ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে যেভাবে নিয়োগ পান আইএসআইপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৫৫ এএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার তালিকা করলে সেরা ৫-এর একটি অবশ্যম্ভাবী নাম আসবে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার–সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সর (আইএসআই)। সংস্থাটির কার্যক্রম নিয়ে সারা বিশ্বের মাঝে প্রশ্ন থাকলে সবাই এক সুরে স্বীকার করে নিতে বাধ্য আইএসআইয়ের সমকক্ষ বিশ্বে খুব কম আছে। সেই ক্ষমতাশালী গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান নিয়োগ নিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন শুরু হয়েছে বিতর্ক।

প্রতিবার আইএসআই প্রধান নিয়োগ নিয়ে দেশটিতে তর্ক-বিতর্ক হলেও এবারের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন রূপে মোড় নিয়েছে। গোয়েন্দা প্রধানের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দেশটির বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সামরিক শাখা আইএসপিআর ঘোষণা দেয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদকে নতুন আইএসআই প্রধান করা হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং থেকে তাঁকে ডিজি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নামও ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে নিয়োগ দেওয়ার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বার্তা আসেনি। এ নিয়ে নানা বিতর্ক হয় ও হচ্ছে। তার মধ্যে এ ইস্যুতে প্রথমবার পাকিস্তান সরকারের একজন মন্ত্রী বক্তব্য দেন। এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।

তবে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএসআই প্রধান নিয়োগের পদ্ধতি সংবিধান বা সামরিক আইনে উল্লেখ করা হয়নি। অতীতের সব নিয়োগ ঐতিহ্য অনুসারে করা হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় সেনাপ্রধান প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনটি নাম প্রস্তাব করেন। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।

২০ বছর পর গত আগস্টে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। এরপর আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন নিয়ে তালেবান যখন জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, সে সময় আকস্মিক কাবুলে গিয়েছিলেন আইএসআইয়ের প্রধান ফাইজ হামিদ। সেখানে তিনি বলেন, সব সমস্যার সমাধান করা হবে। তাঁর ওই সফরের কয়েক দিনের মধ্যে তুলনামূলক রক্ষণশীল নেতাদের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। এরপর ফাইজ হামিদের বদলে নাদিম আহমেদকে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মহাপরিচালক পদে আনার কথা জানানো হয়।

বিতর্কের মধ্যেও জেনে নেওয়া যাক আসলে কোন প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের গুরুকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ডনের সাংবাদিক উরুহ ইমরান ও সানা চৌধুরী সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন।

সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, তিনি চান বর্তমান প্রধান লে. জেনারেল ফাইজ হামিদ আরও কিছুদিন দায়িত্ব চালিয়ে যান। আর তাঁর এ চাওয়ার কারণ হলো আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি।

এ সবকিছুর মধ্যে বর্তমানে কিছু প্রশ্ন সামনে এসেছে। কীভাবে আসলে আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়। আসলে কে আইএসআই মহাপরিচালক নিয়োগ দেন, মহাপরিচালক কার কাছে রিপোর্ট করবেন, আইএসআইয়ের প্রধান কি বেসামরিক কেউ হতে পারবেন?

আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের প্রক্রিয়া কী?

বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত, অতীতের নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার নথি ঘেঁটে বিশ্লেষকেরা বলেন, আসলে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান নিয়োগে শতসিদ্ধ কোনো নিয়ম বা প্রক্রিয়ার কথা তাঁরা চেষ্টা করেও জানতে পারেননি। অন্তত কোনো প্রকাশ্য লিখিত ডকুমেন্টও তাঁরা পাননি।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে নতুন আইএসআই মহাপরিচালক পদের প্রার্থীদের নাম এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া সম্প্রতি বৈঠক করেন। এ বৈঠকের বিবরণ প্রকাশের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জাতীয় পরিষদের চিফ হুইপ আমির ডোগারকে তিরস্কার করেছেন। তিনি দল থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশও পেয়েছেন।

ডনের আবাসিক সম্পাদক ফাদ হুসেন বলেন, আমির ডোগার আসলে প্রক্রিয়াটি আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার তিনি বলেন, আমির ডোগার ব্যাখ্যা করেন, তিনটি নাম প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হাতে আছে। এখান থেকে তিনি সম্ভাব্য যোগ্য একজনকেই বেছে নেবেন। আইএসআই নানা কাজে প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে আর তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের নামটি আসে।

ডনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাঈদ বাকিরও বলেন, আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের কোনো সাধারণ প্রক্রিয়া নেই। সেনাপ্রধান এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে কথা বলেন। সম্ভাব্য যোগ্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেরাদের নামগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যখন সেরা দুজনের মধ্য একজনকে বেছে নিতে হয়, তখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠান আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের ব্যাপারে।

সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহিদ হুসেইন ডনকে বলেন, আইএসআইয়ে কোনো কর্মকর্তার বদলি বা পদায়নের ক্ষমতা সেনাপ্রধানের হাতে থাকলেও সাধারণ চর্চা হচ্ছে যে গোয়েন্দাদের প্রধান প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। কারণ, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করেন। আইএসআইয়ের প্রধান কে হবেন, তা হয়তো প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন। তবে সেনাপ্রধান আবার আইএসআইয়ের প্রধানসহ যে কারও বদলি ও পদায়ন করে থাকেন। তিনি জানান, ফাইজ হামিদের বদলির সিদ্ধান্ত সেই নিয়ম মেনে হয়েছে। তাই ইমরান খানের ইচ্ছায় আইএসআইয়ে প্রধান হিসেবে ফাইজ হামিদের থাকার আর কোনো অধিকার নেই।

আইএসআইয়ের মহাপরিচালক কি বেসামরিক কেউ হতে পারেন?

বিশ্লেষকদের মতে, আইএসআই প্রধানের পদে একজন বেসামরিক লোক নিয়োগে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বা কোনো বিধিনিষেধ নেই। গোয়েন্দা সংস্থায় কতজন সামরিক এবং কতজন বেসামরিক লোক থাকবে, নিয়োগ বা পদায়ন করা হবে তারও কোনো শতসিদ্ধ নিয়ম নেই।

জাহিদ হুসেইন জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো অবসরে যাওয়া জেনারেল শামসুর রহমানকে আইএসআইয়ের প্রধান করেছিলেন। তিনি বেশি দিন সামরিক বাহিনীতে ছিলেন। শামসুর রহমান নিয়োগের সময় বেসামরিক ব্যক্তিই ছিলেন।

সাঈদ বাকির জানান, বেসামরিক ব্যক্তির গোয়েন্দাদের প্রধান হওয়ার পথে কোনো বাধা নেই।

আইএসআই আসলে কার অধীন

অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল শাহজাদ চৌধুরী সম্প্রতি এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বলেন, আইএসআই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানতে বাধ্য। কিন্তু সেখানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা সেনাপ্রধানের নির্দেশনা মানেন। এর অর্থ দাঁড়াল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইএসআই প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করে। আবার এটাও ঠিক যে প্রধানমন্ত্রীর সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির ওপরও মহাপরিচালকের পদে বেশি দিন থাকা না থাকা নির্ভর করে।

গুপ্তচরদের প্রধান নিয়োগে আইনি প্রক্রিয়াটি আসলে কী

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দাদের নতুন প্রধান নিয়োগের জন্য আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতামত থেকে এটা স্পষ্ট যে আসলে এ ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই।

এর আগে মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নতুন আইএসআই প্রধানকে নিয়োগ দিতে চান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগ করা হবে। আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। আমরা এ উপসংহারে আসতে পারি যে আইনি প্রক্রিয়াটি এখন অনুসরণ করা হবে’। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আগে কি আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি?

সাঈদ বাকির যোগ করেন, এ নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত কথা বলতে হবে না। তবে, আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের জন্য তাঁর সম্মতি প্রয়োজন। আইএসআই প্রধান নিয়োগ পদ্ধতির জন্য লিখিত কোনো আইন আছে বলে তিনি জানেন না। তিনি এমন কিছু দেখেননি।

আইএসআইয়ের প্রধান কীভাবে নিয়োগ হয়, এটা নিয়ে বিতর্ক প্রথমবার হচ্ছে, ব্যাপারটি এমন নয়। সুনির্দিষ্ট নিয়মের অভাবে সশস্ত্র বাহিনীর পেস্টিং এবং নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে অস্পষ্টতা আছে।

২০১৯ সালের আগস্টে জেনারেল বাজওয়াকে সেনাপ্রধান হিসেবে মেয়াদ শেষের তিন মাস আগেই তাঁর মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রায় এক দশকে দ্বিতীয়বারের মতো দেশের শীর্ষ জেনারেলের মেয়াদ এভাবে বাড়ানো হয়েছিল। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালত সাময়িকভাবে জেনারেল বাজওয়াকে সেনাপ্রধান পদে থাকার অনুমতি দিয়েছিল। তখন আদালত পার্লামেন্টে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছিল।

এরপর পাকিস্তানের পার্লামেন্ট তিনটি বিল পাস করেছে। সেই বিলে অনেক দিনের দীর্ঘ এবং বিতর্কিত নানা সমস্যার অবসান হয়। এ তিন বিলের ফলে প্রধানমন্ত্রীর সেনাপ্রধান, জয়েন্ট স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যানসহ কয়েক পদে নিয়োগ এবং মেয়াদ বাড়ানোর পথ পরিষ্কার হয়ে যায়।

তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান মিলে আইএসআইয়ের প্রধান নিয়োগের আলোচনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেছেন। নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তথ্যমন্ত্রীর মতে, বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্ব আবারও প্রমাণ করেছে যে দেশের স্থিতিশীলতা, অখণ্ডতা এবং অগ্রগতির জন্য সব ঐক্যবদ্ধ।

তবে নানা বিতর্ক, আলোচনা ও সমালোচনার পরে রাজনৈতিক মহলে যাঁরা আছেন, তাঁরা এখন আইএসআইয়ের নতুন মহাপরিচালক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় আছেন।

 

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিবিড় পর্যবেক্ষণ

প্রকাশ: ০৩:৪০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ ভারতের বিভিন্ন ইস্যু যুক্তরাষ্ট্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।  

নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করার অভিযোগ সম্পর্কেও অবহিত যুক্তরাষ্ট্র। 

সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিককে তলব করেছে ভারত। এর প্রেক্ষিতে আপনার প্রতিক্রিয়া কী এবং বিরোধী দলের ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করাসহ ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখেন? অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সেখানকার পরিস্থিতিকে 'জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন একটি সঙ্কটজনক পয়েন্টে এসে পৌঁছেছে' বলে অভিহিত করেছে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলছি- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারসহ এসব বিষয়ে আমরা অব্যাহতভাবে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কংগ্রেস পার্টির কিছু ব্যাংক একাউন্ট আয়কর বিষয়ক কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে বলে অভিযোগের বিষয়েও আমরা অবহিত। এটা করার ফলে আসন্ন নির্বাচনে কার্যকর প্রচারণা চালানো তাদের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। এর প্রতিটি ইস্যুতে সময়মতো অবাধ, স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি আমরা। আর প্রথম প্রশ্নের জবাবে বলতে হয়, কূটনৈতিক কোনও প্রাইভেট আলোচনা নিয়ে আমি কথা বলব না। তবে অবশ্যই প্রকাশ্যে আমি যেটা বলব তা হল, আমরা সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং সময়মতো আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি। আশা করি এতে কারও কোনও আপত্তি থাকা উচিত নয়। একই বিষয় আমরা প্রাইভেটলিও ক্লিয়ার করব।


ভারত   ইস্যু   যুক্তরাষ্ট্র   ম্যাথিউ মিলার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অর্থ নেই ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০২:১০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

নিজের পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি তাকে অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা তামিলনাড়ু থেকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে, এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।  

বুধবার(২৭, মার্চ) এক সম্মেলনে ভারতীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সপ্তাহ বা ১০ দিন ভাবার পর তিনি ফিরে গিয়ে জানান 'খুব সম্ভবত না'। নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তার নেই।    এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ নাকি তামিলনাড়ু; এটি নিয়েও তার সমস্যা আছে। নির্বাচনে জয় পাওয়ার যে কয়েকটি নির্ণায়ক রয়েছে, সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে...আপনি কি এই গোত্রের অথবা এই ধর্মের? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, না, তিনি মনে করেন না তিনি এটা করতে পারবেন।  

এছাড়াও, নির্মলা বলেন, 'তিনি খুবই খুশি, কারণ, বিজেপি তার যুক্তিটি গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ, তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।'

সম্মেলনে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় অর্থমন্ত্রীর কেন নির্বাচন করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। জবাবে তিনি জানান, ভারতের অর্থসম্পদ তার নয়। তিনি বলেন, আমার বেতন, আমার আয় এবং আমার সঞ্চয় আমার এবং এগুলো ভারতের সম্পদ নয়।

নির্মলা সীতারামণ ভারতের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য। মূলত এমএলএ-রা রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচন করে থাকেন। এ বছর রাজ্যসভার বেশ কয়েকজন সদস্যকে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে, যা সাত ধাপে ২ জুন পর্যন্ত চলবে। নিজে নির্বাচন না করলেও বিজেপির অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেবেন নির্মলা।


নির্বাচন   লোকসভা নির্বাচন   রাজ্যসভা   ভারত   অর্থমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘গাজায় দেখা দিচ্ছে দুর্ভিক্ষ’

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

অনাহার ও অসুস্থতা গাজার অধিবাসীদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাৎক্ষণিক ও সমন্বিত পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুস বলেছেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিচ্ছে। ’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই দুর্ভিক্ষ এড়াতে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ তরান্বিত করাসহ গাজায় স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান ব্যবস্থাকে রক্ষার আবেদন জানিয়েছেন।

গাজা উপত্যকার উত্তর অংশে গাজা সিটি এবং শাতি ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজা শহরের আল শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের আশপাশের এলাকাগুলোতে কামানের গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।   

অন্যদিকে, কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার হাতে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরে দুজন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে এবং পরে তাদের মরদেহ বুলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দেয়। উপকূল ধরে হেঁটে যাবার সময় একজন ফিলিস্তিনিকে সাদা কাপড় নাড়তেও দেখা যায় ভিডিওটিতে।

গাজায় আকাশ থেকে ফেলা সাহায্য সামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া সাগর থেকে আরও ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। ৮ অক্টোবরের পর হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষে এটিই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির সংখ্যা।   

অন্যদিকে, গাজায় দক্ষিণাঞ্চরের রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েল মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে নতুন সূচি নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনা বাতিল করে দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে এই নতুন প্রস্তাবটি পাওয়া গেল।

গতকাল বুধবার রাতে চতুর্থ দিনের মতো গাজায় ইসরায়েলের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের প্রতিবাদে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে শত শত বিক্ষোভকারী অবস্থান বজায় রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় গাজার অধিবাসীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ায়। বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদের অংশ হিসেবে জর্ডানকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি বাতিলেরও আহ্বান জানায়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা   ডব্লিউএইচও   গাজা   দুর্ভিক্ষ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে সেতু ধস: ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসে নিখোঁজ ছয় জনের মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার ( ২৭ মার্চ) তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ ফুয়েন্তেস (৩৫) এবং ডোরিয়ান রনিয়াল ক্যাস্টিলো ক্যাব্রেরা (২৬)। এই দুই ব্যক্তিই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সেতুটি ধসে পড়ার সময় তারা একটি ট্রাকের মধ্যে ছিলেন।  মেরিল্যান্ড পুলিশের পক্ষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, কিছু যানবাহন সেতুর ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে আছে। এগুলো সরানো হলে ডুবুরিরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে আবারও অভিযান শুরু করবে।   

এদিকে আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে সেতু ধসের ঘটনায় ধাক্কা খাওয়া পণ্যবাহী জাহাজ থেকে ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের আশা, কী কারণে জাহাজটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে, তার কারণ জানা যাবে রেকর্ডার থেকে।

মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থার প্রাথমিক ধারণা, বাল্টিমোরের হারবার ছেড়ে যাওয়ার সময় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হলো সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ ডালি সেতুতে ধাক্কা দেওয়ার আগে সেটির বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। এমনকি ইঞ্জিনেও কোনো শক্তি ছিল না।

সমস্যা সমাধানে বারবার অ্যালার্ম বাজানো হয়। ক্রুরা মরিয়া হয়ে জাহাজটিতে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। যদিও ডালির একটি জরুরি জেনারেটর ছিল। কিন্তু ইঞ্জিনগুলোর শক্তি ফিরিয়ে আনতে পারেনি সেই জেনারেটর।

গত মঙ্গলবার ( ২৬ মার্চ) রাতে আমেরিকার অন্যতম বন্দর বাল্টিমোর থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে যাওয়ার সময় সেতুটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে সিঙ্গাপুরের পণ্যবাহী জাহাজ ডালির। এতে সেতুটির একাংশ ধসে পড়ে। পরের দিন দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।


যুক্তরাষ্ট্র   বাল্টিমোর   সেতু   ধস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ সফরে আসছেন কাতারের আমির

প্রকাশ: ১০:৩০ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসবেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূ্ত্রে জানা যায়, আমিরের সফরের প্রস্তুতি নিয়ে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র জানায়, এই সফরে জ্বালানি নিরাপত্তা, শ্রমবাজার, বৈদেশিক বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে গতবছর দোহায় কাতার এনার্জির সদরদপ্তরে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) এবং কাতার এনার্জির এলএনজি ট্রেডিং শাখার মধ্যে কাতার থেকে বছরে ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটি) করে ১৫ বছর পর্যন্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই হয়।

চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতি বছর অতিরিক্ত ১ দশমিক ৮ এমএমটি এলএনজি পাবে, যা ২০২৬ সালে শুরু হবে।

বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদার বড় অংশই পূরণ করছে কাতার৷ আমিরের বাংলাদেশ সফরের ফলে এলএনজি আমদানির দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

জীবীকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বসবাস করছেন প্রায় চার লাখ বাংলাদেশী। আমিরের সফরের খবরে প্রাবসীদের মধ্যেও এক ধরনের স্বস্তি কাজ করছে। প্রবাসীরা মনে করছেন এই সফরের মাধ্যমে দেশটিতে নতুন করে বাংলাদেশী শ্রমবাজারের সম্ভাবনা আরও বাড়বে।

এই বিষয়ে কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা হয় কালবেলার। তারা বলেন, আমির যেহেতু বাংলাদেশে যাবেন সেখানে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, কথা হবে। আমরা চাই আমাদের যেসব চাহিদা রয়েছে, দৈনন্দিন সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলেচনা হোক।


কাতার   আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি   বাংলাদেশ   সফর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন