নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘করোনা এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে আমাদের কাছে এবারের ঈদুল আযহা কিছুটা নিরানন্দের। কিন্তু তারপরেও আজ ঈদ, এটাই সবচেয়ে বড় কথা। সবাইকে ঈদ মোবারাক। বিশেষ এই দিনে আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, আপনারা গরীব, দুঃখী মানুষকে সাধ্যমতো মাংস অর্থ বিতরণ করুন। ঈদ উদযাপন করুন, উপভোগ করুন, কিন্তু স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলুন।’ বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদটা একটু নিরানন্দ এবং বিষাদময়। এমন ঈদ আমরা আগে দেখিনি। কিন্তু বাস্তবতার কারণে আমাদের এটা মেনে নিতে হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ সীমিত আকারে ঈদ পালন করছে। আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। করোনা সংকটের পাশাপাশি আমাদের দেশের কয়েকটি এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যেই আমরা আজ বাড়িতে বা মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। সবাই মিলে আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করেছি, এই সংকট থেকে আল্লাহ যেন সবাইকে মুক্তি দান করেন।’
প্রধানমন্ত্রীর এই মুখ্য চিকিৎসক বলেন, ‘দুঃখ কষ্টের মাঝেও কোরবানিতে জনগণের মধ্যে একটা স্বতস্ফুর্ত ভাব দেখা যাচ্ছে। এটা ভালো। মানুষ ধীরে ধীরে করোনার ভয় ভীতি কাটিয়ে উঠছে। যে যার মতো করে ঈদ উপভোগ করছে। কিন্তু এর মধ্যে আমরা যেন স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারটা ভুলে না যাই। ভয় কাটা ভালো, কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানাটা জরুরি।’
তিনি বলেন, সবার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, যারা কোরবানি দিচ্ছেন, আপনারা মাংস গরীব-দুঃখী মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেবেন। এর ফলে তারা একটা দিন অন্তত তৃপ্তি সহকারে খেতে পারবে। তাদের পুষ্টি চাহিদা মিটবে। তারাও ঈদের খুশির ভাগীদার বা অংশীদার হতে পারবে। একে করোনা, তার উপরে বন্যা। বহু মানুষ আছে, যারা এই দুর্যোগে সর্বশান্ত এবং বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের পাশে দাঁড়ান। সাধ্য মতো তাদের সাহায্য করুন। কারণ সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পারাটাই হলো ঈদের স্বার্থকতা। গরীব-দুঃখী মানুষগুলো যেন ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে, সেদিকে যেন আমরা একটু লক্ষ্য রাখি। তাহলে এই ঈদের যে তাৎপর্য, সেটা আরও মহিমান্বিত হবে।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, এবারের ঈদে আমরা দেখছি করোনা নিয়ে মানুষের ভয়টা কমেছে, সাহস বেড়েছে, আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। ভয়কে জয় করতে পারবে এ ধরনের বিশ্বাস মানুষের মাঝে জন্মেছে। এটা একদিক থেকে ভালো। কিন্তু তারপরও বলবো যে, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলুন। সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সচেতন হতেই হবে। কারণ করোনা কবে শেষ হবে, এটা আমাদের সবারই অজানা। সুতরাং আগামী দিনগুলোতে আমরা যেন ভালো থাকি, সুস্থ থাকি সে ব্যাপারে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। সচেতন থাকতে হবে। সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।