নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০২০
প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবুল ফয়েজ বলেছেন, “কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ যাঁদের, তাঁদের বাড়িতে চিকিৎসা নিতে বলা হচ্ছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তিনি নিজের ইচ্ছানুযায়ী ঔষুধ সেবন করবেন। এজন্য তাঁকে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সরাসরি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে না পারলে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমেও এটা করতে পারেন।’’ এক্ষেত্রে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, টেলিমেডিসিনেরও একটা নিয়ম আছে। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) চিকিৎসা প্রসঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ফয়েজ বলেন, “টেলিফোনের মাধ্যমে একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে একবার পরামর্শ নিলেই হবে না, সকাল বিকাল অর্থাৎ দিনে অন্তত দু`বার রোগীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কেও চিকিৎসককে জানাতে হবে। কারণ রোগীর অবস্থা যেকোনো সময় যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে।’’
প্রখ্যাত এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর চারটি পর্যায় রয়েছে। মৃদু, মাঝারি, মারাত্মক এবং সংকটপূর্ণ। সামাজিক মাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে কোভিড সংক্রান্ত বিভিন্ন লেখা পড়ে বা দেখে কিংবা আগে থেকে পরীক্ষা করে বোঝা সম্ভব নয় যে, একজন রোগীর অবস্থা কখন কোন দিকে মোড় নেবে। আগে থেকে বলে কয়ে রোগীর অবস্থা মৃদু থেকে মাঝারি বা মাঝারি থেকে মারাত্মক হয় না। হঠাৎ করেই রোগী মৃদু থেকে মারাত্মক অবস্থায় চলে যেতে পারে। এজন্যই চিকিৎসককে দিনে অন্তত দু`বার রোগীর অবস্থা জানানো দরকার। অবস্থা বিবেচনা করে রোগীকে বাড়ীতে কি চিকিৱসা নিবেন তা পরার্মশ দিতে পারেন কিংবা হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
করোনায় আজকাল অনেকেই হাসপাতালে না গিয়ে বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বাড়িতেই নিজের চিকিৎসা নিজে করছেন, এ প্রসঙ্গে ডা. ফয়েজ বলেন, ‘সব মানুষ যদি চিকিৎসা জানেন, তাহলে তো আর হাসপাতাল বা চিকিৎসা ব্যবসার দরকার হয় না। যে কোনো রোগের চিকিৎসা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসক টিমের মাধ্যমে হতে হয়। এটা চিকিৎসক সরাসরি করুন বা টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে করুন অথবা তার অধস্তন কোনো সহযোগীর মাধ্যমে করুন। আমি পত্রিকা দেখলাম, বই পড়লাম, সামাজিক মাধ্যমে দেখলাম, তারপর নিজের চিকিৎসা নিজে করলাম, এর অর্থ হলো নিজেকে অতিরিক্ত ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া। শরীর তো নিজের, কেউ নিজের চিকিৎসা করতে চাইলে করতেই পারেন। তবে এটা তার বিপদ ডেকে আনতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল প্রফেশনের মূলমন্ত্র হচ্ছে, একজন চিকিৎসক নিজেও যদি অসুস্থ হন, তবে তিনি আরেকজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। এটা সব সময়ের জন্যই প্রযোজ্য। কোভিড-১৯ এর জন্য তো আরও বেশি প্রযোজ্য। পশ্চিমা বিশ্বে আমরা যেমনটা দেখি যে, যে কোনো শারীরিক সমস্যায় মানুষ হাসপাতালে যান কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। কিন্তু আমাদের দেশে সব সময়ই এই প্রবণতাটা কম। মানুষ চিকিৎসক/হাসপাতালের পরিবর্তে ওষুধের দোকানে যায় বেশি। অনেকে আবার পল্লী চিকিৎসকের কাছে যান। এই করোনাকালেও অনেকেই এমনটা করছেন। এটা ঠিক নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা যেকোনো পত্র পত্রিকায় কিছু ওষুধের নাম দেখছেন, একটু অসুস্থ হলেই করোনা ভেবে সেটা কিনে এনে খাচ্ছেন। অনেকে আবার বাসায় পালস অক্সিমিটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে রাখছেন। পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু নিজেদের ইচ্ছামতো অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে রাখা এবং তা গ্রহণ করা, এটা বিপজ্জনক এবং রোগীর কোনো কাজেও আসে না। এগুলো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অক্সিজেন দেওয়াটা তো হেলাফেলা করার মতো জিনিস নয়। এটার একটা নিয়ম রয়েছে এবং মাত্রা রয়েছে। অক্সিজেন ঘরে বসে দেওয়ার জিনিস নয়। যাঁরা এটা বিক্রি করেন, তাঁদেরও জানা উচিৎ যে, এটা ব্যক্তি পর্যায়ে বিক্রির জন্য নয়।
এ বিষয়ে ডা. ফয়েজ আরও বলেন, বাসায় বসে অক্সিজেন দেওয়ার মানে হলো, রোগী নিজে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন, পাশাপাশি অন্যদেরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন। কারণ অক্সিজেন গ্রহণের সময় সেখানে বাতাসসহ এরোসল তৈরি হয়। এর ফলে করোনা সংক্রমণ অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। সুতরাং করোনা প্রতিরোধ করতে আমাদের যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও সুস্থ হওয়ার জন্যও আমাদের সচেতনতা খুব বেশি জরুরী। এটা ঠিক যে করোনায় আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষই মৃদু উপসর্গযুক বা উপসর্গহীন। বেশিরভাগ মানুষেরই হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যিনি অসুস্থ বোধ করছেন বা অসুস্থ বোধ করার আগেই নিজের মতো করে ওষুধ খাচ্ছেন, তিনি নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনছেন। এই অসচেতনতা মানুষের মৃত্যুও ঘটাতে পারে। সুতরাং আমাদের সাবধান হতে হবে, সচেতন থাকতে হবে।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।