নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২১
ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর এ রকম একটি আগ্রাসনের ঘটনায় ফিলিস্তিনি একটি পরিবার কীভাবে নিজেদের রক্ষা করছে, সে রকম একটা ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি খুব সংক্ষিপ্ত, কিন্তু পুরো একটি ঘটনা পরিপূর্ণভাবে বোঝার জন্য যথেষ্ট। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ইসরায়েলি সৈন্যরা যে নিষ্ঠুরতার প্রদর্শন করছে, সেটা অভূতপূর্ব। এটা ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর চালানো ইসরায়েলি বাহিনীর অত্যাচারের একটি নমুনা। ভারী অস্ত্রে সজ্জিত একদল ইসরায়েলি সৈন্য ফিলিস্তিনি একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। হাতে মোবাইল ধরা একজন ফিলিস্তিনি নারী বলছেন, তিনি ইসরায়েলভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থায় কাজ করেন। তার পরিচয় পাওয়ার পরও ইসরায়েলি সৈন্যরা সেখান থেকে ফিরে আসেনি।
একজন সৈন্য সব শিশুকে এক জায়গায় জড়ো হওয়ার আদেশ দিচ্ছিল। শিশুরা টি-শার্ট পরা ছিল, তাদের চোখেমুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। শিশুদের অনেককেই ঘুম থেকে টেনে তোলা হয়েছিল। একটি মেয়ে হাত দিয়ে মুখ লুকাচ্ছিল। অন্য আরেকটি মেয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল। আরেকজন বুকের সঙ্গে হাত আড়াআড়ি রেখে নীরবে দাঁড়িয়ে ছিল। ছোট বাচ্চাসহ মোট ১৬ জন শিশু সেখানে ছিল। আগ্রাসনকারীরা ক্যামেরা এমনভাবে ধরে ছিল যেন শিশুরা কোনো খোঁয়াড়ের ভেড়ার পাল।
আগ্রাসনকারীদের দাবি, পাথর ছোড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই বাড়িতে তাদের অভিযান। কিন্তু এই অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন থেকেই এটা স্পষ্ট যে ইসরায়েলের সৈন্যরা আইনবহির্ভূতভাবে এ ধরনের অভিযান চালায়। তাদের কাছে তল্লাশির কোনো বৈধ অনুমতি থাকে না। এ অভিযানের পেছনে স্পষ্ট একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনি শিশুদের মনে আরও ভয় ও অনিশ্চয়তা বোধ তৈরি করে দেওয়া।
বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে এই আগ্রাসনের ঘটনা ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা, উদ্বিগ্নতা ও ভীতির বোধ জন্ম নিচ্ছে। ঘর যেখানে তাদের নিশ্চয়তা আর আনন্দের উৎস হওয়ার কথা, তার বদলে ভীতি তাদের তাড়া করে ফিরছে। এর ফলাফল হচ্ছে, শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে আগ্রহ হারাচ্ছে, তারা চুপচাপ, বিষণ্ন কিংবা খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বে শিশুরা যেখানে গড়ে ৬ দশমিক ৮ থেকে ১২ দশমিক ২ শতাংশ পিটিএসডিতে (পোস্ট ট্রমাটিক ডিজঅর্ডার) ভুগছে, সেখানে ফিলিস্তিনি শিশুদের মধ্যে এ হার ৩৪ দশমিক ১ থেকে ৫০ দশমিক ৪ শতাংশ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এপ্রিল মাসের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘পিঙ্ক মুন’ বা ‘গোলাপি চাঁদ’ নামে ডাকা হয়। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতের আকাশে এই চাঁদের দেখা মিলবে। এছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই চাঁদ দেখা যাবে।
এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের আরও নাম রয়েছে। যেমন- ‘ফিশ মুন’ (মাছ চাঁদ), ‘গ্রাস মুন’ (ঘাস চাঁদ) ও ‘এগ মুন’ (ডিম চাঁদ)।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে পূর্ণ গোলাপি চাঁদের দেখা মিলবে। অন্যদিকে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝবরাবর অবস্থান করে, তখনই পূর্ণ চাঁদ দেখা যায়। তবে নাম গোলাপি হলেও এপ্রিলের এই পূর্ণ চাঁদের রং কিন্তু পুরোপুরি গোলাপি নয়। কোথাও কোথাও কমলা রঙেও চাঁদটি দেখা যেতে পারে। রাত বাড়ার একপর্যায়ে চাঁদটি উজ্জ্বল সাদা রং ধারণ করবে। এছাড়া ধোঁয়াসহ আবহাওয়াগত নানা কারণে এই চাঁদ চোখে গোলাপি রঙে দেখা দেবে না। সাধারণত সোনালি রঙেই তা দেখা যাবে।
বিশ্বজুড়ে পূর্ণিমার চাঁদের বিভিন্ন নাম রয়েছে। আর এসব নাম এসেছে বিভিন্ন ঋতু, ঐতিহাসিক ফসল, এমনকি কোনো প্রাণীর বিচিত্র আচরণ থেকে। গোলাপি চাঁদ নাম এসেছে আমেরিকা অঞ্চলে বসন্তের শুরুতে ফোটা একটি বুনো ফুল থেকে।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন।
এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মুকেশের এই জয়ের পরই গুজরাট রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সি.আর পাতিল তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রবিবার এই কেন্দ্রে মুকেশের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় রিটার্নিং অফিসার সৌরভ পারধি। কারণ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিন প্রস্তাবকের কেউই নির্বাচনী কর্মকর্তার সামনে উপস্থিত ছিলেন না ফলে প্রার্থীর সমর্থনে মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষরও করতে পারেননি। পরবর্তীতে সুরাত কেন্দ্রে নীলেশের পরিবর্তিত প্রার্থী হিসেবে সুরেশ পাডশালাকে মনোনয়ন দেয় কংগ্রেস। কিন্তু তার মনোনয়নপত্রও অবৈধ বলে গণ্য হয়। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দান থেকে বেরিয়ে যায় কংগ্রেস।
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচন শেষ হবে আগামী ১ জুন। ভোট গণনা ৪ জুন। এমপি হিসেবে নির্বাচিত হলেন দলের সুরাত কেন্দ্রের প্রার্থী মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল। নির্বাচনী ময়দান থেকে তার প্রতিপক্ষরা সরে দাঁড়ানোয় ওয়াক ওভার পেয়েছেন ৬২ বছর বয়সী দালাল। সোমবারই তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জয়ের সনদও তুলে দেয়া হয়।