছাড়াও খেমার গণহত্যার কথাও বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। পল পটের শাসনের অধীনে প্রায় ২০ লক্ষেরও অধিক কম্বোডিয়ানকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৯৫ সালে ৮ হাজারেরও বেশি বসনিয়ান নারী-পুরুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয় বসনিয়ান-সার্বিয়ান ফোর্সের অধীনে। প্রায় ৭০০ ডাচ শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্রেফ কীর্তি দেখেছে। তারা কোনো ভূমিকাই পালন করেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। 

এছাড়া ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার সঙ্কট নিয়ে জাতিসংঘ কার্যকর কোনো ভূমিকাই পালন করতে পারছে না। বিভিন্ন দেশগুলো তাদের ইস্যুগুলো নিয়ে ময়দানে এর-ওর পায়ে বল ঠেলে দিচ্ছে। জাতিসংঘের নীরব দর্শক হয়ে চেয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো কিছু করার নেই। 

মিয়ানমার সঙ্কটে সামরিক জান্তা যখন রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরোচিত আক্রমণ করে মিয়ানমার থেকে তাড়িয়ে দেয়, তখনও জাতিসংঘ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। বাংলাদেশ জাতিসংঘের অধিবেশনে বারবার এই দাবি উত্থাপিত করেছে যে তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের পক্ষে এত মানুষের চাপ বহন করা সম্ভব নয়। বিশ্বের অপরাপর ধনী দেশগুলোও যেন সামনে এগিয়ে আসে। জাতিসংঘ এখানেও কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেনি চাপ প্রয়োগ করায় কিংবা মীমাংসা করায়। মিয়ানমার জান্তা সরকারকে টলানোর জন্য কিংবা রোহিঙ্গাদের নিজদেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য জাতিসংঘ কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করেনি। 

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালেবানরা। সেখান থেকে মার্কিন এবং ন্যাটো সৈন্যরা সরে যাবার পর থেকেই তারা নতুন করে শুরু করেছে অনাচার। নারীরা অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমে এলে তাদের ওপর করছে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ এবং সংবাদকর্মীদের ওপর করছে অবর্ণনীয় নির্যাতন। এছাড়াও স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীদের ওপর তারা আনছে নানা ধরণের নিয়মকানুন। মোট কথায়, মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হয়, এমন কোনো কাজ বাদ রাখতে তারা কসুর করেননি। এখানেও মানবাধিকার রক্ষায় জাতিসংঘের কোনো ভূমিকা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। 

মোট কথায়, জাতিসংঘ স্রেফ একটি কথাসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে বিবদমান যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো সমাধানে জাতিসংঘ যদি আরও ব্রতী না হয়, তাহলে সংস্থাটি পরিপূর্ণভাবে অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পূর্বনির্ধারিত ভারত সফর স্থগিত করলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পূর্বনির্ধারিত ভারত সফর স্থগিত করেছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। টেসলার বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ততা থাকায় সফর স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক বার্তায় সফর স্থগিত করা কথা জানিয়েছেন মাস্ক।

জানা গেছে, ২১ ও ২২ এপ্রিল দু’দিনের ভারত সফরে আসার কথা ছিল মাস্কের। এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন তিনি। ইলন মাস্ক নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে মাস্ক লিখেছিলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’ তারপর থেকেই মাস্কের সফর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।

এ সফরের একদিন আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) ইলন মাস্ক জানালেন তিনি এই মুহূর্তে ভারত সফরে আসছেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে শীর্ষ এই ধবকুবের লিখেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় প্রচুর কাজ জমে থাকায় ভারত সফর  পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। কিন্তু চলতি বছরের শেষেই ভারতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।’

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানত ভারতে নতুন একটি ফ্যাক্টরি চালু করার কথা ছিল টেসলার এবং তার জন্য নয়া দিল্লিতে মাস্কের ২ বিলিয়ন থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। কোম্পানিগুলো স্থানীয় উৎপাদনে বিনিয়োগ করলে আমদানি করা গাড়ির ওপর উচ্চ শুল্ক কমানো হবে- ভারত সরকার এমন নীতির ঘোষণা দেয়ার পরেই এ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল টেসলা।


ভারত   সফর   স্থগিত   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের প্রেসিডেন্টকে বরণ করতে প্রস্তুত পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তিন দিনের সরকারি সফরে ইসলামাবাদে যাচ্ছেন। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পাকিস্তানের সরকার। 

পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে মাত্র কয়েক মাস আগেও ইরান এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। তবে তখন সামরিক জবাব এড়িয়ে কূটনীতির মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগায় মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশ।

ইরানি প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। তখন তিনি বলেন, তিনি (ইব্রাহিম রাইসি) আসছেন। আমরা তাকে স্বাগত জানাব। তিনি আগামী ২২-২৪ এপ্রিল পাকিস্তান সফর করবেন। এ সফর নিয়ে আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।

ইব্রাহিম রাইসি এমন এক সময়ে পাকিস্তান সফর করবেন যখন পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বর্তমানে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে রয়েছে। এমনকি ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা ঘিরে রাইসির সফর স্থগিত করা হতে পারে, এমন কথাও গণমাধ্যমে চাউর হতে শুরু করেছিল। তবে এই ধরনের সম্ভাবনার কথা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এসব ঘটনার বহু আগে এই সফরের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে ৯০০ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। প্রায় সময় একে-অন্যের বিরুদ্ধে নিজ নিজ দেশের মাটিতে জঙ্গিদের আশ্রয় এবং আন্তঃসীমান্ত জঙ্গি হামলা ঠেকাতে পর্যাপ্ত সহায়তা না করার অভিযোগ তুলে দেশ দুটি।


ইরান   প্রেসিডেন্ট   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত

প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পৃথক দু’টি হামলায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর ২৮ জন সেনা নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সময় আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশটির মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবসারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি।

এক প্রতিবেদনে গণমাধ্যমটি বলছে, শুক্রবার সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হোমসে সেনাসদস্যদের বহনকারী একটি বাসকে লক্ষ্য করে বন্দুক হামলা চালায় আইএসের বন্দুকধারীরা। এতে ওই বাসের মোট ২২ জন যাত্রীর সবাই নিহত হন।

নিহত এই সেনাসদস্যদের সবাই সিরীয় সশস্ত্র বাহিনীর কুদস ব্রিগেডের সদস্য। এই ব্রিগেডটির যোদ্ধারা সবাই জাতিগতভাবে ফিলিস্তিনি। একই দিন সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর আলবু কামালের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৬ সিরীয় সেনাকে হত্যা করেছে আইএস বন্দুকধারীরা। তবে সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে দুই ঘটনার কোনোটিই প্রকাশ করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আইএসের উত্থান ঘটে সিরিয়া এবং ইরাকে। দুই দেশের বিশাল ভূখণ্ড দখল করে নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল আন্তর্জাতিক এই ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী।

তবে ২০১৫ সালে রুশ বিমানবাহিনী আইএস অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে অভিযান শুরুর পর থেকে এই গোষ্ঠীটির দৌরাত্ম্য কমতে থাকে। ২০১৪ সালে যে পরিমাণ ভূখণ্ড দখলে নিয়েছিল আইএস, বর্তমানে তার মাত্র এক পঞ্চমাংশ কোনো রকমে টিকিয়ে রাখতে পেরেছে এই গোষ্ঠীটি।


সিরিয়া   আইএস   হামলা   সেনা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বিলে ভোট আজ

প্রকাশ: ১২:০৯ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কয়েক মাস বিলম্বের পর ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা বিল নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোট হতে যাচ্ছে। 

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এই ভোট হবে। এদিন ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য কয়েক কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।

এদিন ইউক্রেন এবং ইসরায়েলের জন্য কয়েক কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কয়েক বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে। দেশটি কিয়েভের সবচেয়ে বড় দাতা। তবে বর্তমানে সহায়তা কমে গেছে। হাউসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্ররা নতুন সহায়তা থামিয়ে দিচ্ছে। 

কংগ্রেসে বিলটি পাস হওয়া নিয়ে এখনও আশঙ্কা রয়ে গেছে। এ বিষয়ে হাউসের স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, বিষয়টিকে ভোটে আনতে বদ্ধপরিকর তিনি। এমনকি এতে যদি তার ক্ষমতা হুমকির মুখে পড়ে তবুও।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহায়তা প্যাকেজটিতে ভোট দিতে প্রস্তুত কংগ্রেস। একইসঙ্গে প্যাকেজটি অনুমোদনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে সিনেটও। বিলটি সিনেটে পাস হলে এটিকে আইনে স্বাক্ষর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইউক্রেনের এই সহায়তা প্রস্তাবের ভোট কিয়েভে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কেননা, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে লড়তে মিত্রদের কাছ থেকে নতুন এই সহায়তা ইউক্রেনের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে।


মার্কিন কংগ্রেস   ইউক্রেন   বিল   ভোট   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বেশ কয়েকজন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

বিশেষ এক সূত্রের বরাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার শঙ্কায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিসির এই পদক্ষেপ ঠেকাতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। তার যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ও সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও আইন বিশেষজ্ঞ ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে কথা বলেছেন নেতানিয়াহু। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই পদক্ষেপ ঠেকাতে ব্রিটিশ ও জার্মান সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হামাস ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর তদন্তের কাজ স্থগিত থাকে। তবে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি।

সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফর করেছিলেন আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান। কিন্তু ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে ব্যর্থ হন তিনি। সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে করিম খান বলেছিলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ও তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়।

তিনি আরও বলেন, গাজায় যেসব সহিংসতা আগে হয়েছে, তা এখনো হচ্ছে। এসব সহিংসতা হামাস ও আইডিএফের পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করেন করিম খান। এমনকি এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।


নেতানিয়াহু   গ্রেপ্তার   আইডিএফ   ইসরায়েল   আইসিসি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন