নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৫ অগাস্ট, ২০২০
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেছেন যে, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোন সভ্য সমাজে ঘটতে পারে না। বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, ব্যক্তিগতভাবে এবং যতদিন আমি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলাম আমরা সকল সময়ে যেকোন ধরণের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের নীতিগত অবস্থান ছিল এবং আমার সেই ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে কিন্তু আমি এখনো বিচ্যুত হইনি। আমি মনে করি বিচারবহির্ভূত কোন হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়া উচিত নয়। যদি কোন দেশ মনে করে যে, নূন্যতম সেখানে কোন আইনের শাসন রয়েছে এবং তাঁরা প্রশাসনের ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো একটি রাষ্ট্র যা কিনা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত, সেখানে ন্যায়বিচার পাওয়া এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা না হওয়া মানুষের মর্যাদার অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং সেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কোনরকম স্থান থাকতে পারে না।
বর্তমানে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনাকে নিয়ে আমি বলবো যে, আমাদের এখানে যেহেতু আইনের শাসন বড্ড দূর্বল হয়ে পড়েছে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে কিছু কিছু সংস্থাকে আমরা যেন জবাবদিহিতার উর্ধ্বে রেখেছি এবং কখনোই তাঁদের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করিনাই। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে যখনই এমন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে, তাঁদেরকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বা কালোবাজারি- কোন একটা নাম দিয়ে একটা গৎবাঁধা একটা গল্প সাজিয়ে সেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডগুলোকে জায়েজ করার চেষ্টা করেছি। যেটা কখনোই একটা সভ্য রাষ্ট্র হিসেবে উচিত হয়নি।
আমরা জানি যে, আমাদের সরকার, আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুবই জনদরদী একজন মানুষ, তিনি খুব আবেগী একজন মানুষ। মানুষের দুঃখ-কষ্টটা তিনি একেবারে নিজের অন্তরে গ্রহণ করেন। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার মাকেও ফোন করে তিনি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি যদি শেখ হাসিনাকে না দেখে আমি যদি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী পদটাকে দেখি এবং যদি প্রশ্ন করি যে, মনে করুন গতমাসে জুলাইয়ে ৩১ দিনে ৩৬টি বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তাহলেই এই ৩৬ টির ক্ষেত্রে কি হয়েছে? সেখানে কি রাষ্ট্রের কেউ নিহতের পিতা-মাতাকে ফোন করে বলেছেন যে, আমরা এটার বিচারের ব্যবস্থা করবোই, যেমন করেই হোক, ন্যায়বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে? আমি যে কথাটি দিয়ে শুরু করেছিলাম, কখনোই বিচার বহির্ভূত কোন কিছুকেই বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত নয়। সেখানে কোন রকম স্বীকৃতি একটা সভ্য সমাজে থাকা উচিত নয়।’
তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে যখন লিমনের ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখান থেকেও কিন্তু রাষ্ট্র শিক্ষা নিতে পারতো। কিন্তু লিমন ছিল দরিদ্র একজন দিনমজুরের ছেলে, তাই তাঁর একটি পা হারানোর ঘটনাটি রাষ্ট্রের কাছে অতটা গুরুত্ব পায়নি। এখন যেহেতু সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর নিহত হয়েছেন, তিনি যেহেতু ভিক্টিম, তাই এখন এটা আরো গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে এবং চিন্তা করার সুযোগ এসেছে যে, এরকম চলতে থাকলে এরকম আরো ঘটনা যে ঘটবে না এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। এই ঘটনাটি আমাদের জন্যে বিশাল সুযোগের সৃষ্টি করেছে এবং এই সুযোগটিকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। রাষ্ট্রকে চিন্তা করতে হবে যে, আমি আইনের শাসনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো, অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবো নাকি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে এবং তাৎক্ষণিক বিচারব্যবস্থা যেটা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো করে, সেই বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার পক্ষপাতিত্ব থাকবে। এখানে আপনাকে যেকোন একটাকে বেছে নিতে হবে। এখানে দুটো নৌকায় পা রাখার কোন সুযোগ নেই।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।