ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন আলোচিত ছাত্রনেতা কানহাইয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৫৬ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

ভারতের দিল্লির জওহারলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তরুণ নেতা কানহাইয়া কুমার, ভারতীয় রাজনীতির ‘নেক্সট বিগ থিঙ্ক’ বলা হয়।

তিনি সর্বপ্রথম আলোচনায় আসেন জওহারলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন। সে সময় দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। যদিও সেই অভিযোগের কোনও সত্যতা মেলেনি এবং তিনি জামিনে মুক্ত হন। তার মুক্তির দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

এবার ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসে যোগ দিতে যাচ্ছেন আলোচিত সেই ছাত্রনেতা। আগামী ২ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেবেন কানহাইয়া কুমার এবং গুজরাটের স্বতন্ত্র বিধায়ক জিগনেশ মেভানি।

সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুজরাটের ভাদগাম নির্বাচনী এলাকার বিধায়ক ও দলিত নেতা জিগনেশ মেভানি। তিনি কংগ্রেসের রাজ্য ইউনিটের কার্যকরী সভাপতির পদে নিযুক্ত হতে পারেন।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, পদ যেটাই হোক, আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই তরুণ ও জনপ্রিয় এই নেতাকে দলে টানছে কংগ্রেস।

গ্রেফতারের পর যখন মুক্তি মেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়েছিলেন কানহাইয়া। সেটির পর থেকেই ভারতীয় রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি। তার ‘আজাদী’ স্লোগান মোদি বিরোধী দলগুলোরও অন্যতম স্লোগান হয়ে ওঠে।

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শনিবার ঢাকা আসতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

প্রকাশ: ১০:২৯ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী শনিবার ঢাকায় আসতে পারেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রা। ঢাকায় অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ভারত সফরের আমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন তিনি। 

সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের আগে বিনয় মোহন কাত্রা তার এই সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্ত দিক এবং সম্ভাব্য এমওইউ এবং চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন বলেও জানা গেছে।

কূটনৈতিক একটি সূত্র জানায়, বিনয় কাত্রা একদিনের জন্য ঢাকা সফরে আসবেন। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাঠানো আমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। 


ভারত   পররাষ্ট্র সচিব   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বড় সংঘাতের শঙ্কা ইসরায়েল-ইরানের

প্রকাশ: ১০:১৩ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অবশ্যই জবাব দেবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার ও দেশটির সামরিক বাহিনী। যদিও মিত্রদেশগুলো পাল্টা হামলা না চালাতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। 

ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আব্দোলরহিম মৌসাভি বলেন, ইরানের স্বার্থের ওপর যেকোনো আগ্রাসনের অবশ্যই এমন জবাব দেওয়া হবে, যার জন্য পরে ইসরায়েলকে পস্তাতে হবে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, এমনিতে ফিলিস্তিনের গাজায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে। তার ওপর ইরানে পাল্টা হামলা চালালে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। দেখা দিতে পারে বড় ধরনের সংঘাত।

ইরানের হামলার জবাব কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে বুধবারও বৈঠক করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বৈঠকে ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিসভার সদস্যরা একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো। তবে ইসরায়েল সরাসরি ইরানের ভূখণ্ডে হামলা করবে, নাকি সিরিয়া, লেবানন, ইরাক বা ইয়েমেনে ইরানের মিত্রদের ওপর হামলা করবে-এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।

সম্প্রতি ইরানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল সফর করেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বায়েরবক। ইসরায়েলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর ডেভিড ক্যামেরন সাংবাদিকদের বলেন, ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। 

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান হারজি হালেভি বলেন, ইরানের হামলার অবশ্যই জবাব দেওয়া হবে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরানকে ‘ছেড়ে দেওয়া’ হবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং এ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, ইরানে সীমিত আকারে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যের বরাতে এসব সূত্র বলছে, ইরানের অভ্যন্তরে ছোট ও সীমিত আকারে হামলা চালানোর চিন্তাভাবনা করছে ইসরায়েল। দেশটি মনে করছে, একধরনের সামরিক শক্তি প্রয়োগ করেই ইরানের এই হামলার জবাব দেওয়া দরকার।

এছাড়াও, ইরানের ওপর ইসরায়েলের নতুন করে যেকোনো হামলার আরও কঠোর জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ইরানের জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী দিবসের এক আয়োজনে তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি আর ন্যূনতম কোনো আগ্রাসন চালায়, তাহলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম দিন সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরান দূতাবাসে হামলা চালায় ইসরায়েল। সেই হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একজন শীর্ষ জেনারেলসহ সাতজন নিহত হন। এর জবাবে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে গত শনিবার ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান।


ইসরায়েল   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ'র

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। 

স্থানীয় সময় বুধবার (১৭ এপ্রিল) ব্রাসেলসে ইউভুক্ত ২৭ দেশের নেতাদের প্রথম বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খবর: রয়টার্স

এ বিষয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন। আর ইইউ পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে তাদের জোট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল প্রতিশোধ নেয়ার ইঙ্গিত দিলেও সেটি তারা কীভাবে নেবে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি। তবে বৈঠকে ইইউ নেতারা ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে লেবাননসহ সব পক্ষকে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বৈঠকে শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারম্যান চার্লস মিশেল বলেছেন, ‘আমরা মনে করি ইরানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য সবকিছু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ অন্যদিকে, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসরায়েল ‘নিজস্বভাবে বড় ধরনের হামলার জবাব যেন না দেয়।’

এদিকে, ইসরায়েলের সীমান্তজুড়ে সংঘাত বৃদ্ধির আশঙ্কার মধ্যেই ইরানের হামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বুধবার (১৭ এপ্রিল) বলেছেন, কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যায়, সে সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নিজেরা নেবে। ইরানের হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি-৭ দেশগুলোর সংঘাত নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে নেতানিয়াহু বলেন, কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যায়, আমরা সে সিদ্ধান্ত নেবো। নিজেদের রক্ষার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। এ হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


ইরান   নিষেধাজ্ঞা   যুক্তরাষ্ট্র   ইইউ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত

প্রকাশ: ০৯:০৮ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে চালানো রুশ এই হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। চেরনিহিভ রাশিয়ান সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) দূরে অবস্থিত।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের চেরনিহিভ শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জরুরি সেবা জানিয়েছে। একইসঙ্গে এই হামলায় তিন শিশুসহ ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি আট তলা ভবনে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে বলে শহরের মেয়র জানিয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরের কেন্দ্রস্থলে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।

বিবিসি বলছে, অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলার খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলা চালানো হয়। সেই হামলার বিস্তারিত এখনও নিশ্চিত করা হয়নি, যদিও স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো উত্তর ক্রিমিয়ার ঝানকোয় এয়ারফিল্ডে আগুনের ভিডিও শেয়ার করেছে।

চেরনিহিভের ভারপ্রাপ্ত মেয়র অলেক্সান্ডার লোমাকো বলেছেন, একটি ভবনে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত করেছে এবং বেশ কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিয়েভের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, হামলায় আরও চারটি উচ্চ ভবন, একটি হাসপাতাল, কয়েক ডজন গাড়ি এবং একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জরুরি পরিষেবাগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং কর্মকর্তারা জনসাধারণকে রক্ত ​​দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসার আবেদন করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ান এই হামলাটি ঘটত না ‘যদি ইউক্রেন পর্যাপ্ত আকাশ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত’। এসময় তিনি আরও সহায়তা দেওয়ার জন্য পশ্চিমা মিত্রদের কাছে তার আবেদনের পুনরাবৃত্তি করেন।


ইউক্রেন   রাশিয়া   ক্ষেপণাস্ত্র হামলা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েল বনাম ইরান, কার কত শক্তি

প্রকাশ: ০৮:০৩ এএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভৌগোলিক অবস্থানে ইরান

ইরানের আয়তন ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৫ কিলোমিটার এবং  ইসরায়েলের আয়তন ২১ হাজার ৯৩৭ বর্গকিলোমিটার। ইরানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে ইরাক, তুরস্ক, আরমেনিয়া, আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের।

ভৌগোলিক অবস্থানে ইসরায়েল 

ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে মিসর, জর্ডান, সিরিয়া ও লেবাননের। বিশ্বে ১০৮তম অবস্থানে থাকা ইরানের অন্য দেশের সঙ্গে সীমানার পরিমাণ ৫ হাজার ৮৯৪ কিলোমিটার। ইসরায়েলের আছে ১ হাজার ৬৮ কিলোমিটার।

ইরানের প্রাকৃতিক সম্পদ

ইরান প্রতিদিন উত্তোলন করে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল তেল। প্রুভেন অয়েল রিজার্ভের ক্ষেত্রে ইরানের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। তাদের প্রুভেন রিজার্ভ ২১ হাজার কোটি ব্যারেল। আর ইসরায়েল ১ কোটি ২৭ লাখ ব্যারেল প্রুভেন রিজার্ভ নিয়ে বিশ্বে ৭১তম অবস্থানে আছে।

ইসরায়েলের প্রাকৃতিক সম্পদ

ইসরায়েলের কোনো কয়লা খনি নেই। ইরান কয়লা উত্তোলনের দিক থেকে বিশ্বে ৪৩তম। প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনে বিশ্বে ইরানের অবস্থান তৃতীয়, যেখানে ইসরায়েলের অবস্থান ৪০তম।

ইসরায়েলের বাজি আয়রন ডোমে

ইসরায়েল বরাবরই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে চমক দেখিয়ে এসেছে। দেশটির রয়েছে কয়েক স্তরের আধুনিক আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত আয়রন ডোম। ইজরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমের তৈরি এটি। এটি নির্মাণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে বলে জানা যায়। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের বিপরীতে আয়রন ডোম কম উচ্চতায় থাকা ওয়ারহেড রকেট আটকানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়রন ডোম হলো অ্যান্টি-রকেট, অ্যান্টি-মর্টার এবং অ্যান্টি আর্টিলারি সিস্টেম। এটা ২.৫ থেকে ৪৩ মাইল বা ৪ থেকে ৭০ কিমি দূর থেকে রকেট বা মিসাইল আটকে দিতে পারে। তারপর কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে রকেটের পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায়। আয়রন ডোম হলো ব্যাটারির সিরিজ যা রাডারের মাধ্যমে শর্ট-রেঞ্জের রকেট শনাক্ত করে আটকে দেয়। প্রতিটি ব্যাটারিতে তিনটি বা চারটি লঞ্চার, ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি রাডার থাকে।

২০২১ সাল পর্যন্ত ইজরায়েলের অন্তত দশটি আয়রন ডোম ব্যাটারি দেশজুড়ে মোতায়েন রয়েছে বলে জানা যায়। প্রতিটি ব্যাটারি ৬০ বর্গমাইল জনবহুল এলাকাকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আয়রন ডোম তার রেঞ্জের মধ্যে আসা রকেটকে প্রথমে শনাক্ত করে, তারপর তার পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায় কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে। সেখানে দেখা হয় রকেটটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানবে কি না। যদি তাই হয় তখন আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রকেটটিকে ধ্বংস করে। আর যদি দেখা যায় রকেট খোলা অঞ্চলে বা সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে তাহলে ছেড়ে দেওয়া হয়। তেল আবিবের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ অনুসারে, প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য আনুমানিক ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার খরচ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আয়রন ডোমে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। এর কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০১১ সালে এগুলো প্রথম মোতায়েন করা হয়। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ইসরায়েল প্রথমবার আয়রন ডোমকে সচল করে।

পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে লুকোচুরি

সামরিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের শক্তি ইসরায়েলকে এগিয়ে রেখেছে। কয়েক দশক ধরে ইসরায়েল তার পারমাণবিক অস্ত্রের ভান্ডার শক্তিশালী করেছে। যদিও দেশটি সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বা কত সংখ্যক রয়েছে- বিষয়টি স্বীকার করে না। তবে বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এমন দেশের তালিকায় ইসরায়েলকে গণ্য করা হয়। ইসরায়েল পারমাণবিক অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার না করলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের সংগঠন ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের অনুমান, ইসরায়েলের হাতে প্রায় ৯০টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। অন্যদিকে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি, গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর। অনেকেই ধারণা করেন ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। তবে ইরান সব সময়ই দাবি করে আসছে, তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। এখন পর্যন্ত ইরান এবং ইসরায়েল-কোনো দেশেরই পারমাণবিক অস্ত্র সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।

ভয়ংকর গোয়েন্দা দল ইসরায়েলের

ইসরায়েলের মোসাদকে বিশ্বের অন্যতম দক্ষ গোয়েন্দা বাহিনী ধরা হয়। বিশ্বজুড়ে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। ইরানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ইসরায়েল বিভিন্ন সময় সফল গুপ্তচরবৃত্তি ও হামলার ইতিহাস রয়েছে মোসাদের। প্রতিশোধ, প্রতিরোধ সবক্ষেত্রেই বাহিনী এগিয়ে। ইরানকে ঠেকাতে গত দুই দশকে ইরানের সাত পরমাণু বিজ্ঞানীকেও গুপ্তহত্যা করেছে। এই সাতজন পরমাণু বিজ্ঞানী ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তহত্যার শিকার বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছে কখনো গাড়িবোমা অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোল পরিচালিত মেশিনগানের নির্ভুল নিশানা। বিশ্লেষকরা দাবি করেন, ফিল্মি কায়দায় গুপ্তহত্যায় বিষাক্ত গ্যাস কিংবা ম্যাগনেটাইজ বোমার মতো ভয়ংকর বিস্ফোরক ব্যবহার করে মোসাদ। মোসাদ কর্তৃক ইরানি বিজ্ঞানী হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের নভেম্বরে। ইরানের সবচেয়ে মেধাবী ও চৌকস পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদেহকে তেহরানের জনবহুল রাস্তায় রিমোট কন্ট্রোল মেশিনগান দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ইরানে মোসাদ সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ও দুঃসাহসিক ঘটনাটি ঘটিয়েছিল ২০১৮’র জানুয়ারিতে। সেদিন ইরানের রাজধানীর প্রায় ৩২ কিমি দূরের একটি গোপন গুদাম থেকে পরমাণু কর্মসূচিবিষয়ক আট টন গোপন দলিল চুরি করে তেলআবিবে নিরাপদে নিয়ে গিয়েছিল!

ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ভান্ডার

ড্রোন ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকায়নে ইরানের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে বরাবরই শঙ্কিত ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। এর সঙ্গে গত এক দশকে ইরানের মিত্রদেশগুলো আধুনিক যুদ্ধবিমান ও বিভিন্ন অস্ত্রের প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে বলেও পশ্চিমা মিডিয়াগুলোতে খবর প্রচার করেছে। সব মিলিয়ে বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর হয়ে উঠেছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর চেয়ে ইরানের কাছে সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন রয়েছে। দেশটির কাছে এমনো ড্রোন আছে, যেগুলো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। এসব ড্রোনের বিশেষত্ব হলো-এগুলো খুবই নিচ দিয়ে উড়তে পারে। ফলে ড্রোনগুলো রাডারে ধরা পড়ে না। এ ছাড়া ইরানের রয়েছে ক্রুজ ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ইসরায়েল। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডারকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি বলে উল্লেখ করেছে। ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের এমন নয়টি ক্ষেপণাস্ত্র-

খোররামশহর-৪ ক্ষেপণাস্ত্র (খাইবার)

পাল্লা : ২ হাজার কিমি।

দৈর্ঘ্য : ১৩ মিটার। ব্যাস : ১.৫ মিটার। ওজন : ৩০ টন।

ওয়ারহেড ওজন : ১৫০০ কেজি

গতি : বায়ুমন্ডলের বাইরে ১৬ ম্যাক/ বায়ুমন্ডলের ভিতরে ৮ ম্যাক।

হাজি কাসেম ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : ১৪০০ কিমি

দৈর্ঘ্য : ১১ মিটার

ব্যাস : ৮৫ থেকে ৯৫ সেমি

ওজন : ৭ টন

ওয়ারহেড ওজন : ৫০০ কেজি

গতি : ৫ ম্যাক

খায়বার শেকান ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : ১৪৫০ কিমি

দৈর্ঘ্য : ১০.৫ মিটার

ব্যাস : ৮০০ মিমি

ওজন : ৪৫০০ কেজি

ওয়ারহেড ওজন : ৫০০ কেজি

গতি : ঘণ্টায় ৫ হাজার কিলোমিটারের বেশি

সিজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : ২,০০০-২,৫০০ কিমি

দৈর্ঘ্য : ১৭.৫৭ মিটার

ব্যাস : ১.২৫ মিটার

ওজন : ২৩ টন

ওয়ারহেড ওজন : ৫০০ কেজির বেশি

গতি : ১২-১৪ ম্যাক

পাভে ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : ১,৬৫০ কিমি

উড়ন্ত উচ্চতা : ৫০ মিটারের কম

গতি : ৬০০-৯০০ কিমি/ঘণ্টা

ফাত্তাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : ১,৪০০ কিমির বেশি

দৈর্ঘ্য : ১২ মিটার

ব্যাস : প্রথম অংশ : ৮০ সেমি / দ্বিতীয় অংশ : ৫০ সেমি

ওজন : ৩,৫০০-৪,১০০ কেজি

ওয়ারহেড ওজন : ৫০০ কেজি

গতি : ৫ ম্যাক।

কদর ক্ষেপণাস্ত্র (ট্রিপল)

পাল্লা : ১, ৯৫০ কিমি পর্যন্ত

দৈর্ঘ্য : ১৫.৫-১৬.৫ মিটার

ব্যাস : ১.২৫ মিটার

ওজন : ১৭, ৪৮০ কেজি পর্যন্ত

ওয়ারহেড ওজন : ৭০০ থেকে ১০০০ কেজি

গতি : প্রায় ৯ ম্যাক

এমাদ ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : প্রায় ১,৭০০ কিমি

দৈর্ঘ্য : ১৫.৫ মিটার

ব্যাস : ২.১৮ মিটার

ওজন : ১,৭৫০ কেজি

শাহাব-৩ ক্ষেপণাস্ত্র

পাল্লা : প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার

দৈর্ঘ্য : প্রায় ১৬ মিটার

ব্যাস : ১.২ মিটার

ওজন : ১,৭৮০ কেজি

ইরানের তুরুপের তাস হরমুজ প্রণালি

সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নয়, ইরানের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে হরমুজ প্রণালি। আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের অধীনে হলেও হরমুজ প্রণালিতে ইরানের আধিপত্য রয়েছে। ইরান চাইলে যেকোনো সময় বন্ধ করে দিতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রান্সজিট। পশ্চিমা বিশ্ব এ নিয়ে সব সময় উদ্বিগ্ন। হরমুজ প্রণালির সবচেয়ে সংকীর্ণ অংশ থেকে ইরান এবং ওমানের দূরত্ব মাত্র ২১ মাইল। একদিকে পারস্য উপসাগর, অন্যদিকে ওমান উপসাগর ও আরব সাগর। এখানে সংযোগ স্থাপন করেছে এই প্রণালি। মধ্যপ্রাচ্য থেকে এশিয়া, ইউরোপসহ পুরো বিশ্বে তেল সরবরাহের একমাত্র পথ এটি। বিশ্বে প্রতিদিন ব্যবহৃত তেলের এক-পঞ্চমাংশ এই প্রণালি দিয়েই আনা-নেওয়া করা হয়। প্রতিদিন চলাচল করে অন্তত ৮৫টি তেলবাহী জাহাজ। শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ আট দেশ- ইরান, ইরাক, কুয়েত, সৌদি আরব, বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের সঙ্গে পুরো বিশ্বের সমুদ্রপথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই প্রণালি। বিশ্লেষকরা বলছেন, হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম হবে আকাশচুম্বী। এর ধারাবাহিকতায় বাড়বে নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর দাম।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন