নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১
যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন শহরে ৩ দিনে ৩ জন বাংলাদেশি খুন হয়েছেন। পরপর ৩ খুনের ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে উদ্বেগ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
প্রথম খুনটি হয় ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে। কথা কাটাকাটির জের ধরে সহকর্মীর ছুরিকাঘাতে স্কটল্যান্ডের বাংলাদেশি মালিকাধীন একটি রেস্টুরেন্টের শেফ নিহত হয়েছেন। নির্মমভাবে নিহত হওয়া বাংলাদেশি ওই শেফের নাম সেলিম। বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামে। পিতার নাম মরহুম সাদই মিয়া। দীর্ঘ ২০ বছর যুক্তরাজ্যে বসবাসের পর মাত্র কয়েকদিন পূর্বে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছিল সেলিম। সহকর্মীর হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়ায় দেশে ফেরা হলো না তার।
সেলিম স্কটল্যান্ডের ইনভারকেটিং হাই স্ট্রিটের বাংলাদেশি মালিকানাধীন গুলসান তান্দুরি রেস্টুরেন্টে শেফের কাজ করতেন। ওই রেস্টুরেন্টের মালিকও তার নিজ এলাকার। রেস্টুরেন্টে স্টাফ সংকট হলে সেলিম প্রায়ই স্টাফ সংগ্রহ করে আনেন। যার ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারালেন তাকে কিছুদিন আগে কাজে এনেছিলেন সেলিম।
স্কটল্যান্ডের পুলিশ জানায়, ১৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪.৩৫ মিনিটের সময় ছুরিকাঘাতের সংবাদটি পায়। মারাত্মক জখম অবস্থায় সেলিমকে পুলিশ এডিনবারার রয়েল ইনফারমারিতে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ওই সহকর্মীকে ছুরিসহ রক্তাক্ত অবস্থায় ইনভারকেটিং স্টেশন থেকে আটক করেছে।
একই রাতে রাজধানী লন্ডনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা নেছার (২৮) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার দাওরাই গ্রামে। তার মৃত্যুতে লন্ডনের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে এই হত্যাকাণ্ড হয় বলে পুলিশ ধারণা করছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাউথ ইস্ট লন্ডনের কিডব্রুক এলাকার ক্যাটর পার্কে একটি কমিউনিটি সেন্টারের পাশে সাবিনার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে তার লাশ শনাক্ত হয় সোমবার বিকালে। তিনি লুইশাম রাশিগ্রিন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। সাবিনার পরিবার বেডফোর্ডশায়ারের স্যান্ডি এলাকায় থাকে। সাবিনা গ্রীন উইচে একটি ফ্ল্যাটে স্কুলের আরো কয়েকজন সহকর্মীর সাথে থাকতেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাথে কথা হয়েছে নিহত সাবিনা নেছার বাবা আব্দুল রউফের সাথে। তিনি মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বাঁকরুদ্ধ! আব্দুর রউফ বলেন, কেনো এই ঘটনা হলো আমাদের কোন ধারণা নেই। ৪ মেয়ের মধ্যে সাবিনা নেছা লুটন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে গ্রীন উইচে রাশিগ্রীন প্রাইমারী স্কুলের ইয়ার ওয়ানের শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি মেয়ের হত্যার বিচার চান। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, তিনি অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী ও একজন ভাল শিক্ষক ছিলেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত খুনি সন্দেহে ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবারে আরেকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর এসেছে। ব্রিটেনের ব্রিস্টলে ২৭ বছরের বাংলাদেশি ছাত্র ফাহাদ হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। ফাহাদ ব্রিস্টলে ব্যারিস্টারি পড়তে আসেন। পঞ্চগড়ের পুর্বাজালাসি এলাকার নাজমুল প্রামানিকের একমাত্র ছেলে ফাহাদ বাংলাদেশে ভূইয়া একাডেমিতে পড়াশুনা করেছেন ।
বিষয়টি নিয়ে বিস্টল পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত রবিবার উড স্ট্রিটে ঘরের মধ্যে থেকে দুইজনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে তাদের পরিচয়ি নিশ্চিত করা না গেলে, পরবর্তিতে জানানো হয় তাদের মধ্যে একজনের নাম ডেনজিল ম্যাকজেনজি। যার বয়স ৫৬ বছর। আর একজনের নাম ফাহাদ হোসেন প্রাইমানিক। প্রাইমানিকের বয়স ২৭ বছর।
এদিকে তদন্তকারী পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় ২১ বছরের লোনাট ভ্যালেন্টাইন ও ৪৫ বছরের জ্যাকব নামের দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃতদের আগামী ১৩ অক্টোবর কোর্টে তোলা হবে। আর ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে ব্রিস্টলের ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফাহাদ বিস্ট্রলে ব্যারিস্টারি পড়লেও থাকতেন লন্ডনে। কিন্তু অজানা কারণে গত রবিবার হত্যা করা হয় ফাহাদকে। ফাহাদের হত্যার বিচার চেয়েছেন বিস্টলের ছাত্র সংগঠনগুলো।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা লেবানন
মন্তব্য করুন
ছায়াপথের বৃহত্তম কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন ফ্রান্সের গবেষকেরা। সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ ভারী এটি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটির নাম গাইয়া বিএইচ৩। মূলত, ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার গাইয়া মিশনের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এটির খোঁজ পাওয়া যায়।
গাইয়ার টেলিস্কোপ মূলত আকাশে কোনো নক্ষত্রের নিখুঁত অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর তথ্য থেকে জ্যোতির্বিদেরা নক্ষত্রের ভর, কক্ষপথ ও তাদের অদৃশ্য সঙ্গীকে খুঁজে বের করতে পারেন। গাইয়া মিশনটি পৃথিবী থেকে ২
হাজার আলোকবর্ষ দূরে আকুইলা গ্রহাণুপুঞ্জে বিএইচ৩ নামের কৃষ্ণগহ্বরটিকে শনাক্ত করেছে।
মন্তব্য করুন
উন্নয়নের নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখল পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা। এবার যুক্ত হলো চালকবিহীন মেট্রোরেল।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে এই চালকবিহীন মেট্রো। এদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ রুটে যাত্রার মধ্য দিয়ে এই পরিষেবার উদ্বোধন করা হয়।
পরিষেবাটি চালু হওয়ার ফলে অটোমেটিক ট্রেন অপারেশনে সময়ের ব্যবধান দুই থেকে তিন মিনিটের মতো কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের মধ্যে মেট্রো পরিষেবার ব্যবধান ২০ মিনিটের বদলে ১৭ মিনিট হবে। অন্যদিকে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পৌঁছাতে ২০ মিনিটের জায়গায় লাগবে ১৮ মিনিট। তবে দিনের প্রথম এবং শেষ মেট্রো পরিষেবার সময়সূচি একই থাকবে বলে জানা গেছে।
অবশ্য নতুন ব্যবস্থায় ট্রেনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম হলেও চালকের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে সেগুলোতে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কলকাতা শহরে মেট্রোরেলের এ পরিষেবাটি একেবারেই নতুন। তাই শুরুর দিকে মেট্রোতে চালকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে মেট্রোতে চালক থাকলেও এটি পরিচালনায় তাদের তেমন কোনো ভূমিকাই থাকছে না।
কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি বলেছেন, কলকাতার যাত্রীদের কাছে এটি একেবারেই নতুন বিষয়। তাই চালকবিহীন মেট্রো রেক নিয়ে যাত্রীদের মনে অনেকটা উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেট্রো রেক চালানো গেলেও শুরুর দিকে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কেবিনে চালক উপস্থিত থাকবেন।
কেবিনে চালকদের ভূমিকার বিষয়ে উদয় কুমার রেড্ডি জানান, বাস্তবিকভাবে সেখানে তাদের কোনও প্রকার ভূমিকাই থাকবে না। যাত্রীরা এই ব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া শুরু করলেই পরবর্তীতে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হতে পারে।
চালকবিহীনে এই মেট্রো পরিচালনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে করে কন্ট্রোল রুম থেকেই মেট্রোর যাবতীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ফলে যাত্রীবোঝাই মেট্রোটি চালকবিহীনভাবেই যাতায়াত করতে পারবে।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের ওপর ইরানের নজিরবিহীন সরাসরি হামলার দুই দিন পর উত্তেজনা বিরাজ করছে তেহরানে। শনিবার রাতে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডস কর্পস-এর ৩শ’ টির বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর পাল্টা আক্রমণের হুঁশিয়ার দিয়েছে তেল আবিব। খবর বিবিসি।
তবে এরইমধ্যে ইরানের হামলার সমর্থন দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের জনগণ। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইরানের প্রশংসাও করছে অনেকে।
এদিকে, ইরানের শহরগুলোর দেয়ালে কিছু গ্রাফিতি দেখা গিয়েছে যেখানে লিখা, “ইসরায়েল, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বাড়িতে আঘাত কর।”
অন্যদিকে, ইরান সরকারের নিজস্ব বিলবোর্ড রয়েছে যাতে লেখা রয়েছে, ” তেল আবিব আমাদের রণক্ষেত্র, তেহরান নয়।”
ঘটনা যেন এখানেই শেষ নয়! আইআরজিসি হামলার পরপরই, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সমর্থকরা উদযাপন করেছে এবং তেহরানের একটি বিল্ডিং থেকে ব্যানার ঝুলানো হয়েছিল যাতে লিখা রয়েছে, “পরবর্তী থাপ্পড় আরও ভয়ানক হবে।”
আইআরজিসি হামলার পরপরই মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইরানি রিয়ালের মূল্য কমে গেছে। ঠিক যেমনটি সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার পর ইতিমধ্যেই হয়েছিল।
মন্তব্য করুন