নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ফ্রান্সের কাছ থেকে এক ডজন সাবমেরিন কেনা নিয়ে পাঁচ বছর আগে করা একটি চুক্তিকে হঠাৎ পায়ে দলে অস্ট্রেলিয়া যে কায়দায় আমেরিকা এবং ব্রিটেনের সাথে চুক্তি করেছে, তাতে পশ্চিমা বিশ্বের মৈত্রী, ঐক্য এবং আস্থা সমূলে নাড়া খেয়েছে।
ক্ষুব্ধ এবং অপমানিত ফ্রান্স ক্যানবেরা এবং ওয়াশিংটন থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত ডেকে পাঠিয়েছে, আর সোমবারের জন্য নির্ধারিত ব্রিটেনের সাথে একটি প্রতিরক্ষা সংলাপ তারা বাতিল করে দিয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এরপর ফ্রান্স কী করবে? অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার পথে কি তারা যাবে? যদি সে পথেই হাঁটতে চায় তারা, সেক্ষেত্রে আরেকটি প্রশ্ন হলো, সেই ক্ষমতাই বা তাদের কতটুকু রয়েছে?
প্যারিসে বিবিসির সংবাদদাতা হিউ শোফিল্ড বলেন, বিড়ম্বনা এবং অপমানের প্রথম ধাক্কা সামলে ওঠার পর ফ্রান্সকে ভীষণ অপ্রিয় কঠোর কিছু প্রশ্নের জবাব হাতড়াতে হবে।
প্রথমত, তিনি বলেন, ফরাসীদের হয়তো নতুন করে অনুধাবন করতে হবে যে ভূ-রাজনীতিতে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার বেলায় আবেগের তেমন কোন জায়গা নেই।
অস্ট্রেলিয়ানদের পক্ষ থেকে যুক্তি দেয়া হচ্ছে চীনের কাছ থেকে নিরাপত্তার ঝুঁকির মাত্রা যেভাবে বেড়েছে, তাতে ফরাসী ডিজেল-চালিত সাবমেরিনে তাদের চলবে না। বরং আধুনিক পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন দিয়ে চীনকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
তবে ফরাসীরা অস্ট্রেলিয়ার এই যুক্তি গ্রহণ করেনি। তাদের কথা, অস্ট্রেলিয়ার চাহিদা মতই ডিজেল চালিত সাবমেরিনের তৈরি নিয়ে তারা কাজ করছিল এবং অস্ট্রেলিয়া চাইলে পরমাণুশক্তি চালিত সাবমেরিন তারাও সরবরাহ করতে পারতো। ফ্রান্স বলছে, অস্ট্রেলিয়া সেই ইঙ্গিত কখনই তাদের দেয়নি।
আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডাটন যখন প্যারিসে আসেন, তখনও সাবমেরিন নিয়ে ভিন্ন কোন ইচ্ছার কথা তিনি জানাননি। তার আগে জুন মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সফরেও তিনি ভিন্ন কোন ইঙ্গিত দেননি।
ফ্রান্সের ওপর আমেরিকার অনাস্থা?
ফ্রান্সের আরও ক্ষোভ যে নেটো সামরিক জোটের সদস্য হয়েও কিভাবে ব্রিটেন এবং বিশেষ করে আমেরিকা, পুরো বিষয়টি তাদের কাছ থেকে গোপন রেখেছে।
লন্ডনের দৈনিক গার্ডিয়ানের কূটনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক প্যাট্রিক উইনটর লিখেছেন, শুধু অস্ত্র বিক্রির চুক্তি হারানো নিয়েই ফ্রান্স যে ক্রুদ্ধ তা নয়, অকাস চুক্তি দেখিয়ে দিয়েছে যে পারমাণবিক প্রযুক্তি নিয়ে আমেরিকা ফ্রান্সকে বিশ্বাস করে না।
সে কারণেই হয়তো ফরাসী পরারাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ ইভ ল্য দ্রিঁয়া অকাস চুক্তিকে ‘পিঠে ছুরি মারার’ সাথে তুলনা করেছেন।
প্যারিসে বিবিসির হিউ শোফিল্ড আরও বলছেন, ফ্রান্সের জন্য আরেকটি “অপ্রিয় বাস্তবতা’ হলো অকাস চুক্তি প্রমাণ করছে নেটো জোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আর তেমন মাথাব্যাথা নেই এবং মিত্র দেশগুলোর প্রতি আনুগত্যকে তারা পরোয়া করছে না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ফরাসী নেতা চার্লস দ্য গলের চিন্তাধারায় বিশ্বাসী ফরাসী রাজনীতিকরা-যাদের মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল্য ম্যাক্রঁও রয়েছেন-স্বপ্ন দেখেন যে ফ্রান্স হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বাধীন একটি বিশ্ব শক্তি।
দেশের পারমাণবিক শক্তি এবং সামরিক শক্তির ওপর তাদের রয়েছে অগাধ আস্থা। কিন্তু তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে মেনে নিয়েই ফ্রান্স চলছে।
কিন্তু হিউ শোফিল্ড বলছেন, এখন প্যারিসের ক্ষমতার করিডোরে করিডোরে প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে -“প্রয়োজন কি আমেরিকার সাথে থাকার? তাদের সাথে থেকে আমাদের লাভ কী হচ্ছে?
“এই ধাক্কা হঠাৎ আকাশ থেকে এসে পড়েছে,“ বিবিসিকে বলেন ফরাসী দৈনিক ল্য ফিগারোর পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশ্লেষক রেঁনো জিরার্ড।
তিনি আরও বলেন, “অ্যাঙ্গলো-স্যাক্সনদের (পশ্চিমা ইংরেজি ভাষাভাষী জাতি) জন্য ম্যাক্রঁ অনেক কিছু করেছেন। আফগানিস্তানে আমেরিকানদের সাহায্য করেছেন। ব্রিটিশদের সাথে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ানদের সাথে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সবসময় তাদের বলেছেন দেখ আমরা তোমাদের সাথে আছি। আমরা তোমাদের সত্যিকারের মিত্র।’
রেঁনো জিরার্ড বলেন, “শুধু বাইডেনের সাথেই যে তিনি রয়েছেন তা নয়, এমনকি ট্রাম্পের সাথেও ছিলেন। এই সব কিছু করার পর এটাই তার প্রাপ্তি। কোনও পুরস্কার নেই। তারা ফ্রান্সের সাথে এমন আচরণ করলো যেন দেশটি একটি বিশ্বস্ত কুকুর।’
পররাষ্ট্রবিষয়ক এই বিশ্লেষক যে কথা বলেছেন, ফরাসী রাজনীতিকদের অনেকের কণ্ঠে এই ভাষাই শোনা যাচ্ছে।
ইউরোপের জন্য একটি ‘সতর্ক সঙ্কেত’
প্রশ্ন হচ্ছে ফ্রান্স এখন করবে কী? দ্য গল ১৯৬৬ সালে নেটোতে ফ্রান্সের অংশগ্রহণ স্থগিত করেছিলেন। ২০০৯ সালে নিকোলাস সারকোজি ক্ষমতায় এসে সেই সিদ্ধান্ত বদলান।
তাহলে ইমানুয়েল্য ম্যাক্রঁ কি এখন নেটো জোটে ফ্রান্সের ভূমিকা পূনর্বিবেচনা করবেন? এখনও তার কোনো ইঙ্গিত নেই, কিন্তু একথা সত্যি যে দুই বছর আগে ম্যাক্রই মন্তব্য করেছিলেন যে নেটো জোটের “মস্তিস্ক এখন মৃত’।
হিউ শোফিল্ড বলছেন, ফ্রান্সের সামনে আরেকটি অপ্রিয় সত্য হলো, আন্তর্জাতিক যে উচ্চাভিলাষ তাদের রয়েছে তা পূরণের সুনির্দিষ্ট কোন পথ এখনও তাদের সামনে নেই।
“গত সপ্তাহের ঘটনাবলীর যে শিক্ষা তা হলো, ভূরাজনৈতিক কৌশলগত বিষয়ে জোরালো তেমন কোন ভূমিকা রাখার মত শক্তি ফ্রান্স নয়। ফরাসী নৌবাহিনীতে এখন জাহাজের যে সংখ্যা, চীন প্রতি চার বছরে সেই সংখ্যার জাহাজ তাদের নৌবাহিনীতে যোগ করছে।’
আর সেই চাপেই হয়তো অস্ট্রেলিয়া উপায়ন্তর না দেখে ফ্রান্সের মত মাঝারি শক্তিধর দেশকে অবজ্ঞা করে বড় একটি পরাশক্তির হাত ধরার চেষ্টা করেছে।
ফ্রান্স হয়তো এখন আবারও আমেরিকার ওপর নির্ভরতার কথা ভুলে স্বতন্ত্র একটি ইউরোপীয় নিরাপত্তা কৌশল হাতে নেয়ার কথা শুরু করবে। তারা বলবে, ইউরোপের সেই প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে।
বিকল্প কী ফ্রান্সের?
তাহলে ফ্রান্সের সামনে বিকল্প এখন কী? কী করতে পারে ফ্রান্স এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা? হিউ শোফিল্ড মনে করেন, বাস্তবতা মেনে নিতে হবে ফ্রান্সকে।
“আপাতত তারা হয়তো ইউরোপে একটি জোট তৈরির চেষ্টা করবে। বিংশ শতাব্দীর জটিল মনস্তত্ব থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তারা জার্মানিকে রাজি করানোর চেষ্টা করবে। জার্মানিকে তারা বলবে, সত্যিকারের একটি শক্তিধর দেশের মত আচরণ করতে, ভূমিকা রাখতে।’
তবে সামরিক শক্তি অর্জনে কতদূর তারা এগুবে কিংবা নেটোর বাইরে গিয়ে ইউরোপে একটি সামরিক জোট তৈরি করা-এসব বিষয় নিয়ে জার্মানি এখনও দ্বিধাগ্রস্ত। সুত্র: বিবিসি বাংলা
মন্তব্য করুন
ইউক্রেন পশ্চিমা এফ-১৬ বিমান ভ্লাদিমির পুতিন
মন্তব্য করুন
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু দিন দিন হামলার ধরন নৃশংসতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনীর। ইসরায়েলি নৃশংশতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরীহ মানুষ থেকে শুরু করে শিশুরাও।
কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার হাতে এসেছে এক এক্সক্লুসিভ ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে গুলি করে হত্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেন তারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এই ঘটনা ঘটে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। একপর্যায়ে তাদের একজনকে বারবার একটি সাদা কাপড় নাড়তে দেখা যায়। কোনো হুমকি সৃষ্টি না করা সত্ত্বেও ওই দু'জনকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার এনে লাশ দুটি বালুচাপা দেন তারা।
এদিকে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলছে, এই ঘটনা ইসরায়েলি ফ্যাসিবাদ ও অপরাধের মাত্রার আরও প্রমাণ হাজির করে। এটাই জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।
আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) বলেছে, গাজার সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে হত্যা এবং বুলডোজার দিয়ে লাশ দুটি বালুর নিচে চাপা দেয়ার ঘটনার অবশ্যই জাতিসংঘকে তদন্ত করতে হবে।
ফিলিস্তিন হত্যা বুলডোজার ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলে বসতি স্থাপনকারীরা গাজার সমুদ্র উপকূলে প্লট কিনছে। তারা অবরুদ্ধ উপত্যাকাটিও গ্রাস করতে চাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে ড্যানিয়েলা ওয়েইসিস (৭৮) নামের ইসরাইলি এক নারী জানিয়েছেন, গাজায় বসতি স্থাপন করতে যাওয়া ৫০০ ব্যক্তির তালিকা তার কাছে আছে।
তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজায় একতরফাভাবে বসতি স্থাপনকারীদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। তখন ২১টি বসতি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং বসতির প্রায় ৯ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইসরায়েলের সেনারা। এরপর থেকেই বসতি স্থাপনকারী আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই গাজায় ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করে আসছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন ৩২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহদের সংখ্যাও লাখ ছোঁয়ার পথে। এদিকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অবরুদ্ধ উপত্যাকাটির ২০ লাখের মতো বাসিন্দা।
গাজা সমুদ্র তীর প্লট বুকিং ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের রকফোর্ডের উত্তর ইলিনয়ে ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৭ জন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিচয় জানা না গেলেও পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী তরুণী, ৬৩ বছর বয়সী এক নারী, ৪৯ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং ২২ বছর বয়সী একজন তরুণ রয়েছেন।
রকফোর্ড পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইউএসএটুডে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইলিনয়ে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৭ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি।
পুলিশ বলেছে, যে এলাকার বাসিন্দাদের ওপর হামলা হয়েছে, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ওই এলাকা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরও অর্থনৈতিক তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, এর ওপরই নির্ভর করে সুদের হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এর আগে ইউএস ট্রেজারি বন্ড ইল্ড নিম্নগামী হয়েছে। ফলে বুলিয়ন বাজার আরও চাঙা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে প্রায় ২১৯৫ ডলারে। গত ২২ মার্চ যা ছিল ২১৬৭ ডলার। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্যবান ধাতুটির দাম ঊর্ধ্বগামী হয়েছে ২৮ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০৭৪ টাকা।
বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান টেস্টিলাইভের বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান ইলিয়া স্পিভাক বলেন, সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। তবে বিশ্বব্যাপী এখনও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিদ্যমান। তাতে স্বর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মূল্য বাড়তি রয়েছে।
গত সপ্তাহে ফেড সংকেত দেয়, ২০২৪ সালে তিনবার সুদের হার কমাতে পারে তারা। এরপর থেকেই প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার চাপে পড়েছে। একই সঙ্গে স্বর্ণের বিশ্ববাজারে ঔজ্জ্বলতা বেড়েছে।
বিশ্ববাজার স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্র মুদ্রা ডলার
মন্তব্য করুন
তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।