নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১৩ অগাস্ট, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘আগস্ট মাস আমাদের শোকের মাস। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল স্বাধিনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি। এই হত্যাকাণ্ড পুরো জাতির জন্য একটি বেদনার্ত দিন, বাঙালীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেদনাময় দিনগুলোর একটি। আমি ১৫ আগস্টের প্রাক্বালে জাতির পিতা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা জানাই।’ বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে প্রতিদিনের আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাস্থ্যচিন্তা ছিল অত্যন্ত যুগোপযোগী, আধুনিক এবং জনবান্ধব। তিনি চেয়েছিলেন সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন।
ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, আজকের যে স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর চিন্তাপ্রসূত। তিনি ইউনিয়ন হেলথ কমপ্লেক্স, মহকুমা হাসপাতাল ব্যবস্থা- যেটি এখন উপজেলা হয়েছে, জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজের ধারণা দিয়েছিলেন। অর্থাৎ মানুষ যেন বিনামূল্যে বা ন্যূনতম মূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সব চিকিৎসা সেবা পায় সেটা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তিনি। আজ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় যেটা বাংলাদেশে চিকিৎসার ক্ষেত্রে উচ্চতর চিকিৎসার পাদপীঠ, সেটিও বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া। বঙ্গবন্ধু প্রথম আইপিজিআর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখানে চিকিৎসকরা যেন উচ্চতর চিকিৎসা এবং গবেষণার কাজ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধুই করেছিলেন।
তিনি বলেন, আজ যে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন, এটার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্টের হৃদয়বিদারক ঘটনার জন্য তিনি সেটি করতে পারেননি। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি পূরণ করছেন।
প্রবীণ এই চিকিৎসক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪ মেয়াদে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের স্বাস্থ্যে একটা রোল মডেল হয়েছে, অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এখনও যে দুর্নীতি, অনিয়ম, বিশৃঙ্খলাগুলো রয়েছে সেগুলো থাকতো না, যদি বঙ্গবন্ধু আর কিছুদিন থাকতেন, একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা যদি তিনি গড়ে তুলতে পারতেন।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পরিকল্পনা করেছিলেন তাতে কোনো মানুষ যেন চিকিৎসার আওতার বাইরে না থাকে, কোনো মানুষকে যেন অর্থের অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হতে না হয়, সেই চিন্তা- চেতনা এবং ধারণাকে তিনি বিকষিত করেছিলেন। সেজন্যই আমরা দেখি যে, বাংলাদেশে এখনও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেক বেশি গরীববান্ধব। এখানে একজন গরীব মানুষ যেভাবে ন্যূনতম মূল্যে চিকিৎসা পায়, সেটিও বিশ্বে একটি বিরল ঘটনা।
তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে কেবল জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়নি। বাঙালীর স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছিল। আমাদের যে স্বাস্থ্য অধিকারের স্বপ্ন সেটাকে হত্যা করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।