ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কাশ্মীরে হত্যা: ছড়াচ্ছে জঙ্গিবাদের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরের একটি রেস্তোরাঁয় যাচ্ছিলেন ৪০ বছর বয়সী সিদ্ধার্থ বিন্দ্রু। হঠাৎ বেজে উঠল মুঠোফোন। অপর প্রান্ত থেকে শুনলেন দুঃসংবাদটি। জানলেন ‘বাবা আর নেই’। ওই অঞ্চলের বিখ্যাত এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট হিসেবে পরিচিত সিদ্ধার্থ বিন্দ্রু খবরটি শুনে বড় ধাক্কা খেলেন। জানতে পারলেন কিছু লোক তাদের পারিবারিক ওষুধের দোকানে ঢুকে তার বাবা মাখন লাল বিন্দ্রুকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। তাকে মোট তিনটি গুলি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫ অক্টোবর।

মাখন লাল বিন্দ্রু (৬৮) কাশ্মীরের বিখ্যাত চিকিৎসক রাখেশ্বর নাথ বিন্দ্রুর ছেলে। এই পরিবারটি বিখ্যাত ফার্মেসি চেইন শপ পরিচালনা করে থাকে। কাশ্মীর অঞ্চলে বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বিক্রির জন্য পরিচিত এটি।

কাশ্মীরে স্থানীয়ভাবে ‘পণ্ডিত’ হিসেবে পরিচিত কাশ্মীরি ভাষাভাষী যে ৮০০ হিন্দু পরিবার আছে, বিন্দ্রুরা তাদের মধ্যে অন্যতম। নব্বইয়ের দশকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এ অঞ্চলটিতে যখন সশস্ত্র জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তখন হাজারো হিন্দু ওই এলাকা ছেড়ে ভারতের অন্য শহরগুলোতে চলে যায়। তবে বিন্দ্রুরা সেখানে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই সশস্ত্র বিদ্রোহীরা মূলত ভারতের কাছ থেকে স্বাধীনতা চায়। তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন এখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তাদের বিরুদ্ধে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতার অভিযোগ তোলে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।

মঙ্গলবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-নিয়ন্ত্রিত এই কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সময়ে বেসামরিক মানুষজনকে হত্যার ফলে আবারও ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে এই অঞ্চলের সংখ্যালঘু লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে।

যেদিন মাখন লাল বিন্দ্রু খুন হন ওই দিনই আরও দুজন বেসামরিক ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এর মধ্যে একজন ভারতের বিহার থেকে আসা হিন্দু ফেরিওয়ালা ও একজন মুসলিম ক্যাবচালক। তাদের দুজনকেই অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে। এর আগে গত ২ অক্টোবর একই কায়দায় দুজন কাশ্মীরি মুসলিম নাগরিককে হত্যা করা হয়।

এর দুই দিন বাদেই আবার বন্দুকধারীরা শ্রীনগরের বিচ্ছিন্ন সংগম এলাকার একটি সরকারি স্কুলে হামলা চালিয়ে সেখানকার শিখ প্রধান শিক্ষক ও হিন্দু একজন শিক্ষককে হত্যা করে। কাশ্মীরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে বেছে বেছে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এর ফলে অনেক হিন্দু পরিবার এখন উত্তেজনাপূর্ণ এ অঞ্চল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিকে নব্বইয়ের দশকের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি কর। কিন্তু পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী এই দুই দেশের কাছে কাশ্মীরের অংশ বিশেষ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সব সময় উত্তেজনাপূর্ণ। কিন্তু ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিল্লি তুলে নিলে সম্পর্ক আরও খারাপ হয়।

এই পদক্ষেপের পরে কয়েক মাস ধরে কাশ্মীরে সড়ক অবরোধ এবং প্রশাসনিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। স্থানীয়দের ভাষায়, ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে দিল্লি এই পরিবর্তন এনেছিল।

গত সপ্তাহে নিহত স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুপিন্দার কাউরের স্বামী রামেশপাল সিং বলেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর দুই দিন পর্যন্ত তিনি কোনো কথা বলতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘স্ত্রীকে মৃত দেখেছি। আমার কাছে আর সবকিছুর কোনো অর্থ নেই।’

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বন্দুকধারী হামলাকারী স্কুলে ঢুকে সবাইকে একসঙ্গে জড়ো করে পরিচয় জানতে চান। পরে প্রধান শিক্ষক ও আরেক শিক্ষককে আলাদা করে গুলি করা হয়।

সুপিন্দারের প্রতিবেশী মাজিদ বলেন, ‘তিনি ছিলেন বোনের মতো। তিনি এতটাই উদার ছিলেন যে, এক মুসলিম এতিম মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন। তার বেতনের কিছু অংশ মেয়েটির ভরণপোষণের জন্য ব্যয় করতেন।’

গত দুই দশকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যাকাণ্ডের তালিকায় মাখন লাল ও সুপিন্দারের নামও নতুন করে যুক্ত হলো। এর আগে গত বছরের মার্চ মাসে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা অনন্তনাগ জেলায় ৩৫ জন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। তারা সবাই ছিলেন শিখ। ২০০৩ সালে পুলওয়ামা জেলার নন্দীমার্গে ২০ জনের বেশি কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

সম্প্রতি এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে সাতজনের বেশি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকারের ৭০ জনের বেশি মন্ত্রী কাশ্মীর সফর করছেন। এসব মন্ত্রীকে ভারতীয় সংবিধান থেকে ‘৩৭০ অনুচ্ছেদ’ বাতিল করার সুবিধা তুলে ধরতে পাঠানো হয়েছিল।

৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে, কাশ্মীরের নিজস্ব সংবিধান থাকবে। এ ছাড়া সামরিক, যোগাযোগ ও পররাষ্ট্রনীতি ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমোদন লাগবে। এর অর্থ হলো, আলাদা আইনকানুন দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের নাগরিকত্ব, সম্পদের মালিকানা, মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করা হচ্ছিল এত দিন। এ কারণেই অন্য রাজ্যের অধিবাসীরা সেখানে জমি কিংবা সম্পদ কিনতে পারতেন না। এ ছাড়া ভারতের সংবিধানের যে ভাগে ৩৭০ অনুচ্ছেদ যুক্ত, সেই ভাগে ‘অস্থায়ী, অন্তর্বর্তী এবং বিশেষ বিধানের’ বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিশেষ বিধানের জন্যই বিশেষ মর্যাদা পেয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর।

স্থানীয় রাজনীতিবিদরা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থেকে অনেক দূরে। কেউ কেউ একে নব্বইয়ের দশকের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করছেন। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এ হত্যাকাণ্ডগুলোকে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতির মিথ্যা দাবির বিরুদ্ধে ‘জোর আওয়াজ’ বলে মন্তব্য করেছেন।

কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান বিজয় কুমার বলেছেন, এ বছর কাশ্মীরে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হাতে অন্তত ২৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন স্থানীয় হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের এবং দুজন পৃথক রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক।

নিহতদের অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের হলেও চলতি সপ্তাহে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যায় ধর্মীয় উত্তেজনার আশঙ্কা ছড়িয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক দিলবাগ সিং বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার একটা চেষ্টা।

পুলিশ বলছে, আক্রমণকারীদের ধরতে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। সূত্র বলছে, জামিনে বাইরে থাকা শত শত সাবেক সশস্ত্র বিদ্রোহী এবং বিক্ষোভকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। তবে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা বলছেন, তারা ভয় পাচ্ছেন। অনেকেই এলাকা ছাড়ার চিন্তাভাবনা করছেন।

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একটি সংগঠনের প্রধান সঞ্জয় টিকো (৫৩) বলেন, ‘বেশ কিছু পরিবার সম্প্রতি কাশ্মীর ছেড়েছে এবং অনেকেই ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। আমি আতঙ্কে থাকা পণ্ডিত পরিবার থেকে ফোনকল পাচ্ছি। কর্তৃপক্ষ আমাকে শ্রীনগরের বাড়ি থেকে সরিয়ে হোটেলে রেখেছে। এ ধরনের ভয়ার্ত পরিবেশে আমরা কীভাবে বাস করব?’

শ্রীনগরে বিন্দ্রুদের বাড়িগুলোতে এখন ব্যাপক নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করে এ ধরনের একটি বাড়ির একজন বাসিন্দা বলেন, ‘অনেক পরিবার চলে গেছে। আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। কোনো ঘটনা ঘটলে সরকারি কর্মকর্তারা এখানে এসে আমাদের সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু তারা কীভাবে সব স্কুল ও অফিসে নিরাপত্তা দেবে?

ভয় আর আতঙ্ক শুধু কাশ্মীরি এ পণ্ডিতদেরই গ্রাস করেনি, বরং তা পুরো উপত্যকাজুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে।

১৯৯১ সালে ‘ক্রসফায়ারে’ স্বজন হারানো ছুতার মিস্ত্রি মুহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘নব্বইয়ে দশকে পণ্ডিতদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ছিল হৃদয়বিদারক। আবার সে রকম ঘটনা দেখা যাচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরো ভেঙে পড়েছিল আমি সেই দিনগুলো স্মরণ করতে ভয় পাই। এমনটা যেন আর না হয়।’

কিন্তু সব কাশ্মীরি পণ্ডিত এলাকা ছাড়তে চান না। বিন্দ্রুরা বলছেন, তারা ফিরে যাবেন। মাখন লাল বিন্দ্রুর মেয়ে শ্রদ্ধা বিন্দ্রু বলেন, ‘আমরা কাশ্মীরের বাসিন্দা, আমরা কাশ্মীরি, মাখন লালের রক্ত আমাদের শরীরে।’

শ্রদ্ধা বলেন, তার বাবার মৃত্যুর পর যেসব মানুষ তাঁদের বাড়িতে গেছেন তার ৯০ শতাংশের বেশি মুসলমান। তার ভাষ্য, ‘আমার মনে হয় না, এ জায়গা ছাড়ার কোনো কারণ আমাদের আছে। আমাদের লোকজন আমাদের চারপাশে আছেন।’



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ শুক্রবার

প্রকাশ: ০৯:১৭ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত ধাপে। চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। ভোট পর্ব শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা।

এর আগে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে এ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

দ্বিতীয় দফায় দেশটির ১৩ রাজ্যের ৮৯টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং জম্মু-কাশ্মীরে আগামীকাল ভোটগ্রহণ হবে।

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির নির্বাচন কমিশনের মতে, প্রথম দফা নির্বাচনে সব রাজ্যে গড়ে প্রায় ৬০-৬৫ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে। 

১৯ এপ্রিল ভোট ছিল ১৭ রাজ্য ও ৪ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ১০২ আসনে। প্রথম ধাপে ভারতে ভোট পড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। ব্যতিক্রম বাংলা। প্রথম ধাপে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই তিন কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৭ শতাংশ। ১৯ এপ্রিল জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন।


লোকসভা   নির্বাচন   ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের জন্য বড় সুসংবাদ

প্রকাশ: ০৯:০৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যেসব মুসল্লি ওমরাহ পালন করতে চান তাদের বড় সুখবর দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটি জানিয়েছে, এখন থেকে যে কোনো ভিসা নিয়ে সৌদিতে আসলেই ওমরাহ করা যাবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র ওমরাহ ভিসার প্রয়োজন হবে না। 

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, যেকোনো দেশ থেকে এবং যেকোনো ভিসায় আগতরা (সৌদি আরবে) এখন থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে ওমরাহ পালন করতে পারবেন।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্রানজিট, শ্রম এবং ই-ভিসাসহ সব ভিসায় সৌদিতে প্রবেশ করে ইচ্ছা করলেই ওমরাহ করতে পারবেন। তারা বলছে, "আপনার ভিসার ধরন যাই হোক না কেন, আপনি ওমরাহ করতে পারবেন। 

এদিকে, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের ইবাদত সহজ করতে ‘ডিজিটাল ব্যাগ’ চালু করেছে সৌদি সরকার। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ব্যাগ প্রোগ্রাম হজ ও ওমরাহযাত্রীদের হজ ও ওমরাহ পালন সহজ করবে। আর এর মাধ্যমে মুসল্লিদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।


ওমরাহ   সৌদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ২০ জনকে জীবিত কবর দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল  এবং গাজা সিটির আল শিফা হাসপাতালের পাশে গণকবরের সন্ধান মিলেছে। গণকবর থেকে এখন একের পর এক মরদেহ বের করা হচ্ছে। যেগুলোর বেশিরভাগই বিকৃত হয়ে গেছে। 

ফিলিস্তিন সিভিল ডিফেন্সের সদস্য মোহাম্মদ মুঘাইয়ের জানিয়েছেন, এসব গণকবরে পাওয়া মরদেহের অন্তত ২০ জনকে জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়ার আলামত পেয়েছেন তারা।  

তিনি বলেছেন, ১০টি মরদেহের হাত বাধা ছিল। অন্যদের শরীরে মেডিকেল টিউব সংযুক্ত ছিল। বিষয়টি নির্দেশ করছে তাদের খুব সম্ভবত জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়া হয়েছে। 

খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের গণকবর থেকে শিশুদের মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। মোহাম্মদ মুঘাইয়ের শিশুদের বিকৃত মরদেহের ছবি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, গণকবরে শিশুরা কেন ? এসব প্রমাণ নির্দেশ করছে ইসরায়েলি সেনারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে।

দুই সপ্তাহ আগে খান ইউনিস থেকে সরে যায় দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরপর সেখানে ফিরে যান সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। তারা গিয়ে দেখতে পান খান ইউনিসকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে দখলদাররা। তাদের বর্বরতা থেকে বাদ যায়নি হাসপাতালও। সাধারণ মানুষকে হত্যা করে হাসপাতালের পাশেই পুঁতে রেখেছে তারা।


গাজা   কবর   ইসরায়েল   মরদেহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজে হামলার দাবি হুতির

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এডেন উপসাগর ও ভারত মহাসাগরে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। 

পার্স টুডে বলছে, বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে হুতির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি হামলার তথ্য জানিয়ে বলেন, এডেন উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ মেয়ারস্ক ইয়র্কটাউন ও একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়া হয়েছে। এছাড়া ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলি জাহাজ এমএসসি ভেরাক্রুজে হামলা করা হয়েছে। এ দুটি অপারেশনই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানান জেনারেল সারি। 

এদিকে আরব নিউজ জানিয়েছে, সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান আমব্রে বলছে, এডেন বন্দরের দক্ষিণ পশ্চিমে হামলা হয়েছে। আর মার্কিন কর্তৃপক্ষ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ইয়েমেনের উপকূলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট হুতিদের চারটি ড্রোন এবং একটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো আঘাত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।


ইসরায়েল   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে আমরা লজ্জা পাই: শাহবাজ শরিফ

প্রকাশ: ০৭:০৯ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শিল্প প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অসাধারণ অগ্রগতির কারণে বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমরা লজ্জা পাই বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি অধিবেশন চলার সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি এ কথা বলেন।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন বেশ ছোট ছিলাম তখন আমাদের বলা হতো এটি (বাংলাদেশ) আমাদের কাঁধের বোঝা। আজ আপনারা সবাই জানেন সেই বোঝা কোথায় পৌঁছে গেছে। এ সময় শাহবাজ আরও বলেন, ‘আমরা যখন তাদের (বাংলাদেশ) দিকে তাকাই তখন আমরা লজ্জাবোধ করি।’

এদিন পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানী করাচির সিন্ধু সিএম হাউসে অর্থনীতির উন্নতির উপায় খুঁজতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ। ব্যবসায়ী নেতারা এ সময় অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলায় শাহবাজের সংকল্পের প্রশংসা করলেও, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের ফলে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

দেশের অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে মনোনিবেশ করারও পরামর্শ দেন করাচির ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। তারা প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করারও অনুরোধ জানান।


শাহবাজ শরিফ   পাকিস্তান   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন