নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০১ পিএম, ১১ অগাস্ট, ২০২০
কোভিড চিকিৎসায় নিয়োজিত হাসপাতালগুলোতে এখন রোগীর সংখ্যা একেবারেই কমে এসেছে। বেশিরভাগ করোনা রোগীই আজকাল হাসপাতালের বদলে ঘরে বসে চিকিৎসা করাতে আগ্রহী। চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় বসেই ওষুধ পথ্য নিচ্ছেন রোগীরা। এ অবস্থায় কোভিড হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ কিনা সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় আজ এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
কোভিড হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা খুব কঠিন প্রশ্ন। আমি মনে করি, এখনই একসঙ্গে সমস্ত কোভিড হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ হবে না। কারণ এখন রোগী কম হচ্ছে, এটা ঠিক। তবে সামনে যদি আবারও রোগী বেড়ে যায়, তখন সমস্যা হতে পারে।’
অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এ বিষয়ে আরও বলেন, ঈদে বহু মানুষ গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল। ঈদ শেষে তারা আবার ফিরেছে এবং কর্মস্থলে যোগ দিয়েছে। এ অবস্থায় আরও কিছুদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। অন্তত আরও একটা সপ্তাহ দেখা উচিৎ যে দেশে সংক্রমণের হার বাড়ে কিনা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে করনীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে প্রবীণ এই চিকিৎসক বলেন, দেখা যাচ্ছে, কোভিড হাসপাতালগুলোর তিন ভাগের দুই ভাগ বেডই খালি। আইসিইউ বেডগুলোও খালি। এ অবস্থায় পর্যায়ক্রমে হাসপাতাল বন্ধের বিষয়টি ভাবা যেতে পারে। বিশেষ করে, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ক্ষেত্রে আমি বলবো, সপ্তাহখানেক পরিস্থিতি দেখে তারপর এগুলো বন্ধ করা উচিৎ। যদি সংক্রমণের হার আরও কমে যায়, তখন এগুলো বন্ধ করা যেতে পারে।’
তিনি বলেন, এক সঙ্গে সমস্ত কোভিড হাসপাতাল বন্ধ করা উচিৎ হবে না। পর্যায়ক্রমে হাসপাতাল বন্ধ করা যেতে পারে। সংক্রমণের হার কমে গেলে বেসরকারি হাসপাতালগুলো আগে বন্ধ করা উচিৎ। কারণ এগুলোর পেছনে সরকারের বড় অংকের অর্থ বরাদ্দ করতে হচ্ছে। যদি রোগীই না থাকে, তাহলে এত খরচের কোনো মানে হয় না। আরেকটি বিষয় হলো, কোভিড হাসপাতালগুলোতে অসংক্রামক রোগে আক্রান্তরা সেবা নিতে যেতে পারছে না। অন্যদিকে করোনা আক্রান্তরাও সেখানে যাচ্ছে না। এর ফলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে যেখানে শুধু করোনা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো পুরোটা একসঙ্গে বন্ধ না করে সীমিত আকারে বন্ধ হতে পারে। যেমন- হাসপাতালের একটা বিল্ডিং, একটা দুটো ফ্লোর বা ইউনিট করোনার জন্য রেখে বাকিটা অন্য রোগীদের জন্য উন্মুক্ত করা যেতে পারে। এতে করে কোভিড এবং নন কোভিড সকলেই চিকিৎসা সেবা পাবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যক্তিগত চিকিৎসক আরও বলেন, হার্টের রোগী, লিভারের রোগী, কিডনি কিংবা স্ট্রোকের রোগীরা বর্তমানে খুব ভুগছেন, কষ্ট করছেন। চিকিৎসা নিতে বেগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। এজন্য সবার কথা চিন্তা করে এবং সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।