নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ০৯ অগাস্ট, ২০২০
আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন না করলে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এই প্রেক্ষাপটে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া জানতে বাংলা ইনসাইডার কথা বলে ল্যাবএইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম এ শামীমের সঙ্গে। ল্যাবএইড বাংলাদেশের প্রথম জেনারেশনের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ডা. এম এ শামীম বলেন, ‘একটি বেসরকারি হাসপাতালকে ১১ ধরনের লাইসেন্স নিয়ে তবেই হাসপাতাল চালাতে হয়। বাস্তবে এটা কেবল অযৌক্তিক নয়, অসম্ভবও বটে। তিনি বলেন, ‘আমাদের কথা হচ্ছে আমরা তো আর সাহেদ বা সাবরিনা নই। আমাদের এখানে অভিযান চালানোর আগে আমাদের জানানো হোক। ধরুন আমাদের ২-৩ দিন আগে জানাবে, ডিজি অফিস থেকে একজন কর্মকর্তা আর একজন চিকিৎসক নিয়ে আসুন। এর মধ্যে আমরা সবকিছু চেক করে একটি অডিটের মতো করি। এরপর তাঁরা এসে সাবধান করে ৭ দিন পর আবার এসে চেক করুক। আমরা যদি সেগুলো সংশোধন না করতে পারি তাহলে জরিমানা করুক। কিন্তু এখন যদি মেশিনগান নিয়ে এসে আমাদের ২০-২২ লাখ টাকা জরিমানা করে দেওয়া হয় এবং হাসপাতাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে মানুষ চিকিৎসা কোথায় পাবে?’
ল্যাবএইডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘মানুষকে তো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু এখন যদি রাজউক এসে আমাদের মারে, পরিবেশ এসে মারে তাহলে আমরা চিকিৎসা দিবো কিভাবে? আমরা আসলে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে আটকে গেছি। যার কোন প্রতিষ্ঠান নেই সে তো রাজা। আমরা সাহেদকে বাঁচাতে চাই না, সাবরিনাকে বাঁচাতে চাই না, আমরা জেকেজি’কে বাঁচাতে চাই না। আমাদের কাছে আপনারা আসেন, আমাদের ৩ দিনের সময় দেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে হেলথের একটি লোক নিয়ে এসে আমাদের সমস্যাগুলো দেখিয়ে দিয়ে যান। আমরা সেগুলো সংশোধন করবো।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে আগে ১ টি লাইসেন্স নিতে হলেও সেই সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ টিতে- এমন তথ্য জানিয়ে ডা. শামীম বলেন, ‘আগে আমাদের ডিজি অফিসের ১ টি লাইসেন্স লাগতো, এখন আমাদের ৯টি লাইসেন্স লাগে। ব্লাড ব্যাংক, অটোমিক এনার্জি, ফায়ার, পরিবেশ, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াও রয়েছে বহু কিছু। এবং ব্লাড ব্যাংকের জন্য লাগে বার্ষিক ৩ লক্ষ টাকা। এখন যে ছোট্ট ক্লিনিক যারা বছরে ১০০, ২০০ বা ৩০০ টি ব্লাড দেয়। এখন একজন মানুষের কাছ থেকে ২০০ টাকা নেওয়া যায় রক্তের জন্যে, আর লাইসেন্স ফি দিতে হয় এর দশ গূণ। হলি আর্টিজেন ঘটনার পরে যত রেসিডেন্সিয়াল স্থান ছিল, সবগুলো ট্রেড লাইসেন্স আর রিনিউ করে না। রিনিউ না করার কারণে এখন হাসপাতালের লাইসেন্সও রিনিউ করা হয়না। কারণ প্রথমে হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স চায়। আর এখন তো সবই হচ্ছে প্রায় রেসিডিন্সিয়াল। এর জন্যে তো হাজার তিনেক হাসপাতাল আটকে গেছে। ওদেরতো একটা ইনভেস্টমেন্ট আছে, ওদের ওখানে তো লোকজন কাজ করে, ৫০ টা বেড আছে। আমার কথা হলো ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চলছে। কিন্তু ২০১৪ সালের পর হাসপাতালগুলো রিনিউ করেনি। সেটা এখন কেন বন্ধ হবে? এটা তো পারবে না। বাংলাদেশে ক্লিনিক হাসপাতাল আছে ১০ হাজার। এগুলো রিনিউ করা কিন্তু এত সোজা না। আজকে যদি অ্যাপ্লাই করি এক বছরে ওনারা নবায়ন দিতে পারবে না। ওদের এমন জনবল নেই।
সমাধান কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. এ এম শামীম বলেন, ‘সমাধান একটাই। আমাদের নিয়ে ওনারা বসবেন। বসে চিঠি দেবেন। লোক বাড়িয়ে ওয়ান টু ওয়ান ভ্যারিফাই করতে হবে। আমাদের সঙ্গে বসে ওনারা পথ বের করুক। হাসপাতাল অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের মতো ‘এক্সিডেশন’ পদ্ধতি চালু করা হোক। সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত থাকতে হবে। এই শর্তগুলো যারা পূরণ করতে পারবে তাঁরা এক্সিডেশন পাবে। যাঁদের এই শর্ত পূরণ হবে না তাঁদের সময় দেওইয়া হবে। কিন্তু বন্দুক নিয়ে হাসপাতাল ঠিক করা যাবে না।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।