ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তালেবান শাসনে ফুলে উঠছে আফগানিস্তানের আফিম অর্থনীতি!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

কাবুলিওয়ালার দেশ আফগানিস্তান এক রহস্য ঘেরা দুরূহ প্রাচীর। এখানকার মানুষ কখনই বাহিরের কারো কথা শোনার জন্য প্রস্তুত নয়। তালেবানের আবারো নতুন করে ক্ষমতার শিখরে চলে আসা তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। আর এই তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসার পর যে জিনিসটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা বিষয় তা হল আফগান অর্থনীতি। ২০ বছর ধরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটি তার সামনের দিনগুলো কীভাবে অর্থনীতির চাকা সচল রাখবে সেই প্রশ্ন এখন সবার মাঝে। অতীত ইতিহাস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আফগান অর্থনীতির প্রসঙ্গ সামনে এলে যে জিনিসটি সবার মাঝে সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠে তা হল আফিম বাণিজ্য।

ইসলামে আফিম বা যে কোনও ধরনের মাদক সেবন ‘হারাম’ বা নিষিদ্ধ। সেখানে পরিসংখ্যান বলছে মুসলিম শাসিত আফগানিস্তান হচ্ছে পৃথিবীর সবথেকে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ। জাতিসংঘের এক হিসাব মতে আফিম চাষের থেকে প্রতিবছর ১২০ কোটি ডলার থেকে ২১০ কোটি ডলার পর্যন্ত আয় করে আফগানিস্তান। যা সে দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৬-১১ শতাংশ।

আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে আফিমের অবদান সংখ্যার হিসেবে দশ ভাগের এক ভাগ হলেও এর প্রভাব এইটাই বেশি যে কট্টরপন্থী ইসলামী শাসক দল তালেবানও আফিম চাষে কোন বাঁধা দেয় না। এর পেছনে আরো বড় কারণ হল তালেবানের আয়ের সব থেকে বড় অংশটিও আসে এই আফিম থেকেই। দুই দশক আগে তালেবান শাসন আমলে হু করে বেড়েছে আফিমের ব্যবসা। গত বিশ বছর ধরে মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপক প্রচার ও অভিযানেও যা এক বিন্দু পরিমাণ পরিবর্তন হয় নি বরং তা আরো বেড়েছে কয়েক গুণ।

মার্কিন বাহিনী গত বিশ বছরে আফিম চাষে উৎসাহ হ্রাসে দেশটির আফিম চাষিদের মাঝে কোটি কোটি ডলারের প্রণোদনা প্রদান করেছে। তাদেরকে গম উৎপাদনে উৎসাহিত করে গেছে প্রতিমুহূর্তে। আফিম কালোবাজারিদের উপর আকাশ পথে হামলাও পরিচালনা করে গেছে অনেক। এর পরেও দেশটিতে আফিম চাষে কোন পরিবর্তন হয় নি। আমেরিকার আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ ইনস্পেক্টর জেনারেলের ২০১৮ সালে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটিতে আফিম চাষ বন্ধ করার জন্য ৮৬০ কোটি ডলার খরচ করেছে মার্কিন প্রশাসন। এই এই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অর্থ দিন শেষে শুধু অশ্বডিম্বই উপহার দিয়েছে। আফগানিস্তান এখন সারা বিশ্বের মোট আফিমের ৮০ শতাংশ একাই উৎপাদন করে।

আমেরিকার এই সকল প্রচেষ্টা কতটা করুণভাবে ব্যর্থ হয়েছে তা একটি পরিসংখ্যানে স্পষ্ট হয়ে উঠে। আফগানিস্তানে ২০০১ সালে যেখানে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আফিম চাষ হত সেখানে ২০২০ সালে এসে সে জমির পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার হেক্টর। 

জাতিসংঘ বলছে আফগানিস্তানের যে এলাকাগুলোতে আফিম চাষ হয় তার বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছিলো তালেবান গোষ্ঠীর কাছে। যার ফলে চাঁদাবাজির মাধ্যমে এ থেকে এক বিশাল অংকের মুনাফা অর্জন করতো তালেবান। আফগানিস্তানের কৃষক এবং সাধারণ জনগণ আফিমের উপর এত বেশি পরিমাণ নির্ভরশীল যে গত ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে দেশটিতে আফিমের চাষ বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। এছাড়া দেশটির পাহাড়ি অঞ্চলে এখন আফেড্রা নামক এক গুল্মজাতীয় গাছের চাষ হচ্ছে যেখান থেকে ক্রিস্টাল মেথ নামে এক ধরনের মাদক তৈরি হচ্ছে। আর এর পুরোটাই তালেবানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তালেবানের পক্ষে আফিম চাষ বন্ধ করতে তেমন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি কোনদিন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে আফগানিস্তানের অর্থনীতি আফিমের উপর কতটা নির্ভরশীল। আর বিশেষ করে তালেবানরা যখন মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছিল, তখন তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থের মূল যোগান আসতো এই আফিম থেকেই। তালেবানের মোট আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে মাদক ব্যবসা থেকেই। বিবিসির এক রিপোর্ট বলছে, ২০১১ সালে আফিম চাষ থেকে বছরে ৪০ কোটি ডলার মুনাফা কামাত তালিবান। আর ২০১৮ সালের শেষে সেই মুনাফার ঝুলি বড় হতে হতে পৌঁছেছে ১৫০ কোটি ডলারে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যেসব এলাকা তালিবানের দখলে ছিল, সেই সব এলাকায় আফিম চাষিদের থেকে ১০ শতাংশ করও কাটা হত।

আফিম চাষের সঙ্গে তালেবানের যোগের কথা কোনওদিনই প্রকাশ্যে স্বীকার করে না তালেবান নেতারা। বরং বারবার আফগানিস্তানকে আফিম মুক্ত করার কথাই বলে এসেছে তারা। আর কথায় কথায় ২০০০ সালে আফিম নিষিদ্ধ করার আইনের প্রসঙ্গ টেনে আনে। প্রথম পর্বের তালেবান রাজ শেষ হওয়ার ঠিক আগে আগে ২০০০ সালে আফিম চাষ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

মোল্লা ওমরের আমলে আফিম চাষ নিষিদ্ধ করতে কড়া আইন আনা হয়েছিল। এই আইনের পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিলো আন্তর্জাতিক চাপ। তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা আফিম চাষ বন্ধ করে দিবে এবং যারা পরবর্তীতে আফিম চাষ করবে তাদের বিরুদ্ধে শরিয়া মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আদতে যা ছিলো মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া। তালেবান শাসনের সূচনা লগ্নে যেখানে আফিমের উৎপাদন ছিলো ২ হাজার ২৫০ টন সেখানে তা ১৯৯৯ সালে এসে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫৮০ টনে। এ থেকেই বোঝা যায় আসলে তালেবান কতটা সরল ছিলো তাদের কথার উপর। যদিও ২০০০ সালে তারা নতুন করে আইন প্রণয়ন করে যা আরো কঠোর ছিল। তবে বেশিরভাগ কূটনৈতিকদের বিশ্বাস ছিলো তারা এই আইন প্রণয়ন করেছিলো আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি আদায় করার জন্য।

তবে একটি বড় অংশের মতে, সেই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে আফিমের দাম কমতে শুরু করেছিল। আর তালেবানের মুনাফাও কমে যাচ্ছিল। সেই দাম বাড়াতেই আফিম চাষের উপর কিছুটা লাগাম টানতে চেয়েছিল তালেবান। আফিম মজুত করার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা এবং তারপর চাষের পরিমাণ কমিয়ে নেওয়া — এই দুইয়ের উপর ভর করেই আবার আফিমের দাম বাড়াতে চেয়েছিল মোল্লা ওমরের সরকার।

তালেবানের ডেরা কান্দাহার প্রদেশ আফগানিস্তানের আফিম চাষের সবথেকে বড় কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি। সংবাদসংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কান্দাহারে বছর পঁয়ত্রিশের এক আফিম চাষি মহম্মদ নাদিরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মার্কিন প্রশাসন গম চাষের জন্য অনুদান দিলেও কেন তাঁরা আফিম চাষ চালিয়ে যাচ্ছেন। জবাবে ওই চাষি জানান, গম বা অন্যান্য ফসল চাষ করে তেমন লাভ হয় না। আফিমের চাষ থেকে তার আয় হবে ৩ হাজার ডলার। অথচ ওই জমিতেই গম চাষ করা হলে, আয় খুব বেশি হলে ১ হাজার ডলার। তবে এই আফিম চাষের টাকা তিনি একা ভোগ করতে পারবেন না। তালেবান ও চোরাচালানকারীদের ভাগ দিতে হবে।

দুই দশক পর ফের একবার আফগানিস্তানের তখতে তালেবান। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সাংবাদিক বৈঠক করে দায়িছেন, নতুন সরকার আফিম চাষ শূন্য করে দেবে। আফিম চাষ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলতেই বিশ্ব বাজারে তড়তড়িয়ে বেড়েছে আফিমের দাম। সূত্রের খবর, তালিব সরকার আসার পর থেকে বিশ্ব বাজারে আফিমের কেজি প্রতি দর ৭০ ডলার থেকে বেড়ে ২০০ ডলার পার করে গিয়েছে। আর এই অতিরিক্ত মুনাফা তালিবানের হাতে যে যাচ্ছে না, তা হলফ করে বলা যায় না।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনে পশ্চিমাদের সব এফ-১৬ বিমান ধ্বংস করার হুমকি পুতিনের

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ন্যাটোর কোনো দেশ নিয়ে রাশিয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই এবং তারা পোল্যান্ড, বাল্টিক দেশগুলো বা চেক রিপাবলিকে আক্রমণ করবে না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেইনে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান পাঠালে রুশ বাহিনীগুলো তা গুলি করে ভূপাতিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

বুধবার রাশিয়ার স্থানীয় সময় রাতে দেশটির বিমান বাহিনীর পাইলটদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন প্রকাশিত ভাষণের অনুলিপি থেকে এমনটি জানা গেছে।

পুতিন বলেন, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো পূর্বে রাশিয়ার দিকে সম্প্রসারিত হয়েছে, কিন্তু কোনো ন্যাটো দেশে আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা মস্কোর নেই।

তিনি বলেন, এসব রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের কোনো আক্রমণাত্মক অভিপ্রায় নেই। আমরা আরও কিছু দেশে আক্রমণ করতে পারি- এমন ধারণায় পোল্যান্ড, বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোর বাসিন্দারা ও চেকরাও ভয়ে আছে, কিন্তু এসব সম্পূর্ণ বাজে কথা, অর্থহীন প্রলাপ।

ইউক্রেনকে অস্ত্র, অর্থ ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে বলে অভিযোগ ক্রেমলিনের। তারা বলছে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক সম্ভবত কখনই এতটা খারাপ ছিল না।

পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত এফ-১৬ জঙ্গি বিমান সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে পুতিন বলেন, এসব বিমান ইউক্রেনের পরিস্থিতি পাল্টাতে পারবে না। যদি তারা এফ-১৬ সরবরাহ করে আর তারা এ নিয়ে কথা বলছে, সম্ভবত পাইলটদেরও প্রশিক্ষণ দেবে; এগুলোতে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পাল্টাবে না। আজ যেমন আমরা ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান ও মাল্টিপল রকেট লঞ্চারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করছি তেমনি এসব আকাশযানগুলোও ধ্বংস করবো। এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পারমাণবিক অস্ত্র বহনও করতে পারে।

পুতিন বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের বিমানক্ষেত্র থেকে যদি এগুলোকে ব্যবহার করা হয় তাহলে অবশ্যই তারা আমাদের বৈধ লক্ষ্য হয়ে উঠবে, সেগুলো যেখানেই হোক না কেন।

বুধবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের চালান ইউক্রেনে পৌঁছতে পারে। তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান পুতিন।

ইউক্রেন দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সঙ্গে সর্বাত্মক এক যুদ্ধে লড়াই করছে। দেশটি অনেক দিন ধরেই পশ্চিমা দাতাদের কাছে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান চেয়ে আসছে। বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডস দেশটিকে এফ-১৬ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আর ন্যাটো জোটের অনেকগুলো দেশ ইউক্রেনীয় পাইলটদের এসব যুদ্ধবিমান ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেবে বলে জানিয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে প্রতিবেশী ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। এর ফলে ১৯৬২ সালের কিউবা মিসাইল সংকটের পর থেকে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে সংকট সবচেয়ে গভীর পর্যায়ে রয়েছে।
 

ইউক্রেন   পশ্চিমা   এফ-১৬ বিমান   ভ্লাদিমির পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিরস্ত্র দুই ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা

প্রকাশ: ০৭:৫৫ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা ও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু দিন দিন হামলার ধরন নৃশংসতা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দখলদার বাহিনীর। ইসরায়েলি নৃশংশতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরীহ মানুষ থেকে শুরু করে শিশুরাও। 

কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার হাতে এসেছে এক এক্সক্লুসিভ ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে গুলি করে হত্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেন তারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এই ঘটনা ঘটে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। একপর্যায়ে তাদের একজনকে বারবার একটি সাদা কাপড় নাড়তে দেখা যায়। কোনো হুমকি সৃষ্টি না করা সত্ত্বেও ওই দু'জনকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার এনে লাশ দুটি বালুচাপা দেন তারা।

এদিকে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলছে, এই ঘটনা ইসরায়েলি ফ্যাসিবাদ ও অপরাধের মাত্রার আরও প্রমাণ হাজির করে। এটাই জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।

আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) বলেছে, গাজার সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে হত্যা এবং বুলডোজার দিয়ে লাশ দুটি বালুর নিচে চাপা দেয়ার ঘটনার অবশ্যই জাতিসংঘকে তদন্ত করতে হবে।


ফিলিস্তিন   হত্যা   বুলডোজার   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজার সমুদ্র তীরে প্লট বুকিং দিচ্ছে ইসরায়েলিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৯ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলে বসতি স্থাপনকারীরা গাজার সমুদ্র উপকূলে প্লট কিনছে। তারা অবরুদ্ধ উপত্যাকাটিও গ্রাস করতে চাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে ড্যানিয়েলা ওয়েইসিস (৭৮) নামের ইসরাইলি এক নারী জানিয়েছেন, গাজায় বসতি স্থাপন করতে যাওয়া ৫০০ ব্যক্তির তালিকা তার কাছে আছে।

তিনি জানিয়েছেন, তেল আবিবে বসবাস করা তার অনেক বন্ধুও নাকি গাজার সমুদ্র তীরে প্লট কিনতে আগ্রহী। তার মতে এই উপকূলীয় এলাকা সুন্দর। এর সোনালি বালু মনোমুগ্ধকর। সমুদ্র উপকূলে তাদের প্লট এরইমধ্যে বুক করা হয়ে গেছে। ড্যানিয়েলা ‌‘নাচালা’ নামের একটি উগ্রপন্থি বসতিস্থাপনকারী সংগঠনের প্রধান। দশকের পর দশক ধরে তিনি পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। 

২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজায় একতরফাভাবে বসতি স্থাপনকারীদের সরে যেতে নির্দেশ দেয়। তখন ২১টি বসতি ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং বসতির প্রায় ৯ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইসরায়েলের সেনারা। এরপর থেকেই বসতি স্থাপনকারী আন্দোলনের পক্ষের অনেকেই গাজায় ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন লালন করে আসছে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন ৩২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহদের সংখ্যাও লাখ ছোঁয়ার পথে। এদিকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অবরুদ্ধ উপত্যাকাটির ২০ লাখের মতো বাসিন্দা।


গাজা   সমুদ্র তীর   প্লট   বুকিং   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত, আহত ৭

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের রকফোর্ডের উত্তর ইলিনয়ে ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৭ জন।  এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

নিহতের পরিচয় জানা না গেলেও পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন ১৫ বছর বয়সী তরুণী, ৬৩ বছর বয়সী এক নারী, ৪৯ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং ২২ বছর বয়সী একজন তরুণ রয়েছেন।

রকফোর্ড পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ইউএসএটুডে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর ইলিনয়ে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে ৪ জন নিহত হয়েছেন।  এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৭ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি। 

পুলিশ বলেছে, যে এলাকার বাসিন্দাদের ওপর হামলা হয়েছে, সেখানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ওই এলাকা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র   নিহত   আহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্ববাজারে আবারো বাড়লো স্বর্ণের দাম

প্রকাশ: ০৭:৩৩ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।   

খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরও অর্থনৈতিক তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কারণ, এর ওপরই নির্ভর করে সুদের হার কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। এর আগে ইউএস ট্রেজারি বন্ড ইল্ড নিম্নগামী হয়েছে। ফলে বুলিয়ন বাজার আরও চাঙা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে প্রায় ২১৯৫ ডলারে। গত ২২ মার্চ যা ছিল ২১৬৭ ডলার। সেই হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্যবান ধাতুটির দাম ঊর্ধ্বগামী হয়েছে ২৮ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০৭৪ টাকা।

বিশ্ববিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান টেস্টিলাইভের বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনীতির প্রধান ইলিয়া স্পিভাক বলেন, সুদের হার কমানোর আভাস দিয়েছেন ফেডের নীতি-নির্ধারকরা। তবে বিশ্বব্যাপী এখনও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ রয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিদ্যমান। তাতে স্বর্ণ সমর্থন পাচ্ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির মূল্য বাড়তি রয়েছে।   

গত সপ্তাহে ফেড সংকেত দেয়, ২০২৪ সালে তিনবার সুদের হার কমাতে পারে তারা। এরপর থেকেই প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলার চাপে পড়েছে। একই সঙ্গে স্বর্ণের বিশ্ববাজারে ঔজ্জ্বলতা বেড়েছে।    


বিশ্ববাজার   স্বর্ণ   যুক্তরাষ্ট্র   মুদ্রা   ডলার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন