নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ০৬ অগাস্ট, ২০২০
করোনা মোকবেলায় ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেককিছু করলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে তা বাস্তবায়ন করতে দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যক্ষ ডা. এম এ আজিজ। বাংলা ইনসাইডার-এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এমন কথা বলেছেন তিনি।
করোনা চিকিৎসা করবেন যারা তাঁরা আর হোটেলের সুবিধা পাবেন না, বাসায় কোয়ারেন্টাইন করতে হবে এবং বিভিন্ন সরকারি ডরমেটরিতে থাকতে হবে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে স্বাচিপ নেতা হিসেবে অধ্যক্ষ ডা. এম এ আজিজের বক্তব্য কি জানতে চাওয়া হলে স্বাচিপের এই মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে। তবে এই প্রেক্ষাপটে এটা একটি বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। মেডিকেল এবং সাইন্টেফিক্যালি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া এই নিয়ম সারা বিশ্বে চলছে যে, যারা চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী তাঁরা হোটেলে কোয়ারেন্টাইন থাকবে এবং রোটেট করে কাজ করবে। এটা আমাদের একার নিয়ম না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী সারাবিশ্বেই এই নিয়ম চলছে। কারণ চিকিৎসা সেবা কাজ শেষে তাঁরা যখন বাসায় যাবে তখন সংক্রমণ ছড়ানোর শঙ্কা থাকে। তাই তাঁদের নিজেদের নিরাপত্তার দরকার, সঙ্গে তাঁদের পরিবারেরও দরকার। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নিয়ম করেছে। কিন্তু সরকার এই সিদ্ধান্তটি নেওয়ার আগে আমাদের প্রফেসনাল বডি বা পরামর্শক কমিটির সঙ্গে কোন কথা বলেনি। এছাড়া জাতীয় কমিটির সঙ্গে কোন কথা হয়েছে কিনা সেটাও আমার জানা নেই। অনেকেই আছেন জুনিয়র চিকিৎসক, যাঁদের আলাদা থাকার মতো রেসিডেন্স নেই। অনেকে পরিবারের সঙ্গে থাকেন। এরা আসলে অসুবিধায় পড়বে এবং এর ফলে তাঁদের পরিবারে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা চিকিৎসা সেবা শেষে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ১৪ দিন থাকা দরকার বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘৭ দিন ডিউটির পরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন- এটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি স্বীকৃত পদ্ধতি। তবে সরকার যেকোন কারণে এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তবে এটা যারা টেকনিক্যাল কমিটিতে রয়েছে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং স্টেকহোল্ডার যারা রয়েছে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে একটু সময় দেওয়ার দরকার ছিল। কারণ অনেকেই আছেন যারা হোটেলে আছে, হাসপাতালে যাবেন বা হোটেল থেকে বাসায় যাবেন- তাঁদের মাঝে সমন্বয়ের অভাব সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকে আমাদের জানিয়েছেন।’
সরকারের কাছে এই বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় করাটাও একটি বড় বিষয়। ফলে এই সমস্যা উত্তরণে সরকারের কি করা উচিত ছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে চিকিৎসকরা যে টাকা চাচ্ছেন তা না, চিকিৎসকদের কাছে টাকাটা বড় ইস্যু নয়। আমরা চিকিৎসকরা টাকা চাই না, পাঁচ তারকা হোটেলও চাই না, কিংবা দরকার নেই আলাদা ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের। আমাদের শুধু কোয়ারেন্টাইনের সময়টা সরকারি কোন ডরমেটরিতে বা নির্দিষ্ট একটু জায়গায় থাকতে দিলেই হবে। অনেক চিকিৎসক রয়েছেন যাঁদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা নেই, তাঁদের জন্যে এতটুকু সুবিধা দিতে পারলেই চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিতে আগ্রহী।’
এই বিষয়টি নিয়ে স্বাচিপের নেতারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোন কথা বলবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যক্ষ ডা. এম এ আজিজ বলেছেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো এটা নিয়ে আমাদের মাঝে কথা হয়নি। তবে কার্যকরি কমিটির একটা মিটিং ডেকেছি আমরা আগামীকাল। সেই মিটিংয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করে সরকারের মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চিন্তাভাবনা করে রেখেছি। বাংলাদেশ মেডিক্যালও এই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করবে বলে আমি জেনেছি।’
করোনায় বাংলাদেশের চিকিৎসকরাই সবথেকে বেশি আক্রান্ত এবং মৃত্যুবরণ করেছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছেন বা মারা গেছেন তাঁদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন সেই একই ধরণের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আছে কিনা এবং সেই ধরণের প্রণোদনা চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাচিপ মহাসচিব বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ওনার অবস্থান থেকে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যে অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন, অনেককিছু করেছেন। এই বছরের বাজেটেও আমরা তার প্রতিফলন দেখেছি। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের উৎসাহ দিতে দেখেছি প্রধানমন্ত্রীকে এবং আমরা অনুপ্রাণিত সেই ব্যাপারে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের সঙ্গে চিকিৎসকদের সমন্বয়টা আমরা ঐভাবে লক্ষ্য করিনি।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।