নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ও করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এম. ইকবাল আর্সলান বলেছেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে এক ধরনের সংকট চলছিল। তারা নানা ভোগান্তির মধ্যে পড়ছিলেন। তাদের পরিবারের সদস্যরা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে ছিলেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এই সংকট খুব দ্রুতই কেটে যাবে বলে আমরা আশা করছি। বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন ডা. ইকবাল আর্সলান।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের শুরুতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন, পরিবহন এবং তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। বিভিন্ন হোটেল তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পর সরকার দেখলো যে, হোটেলে আবাসন ব্যবস্থা অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। এই অর্থসংকুলান করা সরকারের জন্য কষ্টসাধ্য হচ্ছে। চিকিৎসকদের এই আবাসন ব্যবস্থার ব্যয় নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠেছে। কিন্তু কোভিড চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আইসোলেশনের জন্যে অবশ্যই তাদের একটা আবাসনের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
চিকিৎসকদের আবাসন সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে এই চিকিৎসক নেতা বলেন, কোনো পাঁচ তারকা বা চার তারকা হোটেল চিকিৎসকদের থাকার জন্য বরাদ্দ করতে হবে এমন দাবি কখনই আমাদের ছিল না। প্রথম থেকেই আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, সরকার তার ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করুক, যাতে তাদের পরিবারের সদস্যরা সংক্রমণের ঝুঁকিমুক্ত থাকে। গণপরিবহনে যারা চলাচল করবে তাদের নিরাপত্তা বিধানের জন্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করাটা প্রয়োজন। শুরু থেকেই আমরা শুধু এগুলোই বলে এসেছি। একটা পর্যায়ে চিকিৎসকদের জন্য হোটেল বরাদ্দ করা হলো। এরপর আবার সরকার সিদ্ধান্ত ছিল যে, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজ দায়িত্বে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে একটা প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছিল। সঙ্গত কারণেই এই প্রজ্ঞাপনটা নিয়ে আমাদের নেতিবাচক মনোভাব ছিল। করোনা বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটিরও পরামর্শ ছিল যে, এই আবাসনের ব্যাপারে সরকার নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থপনা করতে পারে। কেন্দ্রীয়ভাবে এটা করা উচিৎ। এ বিষয়গুলো নিয়েই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে।
ডা. আর্সলান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সভাপতিত্বে গতকাল বৈঠকে বসেছিলাম আমরা। তারা একমত হয়েছেন যে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যসেবাকর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। সেই আবাসনস্থল থেকে তাদেরকে তাদের কর্মস্থলে আনা নেওয়ার ব্যবস্থাপনা এবং তাদের খাবারের ব্যবস্থাপনা সবকিছুই মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয়ভাবে করবে। আমরা মনে করি, এটা যদি করা হয়, তাহলে সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে। এটা সরকারের দিক থেকেও ভালো হবে। কারণ সরকারিভাবে এই ব্যবস্থাপনা করা হলে এখানে কোনো দ্বিতীয় বা তৃতীয় পক্ষ থাকবে না। ফলে চিকিৎসকদের আবাসন সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রশ্ন উঠেছিল সেসব প্রশ্নেরও আর কোনো অবকাশ থাকবে না। অন্যদিকে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরাও নিশ্চিন্তে তাদের সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন। সুতরাং আমরা বলতে পারছি যে, সংকট কেটে যাবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় নিজ দায়িত্বে করবে। সুতরাং চিকিৎসকদের থাকা নিয়ে সংকট কেটে যাচ্ছে বলেই মনে করছি আমরা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঘরের দরজা ভেঙে বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এ ধরনের আত্মহত্যার ঘটনা চলছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় কী অথবা আত্মহত্যা করতে চাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মানুষটির প্রতি পরিবার, সমাজ, গণমাধ্যমের ভূমিকা কতটুকু—এসব নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দীন আহমেদ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদক খাদিজা ভৌমী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে বা আছে—বিএনপির এধরনের কথাবার্তা স্রেফ তাদের হঠকারিতা। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে আপনি কি সেটা অস্বীকার করতে পারবেন কিংবা তাদের অবদানকে কোন ভাবে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন? এটা কোন ভাবেই সম্ভব না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভারতের অবদানের জন্যই তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। গতকাল তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কেউই এই দায়িত্বে ছিলেন না। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে, আমরা সায়মা ওয়াজেদকে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে পাচ্ছি। এটা বাংলাদেশ তথা এদেশের জনগণের জন্য একটি বিরাট প্রাপ্তি। সায়মা ওয়াজেদ স্বাস্থ্য খাতে খুব অভিজ্ঞ একজন ব্যক্তিত্ব। আমরা জানি সে অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বে অটিজম এবং নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলেরও সদস্য। তাছাড়া ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, টিআইবি এখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ভূমিকা পালন করছে। টিআইবি এবং সিপিডি যারা করে এরা একই ঘরানার। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতু জনগণের অর্থায়নে করার ঘোষণা করেন সে সময় এরা বলেছিল বাংলাদেশে এটা অসম্ভব। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করলে অর্থনীতির একটা ধস নামবে, অর্থের অপচয় হবে। টিআইবি তো কোন সময় বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভালো চোখে দেখে না। টিআইবি’র এখানে (বাংলাদেশ) যারা নেতৃত্ব দেন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে মনগড়া বিবৃতি দেয়। তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝে না বরং তারা পিছনের দরজা দিয়ে কোনো রকম নিজের গাড়িতে একটি পতাকা লাগানো যায় কিনা সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে এবং এই স্বপ্নে বিভোর থাকে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে টিআইবি মনগড়া তথ্য-উপাত্ত জাতির সামনে হাজির করে জাতিকে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।